ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন সম্পর্কে নতুন আপডেট
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে এ টু জেডআসসালামু আলাইকুম, আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজতেছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এখানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট স্যালারি লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই খেয়াল করে দেখছি গুগলের মানুষ সার্চ করছে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন। তাদের কথা চিন্তা করে মূলত আর্টিকেলটি তৈরি করা। যেন তাদের কাজে লাগে এবং সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন - মূলভাব
সম্প্রতি অনেক জায়গায় আমি দেখলাম ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং এর স্যালারি লোন পদ্ধতি জানতে চাই তারা। বর্তমান সময়ের ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্যালারি লোন একাউন্টের সংখ্যা অনেক বেশি। হাজার হাজার এবং লক্ষ লক্ষ একাউন্ট হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তে।
এই স্যালারি লোন একাউন্ট এর সাথে যুক্ত হতে চলেছে এবং অনেকেই যুক্ত রয়েছে। সর্বপ্রথম আপনাদেরকে স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে কিছু ধারনা দেই। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট কখনোই পার্সোনাল ভাবে খোলা যাবে না। আমি কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ম তো রয়েছি আমি ব্যাংকে যে বললাম।
আরও পড়ূনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের চার্জ।
যে একটি স্যালারি একাউন্ট খুলবো সাধারণত এইভাবে কখনোই একাউন্ট খোলা যায় না। সেলারি একাউন্ট হয় কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে। ব্যাংকের একটি এগ্রিমেন্ট অথবা চুক্তি পত্রের মাধ্যমে সেলারি বিষয়ে সেই প্রতিষ্ঠান কিছু শর্তের প্রেক্ষিতে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে। যে তার প্রতিষ্ঠানে যে সকল কর্মচারী রয়েছে।
তাদের সেলারি এই প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তভাবে দিব। তখন ওই নির্দিষ্ট ব্যাংকটি তাদের কর্মই দেয়ার জন্য একটি একাউন্ট খুলে দেয়। এক্ষেত্রে কর্মচারীদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদেরকে কার্ড দেওয়া হয় এবং কেউ চেক নিতে চাইলে চেক দেওয়া হয়।
কর্মচারীরা মূলত এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের বেতন উত্তোলন করে এবং তার সাথে কিছু কাজও করতে পারে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন চার্জ
স্যালারি একাউন্ট লোন সম্পর্কে কোথায় কোন ধরনের চার্জ প্রদান করা হয়। এখন আমরা এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করব। প্রথমত যে চার্জের কথা বলি আপনি যে ডেবিট কার্ড নেন সেই কার্ডের চার্জ। সাধারণত ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে নিজস্ব কার্ড রয়েছে নেক্সাস পে। এই কার্ডটি নেওয়ার পর অ্যাকাউন্ট খোলার পর প্রথম বছর কোন প্রকার চার্জ নেওয়া হয় না।
দ্বিতীয় বছর থেকে কাদের জন্য চার্জ নেওয়া হয় ভ্যাটসহ ৪৬০ টাকা করে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অন্যান্য একাউন্ট ক্ষেত্রে এটিএম নেটওয়ার্কের জন্য বছরে ২৩০ টাকা করে। প্রত্যেকটি কার্ডের জন্য। সেখানে এই সেলারি একাউন্ট এর ক্ষেত্রে এটিএম এর জন্য কোন চার্জ নেওয়া হয় না। শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের জন্য চার্জ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম।
পরবর্তী বিষয় হচ্ছে একাউন্ট মেইনটেনেন্স চার্জ এটি মূলত বছরে দুইবার নেয়া হয় একবার জুন মাসে শেষে এবং ডিসেম্বরের শেষে। কর্পোরেট সেলারি একাউন্টের ক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্ট মেনটেনেন্স করার জন্য এক্ষেত্রে কোন চার্জ ব্যাংকে দিতে হয় না। তবে এই চার্জটি ব্যাংক নিয়ে থাকে না কিন্তু বছর শেষে ভ্যাট সহ সরকারকে জমা দিতে হয়।
কোন ব্যাংক একাউন্ট এর ক্ষেত্রে যে কোন একটি গ্রাহকের বছর শেষে অর্থাৎ বছরের কোন এক সময় এক লক্ষ টাকার উপরে যদি যায় বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষে এই চার্জ সরকার নিয়ে থাকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন লেনদেন লিমিট
আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা জানতে চান ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন লেনদেন লিমিট কত টাকা। এটা নির্ভর করবে আপনার বেতনের উপর। আপনি প্রতি মাসে যত টাকা বেতন পাবেন সেই অনুযায়ী ব্যাংক আপনাকে একটি লেনদেনের লিমিট করে দিবে। এটা নির্ভর করবে আপনার বেতনের মূল এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উপর।
এই ব্যবস্থাটি করা হয় যদি আপনি চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে চান। এক্ষেত্রে ডেবিট কার্ডের জন্য প্রতিদিন টাকা লেনদেনের লিমিট হচ্ছে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার একাউন্টে যদি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে আপনি চাইলে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে লেনদেন করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম।
