আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার ১০০% মার্ক নিশ্চিত

অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন লেখার নিয়মআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া এ সম্পর্কে একটি রচনা খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু আপনার কানতে প্রশ্নের উত্তরটি এখনো পর্যন্ত কোথাও দেখতে পান নাই। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্য। এখানে আপনার জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার রচনা তৈরি করা হয়েছে।
আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই খেয়াল করে দেখছি মানুষ গুগলে সার্চ করছে একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া এ সম্পর্কে। তাদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা। যেন তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার - মূলভাব

একটি মানুষ ছোট থেকে তার জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য করে বড় হওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মানুষের অনেক ধরনের লক্ষ্য থাকে। কিন্তু বেশিরভাগই দেখা যায় কেউ ডাক্তার হতে চায় কিংবা কেউ ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট এ ধরনের লক্ষ্য নিয়ে তারা পড়াশোনা করে এবং জীবন পরিচালনা করে।

কথায় রয়েছে যে ব্যক্তির জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই সে কখনো কোন কাজে সফল হতে পারবে না। কেননা কারো জীবনের লক্ষ্য না থাকলে সে কিভাবে কাজটি সম্পন্ন করবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে কোন কাজ করার সময় ওই কাজটি মনোযোগ দিয়ে না করে অন্যান্য কাজের দিকে আবার ধাবিত হয়।


এ সকল কারণে অধিকাংশ মানুষ তাদের জীবনে কিছু করতে পারে না। আপনারা যারা স্কুল কিংবা কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের পরীক্ষার সময় একটি করে রচনা লিখতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া এই বিষয়ে। আজকে আপনাদেরকে একটি সঠিক নিয়মে রচনা কিভাবে লিখবেন।

জীবনের মূল উদ্দেশ্য ডাক্তার হওয়া এ সম্পর্কে। সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বে পরীক্ষার খাতায় যখন লিখবেন ১০০% মার্ক পাবেন ইনশাল্লাহ। যেভাবে পরীক্ষার খাতায় লেখা হয় সেভাবেই একটি রচনা আপনাদেরকে শিখিয়ে দিব। তো বন্ধুরা আসলে আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।

ভূমিকাঃ

সবারই জীবনে একটি বিশেষ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থাকে। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী মানব জীবনের পথে এগিয়ে চলার চেষ্টা করে। একটি কথা রয়েছে লক্ষ্যহীন জীবন হালহীন নৌকার মতো। হালহীন নৌকা নৌকা যেমন ভালোভাবে চলতে পারে না। কোন সাধারণ ছোটখাটো সমস্যা হলে নৌকাটি আর চলে না।

এবং ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনি যাদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করা নেই তারা কখনোই বর্তমান সমাজে এগিয়ে চলতে পারবে না। বিভিন্ন বাধা বিপত্তির কারণে জীবন এলোমেলো হয়ে যাবে। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু আমার জীবনের একটি মূল লক্ষ্য হচ্ছে ডাক্তার হবো।

জীবনের লক্ষ্য নির্বাচনঃ

আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান। তাই অতি বড় কিছু স্বপ্ন দেখা আমার জন্য বৃথা। কারণ ভালোভাবে লেখাপড়া করার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন পড়ে। তারপরেও অনেক কষ্ট করে হলেও আমি ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করব। আমি যে গ্রামে বাস করি সেখানকার মানুষ প্রতি দরিদ্র তারা প্রতিদিন কাজ করে এবং প্রতিদিন খায়।

তাদের নিত্যদিন অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়। দুঃখ কষ্ট তাদের নিত্য সঙ্গী। কোন কোন দিন রয়েছে তারা অনাহারে কাটিয়ে দেয়। তবে অনাহারে যন্ত্রনা থেকে তাদের রোগ এর জন্য বেশি কষ্ট করতে হয়। গ্রামের বেশিরভাগ লোকই ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না। কারণ তাদের অনেক টাকার অভাব।


এর কারণে অনেকেই দেখা যায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে। গ্রামের মানুষদের এত কষ্ট দেখার পর আমি ঠিক করেছি আমি জীবনে ডাক্তার হব এবং এদেরকে সাহায্য করবো। আমার যতই কষ্ট হোক না কেনো আমার জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন করব না ইনশাআল্লাহ।

লক্ষ নির্বাচনের কারণঃ

কেন আমি এই ডাক্তারি করার পেশা বেছে নিলাম তার মূল কারণ, কিছুদিন আগে আমার এলাকায় আমার দাদু চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। একটি হাতুড়ে ডাক্তারের কিছু ভুল ওষুধের ফলে অনেক কষ্ট পেয়ে আমার দাদুকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। সেই কথাটি আমি আজও ভুলতে পারিনি, দাদুর সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা।

সবচেয়ে দুঃখের কথা হচ্ছে আমাদের গ্রামে কোন প্রকার বিদ্যুৎ নেই। হঠাৎ করে রাতে যদি কোন মানুষের কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মত আশেপাশে কোন হসপিটাল নেই। যদিও বা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা কিছু ঔষধ দেয় কিন্তু তারপরেও ওই সকল ওষুধ খাওয়ার ফলে আরো সমস্যা বৃদ্ধি হয়ে যায় অনেক সময়।

