পোল্যান্ড কোন কাজের কত বেতন জেনে নিন ?

মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার নিয়মআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি পোল্যান্ডে কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি কোথাও জানতে পারেননি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখানে বিস্তারিতভাবে বলা হবে পোল্যান্ডে কোন কাজের বেতন কত। সবকিছু জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
পোল্যান্ড কোন কাজের কত বেতন জেনে নিন
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং google এ মানুষ সার্চ করে পোল্যান্ড এর কাজের মান সম্পর্কে। একজন প্রবাসী হিসেবে পোল্যান্ডে গেলে বেতন কত পাবে এবং কি কি কাজ করতে হবে। এজন্য পোল্যান্ড সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জানানো প্রয়োজন।

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - মূলভাব

বাংলাদেশে লেখাপড়া করে বেকার বসে রয়েছে হাজার হাজার শিক্ষিত মানুষ। সঠিক সময় কোন চাকরি না পাওয়ার কারণে কোন ব্যক্তি দেশের মধ্যেই ছোটখাটো কাজ করে। আবার কেউ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে কাজ করতে যায়। গড় হিসাব করলে দেখা যাবে প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত যাচ্ছে।


জনপ্রিয়তার শীর্ষে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র রয়েছে এগুলোতে কাজের মান অধিক উন্নত। এগুলোর মধ্যে একটি দেশ পোল্যান্ড।সেখানে প্রতি বছর অনেক মানুষ যায়। আপনি একজন পোল্যান্ড এর ভিসা প্রত্যাশী হলে অবশ্যই যাওয়ার পূর্বে কিছু বিষয়ে জেনে রাখতে হবে।

ওইখানে কি কি কাজ রয়েছে। কোন কাজের বেতন কেমন। এ সকল বিষয় জেনে রাখা জরুরী। পোল্যান্ড সম্পর্কে সকল কিছু জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পোল্যান্ডে যেতে হলে কি কি লাগে

পোল্যান্ডে যে সকল ভিসা দেওয়া হয় এগুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য পোল্যান্ডে যে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য যাবেন সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করতে হবে। বাংলাদেশী কোন এজেন্সি থেকে কখনো ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করাবেন না।

কেননা যারা পোল্যান্ডে গিয়েছে বাংলাদেশি ট্রাভেল ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে, এরপর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যার মাধ্যমে ভিসা পেয়েছেন তার থেকে পোল্যান্ড এর ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করতে হবে। ইন্সুরেন্সের বয়স হতে হবে এক বছর অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত মেয়াদ নিতে হবে।


ইমিগ্রেশন অফিস থেকে রিজার্ভেশন নিয়ে কত তারিখে বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন, টিকিট রিজার্ভেশন দিতে হবে ভিসা তৈরির পূর্বে। ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও চলবে। তবে সকল কাগজ সঠিক রাখতে হবে। বেশিরভাগ সময় ট্রাভেল ইন্সুরেন্স নকল হওয়ার কারণে ভিসা বাতিল করা হয়।

ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হবে

নতুন বছর থেকে পোল্যান্ড সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। তাদের দেশে বিভিন্ন কাজের কর্মী সংকট রয়েছে। ভিসার আবেদন করার পূর্বে জানতে হবে কখন কর্মী নিবে। বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন পোল্যান্ড কখন কর্মী নিয়োগ দিবে।

বিজ্ঞপ্তি দেখার পর ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করলে তারা সকল কিছু বুঝিয়ে দিবে। যে সকল তথ্য দিতে বলবে সবগুলো দিবেন। বেশ কিছু বছর আগে যাওয়ার জন্য ইংরেজি ভাষা শিখতে হতো। তবে এখন শুধুমাত্র কাজে পারদর্শী হলেই হবে। ভিসার আবেদন করার পূর্বে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। নাগরিক হিসেবে দেশের নাগরিকত্ব আইন সনদ থাকতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে। সকল নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে ইনশাল্লাহ পোল্যান্ডে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পোল্যান্ডে যাওয়ার উপায়

পোল্যান্ডে যাওয়ার জন্য দুইটি উপায়ে রয়েছে। একটি বৈধভাবে আর আরেকটি অবৈধভাবে। এই দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বৈধভাবে গেলে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেখানে মূল বেতনের পাশাপাশি এক্সট্রা বোনাস পাবেন। বৈধভাবে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ হয়।


পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। এবং অবৈধভাবে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন। যাওয়ার সময় কোন গার্ডের হাতে ধরা পড়লে সাথে সাথে বন্দী করা হবে। অবৈধভাবে কাজ করলে পুলিশ একবার জানতে পারলে জেলে বন্দী করবে। অবৈধভাবে গেলে অনেক কম টাকা খরচ হয় কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকে।

