ফ্রিল্যান্সিং করার সঠিক নিয়ম, কত প্রকার ও কি কি ?

প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা সহজ উপায়আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এবং কি কি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেননি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখানে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। যা আপনার সঠিক তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিং-করার-সঠিক-নিয়ম-কত-প্রকার-ও-কি-কি
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। তবে আপনাদের সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরী। যারা এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তারাই শুধুমাত্র আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানলে অবাক হতে বাধ্য হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার - মূলভাব

ফ্রিল্যান্সিং এটা বর্তমান সময়ে এমন একটা শব্দ যা বেশিরভাগ মানুষ করতে চায়। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন এবং শিক্ষক না থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে অনেকেই ব্যর্থ হয়। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা বিভিন্ন জায়গায় কোর্স করার জন্য ৫০০০, ১০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা দিয়ে কোর্স করেছেন।

কোর্সে ভর্তি হওয়ার পূর্বে তারা বলে যে কিছুদিন কাজ করলে খুব ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বিভিন্ন সমস্যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা হয় না। ফ্রিল্যান্সিং করতে আশা প্রায় ১০০% মানুষের মধ্যে ২০ পার্সেন্ট সফল হয়। আর বাকি ৮০% মানুষ বিভিন্ন কারণবশত বাদ পড়ে যায়।


আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছি যারা ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এই সম্পর্কে জানে না। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে আপনার জেনে রাখা উচিত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কতগুলো কাজ রয়েছে। এবং প্রত্যেকটি কাজের কি ধরনের চাহিদা রয়েছে এবং কোন কাজ থেকে কত টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করা যায় এই বিষয়গুলো সর্বপ্রথম জানতে হবে।

মানুষের কথা শুনে একটি কোর্সে ভর্তি হলেন এবং কাজ করতে শুরু করলেন কিন্তু সঠিকভাবে খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে পরবর্তীতে দেখা গেল কাজটি করলে টাকা ইনকাম হয় না। তবে এখন আপনাদেরকে বলব ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কতগুলো কাজ রয়েছে। বর্তমান মার্কেটে প্রত্যেকটি কাজের কি ধরনের ডিমান্ড রয়েছে।

কোন কাজ থেকে প্রতি মাসে কত টাকা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ইনকাম হয় এ বিষয়ে এ টু জেড তথ্য থাকছে আপনাদের জন্য। এক কথা বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সকল অজানা তথ্যগুলো আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।

ভিডিওর থাম্বেল এডিটিং করে ইনকাম

আমরা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন ভিডিও আপলোড করি। ভিডিও আপলোড করার সময় কোন সাবস্ক্রাইবার সর্বপ্রথম ভিডিও থাম্বেল দেখে যদি ভালো লাগে তাহলে ভিডিওটি দেখার জন্য আগ্রহ হয়। আমরা কোন সন্দেশ হতে পারি একটি ভিডিও থেকে ইনকাম করার জন্য ভিডিওর থাম্বেল ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কোন অভাব নেই। প্রত্যেকটি ক্রিয়েটরের ভিডিও তৈরি করার পর একটি সুন্দর এবং মানুষকে আকর্ষণীয় করতে এমন থাম্বেল তৈরি করতে হয়। যারা বড় বড় কন্টেন্ট ক্রিকেটার রয়েছে তারা সবসময় নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করার কাজে লেগে থাকে।

তাই তাদের ভিডিও থাম্বেল তৈরি করে দেওয়ার জন্য একটি করে লোকের প্রয়োজন পড়ে। বা যে সকল মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলো থেকে মানুষদের থেকে টাকা দিয়ে কাজটি করে নেই। এখন আসি ভিডিও থাম্বেল কিভাবে তৈরি করবেন। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে প্রয়োজন পড়বে।


অবশ্যই ডিভাইসটিতে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে হবে। ভালো কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ছাড়া ভিডিও থাম্বেল এডিটিং করা সম্ভব হয় না। এখন আসি কিভাবে কাজটি শুরু করবেন। যেহেতু আপনি থাম্বেল এডিটিং করা নতুন শিখতে এসেছেন। youtube এবং ফেসবুকে ভিডিও থাম্বেল এডিটিং কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে হাজার হাজার ক্লাস ভিডিও রয়েছে।

এগুলো আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেখতে পারবেন। আপনার কাজের ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই কাজটি করতে পারবেন। যখন ভালোভাবে কাজ শিখে যাবেন আপনাকে কিছুই করতে হবে না যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছে তারা আপনার কাজ দেখে কাজ আগ্রহী হবে।

