সকল শ্রেণীর জন্য স্বদেশ প্রেম রচনা শিখে নিন
এক থেকে একশত পর্যন্ত বানান শিখুনআসসালামু আলাইকুম,,আপনি কি স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুঁজতেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্বদেশপ্রেম রচনা করেছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত সব সমাধান জানতে পারেননি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখানে স্বদেশপ্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। কিভাবে এটি লিখবেন এবং এর সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই খেয়াল করে দেখছি মানুষ বিভিন্ন জায়গায় স্বদেশপ্রেম রচনা খোঁজে। তবে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে এই স্বদেশপ্রেম রচনাটি উপস্থাপন করা হয়। অনেকে এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্তু সঠিক মাধ্যম না পাওয়ার কারণে সঠিক তথ্যটি জানতে পারে না।যাদের জানা অত্যন্ত জরুরি তারাই শুধুমাত্র পড়ুন।
স্বদেশ প্রেম রচনা - মূলভাব
আমরা যারা লেখাপড়া করি তাদের অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের রচনা জানার প্রয়োজন পড়ে। তবে বেশিরভাগ সময় আমাদের পরীক্ষায় স্বদেশ প্রেম রচনা পড়ে থাকে।এজন্য পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর এই স্বদেশপ্রেম রচনা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এমন কোন শিক্ষার্থী নেই যে,
বলতে পারবে আমার পরীক্ষায় কখনো স্বদেশ প্রেম রচনা পড়েনি।এই বিষয়টি নিয়ে গুগলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সার্চ করে। বিভিন্ন জায়গায় অনেক ধরনের তথ্য দেখার কারণে গ্রাহক সঠিক তথ্যটি সংগ্রহ করতে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে। শ্রেণী বিভক্ত করে এই রচনাটি বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করা হয়।
আর এমন যদি হতো যে একটি জায়গায় পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত যে সকল স্বদেশ প্রেম রচনা পড়ে সবগুলো এক জায়গায় পেয়ে যাবেন। সবগুলো এক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু এমন তথ্য খুঁজে পান নি। তাহলে এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। হ্যাঁ পাঠক এখানে স্বদেশপ্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
কিভাবে এটি লিখতে হবে এবং প্রত্যেকটি ক্লাসের জন্য কত পয়েন্ট করে লেখা প্রয়োজন সবগুলো জানতে পারবেন।কিভাবে পড়লে রচনা টি মনে থাকবে এ নিয়ে থাকছে গোপন কিছু টিপস। আপনি একজন শিক্ষার্থী হলে এই বিষয়টি আপনার অত্যন্ত জরুরী তাই কোথাও স্কিপ করবেন না। কোন জায়গায় স্কিপ করলে হয়তোবা কিছু নাও বুঝতে পারেন।
তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়।
স্বদেশ প্রেম রচনা
ভূমিকাঃ যে ব্যক্তির তার দেশের ওপর কোন দায়িত্ব ও কর্তব্য নেই সে আসলে আসল দেশপ্রেমিক হিসেবে গণ্য হবে না। পৃথিবীতে যে সকল মানুষ জন্মগ্রহণ করে সকলে কিন্তু পৃথিবীর নাগরিক। তবে কাল এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার পার্থক্যের ফলে কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব থেকে সন্তানটি লালন পালন হয়।
সে সন্তান উক্ত দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা এবং কার্যকলাপের সাথে বেড়ে ওঠে। এই কারণে প্রত্যেকটি মানুষের যেই দেশের জন্ম হয় ওই দেশের প্রতি একটা আলাদা আন্তরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে একটি মানুষের মনে নিজে থেকেই এই ভালোবাসা তৈরি হয়। যে ব্যক্তি নিজের দেশকে ভালবাসতে পারবে পরবর্তীতে বিশ্বের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে।
একটি দেশের নাগরিকদের ওপর আরও একটি নাগরিকের যে সকল দায়িত্ব-কর্তব্য এবং চিন্তা চেতনা রয়েছে সবগুলো দেশের মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত হতে পারে যদি সঠিক দেশ প্রেমিক হয়ে থাকে।
স্বদেশ প্রেম কি এবং কাকে বলেঃ স্বদেশপ্রেম বলতে বোঝানো হয়েছে নিজের দেশের প্রতি, জাতির প্রতি এবং আমাদের দেশের যে ভাষা রয়েছে এগুলোকে আরো উন্নত করে তোলা এবং অনুভব করা।
দেশের সকল নিবিড় ভালবাসা এবং অনুরাগি ও যথার্থ ভালোবাসা প্রকাশে যে মাধ্যম রয়েছে তাকে দেশপ্রেম বলা হয়। দেশের জন্য সকল কিছু ত্যাগ করে দেশকে উন্নত করে তোলার সাধনায় হচ্ছে আসল দেশ প্রেম।
