হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সাথে দাম,খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট এর উপকারিতা এবং অপকারিতাআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি হেলপের ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি এখনো জানতে পারেননি। তাহলে আপনারা চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কেন এখানে হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা এবং মারাত্মক অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমি বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি মানুষ বলে হেলফিট ট্যাবলেট সম্পর্কে তথ্য খুঁজে। তাদেরকে টার্গেট করে আজকে আপনাদেরকে এমন কিছু অবাক করা তথ্য জানাতে চলেছি। যা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য হবে। আসুন সম্পূর্ণ পোস্টটি দেখি।
হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা - মূলভাব
বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনেক চিকন। এই সমস্যার কারণে কোন জায়গায় যেতেও পারে না আবার অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে থাকে। এজন্য তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে খুব তাড়াতাড়ি কোন মোটা হওয়ার ওষুধ খেয়ে নিজের স্বাস্থ্য বাড়িয়ে নিবে। এরপর কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ নেই মোটা হওয়ার জন্য।
আপনি কি জানেন রুচির ঔষধ একজন মানুষের জন্য কতটা ক্ষতি করে এবং কতটা উপকারী। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি এবং এর উপকারিতা কি। আপনাদেরকে এমন কিছু তথ্য জানাতে চলেছি। এগুলো শুনলে আপনি কখনোই রুচির ঔষধ খেতে চাইবেন না।
আরও পড়ুনঃ প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা।
এবং খুব সহজে মোটা হতে চাইবেন না।আমরা অনেকেই রয়েছি যারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওষুধ খাওয়ার ফলে মোটা হতে চাই এবং স্বাস্থ্যবান দেখাতে চাই। মোটা হওয়ার ঔষধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ট্যাবলেট হচ্ছে হেলফিট। বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই এ ধরনের ঔষধ সেবন করেছেন।
আপনি যদি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঔষধ সম্পর্কে কি ধরনের উপকারিতা এবং অপকারিতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন। একজন মানুষ হিসেবে আপনার অবশ্যই জানা দরকার হেলফিট ট্যাবলেট এর কাজ কি। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
হেলফিট ট্যাবলেট কি এবং কাকে বলে
খুব অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধি করা এবং মোটা দেখানোর জন্য যে সকল ঔষধ একজন মানুষ প্রতিনিয়ত খায় তাকেই মূলত হেলপ ইট ঔষধ বলা হয়। এই ঔষধ গুলো বিভিন্ন কোম্পানি বিক্রি করে থাকে। যেগুলো বড় বড় ওষুধের কোম্পানি রয়েছে তারা কিন্তু কখনোই মোটা হওয়ার ঔষধ বিক্রি করে না। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
সেলফিত ট্যাবলেট এর বক্সে আপনি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলে দেখতে পাবেন এটি কিন্তু কোন নামিদামি কোম্পানির ঔষধ না। হেলফিট ট্যাবলেট খেয়ে অনেক মানুষই বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হয়েছে। এই ট্যাবলেটটি খাওয়া উচিত কি উচিত না এ সম্পর্কে আমরা পরবর্তীতে জানতে চলেছি।
হেলফিট ট্যাবলেট এর উপাদান কি কি
এই ট্যাবলেট উৎপাদন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হেলথি বা হিং, সোহাগার খয়ের, সন্দুক লবণ এর পাশাপাশি অন্যান্য উপাদান রয়েছে যা বাংলাদেশী ইউনানী ফর্মুলা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়।
তবে এসকল উপাদান থাকলেও অনেকের মধ্যে এটার মধ্যে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তো কেমিক্যাল বিষয়টি না নিয়ে আমরা কোম্পানি যেটা উল্লেখ করেছে সেগুলোর দিকে লক্ষ্য করি।
হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা
বন্ধুরা এই হেলপিট ট্যাবলেটটিতে কি কি রোগের জন্য ব্যবহার করা হয় এটা জানার জন্যই আপনারা এতক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন। এই ট্যাবলেটটি মূলত যাদের মুখে খাবার রুচি একেবারে নেই। এক কথায় বলে গেলে যারা খুব অল্প পরিমানে খায় তারা এই ওষুধটি খেলে মুখের রুচি বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি যারা অধিক চিকন।
এবং স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগছেন তাদের জন্য এই ঔষধটি অত্যন্ত উপকারী। এই ওষুধের জরুরী উপকরণ গুলো আমাদের শরীরকে খুব তাড়াতাড়ি মোটা করতে সাহায্য করে। বেশি বেশি খাবার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পাবে। যাদের কিছুদিন পরপর পেট ফুলে যায় এবং বদহজম দেখা দেয় বিভিন্ন বাজে খাবার খাওয়ার জন্য।
তারা প্রতিনিয়ত এই হেলফিট ট্যাবলেট খেলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। যারা খাবার খায় কিন্তু পরিপাক হতে অনেক সময় লাগে তারা এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা গুলো দূর করে।
অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্বল্পতায় ভোগে এবং কিছুদিন পরপর রক্ত ক্রয় করে রক্ত দিতে হয় তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার পর রক্তহীনতা দূর হয়ে যায়।
সর্তকতাঃ দয়া করে সম্পন্ন আর্টিকেল না দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন না এই ওষুধটি খাবেন কি, খাওয়া উচিত নয়।
হেলফিট ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম
এই হেলফিট ট্যাবলেটটি কিভাবে খেলে স্বাস্থ্য বেশিদিন পর্যন্ত ধরে রাখা যায়। আসুন আমি আপনাদেরকে একটি গোপন টিপস শিখিয়ে দেই। প্রতিদিন যখন খাওয়া-দাওয়ার পর আপনি ঘুমোতে যাবেন ঘুমোতে যাওয়ার সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা আগে ওষুধটি খাবেন অবশ্যই একটি ট্যাবলেট খেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে জেনে নিন।
এবং পরবর্তী সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভালোভাবে নাস্তা করবেন অবশ্যই পেট ভরে খেতে হবে এরপর একটি হেলফিট ট্যাবলেট খাবেন। এভাবেই প্রতিনিয়ত আপনাদেরকে সর্বোচ্চ 15 দিন পর্যন্ত খেতে হবে। এরপর আপনাদেরকে খাবার তালিকা গুলো পরিবর্তন করতে হবে। ১৫ দিন পর থেকে প্রতিদিন সকাল করে খাবার খাবার পর একটি করে ট্যাবলেট খাবেন।
এভাবে আপনারা আরো একমাস খেতে পারেন। এই হেলফিট ট্যাবলেট টি সেবন করার পাশাপাশি আপনারা চেষ্টা করবেন যে সকল ক্যালসিয়াম ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো খাবেন এর পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন খেতে পারেন এর ফলে আপনাদের শরীরে আরো ভালো পরিবর্তন দেখা দেবে।
হেলফিট ট্যাবলেট এর অপকারিতা
কিছুদিন আগে হেলফিট ট্যাবলেট নিয়ে একটি ভিডিও পাবলিস্ট করা হয়েছিল ইউটিউবে। এখন উক্ত ভিডিওটি ৫ লক্ষ্যর উপরে মানুষ দেখেছে এবং ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কমেন্ট করেছে। কমেন্ট গুলোর মধ্যে প্রায় ১৪০০০ কমেন্ট রয়েছে এই হেলফিট ট্যাবলেটের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে।
খাওয়ার পরে কি ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দিয়েছে মানুষের সেগুলো আপনার সঙ্গে আজকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সম্পূর্ণ তথ্য জানার পর আপনি বুঝতে পারবেন এই ট্যাবলেটটি খাওয়া আপনার উচিত, কি উচিত না। বেশিরভাগ মানুষই বলেছে যখন এই ট্যাবলেটটি খাওয়া হয় তখন মুখের রুচি অধিক পরিমাণে থাকে।
এই ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে যদি কোন মানুষ এক প্লেট ভাত খেত তারপর ঔষধটি খাবার পর দুই থেকে তিন প্লেট পর্যন্ত ভাত খেতে পারে। কিন্তু যখনই ওষুধটি খাওয়া বন্ধ করে দেয় তারপর থেকে আগে যেই পরিমাণ খাবার খেতো সেই পরিমাণ খাবারও পরবর্তীতে খেতে পারে না। খেতে খেতে বাদ দিলে একেবারে হ্মুদা মন্দা তা দেখা দেবে।