.COM ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন ওয়েবসাইট তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং করছে। তবে অনেকেই রয়েছে যারা ওয়েবসাইট থেকে অনেক টাকা ইনকাম করে। আবার কিছু মানুষ রয়েছে যারা কোন প্রকার টাকা ইনকাম করতে পারেনা। এখন আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে শুরু থেকে প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ব্যবহার করে।

প্রথমেই আপনাকে ডোমেইন বিক্রি করে এমন কিছু ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী একটা উন্নত মানের .COM ডোমেন কিনবেন। এরপর youtube এ যে কোন একটি ভিডিও দেখে ডোমেন আপনার জিমেইলের সাথে সংযুক্ত করে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

এরপর আসি ওয়েবসাইটের জন্য একটি উন্নত মানের থিম প্রয়োজন পড়বে। যে কোন আপনি চাইলে বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা থিম বিক্রি করে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটি উন্নতমানের থিম কিনতে পারেন। টাকা খরচ না করতে চাইলে অনেক ইউটিউবার এবং ফ্রিল্যান্সার হয়েছে।


যারা সম্পূর্ণ ফ্রিতে তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত থিম কে কাস্টমাইজ করে সাধারণ মানুষকে দেয়। যেকোনো একটি উপায়ে একটি থিম নিয়ে youtube ভিডিও দেখে ওয়েবসাইটের সঙ্গে থিম যুক্ত করবেন। এখন আপনার কাজ হচ্ছে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা। কোন পেইড ক্লাস করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কিংবা ইউটিউবে যে সকল ফ্রি ভিডিও রয়েছে এগুলো দেখে শিখতে পারেন। যখন ৩০ টি আর্টিকেল লেখা কমপ্লিট করবেন এবং ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করবেন। এরপর আপনার ওয়েবসাইট গুগলে পাবলিস্ট করতে হবে। এর জন্য কিছু কাজ করতে হবে সেগুলো ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন। এভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করবেন।

প্রথম অবস্থায় খুব বেশি ইনকাম না হলেও হঠাৎ করে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। আর ওয়েবসাইটে যে কাজ একবার করবেন সে কাজটি সারা জীবনের জন্য থেকে যাবে। একটি ওয়েবসাইটের বয়স যখন তিন থেকে চার বছর হবে ঠিক তখনই প্রতি মাসে আপনার লক্ষ্য টাকার উপরে ইনকাম আসবে ইনশাল্লাহ।

মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং

মার্কেটপ্লেস এটা এমন একটি জায়গা যেখানে বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ যোগাযোগ করতে পারে। নিজের চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের পণ্য এখানে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনার কোম্পানির জন্য যেকোনো ডিজাইন কিংবা ছোটখাটো কাজ সবকিছু এখানে করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই সেক্টরটি আপনার জন্য অত্যন্ত ভালো হবে। কেননা এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের কাজ করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের কে টাকা দেয়। এখন আপনার কাজ হবে কোন একটি সঠিক প্রতিষ্ঠান দেখে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য নিজেকে দক্ষ করে তোলা।

এভাবে কঠোর পরিশ্রম করলে আপনার কাজ সম্পর্কে মানুষ যখন জানতে শুরু করবে। ঠিক তখন থেকে এই সেক্টরের সফল হতে শুরু করবেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে বাংলাদেশে এমন কিছু ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তারা শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে প্রতি মাসে ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।

তারা সাধারণত ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটকে টার্গেট করে। যেমন আমেরিকা এই দেশগুলোতে হাজার হাজার কোম্পানি রয়েছে তাদের কোম্পানির জন্য বিভিন্ন ডিজাইন কিংবা সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ে। তাই তারা বাংলাদেশীদের টাকা দিয়ে এই কাজগুলো করে নেয়। মার্কেট এসে কাজ করার জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস রয়েছে।


যেগুলোতে প্রতিদিন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ভিজিট করে। তাই যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেস্কেট টার্গেট করুন এবং নিজের ফ্রিল্যান্সিং স্কিলকে ডেভলপ করে কাজ করতে শুরু করুন। তবে এখন মার্কেটপ্লেসে অনেক কমপ্লিটর হয়েছে। তাই নতুন যারা রয়েছেন তাদের জন্য এই সেক্টরে কাজ করে একটু কষ্ট হলেও ভালোভাবে পরিশ্রম করলে সফলতা দেখতে পাবেন ইনশাল্লাহ।

ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যবসা করা

কথাটা শুনতে একটু অন্যরকম হলেও আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে একটি সঠিক ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব। এর জন্য আপনার সঠিক স্কিল প্রয়োজন পড়বে কিছু টাকার প্রয়োজন পড়বে এবং ভালোভাবে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আমরা অনেকেই অনলাইন ব্যবসা করি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রয় করা হয়।

তবে মজার বিষয় হচ্ছে ফেসবুক ছাড়াও গুগল এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল পণ্যের ব্যবসা করা যায়। মনে করুন আপনি গুগলে আপনার পণ্যগুলোর ব্যবসা করবেন। আপনি যে কোন বড় একটি বড় ওয়েবসাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলবেন যে আমার একটি প্রশ্ন রয়েছে সেগুলোর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে দেখাতে হবে।

এর বিনিময়ে আমি আপনাকে টাকা দেব। একটি ভালো ওয়েবসাইটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য আসে। তাদের কাঙ্খিত তথ্য জানার সময় তাদের সামনে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন যদি দেওয়া হয়। তাহলে এক লক্ষ মানুষ যদি বিজ্ঞাপন দেখে এর মধ্যে 10000 মানুষ কিন্তু আপনার পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহী হবে।


এভাবে যত মানুষ দেখবে তারা পণ্যটি পছন্দ হলে এবং তাদের বাজেটের মধ্যে হলে কিনতে চাইলে এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এভাবে কিছু ওয়েবসাইটকে কাজে লাগিয়ে আপনার পণ্যগুলো খুব সহজে বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে তুলনায় গুগলে অধিক মুনাফাতে বিক্রি করতে পারবেন। এখন আসি ফেসবুকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যবসা করবেন।

আপনার টাকা না থাকলেও এখানে ব্যবসা করা যায়। যে কোন একটি প্রোডাক্টের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের থেকে পাইকারি মূল্যে পণ্য কিনে। facebook অ্যাড এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে অধিক লাগে বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে পরবর্তীতে পণ্যের কোম্পানিকে দামগুলো দিতে পারবেন। এভাবে কাজ করলে নিজেকে ডেলিভারি করতে হয় না। শুধুমাত্র ঘরে বসে মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে নিজের বুদ্ধি লাগিয়ে ফেসবুক এবং google এ ব্যবসা করা যায়।

আর্টিকেল রাইটিং এ SEO এক্সপার্ট

প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ইনকামের মূল মাধ্যম হচ্ছে সঠিকভাবে আর্টিকেল রাইটিং করা। গুগলে কোটি কোটি আর্টিকেল রয়েছে যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে রয়েছে। এগুলো গুগলের রেঙ্কে প্রথম পৃষ্ঠায় আসার কারণ সঠিকভাবে SEO করা। আপনার ইউটিউব কিংবা ফেসবুক ভিডিও এর পাশাপাশি ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো,

মানুষের সামনে বেশি বেশি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে SEO। একটি ইউনিক আর্টিকেলের বাজার মূল্য অনেক। তবে যারা ছোট ছোট ইউনিক আর্টিকেল লিখে এদের একটি করে আর্টিকেলের মূল্য সর্বনিম্ন ২০০ টাকা। এবং সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত আছে। একজন SEO এক্সপার্ট আর্টিকেল রাইটার হতে পারলে।

আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েবসাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতি মাসে কিছু টাকার বিনিময়ে আপনি আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন। আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য ইউনিক আর্টিকেল অত্যন্ত জরুরী।


তাই যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে আপনার আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ ততদিন থাকবে। ভালোভাবে SEO করে আর্টিকেল লেখা শিখতে হলে আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন কিংবা টাকা দিয়ে কোর্স করে আর্টিকেল রাইটিং শিখতে পারেন। একটি এক্সপার্ট আর্টিকেল রাইটারের বেতন হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৮০০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া কারো অধীনে কাজ করতে না চাইলে মার্কেটপ্লেস আর্টিকেলগুলো বিক্রি করতে পারেন। বাংলা আর্টিকেলের তুলনায় ইংলিশ আর্টিকেল বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এই কাজগুলো আপনি যদি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে করতে পারেন।

তাহলে জীবনে কিছু করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার নিয়ে আসে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেই দিকগুলো থেকে সাবধানে থাকবেন

ফ্রিল্যান্সিং করতে আসা প্রায় ১০০% মানুষের মধ্যে ৮০% মানুষ ঝরে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে সঠিক প্রতিষ্ঠানে কোর্স না করা। মনে করুন আপনি নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেছেন। তবে কোন কাজ না পাওয়ার কারণে প্রতিমাসে ১০ - ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