স্বদেশ প্রেমের উদাহরণঃ স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা একজন মানুষের হৃদয়ে অনেক গভীরভাবে অনুভূত হয়ে থাকে। দেশকে ভালোবাসা এবং মায়ের ভালোবাসা প্রায় একই ধরনের তুলনা করা হয়েছে তবে মায়ের ভালোবাসার কাছে দেশ প্রেম একটু কম। আমরা যে দেশে বসবাস করি না।
কোন আমাদের স্বদেশ যদি হতদরিদ্র হয় তারপরেও নিজের দেশের প্রতি একটি অন্য ধরনের অনুভূতি কাজ করে। একজন আসল দেশ প্রেমিক নিজের দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে কখনো দ্বিধাবোধ করে না। দেশপ্রেমের কোন স্বার্থকতা থাকে না। আমাদের পৃথিবীর কিছু বুদ্ধিজীবীর মানুষেরা বলেছে নিজের জীবনকে ভালবাসি ঠিকই,
কিন্তু নিজের দেশের চেয়ে কখনোই বেশি ভালোবাসি না। দেশ প্রেমের উদাহরণ দিতে হলে সর্বপ্রথম নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং বীরত্ব-আত্মত্যাগ এগুলো কাজ কাজ যে ব্যক্তি করে সেই আসল স্বদেশপ্রেমিক।
দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশঃ নানাভাবে একজন দেশের নাগরিক নিজের দেশ প্রেমে প্রকাশিত করে। দেশের বিভিন্ন কাজের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে অগ্রসর হয়ে দেশের উন্নয়ন করার জন্য সকল কাজ প্রতিনিয়ত করবে। স্বদেশের সকল ভালো ভালো কাজে সবসময় নিজে গর্ববোধ করবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পালন করে বিরক্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিজের দেশের কোন দুর্নীতি এবং অন্যায় দেখলে নিজের জীবন বাজিয়ে রেখে দেশের ভালো করার জন্য এগিয়ে আসে। নিজের দেশের সংস্কৃতির প্রতি তার অনেক ভালোবাসা। দেশের নাগরিকদের কল্যাণে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত করে রাখতে চাই একজন স্বদেশপ্রমিক।
কোন কারণবশত নিজের দেশ থেকে প্রবাসে যেতে হলে কখনোই নিজের দেশকে ছোট করে কোথাও কোন ধরনের কথা বলবে না। সব সময় নিজের দেশকে কিভাবে উন্নত করে তুলবে সেই চিন্তা করে তার হৃদয়। বিশ্বের সকল দেশের কাছে নিজের দেশকে সম্মান দেওয়ার জন্য সর্বদা চেষ্টা করে। অন্য কোন দেশ তার কাছে এতটা প্রিয় হয়ে ওঠে না যদি সে সঠিকদেশ প্রেমিক হয়ে থাকে।
ছাত্র জীবনের দেশপ্রেমঃ আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি আমাদের ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে আমরা নিজের দেশকে কতটা ভালোবাসি এটা মানুষের মাঝে তুলে ধরা সম্ভব। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ এই শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে দেশ প্রেমের কথা জাগিয়ে দিলে পরবর্তীতে নিজের দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে।
ছাত্র জীবনের দেশ প্রেমের একটা উদাহরণ ছে হচ্ছে, মনে করুন একদিন স্কুলে যাচ্ছেন এমন সময় দেখতে পাচ্ছেন সরকারি একটি রাস্তার ধারের বাল মানুষ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাকে বাল্ব চুরি করা থেকে বিরত রাখতে পারলে এবং নিজের দেশের সরকারি সম্পদ মানুষকে আত্মসাৎ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে।
আপনি ছাত্র জীবনের একজন সঠিক দেশ প্রেমিক। আপনাদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে স্বদেশপ্রেম ফুটে ওঠে।
উপসংহারঃ স্বদেশ প্রেম মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুন। একজন মানুষ নিজের গুনাগুন আরো উন্নত চাইলে অবশ্যয় নিজের দেশকে ভালবাসতে হবে। একটি সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে দেশপ্রেম।
আরও পড়ুনঃ আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা।
এভাবে আস্তে আস্তে সকল মানুষকে ভালোবাসতে পারবেন এবং মানুষের কল্যানে নিয়োজিত থাকতে পারবেন। নিজের স্বদেশকে ভালোবাসা এটা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
সকল শ্রেণীর জন্য স্বদেশ প্রেম রচনা
ইতিপূর্বে আপনাদেরকে স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। এখন এমনভাবে স্বদেশপ্রেম রচনা শেখানো হবে যা প্রত্যেকটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারবে। তবে যারা ছোট তারা উপরে উল্লেখিত রচনাটি লিখতে পারেন।
ভূমিকাঃ-
আমরা যারা মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি আমাদের জন্মভূমি দেশকে অবশ্যই ভালবাসতে হবে। বিভিন্ন প্রকারভেদে আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি। আপনাদের ছোট ছোট কাজগুলো দেশপ্রেমকে আরো উন্নত করে তোলে। যে কোন দেশের মানুষই হোক না কেন প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিজের দেশকে জীবন দিয়ে ভালোবাসা।
