হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা (নতুন তথ্য)
শিমুল-মূল খাওয়ার উপকারিতাআসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম এবং এর পাশাপাশি উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেননি। আজকে আপনাদেরকে হাতের শুর গাছের সম্পর্কে বিস্তারিত জাগানোর চেষ্টা করব।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা বেশ কিছুদিন ধরেই গুগলে খুঁজছে হাতিশুর গাছের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম। সঠিক তথ্য জানতে চাইলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যারা এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তারা আর্টিকেলটি পড়ুন।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা - মূলভাব
বর্তমান সবাই আমাদের বিশুদ্ধ সমস্যার ফলে আমরা বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। আমাদের বাড়ির চারপাশে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাছ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে অনেক বড় বড় রোগ ভালো হয়ে যায়। এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। এ সকল প্রাকৃতিক গাছ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি।
কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার আমরা কেউই করতে জানি না। গাছগুলোকে জঙ্গল মনে করে আমরা কোন পরিচর্যা করি না এবং যেখানে দেখতে পাই সেখান থেকে উত্তোলন করে গাছটি নষ্ট করে দিই। এই কাজগুলো করা কিন্তু একেবারে সঠিক নয়। ওই সকল ঔষধি গাছের মধ্যে বিভিন্ন গাছ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাতিশুর গাছ।
আরও পড়ুনঃ সোনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা।
এই গাছটি আমাদের মানব জীবনের জন্য কতটা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বের করার জন্য এগুলো আপনারা জানলে অবাক হবেন। শুধুমাত্র এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও হবে না আপনাকে এর সঠিক ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার জন্য বেশি উপকার হবে।
এ দিকগুলো ভালোভাবে মাথায় রাখতে হবে। আজকে আপনাদেরকে এমন কিছু অজানা তথ্য জানতে চলেছি সেগুলো শুনলে পরবর্তী সময় থেকে আপনি হাতিশুর গাছ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে শুরু করবেন। তোমার আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনা থেকে ফিরে যাই।
হাতিশুর গাছ কি এবং চেনার উপায়
যারা শহরে থাকে তারা কিন্তু এই গাছটি অনেকেই দেখেননি। কিন্তু যারা গ্রামে বসবাস করে তারা প্রতিনিয়তই এই গাছের সাথে পরিচিত। কেননা যেখানে তারা ফসল উৎপাদন করে জমির পাশে এগুলো গাছ উত্তোলন হয়। এবং কৃষকরা এর সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতা না জানার কারণে জমি থেকে আগাছা হিসেবে পরিষ্কার করে ফেলে।
এখন আসি এই গাছটি দেখতে কেমন এই গাছটি মূলত একটু ছোট আকারে গাছ হয়ে থাকে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি পর্যন্ত এর উচ্চতা হয়। এবং বট গাছের পাতার মতো এই গাছগুলোর পাতা হয় কিন্তু পাতার ভিতর ছোট ছোট কোকড়ানো থাকে। এই গাছকে হাতিশুর বলার একটি কারণ রয়েছে যখন এই গাছের ফুল ফোটে তখন ফুলগুলো দেখতে হাতি সুরের মতন হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।
উক্ত সুরের ওপর ছোট ছোট সাদা রঙের ফুল ফোটে সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। যে সকল এলাকায় একটু পানি জমা থাকে ওই এলাকায় এগুলো বেশি যত নেই। আমি অনেক জায়গায় দেখেছি যারা ভেষজ ঔষধ তৈরি করে এই গাছগুলো নিয়ে গিয়ে এর শিকড় ব্যবহার করে। ক্যামেরা ভেষজ ডাক্তারেরা এগুলো দিয়ে ঔষধ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা
হাতিশুর গাছকে আমরা কখনোই ছোট করে দেখব কেননা এর পাতাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। এর পাশাপাশি এর শিকড় আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই এই কথা জানে না। আমাদের দেশে বহু বছর আগ থেকে এই গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে।
