সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ,বিস্তারিত জানুন ?

ভিসা চেক করার নিয়মআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি অনলাইনে মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা চেক করতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে অনেক জায়গায় বিভিন্ন তথ্য খোঁজাখুঁজি করার পরেও আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেন নি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই এখানে কেননা এখানে বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে অনলাইনে কিভাবে সৌদি আরবের ভিসা চেক করবেন।
সৌদি-আরব-ভিসা-চেক-অনলাইন-বাংলাদেশ
বর্তমান সময়ে আমি খেয়াল করে দেখছি মানুষ সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করছে। তাদের ভিসা কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কিভাবে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি ভিসাটি হাতে পাবে। এ সকল তথ্য জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

অনলাইনে সৌদি আরবের ভিসা চেক - মূলভাব

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাজ করার জন্য যায়। তবে উল্লেখযোগ্য দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। অন্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবের প্রতিদিন মানুষ পাঠানো হয়। একটি মানুষ যখন সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করে এবং কিছু তথ্য দেওয়ার পরে আবেদনটি গ্রহণ করা হয়।

তবে কাঙ্খিত ভিসাটি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কতদিন সময় লাগতে পারে ভিসাটি হাতে পেতে। এ সকল বিষয়গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা বিভিন্ন কম্পিউটার কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চেক করে দেখে সৌদি আরবের ভিসা কোন পর্যায়ে রয়েছে।


এবং এটি চেক করার জন্য টাকা প্রয়োজন হয়। আশ্চর্য করার বিষয় হচ্ছে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার ভিসা চেক করতে পারবেন। হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইনে নিজের সৌদি আরবের ভিসা কিভাবে চেক করতে হয় জেনে নিন।

সৌদি আরবের ভিসা করার পূর্বের শর্তাবলী

  • ভিসা আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  • আবেদনকারী অবশ্যই একটি দেশের নাগরিক হিসেবে সার্টিফিকেট থাকা জরুরী
  • পৌর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • চেয়ারম্যান কিংবা মেয়রের থেকে নেওয়া চারিত্রিক সনদ।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে।
  • বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী একটি ব্যাংকে একাউন্ট প্রয়োজন পড়বে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন করার পূর্বে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে।
  • সৌদি আরবের ড্রাইভিং এর কাজ করতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অত্যন্ত জরুরী।
  • অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে সনদপত্র নিতে হবে।
  • সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বিমানের টিকিট কেনার টাকা থাকতে হবে।
  • কোন বাসা বাড়িতে কাজে গেলে মালিকের নিয়ন্ত্রণাধীন অবস্থায় ভিসার আবেদন করতে হবে।
একজন ভিসা প্রত্যাশীর অবশ্যই উপরের উল্লেখিত তথ্য গুলো মিলিয়ে নিতে হবে। কারণ এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করলে কখনোই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আরো কিছু জানতে হলে ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ

আপনাদের সুবিধার জন্য আমি বেশ কয়েকটা ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছি। এবং যেভাবে বোঝালেন আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারবেন সেভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকটি ধাপ ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়বেন। যে নিয়মে কাজ করার কথা বলা হয়েছে ঠিক সেই ভাবে কাজ করবেন তাছাড়া একটি ভুল হলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে।

ধাপঃ ১ - সৌদি ভিসা চেক

অনলাইনে সৌদি আরবের ভিসা চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে। এরপর সার্চ করতে হবে " visa.mofa.gov.sa " এইটা লিখে সার্চ দেওয়ার পর একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে চলে আসবে। যেহেতু সৌদি আরবের ভিসা চেক করবেনতাই সৌদি সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কাজটি করতে হবে।
সৌদি-আরব-ভিসা-চেক-অনলাইন-বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর কোন লেখায় বুঝতে পারবেন না যদি একজন বাংলাদেশী হন। কারণ ওয়েবসাইটে সকল লেখা রয়েছে আরবি ভাষায়। ভাষা ঠিক করার জন্য আপনাকে google ট্রান্সলেটর এর ব্যবহার করে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করতে হবে।

