চুল পড়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চুল গজানোর উপায়
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে করণীয়আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি মাথার সামনে চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো এখনো পর্যন্ত জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এখানে মাথার সামনে চুল গজানোর উপায় এবং কিভাবে এটি প্রতিরোধ করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমি বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি গুগলে মানুষ সার্চ করছে চুল পড়া কমানোর উপায়। অনেক সময় অনেক ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আপনাদের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আপনাদের সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আলোচনা করার চেষ্টা করব।
মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় - মূলভাব
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশিরভাগ সময় দেখা যায়। অনেকের মাথার বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে মাথার সামনে চুলগুলো পড়ে যায়। এর পাশাপাশি অনেকের মাথায় কোন চুলি থাকে না সব চুল পড়ে যায়। আপনি কি জানেন এই মারাত্মক সমস্যা হলো কিভাবে সৃষ্টি হয়।
এবং আপনি প্রতিনিয়ত কি কাজগুলো করছেন এবং কিসের ভুলের কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আপনাদেরকে এমন কিছু অবাক করা তথ্য জানানোর চেষ্টা করব যা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। পরবর্তী সময় থেকে ওই কাজটি করার সময় বারবার চিন্তা করবেন কেননা এর ফলে আপনার মাথার চুলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অনেকে রয়েছে যারা ইউটিউবে এবং google এ উল্টাপাল্টা ভিডিও দেখার ফলে মাথায় বিভিন্ন প্রকার পদার্থ ব্যবহার করেছেন এবং এগুলো ব্যবহার করার পর আপনাদের চুল আরও বেশি পড়তে শুরু করছে। কিছু ডাক্তারের পরামর্শ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এগুলো ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং কাজে লাগানো চেষ্টা করবেন। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
মাথার চুল পড়ে যাওয়ার মূল কারণ
মাথার চুল পড়ার মূল কারণ হচ্ছে এন্ড্রোজেন এলোকেশিয়া। এর অর্থ হচ্ছে টাইপ অফ প্যাটার্ন লস ছেলেদের ক্ষেত্রে কপালে দুই সাইডে চুল ঝরে যায়। এবং মেয়েদের কপালে দুই সাইডে সহ পুরো মাথার চুল ধীরে ধীরে ঝরতে শুরু করে। এই সমস্যাটি দূর করতে হলে আগে এই সমস্যাটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।
বা এটি কিভাবে আমাদের চুল ফেলে দিচ্ছে সেটি লক্ষ্য করতে হবে। ছেলেদের হরমোন পরিবর্তনের সময় যখন দেহের বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন দেখা দেয়। ঠিক একই সময়ে আমাদের মাথার এই উপরের চামড়া গুলো মোটা হতে শুরু করে। এবং মাথার চুলের গোড়াগুলো আরো ধীরে ধীরে আঁকড়ে ধরে।
এরফলে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পরিমাণ মতো পৌঁছাতে পারেনা। চুল সঠিক পরিমাণ খাদ্য না পাওয়ার কারণে আমাদের মাথার চামড়া গুলো উঠে যেতে শুরু করে এই জন্য আমাদের চুলও উঠে যায়। আপনার শরীরে ডিএসটি যখন বৃদ্ধি পাবে তখন গোসল করার সময় দেখতে পাবেন চুলে যখন মুখ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে শুরু করবেন।
তখন নোটের সাথে সাদা সাদা কিছু লেগে যাবে। তখন বুঝে নেবেন আপনার চুলে জিএসটি এর পরিমাণ অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আপনার চুলগুলো ঝরে পড়ছে।
কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
আপনার হাতের কাছে থাকা কিছু ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে কিন্তু আপনার মাথা চুল গুলা আপনি ভালোভাবে তৈরি করে নিতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের প্রচুর পরিমাণে সালফার রয়েছে যে আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গড়াতের সাথে।
আরও পড়ুনঃ প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে পেঁয়াজের রস করে যেখানে চুল নেই সেখানে লাগিয়ে দিবেন। রস ছাড়াও আপনি শুধুমাত্র পেয়াজ কেটে লাগাতে পারবেন। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করবেন। আপনারা নিশ্চয়ই ক্যাস্টর অয়েল এর নাম শুনেছেন। এটা কিন্তু বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য কাজের তুলনায় চুল গজানোর জন্য এই তেলের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। যাদের ভ্রু চিকন তাদেরকে এই ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে বলা হয়। এর জন্য চোখের ভ্রু আরো মোটা দেখা যায়। এক থেকে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সাথে এক থেকে দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিতে হবে।
এরপর ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন। রসুন পেঁয়াজের মত এটাতেও প্রচুর পরিমাণে সালফার রয়েছে। এটি ব্যবহার করার সময় দুই থেকে তিন টুকরা রসুন নিতে হবে এবং কিছু পরিমাণ নারিকেলের তেল।