আমাদের শরীরে যাদের ছত্রাক জনিত সমস্যা হয় অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দাগ কালো দাগ এবং বিভিন্ন দাগ হয়ে থাকে। এবং অনেকেরই রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। এখন আপনার উচিত হবে হাতে শুয়োর গাছের পাতা রস করে উক্ত হ্মত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে দেওয়া। এরপর আস্তে আস্তে এই সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে।
আমাদের শরীরে অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘা হয় এবং অনেক জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এবং কোন কাজ করতে গিয়ে এবং খেলাধুলা করার সময় বিভিন্ন সময় আঘাত লাগে এবং আঘাত থেকে তৈরি হ্মত গুলো আমাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন করে দেয়। এবং ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক টাকার ঔষধ খেতে হয়।
এখন হাতিশুর গাছের পাতা রস করে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করলে এই আঘাত জড়িত ক্ষত এবং বিভিন্ন ঘা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় যাদের ছাপ এর লালা এবং অথবা বিভিন্ন বিষাক্ত জন্তুর লালা লাগার ফলে আমাদের শরীরে অনেক জায়গায় ফুলে যায় এবং ব্যথা করে।
আরও পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা।
হাতিশুরের পাতা লাগানোর ফলে সমাধান পাওয়া যায়। যাদের চর্ম রোগ, একজিমা, দাদ রয়েছে এবং অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও এগুলো ভালো হতে চাই না তারা এটি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন আশা করি ভালো ফল পাবেন। যাদের প্রচন্ড পরিমানে দাঁত ব্যাথা করে এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও এটি সমাধান হয় না এ অবস্থায় আপনি হাতিশুর পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
সহবাসের জন্য হাতিশুর গাছের মারাত্মক উপকারিতা
আপনারা অনেকেই এতক্ষণ ধরে বসে ছিলেন শুধুমাত্র একটি নিয়ম শোনার জন্য। আপনারা অনেকেই হাদিসের গাছের শিকড় ব্যবহার করেছে কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার না করার ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফলটি পাননি। যৌন দুর্বলতার ক্ষেত্রে হাতিশুর গাছের ব্যবহার বহু কাল আগে থেকে হয়ে আসছে।
কিভাবে এটি সেবন করবেন এবং সেবন করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে। হাতিশুর গাছের যে মূল শিকড় রয়েছে শিকরটি সবচেয়ে ভালো অংশ এক ইঞ্চি পরিমান সংগ্রহ করে নিবেন। এর সাথে একটি পরিষ্কার যথেষ্ট সাইজ অনুযায়ী পান নিবেন। আমরা অনেকেই কিন্তু হাটে বাজারে গেলে সাধারণত পান খাই। এই পানের সাথে এক চামচ পরিমাণ খাটি মধু নিবেন।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুন্দরভাবে মুখে দিয়ে কিভাবে এবং রসগুলো ভালোভাবে খাবেন। আবার একই নিয়মে সকালে খালি পেটে একটি পান এবং হাতিশুর গাছের শিকড় এর সাথে এক চামচ মধুর দিয়ে চিবাতে থাকবেন। একই নিয়মে ছয় থেকে বারো সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটি খেতে থাকুন। এভাবে ব্যবহারের ফলে আশা করা যায় আপনার যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
প্রথমত আপনাকে একটি হাতিশুর গাছ সংগ্রহ করে নিতে হবে। গাছটি সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন গাছটি যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। এটি বোঝার জন্য যে সকল গাছের ফুল হয়নি সে সকল গাছ নিবেন না সে সকল গাছের মূল আপনার কোন কাজে আসবে না। যে সকল গাছে ফুল হয়েছে এবং পাতা হালকা হলুদ রংয়ের হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা।
সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। একটি হাতিশুর গাছ প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সর্বনিম্ন তিন মাস সময় লাগে। এরপর সংগ্রহ করে আনার পর এর মূল ভালোভাবে পরিষ্কার করে কেটে নিবেন। এই ঔষধটি বানানোর জন্য আপনাদের মোট চারটি উপাদান লাগবে। একটি হচ্ছে হাতিশুর গাছের মূল, দ্বিতীয়ত লাগবে খাঁটি মধু।
তৃতীয়ত একটি কাঁচা পরিপক্ক পান এবং একটু কালোজিরা। সর্বপ্রথম দেখে নিবেন সবগুলো পরিষ্কার রয়েছে কিনা। এরপর একটি পান নিবেন এবং সেখানে হাতিশুর গাছের মূল 1 ইঞ্চি পরিমাণ নিবেন। এরপর এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা ব্যবহার করতে হবে। এর উপর উপকারিতা ও সাধ বৃদ্ধির জন্য মধু নিবেন।