কোন ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন না। এতে নাগরিকত্ব হয়রানীর শিকার হবেন। ভালো কিছু করতে হলে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে বৈধ উপায়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত

পোল্যান্ডে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো বেশিরভাগ বাঙালি মানুষ করে। এই কাজগুলো করার জন্য কোন প্রকার দক্ষতা প্রয়োজন পড়ে না। একটু দক্ষ হলে অনেক টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। কাজে বেশি একটা দক্ষতা না থাকলেও চলবে কিন্তু পোল্যান্ডের ভাষা শিখতে হবে। এরকম বাছাইকৃত কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
  1. রেস্টুরেন্ট এর কাজঃ- পোল্যান্ডের রেস্টুরেন্টের কাজের কোন অভাব নেই। কাবাব ব্যাবসা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। একজন কর্মী ১০ থেকে ১৫ দিন কাজ করলে সম্পন্ন কাজটি বুঝতে পারবে। কেউ নতুন দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আবার কেউ অন্যের দোকানে চাকরি করে। প্রতিদিন কাজের উপর ভিত্তি করে মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।
  2. ড্রাইভার এর কাজঃ- কাজ করার সঠিক মাধ্যম থাকলে এখানে ড্রাইভার এর কাজ করতে পারবেন। পোল্যান্ড একটি উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষ নিজের গাড়ি ব্যবহার করে। তারা ড্রাইভার হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গাড়ি চালানোর জন্য কর্মী নেয়। এই কাজটি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
  3. গাড়ি মেরামতের কাজঃ- পোল্যান্ডে অনেক বড় বড় ওয়ার্কশপ রয়েছে। কর্মীর অভাবে ওয়ার্কশপ গুলো বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাড়ি মেরামতের কাজ করতে পারলে প্রতিমাসে এক লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
  4. কোম্পানির চাকরিঃ- যে কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়েছে।তাদের অফিসে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। যেহেতু ভিসা দেওয়ার পূর্বে কোম্পানি সম্পর্কে আগেই জেনেছেন। তাই ভালো কোম্পানি হলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  5. ছো্ট ব্যবসা করাঃ- ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে আসার পর কোন কারণবশত কোম্পানিতে কাজ করতে পারেননি। তাহলে ছোট ছোট ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারবেন যেমন শাক-সবজি, ফল, বেকারি এ ধরনের কাজ রাস্তার পাশে একটু জায়গা হলেই করতে পারবেন। ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থাকলে খুব ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পোল্যান্ডে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয়

কাজের উপর ভিত্তি করে কত টাকা লাগে এটা নির্ণয় করা হয়। একজন মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে সকল খরচ সহ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগে। পরিবারের সাথে ভ্রমণ ভিসা নিলে প্রত্যেকটি সদস্যের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা লাগে।


লেখাপড়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিলে ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিমানের টিকিটের দাম বেশি হলে ভিসার দামও বেশি হবে। ইমিগ্রেশন অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কম এবং বেশি হতে পারে।

কাজের জন্য কি কি দক্ষতা লাগে

যে কাজের জন্য ভিসা নিয়েছেন তার ওপর একটু দক্ষ হলে এখানে খুব সহজে কাজ করতে পারবেন। যাদের কাজের কোন দক্ষতা নেই তারা কিছুদিন সম্পূর্ণ ফিতে কাজ করে, কাজ শিখে পরবর্তীতে কোনো ভালো কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন। পোল্যান্ডের সরকার নিয়ম করেছে এখন কাজের জন্য দক্ষ হলেই হবে।

কিন্তু কিছু বছর আগে কাজ করতে আসলে পোল্যান্ডের ভাষা শিখতে হতো। বাঙ্গালীদের জন্য কাজের মধ্যেই ভাষা শেখানো হয়। শুধুমাত্র কাজের দক্ষতা থাকলে নতুন ভিসা প্রত্যাশীরা আসতে পারে।

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পোল্যান্ড কাজের বেতন কত এবং প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য কি কি দক্ষতা থাকতে হয় এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন। আপনি যেতে চাইলে উপরের আলোচনা গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন।

প্রতিনিয়ত ইনকামের আপডেট তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে হবে। একজন সাধারন মানুষ প্রতিদিন যে সকল কাজ করে এবং কাজের মধ্যে যে সকল তথ্য জানা প্রয়োজন পড়ে সবগুলো এখানে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।


বিভিন্ন প্রকার ইনফরমেশন জানতে চাইলে ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এখান থেকে উপকৃত হলে নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url