অনলাইনে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়মআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি ভিসা নাম্বার ব্যবহার করে ভিসা চেক করতে চান। এ বিষয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুরি করেছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখনো পর্যন্ত জানতে পারেননি। তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে বিস্তারিতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিভাবে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে হয়।
আপনাদের কাজের উপর ভিত্তি করে অনেকেই রয়েছে যারা কিভাবে ভিসা চেক করতে হয় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য খোঁজে। কিন্তু কোন কারণবশত সঠিক তথ্যটি জানতে পারে না। যাদের খুবই প্রয়োজনীয় তারাই শুধুমাত্র আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক - মূলভাব
কোন ব্যক্তি একটি দেশ থেকে অন্য দেশে কাজের জন্য কিংবা ভ্রমণ করার জন্য ভিসা তৈরি করে থাকে। বর্তমানে জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ভিসা ব্যথিত একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারবে না। এজন্য প্রত্যেকটি মানুষ ভিসার জন্য আবেদন করে এবং কাঙ্খিত সময় পর হাতে ভিসা পেলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে।
ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে কিভাবে কোন পর্যায়ে কাজগুলো সম্পূর্ণ করে একটি ভিসা কমপ্লিট করতে হয় এগুলো আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। অনেকের রয়েছে যারা অনেকদিন হয়ে গেছে ভিসার জন্য আবেদন করেছে কিন্তু এখনো হাতে পায়নি। তাদের অবশ্যই উচিত হবে একবার নিজের ভিসা চেক করা।
আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম।
আপনারা হয়তো বিভিন্ন উপায়ে ভিসা চেক করা শিখেছেন।অনেকের এগুলো মনে থাকে আবার কেউ কেউ ভুলে যায়। এর জন্য কম্পিউটারের দোকানে কিংবা ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে ভিসার বর্তমান অবস্থা চেক করতে হয়।
তবে আজকে আপনাদেরকে শেখাবো কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুব সহজে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করবেন। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার শর্ত
আমরা কোন কাজ করার সময় সর্বপ্রথম যে কোন কাজের শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে হয়। কোন শর্ত ছাড়া কাজ করতে গেলে কাজের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয় না। ঠিক তেমন ভাবে আপনি যদি ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে কাজ করতে হবে।
- যেখান থেকে ভিসা চেক করতে চাচ্ছেন উক্ত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের নাম জেনে রাখতে হবে।
- অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার লিখে রাখতে হবে।
- পাসপোর্ট নাম্বার প্রয়োজন পড়বে।
- যে নাম দিয়ে ভিসার আবেদন করেছেন সেই নামটি সম্পূর্ণ মনে থাকতে হবে।
- ভিসা তৈরীর সময় যে টাকা পরিশোধ করতে হয় অবশ্যই উক্ত টাকাটি পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া আপনার ভিসা চেক করার সময় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে দিবে না।
- আবেদন করার সময় যে ভিসা নাম্বার আপনাকে দেবে এটা মনে রাখতে হবে।
- বিভিন্ন দেশের ভিসার আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট রয়েছে তাই প্রত্যেকটি ওয়েব সাইটে কিভাবে কাজ করতে হবে এগুলো অবশ্যই জানতে হবে।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
প্রত্যেকটি দেশের ভিসার জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। তাই যে দেশের ভিসার জন্য আবেদন করি উক্ত দেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে আমাদেরকে ভিসা চেক করতে হয়। তবে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলোতে আপনি যে দেশেরই ভিসা করেন না কেন সবগুলো এক জায়গায় চেক করতে পারবেন। আসুন দেখিয়ে দেয় কিভাবে চেক করবেন।
ধাপঃ ১ - ভিসা চেক
সর্বপ্রথম আপনার স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজারে যেতে হবে। এরপর এখানে সার্চ করবেন " eservices.imi.gov.my " এটা লিখে সার্চ করার পর আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট চলে আসবে। এগুলোর মধ্যে আমার উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটের সঙ্গে নাম মিলিয়ে ওয়েবসাইটটিতে একটি ক্লিক করবেন।
আমার উল্লেখিত ওয়েবসাইট ব্যতীত অন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন।
ধাপঃ ২ - ভিসা চেক
এরপর এখানে নতুন একটি পেজ দেখতে পাবেন। বেশ অনেকগুলো অপশন রয়েছে এগুলো দেখে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কোথায় কি বসাতে হবে এগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছি। প্রথমেই রয়েছে " No Dokumen " এখানে আপনার ভিসা নাম্বার অর্থাৎ যে পাসপোর্ট দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন উক্ত পাসপোর্ট এর নাম্বার দিতে হবে।
এরপর রয়েছে " Tempat keluar Dokumen " এখন কোন দেশ থেকে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এটা লিখতে হবে। " Tarikh Tamat Dokumen " অর্থাৎ ভিসা আবেদন করার সময় যে তারিখ রয়েছে এটা লিখতে হবে।
যেহেতু এটা বাংলাদেশী ওয়েবসাইট না এর জন্য লেখা অন্য ভাষায় রয়েছে। উপরে তথ্যগুলোর সঠিকভাবে দেওয়ার পর " CARIAN " এখানে একটি ক্লিক করবেন। বাংলা ওয়েবসাইট থেকে বাংলাতে যেভাবে তথ্যগুলো প্রবেশ করিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে সবগুলো দেখা যায়।
