অনলাইনে Smart NID card check করার সঠিক নিয়ম

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়মআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি অনলাইনে Smart NID card check করতে চান। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেনি। তাহলে এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে অনলাইনে কিভাবে Smart NID card check করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা নিজেদের এনআইডি কার্ড কিভাবে চেক করতে হয় এটা জানে না। তাদের সুবিধার্থে সঠিক তথ্য জানানোর উদ্দেশ্যে আজকে তাদের সঙ্গে শেয়ার করব। মাত্র পাঁচ মিনিটে কীভাবে নিজেদের Smart NID card check করতে হয়।

বেশ কিছু বছর আগেও আমাদের দেশ এতটা উন্নত ছিল না। তাই দেশের জনগণকে একটি সাধারণ এনআইডি কার্ড দেওয়া হতো তাদের নাগরিকত্বের জন্য। প্রতিবছর তারা এটা ব্যবহার করে ভোট দিতো। কিন্তু এখন আমাদের দেশ উন্নত যতই হচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে যাদের পুরনো এন আই ডি কার্ড রয়েছে।

তাদেরকে নতুন করে আবার অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড করতে হবে। আগে শুধুমাত্র প্রত্যেকটি উপজেলায় তাদের এনআইডি কার্ডের তথ্য থাকতো। তবে এখন অনলাইন করার মাধ্যমে প্রত্যেকটি কাজ অনলাইনে করা যাবে এবং বাংলাদেশের সকল এনআইডি কার্ডের তথ্য সরকারের কাছে থাকবে।

আরও পড়ুনঃ   অনলাইনে nid কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম।

তাই নতুন করে যারা ভোটার হচ্ছে তাদের একটি করে ডিজিটাল এনআইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে এবং আগের পুরাতন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। আপনারা অনেকেই এটার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কার্ডটি হাতে পাননি। এবং অনেক চিন্তায় রয়েছেন আসলেই কি আমার কার্ডটি হয়েছে না বাতিল হয়ে গিয়েছে।

তবে এখন এটা নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। কেননা আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখে নিতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ড টি আসলে তৈরি হয়েছে কিনা।

যদিও বা তৈরি হয় তাহলে কতদিন সময় লাগবে আপনার হাতে আসতে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সাধারণ আইডি কার্ড পেয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। তারা চাইলে একটি মাত্র এসএমএস করে জানতে পারবেন কবে আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছিল, কোথায় থেকে এটি সংগ্রহ করবেন, এটা আসতে কত দিন সময় লাগবে আরো বিস্তারিত। কথা না বাড়িয়ে চলে আসি মূল আলোচনায়।

এই কাজটুকু করার জন্য আপনি বাটন ফোন কিংবা স্মার্টফোন দিয়েও করতে পারেন। কাজটি শুরুর পূর্বে বলে রাখি আপনার ফোনে যদি মিনিট কেনা থাকে, কিংবা ফ্রি এসএমএস থাকে তাহলে এই কাজটি করতে পারবে না। এর জন্য আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স থাকতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ। প্রথমে চলে যাবেন আপনার মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে।

ফোন থেকে ডায়াল করবেন ( ১০৫ ) এই কোডটি লিখে সেন্ড করবেন। মেসেজটি দেওয়ার পর আপনাকে আরো একটি পেজে নিয়ে চলে যাবে সেখান থেকে একটি মেসেজ পাঠাতে হবে। মেসেজটিতে লিখতে হবে " SC < spech > NID < nid number 56566565646 >" এখন এসএমএস অপশনের সেন্ড বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া জন্ম সনদ download।

ফোনে টাকা থাকলে অবশ্যই মেসেজটি যাবে। একাউন্টে কোন সমস্যা থাকলে মেসেজ নাও যেতে পারে। মেসেজটি সেন্ড করার পর আপনাকে কিছু সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে। এরপর যে নাম্বারে মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন সেখান থেকে আপনাকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে দিবে। মেসেজটিতে লেখা থাকবে কবে স্মার্ট কার্ড টি পাবেন।

