সুষম খাদ্যে কাকে বলে ? উপাদান কয়টি ও কি কি

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা জেনে নিনআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পারেননি। এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কেননা এখানে সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
সুষম-খাদ্যের-উপাদান-কয়টি-ও-কী-কী
আমি বেশ কয়েকদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি মানুষ দুজনে সার্চ করছে সুষম খাদ্য সম্পর্কে। তাদেরকে সঠিক তথ্য জানানোর জন্য এবং তাদের উপকারের ক্ষেত্রে এই পোস্টটি তৈরি করেছি। মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন।

সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী - মূলভাব

প্রত্যেকটি যানবাহন চলার জন্য তাদের খাদ্যের প্রয়োজন হয়। কোন যানবাহন চলে তেল দিয়ে আবার কোন যানবাহন ব্যাটারি চালিত ভাবে চলে। ঠিক তেমনভাবে আমরা মানুষও কিন্তু এর বিপরীত কিছু নয়। আমাদের চলাচল করার জন্য সুষম খাদ্যের অনেক প্রয়োজন পড়ে। সঠিক পরিমাণের সুষম খাদ্য আমাদের শরীরে না গেলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

এবং ভালোভাবে চলাফেরা করা যায় না। যখন কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার অসুস্থ অবস্থায় কিন্তু কোন রোগই খেতে পারে না। এই জন্য আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। একজন সাধারণ মানুষের শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত সুষম খাদ্য গ্রহণ করায় যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে।


যারা সুষম খাদ্য কাকে বলে এই বিষয়টাই ভালোভাবে জানে না। কিভাবে তাহলে তারা সুষম খাদ্য খাবে। এজন্য সর্বপ্রথম একজন মানুষকে খাদ্য কাকে বলে এবং এর পুষ্টি উপাদান কি কি এবং কোন খাবারে মধ্যে সুষম খাদ্য পাওয়া যায়। এগুলো জানাতে হবে।

আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে সুসংখাদ্য কাকে বলে। সুষম খাদ্যে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং মূল কতটি সুষম খাদ্য উৎস রয়েছে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।

সুষম খাদ্য কাকে বলে

যে সকল খাদ্যদ্রব্য আমরা প্রতিদিন খাই এবং আমাদের শরীরের ক্ষয় পূরণ, পুষ্টি সাধন, বৃদ্ধি সাধন, তাপ শক্তি উপাদান ও রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে সহায়তা করে তাকে সুষুম খাদ্য বলা হয়। এক কথায় বলতে গেলে আমাদের শরীর ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা প্রতিদিন যে সকল খাবার খাই।

সেগুলোর মধ্যে অবশ্যই মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এগুলো খাই। এগুলো খাবার থেকে আমরা বেশি শক্তি উপাদান পাই। যে সকল খাবার থেকে আমাদের শরীর ভালোভাবে চলে কোন ধরনের রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে না অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেই খাবারগুলোকেই মূলত সুসম খাদ্য বলা হয়।

WHO অর্থাৎ World Health Organization এর মতে Health is a state of complete physical , mantal and social well-being and not merely the absence of disease or infirmity.

সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী

বাংলাদেশের কিছু খাদ্য বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে সুষম খাদ্যের উপাদান সর্বমোট ছয়টি। এখন আমি আপনাদেরকে এই ছয়টি উপাদান সম্পর্কে সকল কিছু জানানোর চেষ্টা করব। এগুলো খেলে আপনাদের কি কি উপকার হবে। কোন কোন খাবারে মধ্যে এই পুষ্টি উপাদানগুলো পাওয়া যায়।

Protein বা আমিষ জাতীয় খাদ্য

আমরা সাধারণত প্রতিদিন যে সকল খাবার খাই এ সকল খাবারের মধ্যেই এই আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকায় পড়ে। যেমন মাছ-মাংস, দুধ, ডিম, ডাল এ ধরনের খাদ্যকেই মূলত আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাদ্য বলা হয়। যাদের শরীর দুর্বল শরীলে ভালোভাবে শক্তি পায় না। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তারের বলে হাড় ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে।

শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাদের জন্য এই খাবারগুলো অত্যন্ত উপকারী। এখানে এমন কিছু পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যা আপনাদের শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হাড় ক্ষয় রোধ করে এবং হাড়কে মজবুত করে।

Fat বা চর্বি জাতীয় খাদ্য

আমাদের খাবার রান্না করার সময় যখন তরকারিতে তৈলাক্ত পদার্থ যেমন ঘি, মাখন, ডালডা, তেল ইত্যাদি। উল্লেখিত খাবারগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি রয়েছে। অন্যান্য খাবারের তুলনায় এই চর্বিযুক্ত খাবারের বহু গুণ বেশি গ্যালারি পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের শরীরকে আরো মোটা করতে সাহায্য করে।খেয়াল করে দেখবেন অনেকে রয়েছে।


যারা বলে অনেক ঠান্ডা লাগছে এবং গরমের সময়ও ঠান্ডা সমস্যা নিয়ে ভোগে। তারা প্রতিদিন নিয়ম করে এই চর্বি জাতীয় খাবার খেলে শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি করবে। একটু কাজ করতে পুরো শরীর যাদের ঘেমে যায়। তারা বুঝে নিবেন আপনাদের অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়েছে। এজন্য এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

