সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত ? অন্যান্য কাজের (আপডেট)
মাল্টা কাজের ভিসা এক মাসের বেতন কতআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত এ সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য করতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্য। কেননা আজকে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
আমি বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি গুগলে মানুষ সার্চ করছে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার বেতন কত। তাদের কথা চিন্তা করে আমি এই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি যেন তারা কোন প্রতারিত না হয়ে সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার বেতন কত - মূলভাব
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বিভিন্ন দেশে যাবেন চাকরি করতে। চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন কাজের জন্য আপনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান এবং ইনকাম করার পর দেশের রেমিটেন্স পাঠান। বাংলাদেশি মানুষদের কাছে বিশ্বের কিছু কিছু দেশ রয়েছে সেগুলো অনেক জনপ্রিয়। কেননা ওই সকল দেশের টাকার মান অনেক উন্নত।
তাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওই সকল দেশের তালিকা। দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সৌদি আরব। আপনি যদি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখেন প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে কেউ না কেউ সৌদি আরবে যাচ্ছে। শুধুমাত্র কাজের জন্য সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বাংলাদেশি শ্রমিরা।
কেউ বা বৈধভাবে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে যাই আবার কেউবা অবৈধভাবে যায়। আপনারা হয়তো জানেন ভালো এবং সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা এটা মূলত কাদেরকে দেওয়া হয় এবং এই কাজের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে একজন কর্মীর সর্বনিম্ন বয়স কত হবে।
এবং কোম্পানি ভিসার জন্য কত টাকা বেতন পাবে একজন কর্মী এ সম্পর্কে বেসিক থেকে একেবারে বিস্তারিত আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
সৌদি আরবে আপনি কিভাবে যেতে পারবেন
আপনি যদি সৌদি আরবে আসতে চান তাহলে আপনাকে তিনটা নিয়মে আসতে হবে।
মালিকের ভিসা-যেমন ধরুন কোন একজন মালিক তার গাড়ি চালানোর জন্য একজন ড্রাইভার নেবে সে ক্ষেত্রে ওই মালিকের ভিসা নিয়ে আপনাকে আসতে হবে এবং কারো পার্সোনাল কিছু কাজ থাকে এগুলো করার জন্য তারা কর্মী নেই ক্ষেত্রে আপনি মালিকের ভিসা ব্যবহার করে আসতে পারেন।
সাপ্লাই কোম্পানির ভিসা-এখন কথা হচ্ছে সাপ্লাই কোম্পানি কাকে বলে আপনি যেই প্রতিষ্ঠান কিংবা মালিকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে সৌদি আরবে আসলেন এরপর আপনি চাচ্ছেন যে ওর তত্ত্বাবধানে আপনি আর থাকবেন না।
কিংবা কাজ আপনি পাচ্ছেনা এক্ষেত্রে আসার পর অন্য কোন মালিকের কাজ করা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আপনার ইচ্ছা মত আপনি যদি কাজ করেন সেক্ষেত্রে একে সাপ্লাই কোম্পানির ভিসা বলে।
ডাইরেক্ট কোম্পানি ভিসা-এখন সৌদি আরবে কিন্তু প্রতি বছরে বছরে অনেক ভিসার জন্য পাসপোর্ট এবং যাবতীয় খরচ পাঠানো হয় বাংলাদেশ। সৌদি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে তারা এই ভিসার আওতাভুক্ত কর্মী নেয় তাদের কোম্পানির কাজের জন্য।
সেটা হতে পারে বিভিন্ন কোম্পানি এরপর আপনি যখন সৌদি আরব আসবেন তারপর ওই নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতাভুক্ত হয়ে যদি আপনি কাজ করেন এক্ষেত্রে এটাকে বলে ডাইরেক্ট কোম্পানি ভিসা।
সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগে
সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা রাখতে হবে নিজের কাছে। এখন আপনি যেই উপায়ে রোজা যেতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী আপনার টাকা খরচ হবে। আপনাকে একটি বাজেট রাখতে হবে যেমন ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
কিন্তু আপনি যদি মালিকের ভিসায় আসতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার একটু বেশি টাকা খরচ হতে পারে। আপনি যদি সৌদি আরবে আসতে চান তাহলে আপনার বাজেট ৪ লক্ষ টাকা সব সময় রাখবেন। এক্ষেত্রে দেখা গেল যে সৌদি আরবে গিয়ে আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি কাজ নাও পান কিছুদিন যেন আপনার থাকা খাওয়া এবং অন্যান্য খরচ চালাতে পারেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবে আসার পূর্বেই আপনাকে সর্বপ্রথম মাঠে রাখতে হবে আপনি কোন কাজে বেশি পারদর্শী এবং কোন কাজটি আপনি ভালো পারেন। কেননা আপনি যে কাজটি ভালো পারবেন ওই ভিসার জন্য আবেদন করলে আপনি কাজটি ভালোভাবে করতে পারবেন। আমি আপনাকে এখন কিছু কাজের কথা বলব।