এবং কোথায় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কি ধরনের মেসেজ আপনার কাছে আসতে পারে এ বিষয়ে একটি ছবি দিয়ে দিলাম। আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

এসএমএসে যেখান থেকে সংগ্রহ করার কথা বলবে। সেখানে গিয়ে কত নাম্বার রুম থেকে এটি সংগ্রহ করবেন কিংবা কোন অফিসারের কাছ থেকে নিতে হবে সবকিছু নামসহ বলে দেওয়া হবে। স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পূর্বেই জানতে পারবেন স্মার্ট কার্ডের নাম্বারটি।

তো বন্ধুরা আপনাদের মত অনেকেই রয়েছে যারা youtube কিংবা ফেসবুকে গিয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে যে কিভাবে ঘরে বসে Smart NID card check চেক করতে হয়।

এখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি কিভাবে একটি ব্যবহার করে কিছু সময়ের মধ্যে এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এ বিষয়গুলো কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করেছি। যেন ভালোভাবে বুঝতে পারেন।

সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল ফোন থেকে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিবেন। আমি গুগল ব্রাউজারকে বেছে নিলাম। এরপর সার্চ বক্সে সার্চ করতে হবে smart card status লিখে। প্রথমেই চলে আসবে সরকারি একটি ওয়েবসাইট। এখানে প্রবেশ করবেন তারপর নিচে উল্লেখিত ছবির মত একটিভ পেজ পেয়ে যাবেন।

সবার উপরে লেখা থাকবে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর / ফরম নম্বর। এখানে আপনার পুরাতন যে nid কার্ডটি রয়েছে এর সম্পূর্ণ নাম্বারটি প্রবেশ করাবেন। স্মার্ট এনআইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে নিচে জন্ম তারিখ লিখতে হবে। অবশ্যই দিন, মাস এবং বছর লিখতে হবে। কোথাও থেকে কপি করে এনে পেস্ট করলে ওয়েবসাইটটি এটা নিবে না।

এখন নিজে হাতের টাইপ করে লিখতে হবে। অবশ্যই এমন জন্ম তারিখ দিবেন যা পূর্বের এনআইডি কার্ডে ছিলো। তাছাড়া তথ্য ভুল হওয়ার কারণে পেজটি ব্লক হয়ে যাবে। পরবর্তী অপশনে যাওয়ার জন্য নিচে দেখতে পাবেন একটি গোপন কোড।

যা উপরের ছবির মধ্যে লাল চিহ্ন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। একবার কোডটি বুঝতে না পারলে ফ্রেশ দিবেন তাহলে নতুন আরেকটি কোড আসবে। এরপর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে নতুন আরেকটি পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে কি কি থাকবে আসুন আমরা জেনে নেই।

এখানে স্মার্ট কার্ডের সকল স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। প্রথমেই লেখা রয়েছে, কার্ডটি তৈরি হলে লেখা থাকবে কমপ্লিট কিন্তু তৈরি করার কাজ সম্পূর্ণ না হলে কোন কিছুই থাকবে না। পূর্বের এনআইডি কার্ডের কিছু তথ্য দেওয়া থাকবে। আপনি কোন বিভাগ থেকে এটার জন্য আবেদন করেছেন সেটা সম্পূর্ণ লেখা থাকবে।

উপরে উল্লেখিত ছবি দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন কি কি লেখা থাকবে। আপনার স্মার্ট কার্ডের বক্স আইডি। কম্পোজিশন আইডি সহ আরো অনেক কিছু বিদ্যমান থাকবে। উপজেলা, আপনার উপজেলার নাম লেখা থাকবে এবং কোন এরিয়া থেকে স্মার্ট কার্ড আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুনঃ ভাতার টাকা মোবাইলে দেখার নিয়ম।