ধাপঃ ২ - সৌদি ভিসা চেক

এখানে একটি ফরম এর মতো দেখতে পাবে যেখানে আপনার তথ্যগুলো ভিসা চেক করতে হবে। প্রথমে লেখা রয়েছে পাসপোর্ট নাম্বার, যে পাসপোর্ট থেকে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে সেই পাসপোর্ট এর নাম্বার লিখতে হবে। দ্বিতীয়ত রয়েছে আপনি কোন দেশের নাগরিক অর্থাৎ কোথায় থেকে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।


যেহেতু আমি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেছি তাই বাংলাদেশ সিলেক্ট করব। আপনারা অন্য দেশের হলে নিজের দেশ অনুযায়ী সিলেক্ট করবেন। এরপর রয়েছে কি ধরনের ভিসা তৈরি করার জন্য আবেদন করেছেন। আপনার কাজ অনুযায়ী ফরমটি পূরণ করবেন। সৌদি আরবের ঘুরতে গেলে ভিসার ধরন হবে একরকম।
সৌদি-আরব-ভিসা-চেক-অনলাইন-বাংলাদেশ
আবার কাজের জন্য যেতে চাইলে অন্য ক্যাটাগরি হবে। এরপর রয়েছে ভিসা অথরিটি, যেহেতু বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা হয়েছে তাই বাংলাদেশের একমাত্র ভিসা অথরিটি সেন্টার ঢাকা। এখন এখান থেকে ঢাকা বেশি নিতে হবে। আপনাদের দেশ অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করতে পারেন। সর্বশেষ আপনাকে ইমেজ কোড দিতে হবে।

ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন একটি কোড বক্সের মধ্যে লেখা রয়েছে। লেখাটি কপি করে কোড বসানো জায়গায় লিখে দিববেন। উপরের তথ্যগুলো সঠিকভাবে লেখার পর নিজে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে নতুন আরেকটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে।

ধাপঃ ৩ - সৌদি ভিসা চেক

এখানে দেখতে পারবেন আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কি না। এবং আবেদন করার পর এখনো পর্যন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে সবগুলো দেখতে পারবেন। এখন আপনার মূল কাজ হচ্ছে এপ্লিকেশন নাম্বার কপি করা। নাম্বারটি কপি করা হলে এই পৃষ্ঠা থেকে আগের পৃষ্ঠায় ফিরে যাবেন। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি লিংক এ প্রবেশ করতে হবে।

" https://visa.mofa.gov.sa/ " এখানে প্রবেশ করার পর আরও একটি ফরম পূরণ করতে হবে। প্রথমে রয়েছে যে নাম দিয়ে ভিসার আবেদন করছেন পাশ সেই নামটি দিতে হবে। কিছুক্ষণ আগে অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি কপি করেছিলেন এখন এখানে বসিয়ে দিবেন।


পাসপোর্ট নাম্বার লিখতে হবে। সর্বশেষ একটি ক্যাপচা কোড দেওয়া রয়েছে কোডটি বসিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন।

ধাপঃ ৪ - সৌদি ভিসা চেক

উপরের সবগুলো তথ্য দেওয়ার পর এখন ভিসাটি দেখতে পারবেন। কোন ধরনের ভিসা তৈরি করেছেন এটা লেখা থাকবে। কতদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে থাকবেন এছাড়াও ভিসাতে যে সকল তথ্য থাকার দরকার সবগুলো এখানে পেয়ে যাবেন। এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন আপনার বিষয়টি পর্যায়ে রয়েছে এবং হাতে পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে।
সৌদি-আরব-ভিসা-চেক-অনলাইন-বাংলাদেশ
উপরে উল্লেখিত ছবির মত আপনি দেখতে পাবেন। এখান থেকে তথ্যগুলো আবার চেক করে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আপনাদের প্রয়োজন পড়লে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভিসার অনলাইন কপি ডাউনলোড এবং খরচ

আমি ইতিপূর্বে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সৌদি আরব ভিসা চেক করবেন। যে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তার জন্য একটি নির্দিষ্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপনাদের কাজের উপর ভিত্তি করে অনেক সময় ভিসার অনলাইন কপির প্রয়োজন পড়ে। এখন অনলাইন কপি কিভাবে ডাউনলোড করবেন এটা জেনে রাখা অনেক জরুরি।