সেগুলো শুনার পর সেই কাজগুলো করার একটু অভিজ্ঞতা নিয়ে সৌদি আরবে আসার চেষ্টা করবেন কেননা এই কাজগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি অনেক টাকা করে বেতন পাবেন।আপনি যদি ইলেকট্রিক্যাল কাজে বেশি পারদর্শী হন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি সুখবর রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপকে রুটির ঝুড়ি বলা হয় কেন জানুন।
কেননা এ কাজের জন্য সৌদি আরবে অনেক মালিকরা বসে থাকে কর্মী নেওয়ার জন্য। সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজের কোন অভাব নেই আপনি যদি ভালোভাবে বাংলাদেশ থেকে শিখে আসতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি মাসে বেতন হতে পারে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।আপনি চাইলে বিল্ডিং রং করার কাজ করতে পারেন।
এখানে এই কাজগুলো একটু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর শত শত মানুষ আসে এই সৌদি আরবে এই কাজটি করার জন্য। এখানে এই কাজের কোন অভাব নেই এই কাজ থেকে আপনি প্রতি মাসে অনায়াসে 70 থেকে 80 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।সৌদি আরবে আসার পর আপনার কিছু দিন সমস্যা হতে পারে।
কেননা এখানকার আগের ভাষা আপনি নাও জানতে পারেন তাই কিছুদিন ভালোভাবে আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ নিবেন এবং পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারেন অথবা প্রথম প্রথম কাজ নাও পেতে পারেন তাই ধৈর্য কখনোই হারাবেন না একসময় যখন কাজ পেয়ে যাবেন তখন আপনার অনেক টাকা বেতন হবে।
আমি যেই দুটি কাজের কথা বললাম এগুলো কিন্তু কোম্পানির মাধ্যমেও আপনি করতে পারেন এবং কোম্পানি ছাড়া অর্থাৎ ফ্রি ভিসা ব্যবহার করে আসতে পারেন। কিন্তু বেতনের দিক থেকে দেখতে গেলে কোম্পানি ভিসা নিয়ে আসায় আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভালো হবে কেননা কোম্পানির ভিসার ক্ষেত্রে তারা অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে।
এবং ফ্রি ভিসার ক্ষেত্রে অতটাও সুযোগ আপনি নাও পেতে পারেন। সৌদি আরবে কাজ করতে হবে আপনাকে সর্বমোট ৭ থেকে ৮ ঘন্টা এই কাজটি করার পরও আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন এর পাশাপাশি অফিস শেষ হওয়ার পর আপনি অন্যান্য কাজ করতে পারেন এর ফলে আপনার বাড়তি টাকা ইনকাম হবে।
সৌদি আরবে যে সকল কাজের চাহিদা অনেক বেশি
দুঃখের বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়ের সৌদি আরবের কাজে খুবই অভাব। এরপরেও বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং ভারত থেকে অনেক প্রবাসী ভায়েরা সৌদি আরবে যাচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে সব সময় অনুরোধ থাকবে আপনারা যখন সৌদি আরবে আসবেন কোন না কোন কাজের পারদর্শিতা অর্জন করে তারপরে সৌদি আরবে আসার চেষ্টা করবেন।
- অটোমোবাইল কিংবা ওয়ার্কশপের কাজ-এই কাজটি হচ্ছে কোন ধরনের গাড়ির টেকনিক্যাল কাজ অর্থাৎ বাংলা ভাষায় যাকে বলে গ্যারেজের কাজ। এই কাজটি আপনি যদি শিখে আসতে পারেন তাহলে অনেক চাহিদা এ কাজের সৌদি আরবে।
- পাইপ ফিটার-বর্তমানে সৌদি আরবে কিন্তু অনেক পানির কাজ করা হয় এবং অন্যান্য যে সকল পাইপের কাজ রয়েছে সেগুলো যদি আপনি ভালোভাবে মেরামত করতে পারেন এবং একে অন্যের সাথে জোড়া দিতে পারেন। তাহলে এই কাজের অনেক জায়গা রয়েছে এখান থেকে অনেক মোটা অংকের অর্থ ইনকাম করতে পারবেন আপনি।
- রাজমিস্ত্রি কিংবা নির্মাণ কাজ- বর্তমানে সৌদিতে অনেক বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে এর জন্য কিন্তু অনেক কর্মীর প্রয়োজন হয় তাই সৌদি থেকে প্রত্যেক বছর অনেক কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। আপনি যদি বাংলাদেশে কখনো রাজমিস্ত্রি কাজ করে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য।
- রড মিস্ত্রির কাজ- যেহেতু রাজমিস্ত্রি কাজের চাহিদা রয়েছে ঠিক তেমনভাবে রড মিস্ত্রি কাজেরও অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই এটি আপনার জন্য একটি সেরা কাজের মাধ্যম হতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটিতে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত বললাম এবং অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে আপনার বেতন কত এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন।
অন্যের সাহায্যর ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু কিংবা নিকটস্থ আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন। এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url