Charbohydrate (CHO) বা শর্করা জাতীয় খাদ্য

বাঙালিরা প্রতিদিন অধিক পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খায়। সকালে রুটি খায় এবং দুপুরে ভাত, রাতেও ভাত খায়। আর আপনি জানলে অবাক হবেন শর্করা জাতীয় খাবার হচ্ছে ভাত, আলু, গম, জব, রুটি, ভুট্টা ডাল ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলে যে সকল মানুষের শরীরে বেশি শক্তি নেই এবং কোন কাজ করার সময় কাজটি সম্পন্ন করতে পারে না।

ভালোভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। এক কথায় বলতে গেলে যাদের শরীরের শক্তি একেবারে কম তারা এই সরকার জাতীয় খাবার খাবেন। তাহলে আপনাদের শরীরের শক্তি অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। নিয়ম করে অধিক পরিমাণে এই খাবারগুলো খাবেন তাহলে সুস্থ থাকবেন।

Vitamin বা খাদ্য প্রাণ

যে সকল খাবারে ভিটামিন এ, বি, সি, এর পাশাপাশি আরো কিছু ভিটামিন যুক্ত হয়। এবং উক্ত খাবারগুলোকে ভিটামিন জাতীয় খাবার বলে যেমনঃ দুধ, ডিমের কুসুম, বিভিন্ন প্রকার ফলমূল, শাক সবজি, কাঁচা ফল, পাকা ফল ইত্যাদি। আমরা প্রতিদিন যে সকল খাবার খাই এগুলোর মধ্যেই ভিটামিন অধিক পরিমাণে রয়েছে।

প্রত্যেকটি মানুষই কিন্তু বিভিন্ন প্রকার ফল এবং দুধ অথবা ডিম এগুলো খেয়ে থাকে। তাই আলাদা করে নিয়ম করে এই ভিটামিন জাতীয় খাবার আপনাকে খাওয়া লাগবে না। যাদের শরীরে কিছুদিন পর পর বিভিন্ন অসুখ হয়। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন এর অভাব রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন জাতীয় খাবার অধিক পরিমাণে খেতে হবে।

Salt বা লবণ

বর্তমান সময়ে একশ্রেণীর লোক রয়েছে যাদের শরীর এ যথেষ্ট পরিমাণে পানি জমা থাকে না। কিছুক্ষণ পর পর পানির অভাব দেখা দেয়। এবং বেশি বেশি পানি খেতে হয়। তাদেরকে বুঝে নিতে হবে তাদের শরীরে লবণের অভাব রয়েছে। শুধুমাত্র লবণ খেলে হবেনা এই লবণের উপাদান গুলো যেমনঃ

খাবার লবণ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিট লবণ ইত্যাদি। উক্ত খাবার গুলোর মূল কাজ হচ্ছে একজন মানুষের শরীরে পানি ধরে রাখা। যাদের কিডনি শুকিয়ে যায়। হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে। এই খাবারগুলো তাদের অধিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।

Water বা পানি

বৃষ্টির পানি, ঝরনার পানি, টিউবওয়েলের পানি, বিভিন্ন প্রকার কোমল পানীয় এবং পরিষ্কার পানি এগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এর কাজ রক্তে তারল্য বজায় রাখা, দেহে পানি স্বল্পতা রোধ করা এবং রেচনতন্ত্র ঠিক রাখা।


উল্লেখিত সমস্যা যাদের রয়েছে এর জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে টাকা নষ্ট করার কোনো কারণ নেই। কেননা এ ধরনের খাবার খেলে আপনার সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

এই ছয়টি উপাদানের সামনে বর্তমানে খাদ্য বিশেষজ্ঞদের কর্মসূচি আরো একটি যুক্ত করা হয়েছে। সেটি হল আশ জাতীয় খাদ্য বা fibre আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এই আশ জাতীয় খাদ্যর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।

উপরে উল্লেখিত খাদ্যগুলোতে সাধারণত দুইভাবে বিভক্ত করা হয়েছে।
১। দেহ পরিপোষক খাদ্য
২। দেহ সংরক্ষণ খাদ্য

সুষম খাদ্যের কাজ সমূহ

সুষম খাদ্যের কাজ সমূহ আমরা এক কথায় বলতে গেলে হবে। শরীরের ক্ষয় পূরণ করবে অর্থাৎ আমরা প্রতিনিয়ত যে ধরনের কাজ করে থাকি এর জন্য কিন্তু আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ক্ষয় হতে শুরু করে। তখন উক্ত খাদ্যগুলো আমাদের শরীরের যে ধরনের ক্ষয় হয় সেগুলো আবার খাদ্যের মাধ্যমে পূরণ করতে সাহায্য করে।

যাদের পুষ্টি গুণের অভাব রয়েছে তারা এই খাবারগুলো খেতে পারেন। এতে শরীরের পুষ্টি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি শরীর দ্রুত বাড়বে এবং পেশিগুলো সংকুচিত হবে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে। প্রতিদিন কাজ করার জন্য যে ধরনের কর্মদক্ষতা প্রয়োজন হয় অর্থাৎ শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।

একজন মানুষের শরীর স্বাভাবিকভাবে চলতে হলে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হবে। নিয়মিত খাবার গুলো খাবেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাবে। যারা একটু দুর্বল রয়েছে অর্থাৎ মোটা হতে চায় তারা খাবারগুলো খেলে মাংসপেশী গঠন হবে এবং মোটা হবেন।

বিভিন্ন হরমোন এবং এনজাইম ও কো-এনজাইম উৎপাদন করে। এক কথায় বলতে গেলে খাদ্য এই দেহের সকল কার্যকারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করে থাকে।

সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী - শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি। এবং শরীরে কি কি পরিবর্তন দেখা যায় এ সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরগুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন।


আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন। এখানকার তথ্য আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্য গুলো জানতে সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url