এখন হচ্ছে এটিএম মেশিন থেকে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন আপনি ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এর পাশাপাশি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এভাবে মাস শেষে আপনি ৩০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং ট্রান্সফার করতে পারবেন। এই সুবিধাটি ডাচ-বাংলা।
ব্যাংক সেলারি একাউন্টসহ যত ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।কেউ যদি চেকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রথম যেই চেক বইটি রয়েছে সেখানে আপনি যেই ব্রাঞ্চ থেকে একাউন্টটি তৈরি করেছেন সেখান থেকে আবেদন করার পর আপনাকে দিবে।
স্যালারি ডেবিট কার্ড ছাড়া অন্য কার্ড ব্যবহার
আপনাদের প্রশ্ন হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস পে কার্ড ছাড়া কোন ভিসা কার্ড এবং মাস্টার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে কি যাবে না। অবশ্যই আপনি চাইলে এই স্যালারি একাউন্টের বিপরীতে আপনি অন্যান্য কার্ড নিতে পারবেন। ভিসা কার্ড এবং মাস্টার ডেবিট কার্ড যদি নেন সেক্ষেত্রে কার্ড মেনটেনেন্স চার্জ হবে আরও বেশি।
এর জন্য প্রতিবছর আপনাকে ৮৫০ টাকা ৬২ পয়সা করে চার্জ দিতে হবে। কিন্তু সেলারি ডেবিট কার্ডের যেই সুবিধা ছিল প্রথম বছর কোন চার্জ নেওয়া হবে না কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কার্ড নিলে প্রথম বছর থেকেই আপনাকে এত টাকা করে চার্জ দিতে হবে। এখন আপনি চাইলে ভিসা ডেবিট কার্ড অথবা মাস্টার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা।
আবার নেক্সাস ডেবিট কার্ড বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র একটি চালাতে চাইলে চালাতে পারেন। আপনি যতগুলো কার্ড চালাতে পারবেন সেই কার্ড অনুযায়ী প্রতিবছর আপনাকে কার্ড অনুযায়ী চার্জ দিতে হবে। এখন কোন কার্ড যদি বন্ধ করতে চান তাহলে আপনার কোন চার্জ নেওয়া হবে না।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে
আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন এবং যেই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার এই স্যালারি একাউন্টটি খোলা হয়েছে। এখন আপনি যদি ওই কোম্পানিটি ছেড়ে দেন। অন্য ভালো কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের চাকরিটি ছেড়ে দিলেন এখন আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি অ্যাকাউন্টটি চালাতে পারবেন না এই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কর্পোরেট সেলারি একাউন্ট গুলো যখন হয় ব্যাংকের সাথে যে সকল পাত্রের মাধ্যমে এটি করা হয়। সেই এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেলারি একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠান যদি চাই তাহলে যেকোনো সময় ব্যাংকে আবেদন করে আপনারে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারে।
তারা মূলত সচরাচর এ সকল কাজ করে না কিন্তু আপনার একাউন্টে যদি কোন বড় সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ না ও হতে পারে।
একাউন্টটি বন্ধ করার সময় যদি আপনার একাউন্টে কোন টাকা থাকে তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে এবং টাকাটি উত্তোলন করে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেবে এর মধ্যে আপনাকে টাকাটি নিতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে কিছু জরুরি কাগজপত্রের দরকার হবে সেগুলো হচ্ছে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট এবং ডাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
- আপনার বেতনের রশিদ এবং কতদিন ধরে কাজ করছেন এর একটি স্লিপ।
- আপনার ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা এবং এলাকার নাম এর পাশাপাশি পৌরসভা এবং জেলা থানা সব কিছু দিতে হবে।
- আপনি যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চাকরির বিষয়ে কিছু জরুরী কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো জমা দিবেন।
- আপনার একাউন্টে কত টাকা রয়েছে এবং পূর্বের 8 মাস এর ব্যাংকের লেনদেনের স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেননা তারা আপনার একাউন্ট সম্পর্কে সত্যতা যাচাই করে দেখবে।
- আপনার চাকরির বয়স অবশ্যই এক বছর হতে হবে কেননা তারা আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখবে। তাই চাকরির বয়স এক বছর হওয়া আবশ্যক।
এরপর জরুরী কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর তারা আপনার সত্যতা যাচাই করে দেবে এবং আপনার চাকরির অভিজ্ঞতা এ সম্পর্কে আরো কিছু জানার পর যদি আপনার একাউন্টটি তৈরি করতে তারা ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে আপনার এটি কাজ হয়ে যাবে। তবে এই একাউন্টে তৈরি করার জন্য আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা কর হতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বললাম। এখান থেকে কোন সঠিক তথ্য কিছু জানতে পারলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url