বাচ্চাদের দেশপ্রেমের উদাহরণঃ-
একজন ছোট বাচ্চাও চাইলে নিজের দেশকে ভালবাসতে পারে। মনে করুন আপনার 5 বছরের একটি বাচ্চা রয়েছে সে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে সরকারি করা হয়েছে। তার নিজের বিদ্যালয়ের কোন বস্তুর ক্ষতি না করে আরো যত্ন সহকারে ব্যবহার করে নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে।
এছাড়াও রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি ছোট ডাল পড়ে থাকতে দেখলে। সেটা কুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেশপ্রেমিকের পরিচয় দেওয়া যায় কারণ দেশের কোন নাগরিকের কষ্ট হয় এমন কিছু কাজ না করলে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়।
স্বদেশ প্রেমের দৃষ্টান্তঃ-
দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের উদাহরণ দিয়ে গেছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( স )। তখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় বারবার স্বদেশের দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলেন। তিনি আরো বলেন আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাইনি কিন্তু তোমার জনগণ আমাকে থাকতে দিল না। এই ঘটনাটি ভালোভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন স্বদেশ প্রেম কাকে বলে।
এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা নিজের দেশকে ভালোবাসার জন্য কত আত্মত্যাগ করেছেন। যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে যুদ্ধ হয়েছিল তখন ভারতের মানুষরা দেশকে ভালোবাসার কারণে ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ করে নিজের দেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। তারা নিজের স্বদেশকে কখনো অন্য জনগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে চাইনি।
ভারতের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারবো তারা নিজের স্বদেশের প্রতি কতটা ভালোবাসা প্রকাশ করতো। যখন আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর অবশেষে আমাদের এই দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
স্বদেশ প্রেমের পাশা পাশি নিজের দেশের ভাষার জন্য লড়াই করেছে আমাদের দেশের ছাত্র সমাজ। বিগত দিনের ইতিহাসের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারবো একজন দেশের নাগরিকের কতটা ত্যাগ করে নিজের দেশের জন্য।
বাঙালির স্বদেশ প্রেমঃ-
পৃথিবীতে যতদিন গিয়েছে অতীতে অনেক দেশ প্রেমিক জন্মগ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও আসল দেশপ্রেমিক জন্মগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তারা নিজের দেশের জন্য নিজের অমূল্য জীবনকে উৎসর্গ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করিয়েছেন। তাদের নাম এখনো পর্যন্ত সম্মানের সঙ্গে প্রত্যেকটি দেশে স্মরণ করা হয়।
আমাদের এই ছোট্ট দেশে দেশ প্রেমের অজস্র দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত দেশে এবং বিদেশের নিজের শক্তি প্রকাশ করে অন্য মানুষকে দাস করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র অন্য কোন ক্ষুদ্র রাষ্ট্রকে নিজের দাস হিসেবে পরিচালনা করার চেষ্টা করে। আমাদের দেশেও এমন কিছু দেখা গিয়েছে।
আমাদের দেশের বাঙালি স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষার্থে অকাতরে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। ১৯৭২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের কাছে আমাদের বাংলার যুবক রফিক, রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার এরা নিজের জীবন বাজি রেখে আসার জন্য আন্দোলন করে মৃত্যুবরণ করেছে।
তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশ স্বাধীন করার আন্দোলন। ১৯৭১ সালে শুরু হয়েছিল এবং আল্লাহর রহমতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমাদের দেশের বাঙালিরা নিজের দেশকে কতটা ভালোবাসে তা ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার করার জন্য আর্ত দান করেছিলেন অজস্র ছাত্র,
শিক্ষক, কৃষক ,শ্রমিক এছাড়াও অন্যান্য পেশার মানুষের সঙ্গে আমাদের দেশের মা-বোনেরা ও দেশের জন্য নিজের আত্মসম্মান এবং প্রাণ দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ভাষণে বলেছিল তোমাদের কাছে যা যা রয়েছে সবগুলো নিয়ে যুদ্ধ কর।