আপনার এলাকা কোন এরিয়ায় সকল কিছু দেওয়া থাকবে। পরবর্তীতে কোথা থেকে এ কার্ডটি সংগ্রহ করতে হবে। কোন জেলার কোন শাখার এবং কোন অফিস থেকে এটা সংগ্রহ করবেন যাবতীয় তথ্য এখানে পেয়ে যাবেন।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। যারা জানেনা তাদের জন্য এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন পুরাতন এনআইডি কার্ড ব্যবহার করতাম। তখন এটা দিয়ে অনলাইনে বেশিরভাগ সময় কাজ করার জন্য অনেক ঝামেলা হতো। কিংবা বছরে একবার যখন ভোট দিতে যেতাম ঠিক ওই সময় এই পুরাতন কার্ডটি কাজে লাগতো।

 এছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছে এই কার্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকত না। কোন মানুষের কার্ড সম্পর্কে জানার হলে অনেকগুলো ধাপ্পার করে জানতে হতো। এখন স্মার্ট কার্ডের সময়ে এটা দিয়ে কাজ করা অনেক সহজ। অনলাইনে কোন কাজ করার সময় এটা বেশি কাজে লাগে। এখন যারা সরকারি যে সকল অনুদান রয়েছে।

যেমন বিধবা ভাতা কার্ড, বয়স্ক ভাতা কার্ড, প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড এগুলো থেকে টাকা তোলার সময় কিংবা নতুন করে যারা আবেদন করবেন তাদেরকে অবশ্যই স্মার্ট কার্ড রাখতে হবে। পুরাতন এন আই ডি কার্ডের থেকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড ব্যবহার করা আমাদের জন্য বেশি লাভজনক।

যেহেতু এনআইডি কার্ড একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই এগুলো দেখাশোনা করে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশন পরিষদ। যারা নতুন ভোটার রয়েছে তারা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন হয়তো বা কার্ডটি পেয়ে গিয়েছেন। ভোটার হওয়ার বয়স হলে আপনি চাইলে আপনার এলাকার যেই উপজেলা পরিষদ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে জেনে নিন।

সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে অনেকের খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। এখন স্মার্ট কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন। একইভাবে সর্বপ্রথম যেতে হবে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে। সেখানে গিয়ে কথা বলবেন তাদের সাথে যে আমি স্মার্ট এনআইডি কার্ড করে নিতে চাই।

আপনার কথা মতো তারা কিছু তথ্য নিবে এবং আপনাকে ফরম দিবে। ফর্মটি পূরণ করা হয়ে গেলে তাদেরকে জমা দিবেন। তাহলে একটি কাঙ্খিত সময় পর আপনার হাতে স্মার্ট কার্ড চলে আসবে। এরপর অনেক দিন অপেক্ষা করেছেন কিন্তু কার্ডটি এখনো পাননি তাহলে অনলাইনে মাধ্যমে চেক করে নিতে পারবেন আপনার কার্ডের কি অবস্থা রয়েছে।

উপরে বলেই দিয়েছি কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট এনআইডি কার্ড চেক করতে হয়। একজন নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে কিংবা পুরাতন ভোটার এর জন্য এভাবেই স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করে তাড়াতাড়ি নিতে হবে।

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে কিভাবে অনলাইনে Smart NID card check করতে হয়। আশা করি অনেকগুলো তথ্যের মধ্যে যেকোনো একটি আপনার পছন্দ হয়েছে এবং কাজে লেগেছে। নিজে উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ ভোটার হয়েছেন এমন আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

যেন তারাও সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে। আর এমন নিত্য নতুন যদি ইনফরমেশন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখতে হবে। এ ধরনের তথ্য প্রতিদিনের কাজকে আরো সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ খতিয়ান থেকে জমির পরিমাণ বের করার নিয়ম।

আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ইনকামের আপডেট তথ্য এবং আপনার জীবনে যে সকল তথ্যের প্রয়োজন পড়ে সকল কিছু দেওয়া রয়েছে।