লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে ? বৃদ্ধির উপায়
হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা এবং অপকারিতাআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এ সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরেও আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেননি। তাহলে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কেননা এখানে লিভারের হরণশক্তি কমে গেলে কি হবে এসব করতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বর্তমান সময়ে মানুষের লিভারের অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হজম শক্তি কমে যাওয়া। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের চিন্তা করে থাকে। আপনাদেরকে এখন এমন কিছু তথ্য জানাবো যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে - মূলভাব
একজন মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মানুষের সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের জন্য তারা ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তারেরা বিভিন্ন ঔষধ দেওয়ার মাধ্যমে উক্ত অসুখ ভালো করার চেষ্টা করে। এখন সবচেয়ে বেশি মানুষের সমস্যা আছে মাথায়। অতিরিক্ত চিন্তা করার কারণে।
এরপর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় অনেক মানুষের পেটের সমস্যা হয়। পেটের মধ্যে সমস্যা হলে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভারের সমস্যা। এই লিভারের সমস্যাটি এখন প্রায় অনেক মানুষ এটি দেখা যায় এবং এর জন্য অনেক কষ্ট পেতে হয় তাদের। লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভারের হজম শক্তি কমে যাওয়া। আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা লিভারের হজম শক্তি কেন কমে যায় এবং এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায় কি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি হজম শক্তি কমে গেলে কি করবেন।
এবং কি কারনে হজম শক্তি কমে যায় একজন মানুষের। তো বন্ধুরা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনা থেকে ফিরে যাই।
লিভার কি এবং কাকে বলে
আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে। অন্যান্য অঙ্গের মতো লিভার একটি আমাদের শরীরের অঙ্গ যা আমাদের শরীরে পেটের মধ্যে অবস্থান করে। আমরা যখন কোন খাবার খাই সেই খাবার সর্বপ্রথম লিভারে প্রবেশ করে। লিভারে এমন কিছু প্রক্রিয়া তৈরি করে দেওয়া আছে সেখানে মানুষের খাবার গেলে মল অনুযায়ী তৈরি হয় এবং বেরিয়ে আসে।
একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য লিভারের সুস্থতা অনেক জরুরি। খাবার ভালোভাবে পরিপাক হলে আমাদের শরীর অনেক শক্তি পাবে এবং সকল কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। লিভার থেকে খাবার ভালোভাবে পরিপাক না হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
লিভারের হজম শক্তি কেন কমে যায়
হজম জনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেহেতু প্যানক্রিয়াটাইটিস এই সমস্যাটি থেকে আমাদের এই পাকস্থলীর সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। এরপরেও প্যানিক্রেটাইটিস হওয়ার পরেও পাথর কিংবা লোহিত রক্তকণিকা প্রদাহ হয়। আবার অনেকের শরীরে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম কম থাকতে পারে।
যেমন ল্যাকটোস ইন্রআররে যাদের আছে তারা দুধ বা দই জাতীয় খাবার খুব তাড়াতাড়ি হজম করতে পারে না। যদি কোন কারণে কাগজ থেকেও কিংবা অন্ত্রের এক অংশ অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে হজম শক্তি কমে যাবে আবার অন্ত্রে নানা ধরনের সমস্যা হলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
সিলিয়াম গ্লিসিস নামের একটি অন্ত্রে। এমন খাবারের বিপরীতে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় ও সেই খাবার হজম হতে চায় না। যেহেতু ডায়রিয়া বা বদহজম হলেই লিভারের সমস্যা নয়।
সাময়িকভাবে এছাড়াও বিভিন্ন কারণের ফলে লিভারের হজম শক্তি কমে যেতে পারে। এর পাশাপাশি আমাদের যদি প্রতিনিয়ত এসিড জাতীয় খাবার কম খাওয়া হয় । সেক্ষেত্রে লিভারের হজম শক্তি কমে যায়।
লিভারের হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ
এই সমস্যাটি শুরু হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা তাই একজন মানুষের। আপনি যদি দেখেন আপনার বাচ্চার কিংবা আপনার নিজের দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া এবং দুর্গন্ধযুক্ত মল। তখন বুঝে নিবেন আপনার লিভারের হজম শক্তি অনেকটা কমে গিয়েছে। কেননা লিভারে যখন খাবার হজম হয় না তখন এই সমস্যা গুলো দেখা দেয়।
যারা প্রতিদিন অধিক পরিমাণে খাবার খায় কিন্তু দিনে দিনে আরও রোগা হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য এটি অনেক বড় একটি দুঃখের বিষয়। কেননা যখন আপনি বেশি করে খাবার খাবেন তখন খাবারের পুষ্টিগুন নিজের শরীরে যাবে এবং শরীর আরো মোটা হবে। কিন্তু অন্যদিকে এই সমস্যা থাকার কারণে যতই খাবার খান না কেন দিন দিন রোগা হয়ে যাবেন।
চোখ মুখ সাদা ফেকাসে হয়ে যাবে, দেখলে মনে হবে শরীরের রক্তের অনেক পরিমাণ অভাব। প্রতিনিয়ত অধিক পরিমাণে চুল পড়বে। কোথাও একবার ফটো দেখা দিলে পরবর্তীতে কত ভালো হতে অনেক সময় লাগবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের ত্বক অনেক খসখসে হয়ে থাকে সবসময়।
বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলেও এই সমস্যা দূর হয় না। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার হজম শক্তির সমস্যা হয়েছে। এর পাশাপাশি একবার যদি ঘুমান তাহলে ঘুম থেকে আর উঠতে ইচ্ছা করে না সবসময় অলস মনে হয় নিজেকে।
একজন মানুষের মধ্যে যদি এ সকল কিছু লক্ষণ দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন। ওই ব্যক্তির লিভারের অনেক বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার শিশুদের আমি সেই অভাব এবং শরীরে পানি জমে যাওয়া হতে পারে এ সমস্যার লক্ষণ।
হজম শক্তি কমে গেলে কি করবেন
এ ধরনের প্রশ্ন বেশিরভাগ মানুষই করে এগুলো একেবারে সহজ। খাবারের মধ্যে এসিডি যুক্ত করবেন। অ্যাসিড কমে গেলে আমাদের খাবার হজম হতে চায় না। এর পাশাপাশি অধিক পরিমাণে পেটে গ্যাস দেখা দেয়। পেটের সমস্যা হওয়ার কারণে প্রায় সকল মানুষই একটি বিশাল বড় ভুল করে থাকে।
অ্যান্টাসিড খেয়ে ফেলে। এটি আমাদের শরীরের জন্য যে কতটা ক্ষতি করে এটি অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। অ্যান্টাসিডে এমন একটি পদার্থ রয়েছে যা আমাদের শরীরের এসিডকে ভারসাম্যহীন ভাবে গড়ে তোলে এর জন্য পরবর্তীতে পেটের আরো অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। এখন আসি এসিড কাকে বলে।
আরও পড়ুনঃ প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা।
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন তাকে এসিড বলা হয়। এছাড়াও খাবার ভিনেগার আপনারা এসিড হিসেবে সেবন করতে পারেন। খাবার খাওয়ার সময় ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা যখন অর্ধ চিবানো খাবার আপনাদের লিভারে প্রবেশ করবে।
তখন লিভার দুর্বল হওয়ার কারণে পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করবে না। খাবার খাওয়ার সময় পানি খাবেন না কেননা যখন পানি খাবেন তখন ডাইজেশন প্রক্রিয়া হালকা হয়ে যায় এজন্য খাবার পরিপাক হতে সময় লাগে। প্রথমে খাবার খাবেন তারপর খাওয়া শেষে পানি খাবেন। খাবার দুই বেলা খেতে হবে।
একবার সকালে খাবেন এবং একবার রাতে। এর মাঝখানে যত সময় থাকবে আপনি একটু পর পর সাদা পানি খাবেন। পানি খাওয়ার ফলে আমাদের পাকস্থলী বেশি সুস্থ থাকে। খাবারের মধ্যে সবসময় অধিক পরিমাণে শাকসবজি খাবেন। শাকসবজি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এই প্রশ্নটা সাধারণত করে থাকেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলি আমাদের শরীরের সবচেয়ে মূল অংশ কিন্তু লিভার। আর এটা সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে।
আপনারা যখন খাবার খাবেন ঠিক মতো খাবার খেতে পারবেন না কেননা লিভারের সমস্যা হলে খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের কাজ করে না এজন্য পেট ব্যথা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ,পেট জ্বালাপোড়া, আলসার, ঘা। এ ধরনের সমস্যা গুলো বেশি দেখা যায়। ইতিপূর্বেই আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এবং কি কি খাবার খেলে আপনাদের এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কোন লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝবেন আপনার লিভারের সমস্যা হয়েছে। আপনার সাথে এইগুলো যদি মিলে যায় তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
এই সমস্যাটি এক পার্ট যদি ভালো না হয় তাহলে সারা জীবন আপনাকে এর জন্য প্রতিদান দিতে হবে। এই সমস্যাটি অনেক মারাত্মক একটা সমস্যা মানব দেহের জন্য।
লিভারের স্বাস্থ্য ফিরবে যে চারটি খাবারে
বিভিন্ন কারনে লিভারের রোগে ভোগেন অনেকেই। একটু খেয়াল করুন লিভারের স্বাস্থ্য ফিরে পাবেন মাত্র চারটি খাবারে। বেশি বেশি রাস্তার খাবার এবং ভাজাপোড়া খাবার ফলে এছাড়াও মদ্যপানের কারণে এবারের অনেক বড় ক্ষতি হয়। ইদানিং অনেকেরই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে। তবে কয়েকটি খাবার খেলে আপনার লিভার স্বাভাবিক রূপ ফিরে পাবে।
আপেল তার মধ্যে একটি। কেননা আপেলের মধ্যে এমন কিছু গুণাবল রয়েছে যা আমাদের লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এবং প্রতিদিন নিয়ম করে আপেল খেলে লিভারের যত ধরনের ময়লা আবর্জনা রয়েছে সবগুলো পরিষ্কার করে ফেলে। ফুলকপি কিংবা ব্রকলি জাতীয় খাবারে অধিক পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে।
যার শরীরে অধিক পরিমাণে এনজাইম সৃষ্টি করে। এবং শরীর থেকে বিষ হ্ময়ে দারুণ কাজ করে। লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে রসুনের রয়েছে দারুন কার্যকারিতা। লিভারের অধিক পরিমাণ এনজাইম তৈরিতে এটিও কাজে লাগে। হলুদের রয়েছে বহুগুন।
হলুদকে ডাক্তারেরা বলে থাকে লিভারের সুরক্ষা। আমাদের বেশিরভাগ রান্নাতে হলুদ গুঁড়া ব্যবহার করা। এটি লিভারের এঞ্জাই নির্গত হতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি লিভারের জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ গুলো বের করে দেয়।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে - শেষ কথা
আজকে রাতে কালটির মাধ্যমে আপনাদেরকে লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে। এর পাশাপাশি কিভাবে লিভারের সমস্যাগুলো দূর করবেন এবং লিভার সম্পর্কে যত ধরনের তথ্য জানানো দরকার ছিল সবগুলো আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন।
আপনার নিকটস্থ আত্মপ্রতিনি বন্ধুদের সাহায্য করতে চাইলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন। আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখুন। এ ধরনের তথ্য আপনাদের প্রতিদিনের অনেক অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url