ইতি পূর্বে আপনাদেরকে যেই ওয়েবসাইট থেকে ভিসা চেক করে দেখিয়েছি। সেখান থেকেই অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য ওয়েবসাইটের ডান পাশে একটি অপশন হয়েছে সেখানে প্রিন্ট বলে একটি লেখা রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই আপনার ভিসাটি মোবাইল ফোনে ফাইল হিসেবে সেভ করতে পারবেন।

আপনার মোবাইলে সেভ হলে পরবর্তীতে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে এটা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। ভিসার অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ ভিসা তৈরি হওয়া প্রয়োজন। যদি সম্পূর্ণ ভিসাটি তৈরি না হয়, তাহলে কখনোই অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন না।

অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য আপনার বেশি টাকা খরচ পড়বে না। আপনার মোবাইলে যদি সেভ করা থাকে তাহলে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে শুধুমাত্র প্রিন্ট দিলেই হবে। এর জন্য ১০ টাকা থেকে পঞ্চাশটাক পর্যন্ত হতে পারে।


কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভিসার চেক করে যদি অনলাইন কপি নিতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে। তবে স্থান পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে কম এবং বেশি হতে পারে।

ভিসা তাড়াতাড়ি পাওয়ার উপায়

আমরা সকলেই জানি প্রত্যেকটি কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এখন ভিসা তৈরি ক্ষেত্রে আপনার কিছু নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে ভিসা তৈরি করতে কত সময় লাগবে। যেহেতু সরকারিভাবে পরিচালিত হয়, আপনার তথ্যের আলোকে নির্ধারণ হয় এটা তাড়াতাড়ি দেওয়া যাবে নাকি অনেক সময় লাগতে পারে।

আবেদন করার সময় আপনার তথ্যগুলো সঠিক এবং বাসায়কৃত যদি হয় তাহলে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে খুব সহজে এগুলো চেক করে নেয়া যায়। পর্যায়ক্রমে সঠিক তথ্য দেওয়া থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তথ্য যাচাই করে ভিসা তৈরি করা হয়। কিন্তু ভিসা তে ব্যবহারিত তথ্যগুলো যদি ভুল এবং সঠিক না হয় তাহলে এগুলো জায়গায় করতে অনেক সময় লেগে যায়।

আপনি যদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই ইমিগ্রেশন অফিসের নিয়ম অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আবেদন করার সময় ফ্রি বাবদ টাকাটি সাথে সাথে জমা করতে হবে। সঠিক এবং যাচাইকৃত তথ্য ব্যবহার করতে হবে। কোন প্রকার ভুল তথ্য দিলে ভিসা বাতিল হতেও পারে।

সৌদি আরবের ভিসা পেতে কতদিন লাগে

সৌদি আরবের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে এইটা অফিসিয়াল ভাবে বলা হয় না। তবে ভিসা আবেদন করার ৭ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় লাগতে পারে। প্রত্যেকটি আবেদনকারীর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারোর অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।


এমনও রয়েছে আবেদন করার কিছুদিন পরে সৌদি আরবের ভিসা পেয়ে গেছে। তবে নির্দিষ্ট করে কোন সময় নির্ধারণ করা নেই। আপনার তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করতে যত সময় লাগবে এবং ভিসা তৈরির যেই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করে আপনার ভিসা পেতে কতদিন লাগবে তা জানতে পারবেন।

অনলাইনে সৌদি আরবের ভিসা চেক - শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে সৌদি আরব ভিসা চেক করতে হয় অনলাইনে। আপনাদেরকে বেশ কয়েকটি উপায় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করে আপনি ভিসা চেক করতে পারবেন। আশা করি কাঙ্খেতে প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছি।

এবং পরবর্তী সময়ে ভিসা চেক করার সময় অন্য মানুষকে সাহায্য করতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রায় শেয়ার করা হয়। যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্যকে জানতে সাহায্য করে।

অনলাইনে এবং অফলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় এ সম্পর্কে সকল আপডেট তথ্য রয়েছে। আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। একটি শেয়ারের কারণে অনেকেই সঠিক তথ্য জানতে পারবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url