এবং পরবর্তীতে অসুস্থ ব্যক্তিটি মারা যেতে পারে। এবং মৃত্যুর সময় অনেক কষ্ট পেতে হয় চিকিৎসা না পাওয়ার কারনে। ওই অবস্থায় আমাদের কিছু করারও থাকে না কেননা আমরা ডাক্তারি বিষয়ে কোন কিছুই বুঝিনা।

আর সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার জীবনের মূল লক্ষ্য স্থির করেছি আমি বড় হয়ে একজন বড় ভালো ডাক্তার হব। এবং গ্রামের মানুষদের বিনা পয়সার চিকিৎসা দেব যেন বিনা চিকিৎসায় কোন মানুষ মারা না যায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

ডাক্তারি পাশ করে আমি যদি বড় ভালো ডাক্তার হয়ে যাই। তারপর গ্রামে এসে যারা হতদরিদ্র মানুষ হয়েছে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পয়সা নেই। তাদের আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বিনা পয়সায়ী চিকিৎসা করব। এবং প্রয়োজন পড়লে যাদের টাকা পয়সা নেই তাদেরকে কোন টাকা ছাড়া ওষুধ দেব।


গ্রামের মানুষেরা অশিক্ষিত হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে তারা কোন কিছুই জানে না। কিভাবে খাবার খেতে হয় এবং অন্যান্য কাজের পর কিভাবে নিজের শরীর পরিষ্কার করতে হয়। এক কথা বলতে গেলে তারা স্বাস্থ্য রক্ষা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। প্রতি সপ্তাহে একবার করে বৈঠক ডাকবো এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করব।

দরকার হলে গ্রামের যে সকল যুবক ছেলে রয়েছে তাদেরকে নিয়ে একটি সেবা দল গঠন করব। এবং প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে জানাবো এর পাশাপাশি যারা অসুস্থ থাকবে তাদেরকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিনা পয়সায় ওষুধ প্রদান করব নিজের অর্থায়নে। তাতে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাবে, এবং তাদের মুখে হাসি ফুটবে।

উপসংহারঃ

আমি এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। আমার এই স্বপ্নটি সফল হবে কি না। তবে আমার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ। তাই মন দিয়ে সুন্দরভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। যখন উচ্চমাধ্যমিকে উঠব তখন বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করব। তারপর আস্তে আস্তে এভাবে ডাক্তারি সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করবো ইনশাল্লাহ।

তবে আব্বু আম্মুরও ইচ্ছা রয়েছে আমি জীবনে একটা ভালো কিছু করি। আশা করি আমার জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারবো।

আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার

যে সকল ছোট বাচ্চারা নতুন ভাবে জন্ম নিচ্ছে। তারপর থেকে তাদের পিতা-মাতা একটি বড় ভুল করে থাকে। বাচ্চাকে সবসময় বলতে থাকে তোমাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এগুলো হতে হবে। কিন্তু সন্তানের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করেনা সন্তান কিসের প্রতি বেশি পারদর্শিতা। তার বুদ্ধি অনুযায়ী তাকে যখন কাজ করতে দেয়া হবে।
আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার
সেই কাজের আরও বেশি সফলতা অর্জন করবে। একজন মানুষের জীবনে উন্নতি করতে চাইলে সর্বপ্রথম তাকে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্য ছাড়া কোন মানুষ নিজেকে সফল বলে দাবি করতে পারবে না। যদি একজন মানুষের লক্ষ্য না থাকে তাহলে সে সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবে না।

এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একজন ডাক্তার। যখন ছোটবেলা প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র-ছত্রীদের বলা হয় তুমি বড় হয়ে কি হবে। তখন একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন প্রত্যেকটি বাচ্চাই কিন্তু বলবে আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। ওই বাচ্চারাই বড় হওয়ার পরে বিভিন্নভাবে শিক্ষা থেকে এড়িয়ে চলে।


এগুলোর মূল কারণ তাদের লক্ষ্য ঠিক নেই। মন প্রাণ দিয়ে শুধুমাত্র লেখাপড়া করলে আর ডাক্তার হওয়া এটা মাথার মধ্যে লক্ষ্য হিসাবে রাখলে কখনোই লেখাপড়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো না। শুধুমাত্র ডাক্তারি নয় আপনার পছন্দমত পেশাকে বেছে নিন জীবনের লক্ষ্য হিসেবে।

তাহলেই শুধুমাত্র জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারবেন। অনুরোধ করে সবাইকে বলবো সর্বপ্রথম জীবনের লক্ষ্য স্থির করুন এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে চলুন। তাহলে হতে পারবেন একজন সফল ব্যক্তি।

আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা ডাক্তার - শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে একটি সঠিক নিয়মে রচনা কিভাবে লিখবেন ডাক্তার সম্পর্কে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন। অন্যকে সাহায্য করতে চাইলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন।


আপনার নিকট আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে।আমাদের ওয়েবসাইটে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয় যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্য গুলো জানতে সাহায্য করবে ।তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url