বাজারে যেমন একটি পান বিক্রি হয় সেভাবে এই পানটি বানিয়ে নিবেন। এরপর খেতে পারেন। কিন্তু হাতিশুর এর মূল মোটা অংশ হলে সর্বোচ্চ এক ইঞ্চি পরিমাণ এবং যদি চিকন সরু অংশ হয় তাহলে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ। এই নিয়মের ব্যতিক্রম খেলে আপনার চলাচল করতে অনেক সমস্যা হবে কেননা এটি মানবদেহের অনেক বড় পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
এটি অবশ্যই ঘুমানোর এক ঘন্টা পূর্বে খাবেন তাহলে কিছু সময় পর কার্যকর ভালো পাবেন। যখন প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে খাবেন সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর থেকে আপনি এর ফলাফল দেখতে পাবেন।
হাতিশুর গাছের অপকারিতা
কোন ভিটামিন ঔষধ যেমন আমাদের শরীরের যত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঠিক তেমনভাবে আমরা যদি ভিটামিন অধিক পরিমাণে এবং নিয়ম অনুসরণ না করে খেতে থাকি তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরে অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। ঠিক তেমনভাবে হাতিশুর গাছ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার না করলে আপনার সমস্যা দেখা দিবে।
আসো তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নেই। এতে এমন কিছু পদার্থ রয়েছে যা বেশি ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে টিউমার তৈরি করতে সাহায্য করে। মারাত্মক টিউমার এবং জটিল ক্যান্সার গবেষণায় এগুলো ব্যবহার করা হয়। তাই অবশ্যই এটি ব্যবহার করার পূর্বে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ দিবেন অথবা সঠিক নিয়ম মেনে খাবেন।
হাতিশুর গাছের কোন কোন অংশ খাওয়া যায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে এর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং কোন অংশে কোন খাওয়া সম্ভব। আপনারা এই গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে উপরে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে আবার জানার জন্য করতে পারেন।
বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে অর্থাৎ আমাদের ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য হাতিশুর গাছের পাতা অনেক উপকারি। এরপর গাছের মূল অর্থাৎ শিকড় আমরা ব্যবহার করতে পারি। শুধুমাত্র শিকড় ব্যবহারের নিয়ম আমরা ইতিপূর্বেই জেনেছি। গাছের যেই ডাল রয়েছে এগুলো ছাড়া আর গাছের ফুল ব্যতীত সবকিছুই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
যৌন সমস্যা দূর করার গাছ
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। অনেকের যৌন সমস্যা এমন পরিমাণ হয় যে অনেক ঔষধ খাওয়ার পরেও কোন কাজ হয় না। তারা প্রকৃতিতে পাওয়া এমন কিছু গাছ রয়েছে এগুলো ব্যবহারের ফলে ভালো ফলাফল পেতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হয়েছে শিমুল গাছের মূল।
এবং হাতিশুর গাছের শিকড়। এই দুইটির মধ্যে একটি যদি প্রতিনিয়ত নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার যৌন সমস্যার সমাধান হয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। এই গাছগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত। তাই খাওয়ার পূর্বে কোন অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। অধিক পরিমাণে খেলে আপনাদের সমস্যা হতে পারে।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা - শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সঙ্গে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনারা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
অন্যকে সাহায্য করার জন্য আপনার ফেসবুক টাইম লাইনে পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন। অন্যরা যেন উপকৃত হতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিনিয়ত শেয়ার করা হয় যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্যগুলো জানতে সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url