এই কথা শুনে বাঙালিরা নিজের কাছে সকল অস্ত্র ছিল সবগুলো নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বর্তমান সময়ে দেশের সাধারণ জনগণ দেশের কোন প্রকার ক্ষতি হচ্ছে এমন কিছু দেখলে বজ্রকণ্ঠে গর্জে ওঠে।
দেশ প্রেম এবং বিশ্বপ্রেমঃ-
আমরা সবাই পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে বসবাস করি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা নিজের দেশে বসবাস করে। প্রত্যেকটি নাগরিকের কর্তব্য নিজের দেশকে কিভাবে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালনা করা। আপনি যদি বিশ্ব প্রেম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম স্বদেশ প্রেমিক হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন।
কেননা যে ব্যক্তি নিজের দেশকে ভালবাসতে পারবে সে বিশ্বকে ভালোবাসতে পারবে। প্রত্যেকটির নাগরিক যখন নিজের দেশের উন্নয়ন করার চেষ্টা করবে তখন দেশটি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ঠিক এইভাবে প্রত্যেকটি দেশের নাগরিক নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যখন করবে এভাবে বিশ্বপ্রেমের প্রকাশ পাবে।
স্বদেশ প্রেমের গুরুত্বঃ-
একটু ভালোভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন স্বদেশ প্রেমের গুরুত্ব কতটুকু। আপনি একজন দেশের নাগরিক হলে সর্বপ্রথম আপনার উচিত হবে দেশের সম্পদকে রক্ষা করা। বর্তমান সময়ে দেশে চোরের কোন অভাব নেই তাদের হাত থেকে নিজের দেশের সম্পদকে কিভাবে রক্ষা করার জন্য যা যা করতে হয় সবগুলো করা একজন দেশের নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
দেশের সব জায়গায় কোন প্রকার অন্যায় দেখলে তার উঠে দেওয়ার চেষ্টা করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা কোন ব্যক্তি নিজের দেশকে যদি ভালো না বাসে তাহলে দেশের কোন উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষের উচিত নিজের দেশকে ভালোবাসা এবং বিশ্বের বুকে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করা।
ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে দেশ প্রেম করা সম্ভব। তাই আপনাদের উচিত নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব নিজের দেশকে গুরুত্ব দিন এবং ভালোবাসুন।
জ্ঞানহীন স্বদেশ প্রেমঃ-
আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজের দেশকে ভালোবাসার নামে আরও ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে দেখতে পাবেন প্রতিনিয়ত খারাপ কাজ বেড়েই চলেছে। একটু কিছু হলেই সবাই মারামারিতে লিপ্ত হচ্ছে কখনো কখনো মানুষকে আহত এবং নিহত করা হয়। যারা দেশ প্রেমের নামে দেশকে আরো নষ্ট করছেন।
অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে তারা কখনোই সঠিক দেশ প্রেমিক হতে পারেনা। আর এমন জাতি থেকে নিজের দেশের উন্নয়ন কখনো আশা করা যায় না। তাই দেশ প্রেমের নামে অযথা খারাপ কাজ করবেন না। সবাই একসাথে থাকলেই দেশকে উন্নত করা যাবে ইনশাল্লাহ।
উপসংহারঃ-
স্বদেশ কে ভালবাসতে হলে সর্বপ্রথম দেশের মানুষকে ভালবাসুন। কখনো কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কিভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন এবং মানুষের বিপদে এগিয়ে আসবেন এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই শুধুমাত্র দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের সবার উচিত দেশকে ভালোবাসা দেশের মানুষকে ভালোবাসা। নাগরিক হিসেবে দেশের সম্পদ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
স্বদেশ প্রেম রচনা - লেখকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে স্বদেশ প্রেম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন। আমি পঞ্চম শ্রেণীর থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যেভাবে পরীক্ষাতে স্বদেশ প্রেম রচনা পড়ে ঠিক একইভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আরও পড়ুনঃ অঙ্গীকারনামা লেখার সঠিক নিয়ম।
এখান থেকে উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে পারেন। আপনার একটি শেয়ারের কারণে অনেক মানুষ সঠিক তথ্য জানতে পারবে ইনশাল্লাহ। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন থেকে ইনকাম করার আপডেট তথ্য শেয়ার করা হয়।
এছাড়াও প্রতিদিনের কাজের জন্য যে সকল তথ্যগুলো প্রয়োজন পড়ে সবগুলো পেয়ে যাবেন। নিজের কাজকে আরো সহজ করে তুলতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url