ঠিক একই ভাবে আমি লিখে দিয়েছি এভাবে কাজ করলে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন।
ধাপঃ ৩ - ভিসা চেক
উপরের ধাপগুলো ভালোভাবে পূরণ করলে এখানে আপনার সম্পূর্ণ ভিসাটি দেখতে পারবেন। এবং কোন দেশ থেকে আবেদন করেছেন আপনার নাম কি এছাড়াও আপনার পার্সোনাল যে সকল তথ্য রয়েছে এগুলো উক্ত ভিসাতে লিখা রয়েছে। বর্তমানে ভিসাটি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কতদিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে হাতে পেতে এই সবগুলো এখানে রয়েছে।
আপনি যে কাজের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাচ্ছেন তা বিস্তারিতভাবে লিখা রয়েছে।
এখান থেকে চেক করার পর আপনার ইমিগ্রেশন অফিসের যোগাযোগ করতে হবে। এবং যেই দেশে যে কোম্পানি কিংবা মানুষের মাধ্যমে যাচ্ছেন সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।
অ্যাপ ব্যবহার করে ভিসা চেক করার নিয়ম
অ্যাপ ব্যবহার করে ভিসা চেক করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল ক্রোম ব্রাউজার অথবা google play store থেকে " আমি প্রবাসী " অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। কেননা এটা এমন একটা অ্যাপস যেখানে বিশ্বের যে কোন দেশের ভিসা চেক করতে পারবেন না খুব সহজেই। এই অ্যাপস থেকে যে দেশের ভিসা চেক করার জন্য ক্লিক করবেন।
সরাসরি ওই দেশের ভিসা চেকিং ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। এবং কিছু সঠিক তথ্য দিলে আপনার ভিসা কোন অবস্থায় রয়েছে এবং কতদিন সময় লাগতে পারে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
অ্যাপ দিয়ে ভিসা চেক
সর্বপ্রথম অ্যাপসটি ওপেন করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন।ইতিপূর্বে কোন অ্যাকাউন্ট থাকলে শুধুমাত্র লগইন করবেন। এরপর আপনার সামনে বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। এখন ভিসা যাচাই করার জন্য " ভিসা যাচাইকরন " অপশনটির ওপর একটি ক্লিক করতে হবে।
এরপর নতুন আরেকটি পৃষ্ঠা দেখতে পাবেন এখানে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের তালিকা দেওয়া রয়েছে। এখন যে দেশে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেখানে একটি ক্লিক করবেন। প্রত্যেকটি দেশের ভিসা যাচাই করার জন্য আলাদা ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়ে। এক দেশের ভিসার জন্য আবেদন করে অন্য দেশের ভিসা চেক করতে গেলে কখনোই করতে পারবে না।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরও বিভিন্ন ভাষায় লেখা থাকতে পারে তাই ইংরেজি ভাষাতে ট্রান্সলেশন করে নিবেন। এখন ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুযায়ী যে সকল তথ্য দিতে বলবে যেমন, " passport number "এবং " application number " এছাড়াও যে সকল তথ্য দিতে হবে এগুলো দিয়ে ভিসা চেক করে নিতে পারবেন।
ভিসা নাম্বার দিয়ে আসলেই কি ভিসা চেক করা সম্ভব
আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা মনে করেন ভিসা নাম্বার দিয়ে আসলেই ভিসা চেক করা সম্ভব। বেশ কিছু বছর আগেও ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা সম্ভব হতো। তবে বর্তমান সময়ে নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট নাম্বার এবং অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার ছাড়া ভিসা চেক করা কখনোই সম্ভব নয়। অনেক বিবেচনা করে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
যখন কোন ব্যক্তি ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে চায় তখন তার পার্সোনাল তথ্যগুলো ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ভিসা নাম্বার আবেদনকারীর পরিবারের সকলের কাছেই থাকতে পারে। নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এটা কতটা অনিরাপদ। তাই এখন ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা সম্ভব নয়।
ভিসা চেক করতে কত টাকা লাগে
ভিসা চেক করতে কত টাকা লাগে এটা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ওয়েবসাইটে চেক করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাজ করলে কোন টাকা খরচ হবে না। কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভিসা চেক করলে আপনার সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চাইলে কিছু টাকা ব্যয় হবে।
এবং অ্যাপসের মাধ্যমে ভিসা চেক করার সময় সম্পূর্ণ ফ্রিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং লগইন করার সময় কোন টাকা খরচ করতে হবে না। তবে অ্যাপ থেকে বি এম আই এর রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু টাকা ফ্রি পরিশোধ করতে হবে।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক - লেখকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে অনলাইনে ভিসা নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করতে হয় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন। আপনাদের সুবিধার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম দেখিয়ে দিয়েছি যে উপায়ে ভিসা চেক করবেন।
নিত্য নতুন অনলাইন এবং অফলাইন ইনকামের আপডেট তথ্যগুলো পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখতে পারেন। এখানে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করা হয়েছে আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরো সহজ করে তুলবে। নিজে উপকৃত হলে অবশ্যই আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url