এই ওষুধটি একজন মানুষের শরীরে নেশার মতো কাজ করে। যখন ওষুধটি প্রতিনিয়ত সেবন করবেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেবে আপনাকে অনেক মোটা দেখাবে কিন্তু এগুলো হয় ওষুধে থাকা কিছু কেমিক্যাল মিশ্রিত করার কারণে। আমাদের শরীরের কোষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে পানি বৃষ্টি হয় এর ফলে আমাদেরকে মোটা দেখা যায়।
ভাবে মোটা দেখা দিল আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দেয় যেমন ধরুন কিডনিতে পানি হওয়া। এবং আমাদের ত্বকে বিভিন্ন চুলকানি সৃষ্টি হবে এর পাশাপাশি আমাদের মুখমন্ডলে এমনভাবে ব্রণ সৃষ্টি হবে অনেক ওষুধ ব্যবহার করার পর এগুলো ভালো হবে না।
হেলফিট tablet খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কিছুদিন পর পর আপনাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে যেমন অতিরিক্ত পরিমাণে পেট ব্যথা করবে। চাঁদের অল্প কিছু কাজ করার পরে হার্ট বৃদ্ধি পায় তারা এই ওষুধটি থেকে দূরে থাকবেন কেননা এই ওষুধটি যখন খাবেন মানুষের হার্ট অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। একজন মানুষের প্রেসার অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করে।
ঔষধটি সেবন করার কিছুদিন পর থেকে আপনার ডায়াবেটিস হয়ে যাবে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দানা দানা সৃষ্টি হবে অর্থাৎ আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি সৃষ্টি করবে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং এটি একেবারে নিঃশেষ করে দেন। আপনারা যারা বাবা মা হতে চান না তারা এই ওষুধ টি খেতে পারেন।
হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়। আপনাদেরকে যে হেলফিট ট্যাবলেটের এত খারাপ দিক সম্পর্কে বললাম। আশা করি আপনারা পরবর্তীতে এটি ব্যবহার করার সময় 100 বার চিন্তা করবেন। শুধুমাত্র এটিই নাই বাজারে এর থেকে বেশি মারাত্মক মারাত্মক রুচির ওষুধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ সোনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা।
আমি আপনাদেরকে একটি উপদেশ দেই আপনারা কখনোই বাজার থেকে রুচির ওষুধ কিনে খাবেন না। এর ফলে আপনাদের শরীরে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হেলফিট ট্যাবলেট কে কে খেতে পারবেন
এই ওষুধটি খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে তার নিচে যদি কেউ খায় তাদের সমস্যা দেখা দেবে। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তারা এই ওষুধটি কখনোই খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা আপনার শরীরের কোষ এখন বৃদ্ধি পাবে। এই সময় যদি কোন রুচির ঔষধ খান তাহলে কইগুলো বৃদ্ধিতে অনেক বাধা প্রদান করবে।
গর্ভবতী মায়েরা এ সকল ওষুধ থেকে দূরে থাকবেন এর ফলে আপনার বাচ্চার উপর পড়বে। প্রাপ্তবয়স্ক করা নিয়ম মেনে এটি খেতে পারবেন। খাবার পূর্বে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং তারপর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
হেলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা - শেষকথা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে হেলফিট ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এখান থেকে আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন। এই ওষুধটি খাবার কি ধরনের উপকারিতা রয়েছে এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি, খাবার নিয়ম এবং সতর্কতা সকল কিছু আপনাদেরকে জানিয়েছি।
নিজেরা উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওর সাথে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url