তখন তাদের মাথায় একটি কথা চিন্তা আসে যে আমার তো এইভাবে টাকা ইনকাম হচ্ছে না তাহলে আমি একটি কোর্স করাতে শুরু করি। সে কিন্তু একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার না তার কোন ইনকাম হয় না তার পরেও যোগ্যতা না থাকার পরেও কোর্স চালু করে মানুষদের ফ্রিল্যান্সিং শেখাচ্ছে। তাহলে এখন চিন্তা করে দেখুন।

যে ট্রেইনার নিজেই ইনকাম করতে পারেনা সে অন্য মানুষের কিভাবে ইনকাম করার রাস্তা দেখাবে। এভাবেই অনেক মানুষ প্রতারিত হয়। তারা তাদের স্টুডেন্ট পাওয়ার জন্য ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে থাকে এবং পোস্টগুলোকে টাকা দিয়ে বুস্ট করে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। মনে করুন।

কোন কোর্স করানোর প্রতিষ্ঠান ছয় মাস কোর্স করাবে এর বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা নেবে। এখন ফেসবুকে এভাবে পোস্ট করার পর আপনার আমার মত অনেক মানুষ হয়েছে যারা কোর্সটি করে টাকা ইনকাম করতে চাইবে। যখন ভর্তি হবে তারপর কিছুদিন কাজ করার পর ইনকাম না হতে থাকলে কোর্সের টাকা সম্পূর্ণ নষ্ট হবে এবং যত সময় এর পেছনে দিবে সবগুলো নষ্ট হবে।


এখন আপনার উচিত হবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সকল ফ্রিল্যান্সিং করানোর প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভালোভাবে যাচাই বাছাই না করে কখনো কোন কোর্সে ভর্তি হবেন না। তবে বাংলাদেশে প্রত্যেকটি বিভাগে একটি দুইটি করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে সেখানে মানিব্যাগ গ্যারান্টি সহকারে কাজ শেখানো হয়।

আপনি গুগল কিংবা ফেসবুকে সার্চ করে প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে অনলাইন এবং অফলাইন করছে ভর্তি হতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব

আপনাদের মধ্যে অনেকেরই এ ধরনের প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘোরে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আপনি সঠিক তথ্যটি জানতে পারেন না। আসলে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা সেক্টর যেখানে মানুষ নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারে। কারো অধীনে কাজ করতে হয় না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ইনকামকে সাধারণত চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

প্রথমত যারা রয়েছে নতুন কাজ শিখছেন তাদের প্রতি মাসের টার্গেট ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা। মনে করুন কোন একটি কোর্স করে কিছুদিন পর কাজ করতে শুরু করেছে তাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সর্বনিম্ন ইনকাম বলা হয় এটিকে। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে বিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ - ৩৫ হাজার টাকা।

এই ধাপটিতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ৫০% মানুষ কাজ করে। যে সকল ফ্রিল্যান্সাররা এই সেক্টরে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত কাজ করেছে। এবং বিভিন্ন কাজের কিছুটা এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছে। তারাই শুধুমাত্র এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারে। তৃতীয় ধাপে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

যারা অনেকদিন ধরে কাজ করে এবং প্রত্যেকটি কাজের এক্সপার্ট তারা এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করে। এটা শতকরা প্রায় ২০% মানুষ মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। চতুর্থ ধাপে রয়েছে 2 লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এরা বাংলাদেশের মার্কেটে কাজ করে না এরা ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কাজ করে থাকে।

বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কন্টাক্ট করে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে দেয়। প্রথম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে নিজের স্কিল বৃদ্ধি করতে হবে। এর সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের পিছনে থাকলে ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেন। আপনিও চাইলে সঠিক প্রতিষ্ঠান দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার - লেখকের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এবং কি কি। আসলে ফ্রিল্যান্সিং করার সঠিক নিয়ম এ বিষয়গুলোর সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশাকরি কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন। ইতিপূর্বে যে সকল সেক্টর নিয়ে কথা বলেছি এবং প্রত্যেকটি সেক্টরের কাজ কি,


প্রতিদিন কত সময় পর্যন্ত কাজ করতে হয় এসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। এ ধরনের নিত্যনতুন আপডেটেড তথ্য যদি পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখতে পারেন। এছাড়াও থাকছে অনলাইন এবং অফলাইন থেকে ইনকাম করার নতুন নতুন তথ্য। আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল তথ্যের প্রয়োজন পড়ে সবগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন।

আজকের এই পোস্টটি থেকে কোনভাবে উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারণ আপনার একটি শেয়ার এর কারণে আপনার বন্ধু সঠিক তথ্যটি জানতে পারবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url