এরপর রসুন ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে তেলের সাথে মিশ্রণ করে মাথার ত্বকে লাগাবেন। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে হবে। আলু তো আমরা সকলেই খাই তো আমরা কি জানি যে আলু দিয়ে আমাদের চুল গজানোর একটি ঔষধ তৈরি করা যায়। এর জন্য দুটো আলু একটি কাঁচা ডিম এবং একটু মধু নিতে হবে।
আলুর রস বের করুন এবং এর সাথে ডিমের কুসুম যোগ করুন এবং এক চামচ মধু। এরপর মাথার ত্বকে লাগিয়ে দিন। এটা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। যখনই এগুলো লাগাবেন এরপর কাঙ্খিত সময় পর চুলের শ্যাম্পু করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।
মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়
বর্তমানে বিশ্বের দুজন মানুষের মধ্যে একজন মানুষেরই চুলের কোনো না কোনো ধরনের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা কি দূর করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদের জানা উচিত এই চুল পাড়াটি কেন দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন কারণে ফলে এটি হয়ে থাকে যেমন আপনার বংশগত কারণে এটি বেশিরভাগ দেখা যায়।
ভালোভাবে খেয়াল করে দেখবেন যাদের পরিবারের মানুষদের মাথার চুল ঝরে পড়ে পরবর্তী প্রজন্মের শিশুদেরও কিন্তু এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই আপনার উচিত হবে ছোটবেলা থেকেই ভালোভাবে চুলের যত্ন নেওয়া। রাতারাতি এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন না কখনোই।
আরও পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে।
কোন দামি কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা থেকে সমাধান আপনি কখনোই করতে পারবেন না। আপনার চুলে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করলে কিছুদিন হয়তো বা চুল ভালো দেখাবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনার মাথার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চুল পড়ে যাওয়া, খুশকি, আরো অন্যান্য চুলের সমস্যা।
সমাধানের জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে হবে। চুলের শ্যাম্পু কম করবেন শ্যাম্পুতে রয়েছে অধিক পরিমাণে কেমিক্যাল। প্রাকৃতিক তেল ব্যবহারের ফলে আপনার মাথার ত্বককে আরো মসৃণ করে তুলে। চুলে কোন ধরনের ইনফেকশন থাকলে সেগুলো ধীরে ধীরে ভালো করে দেয়।
প্রাকৃতিক গুলো ব্যবহার করা খুবই সোজা। রাতে ঘুমানোর পূর্বে আপনার হাতে অল্প একটু পরিমাণ তেল নিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় 15 মিনিট ভালোভাবে মালিশ করবেন। এবং সকালে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ফেলবেন।
আমাদের চুলের যত্ন কিভাবে নেব
আপনারা প্রতিদিন যদি চুল ধুয়ে থাকেন তাহলে এই অভ্যাসটি এখনই বাদ দিয়ে দিন। প্রতিদিন যখন চুল পানিতে ভিজায় তাহলে আমাদের চুলে আমাদের শরীরের হেয়ার ফলিকল থেকে বের হওয়া অয়েল যেটা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরে বের হয়ে থাকে। যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী।
কিন্তু প্রতিদিন চুল ধোয়ার ফলে এই প্রাকৃতিক অয়েল গুলো নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেতে পারে না। এমত অবস্থায় আমাদের চুল উস্কো খুশকি হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কারি পাতা খেতে পারেন।
এই পাতাতে রয়েছে বেটা কারোটির নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দ্বিতীয়তঃ আমরা আখরোট খেতে পারি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ভিটামিন বি ওয়ান এবং ভিটামিন বি ৬। এছাড়াও নারিশমেন্ট অয়েল থাকে।
যা আমাদের চুলকে আরো ঘন এবং মসৃণ করে। দুই খেতে পারে এতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমলকি যাদের চুল ছোটবেলা থেকে সাদা হয়ে যায় আমলকি খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটি দূর হয়।
টাক মাথায় চুল গজানোর কার্যকরী উপায়
যারা অনেকদিন ধরে চুল পড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছেন। আপনার মাথার সামনের অংশের চুল গুলো পড়ে যায়। অনেক কেমিক্যাল এবং আয়ুর্বেদিক ঔষধ ব্যবহার করার পরেও এই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আজকের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার চুলের জন্য কোনটি ব্যবহার করা সবচেয়ে বেশি ভালো হবে।
এবং কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে উপকরণ দিয়ে কিভাবে চুল পড়া রোধ করবেন। প্রত্যেকটির চুল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করে আমাদের উচিত হবে কুমড়ার বিচির তেল ব্যবহার করা। এখানে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উপাদান রয়েছে।
এটি ব্যবহার করার কিছুদিনের মধ্যেই এর ফলাফল গুলো দেখতে পাবেন। ১-২ সপ্তার মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন না এর জন্য আপনাকে এক মাসের বেশি অপেক্ষা করতে হবে।
মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় - শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে মাথার সামনে চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছি। আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
এখানে এমন কিছু তথ্য নিত্যদিন শেয়ার করা হয় যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্য গুলো জানতে সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url