অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ নতুন আপডেট
অঙ্গীকারনামা লেখার সহজ উপায়আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য খুজতেছেন। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেন নি। তাহলে আপনাকে আর হয়নি স্বীকার হতে হবে না। এখানে আপনি যত ধরনের অঙ্গীকারনামা লেখা যায় সকল কিছু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
আমি বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম জানতে চায়। তাদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এই আর্টিকেলটি তৈরি করা। আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন।
অঙ্গীকারনামা লেখা নিয়ম - মূলভাব
বর্তমান সময়ে আমরা অনেক সময় দেখতে পাই বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকার নামা লিখতে হয়। প্রথমে জেনে নেই এই অঙ্গীকারনামা কাকে বলে। আমরা কোন বস্তু অথবা প্রতিষ্ঠান যদি কারো থেকে ক্রয় করতে যাই। তাহলে ক্রয় বাবদ যে সকল মানুষের তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো একটি ডকুমেন্টের মাধ্যমে চুক্তিপত্র তৈরি করার নামই হচ্ছে অঙ্গীকারনামা।
এটি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে কোন সময় টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা তৈরি করা হয়। কখনো বা ব্যবসার কাজে। এমন কি কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করার জন্য একটি অঙ্গীকারনামা লাগে। আপনি যদি এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে ভর্তি হন তাহলে নতুন স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে একটি অঙ্গীকারনামা লিখে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশে অনেক মানুষ থাকার কারণে সবার চাহিদা কিন্তু আলাদা আলাদা। প্রকারভেদের সবাই বিভিন্ন অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম খুজে থাকে। আজকের এই ব্লগটিতে বিভিন্ন অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখবেন সেগুলো বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। তো বন্ধুরা আসেন আপনাদের মূল্যবান সময় অসাধারণ নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
ব্যবসায়ের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম
বিনিয়োগ চুক্তিপত্র
নামঃ ইকরামুল, পিতাঃ আলমগীর, বর্তমান ঠিকানাঃ জামশেদপুর বগুড়া, ৫ নং রোড-বাইপাস, ধর্মঃ ইসলাম/হিন্দু, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, পেশাঃ ব্যবসায়ী
............ প্রথম পক্ষ/হাসান ট্রেলার এন্ড গার্মেন্টস।
নামঃ হাসিবুর ইসলাম, পিতাঃ মোতালেব, ঠিকানাঃ রংপুর, থানাঃ ভাটিয়াচর, রোড নংঃ১১, ধর্মঃ ইসলাম/হিন্দু, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।
............ দ্বিতীয় পক্ষ/অংশীদার
ব্যবসায়িক বিনিয়োগকারী চুক্তিপত্র শুরু করলাম। আমরা অনেক আগে থেকেই দুজন বন্ধু। তাই আমাদের মধ্যে অনেক দিন থেকে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমার বন্ধুকে অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষকে হাসান ট্রেলার এন্ড গার্মেন্টস এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার জন্য সম্মতি প্রদান করলাম।
আমরা দুজনএই মতামতের উপর অটুট রয়েছি। এবং উভয়ের কথা চিন্তা করে এই বিষয়টিতে একমত হয়েছি।
শর্তাবলী
বর্তমানে প্রথম পক্ষ উক্ত ব্যবসা টি র অনেকদিন ধরে পরিচালনা করে আসছে। এবং বর্তমানে দ্বিতীয় পক্ষে ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করার জন্য ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে সর্বমোট ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করল। বর্তমানে দোকানের যত ধরনের খরচ রয়েছে এই খরচের মোট ১০% হারে দ্বিতীয় পক্ষ প্রতিষ্ঠানের ভালোর জন্য ব্যয় করিবেন।
তবে পরবর্তীতে দ্বিতীয় পক্ষ যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে কিছু লাভের আশা না পায় তাহলে যদি বিনিয়োগটি নিয়ে নিতে চাই তাহলে দুই মাস আগে প্রথম পক্ষের কাছে জানিয়ে দিবেন।
আপনিও উপরে যে সকল বিষয়ে আলোচনা করলেন এগুলো আমরা ভালোভাবে চিন্তা করে স্বেচ্ছায়, কারো কথা না শুনে এবং সুস্থ মস্তিষ্কে আমরা দুই পক্ষ ভালোভাবে চুক্তিপত্রটি পড়ে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য উক্তপত্রে আমরা স্বাক্ষর করলাম। এখানে কোন যদি সমস্যা হয় তাহলে আমরা উভয়ই দায়ী থাকবো।
প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর
............
দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর
.........
সাক্ষীদের স্বাক্ষর
১। শিহাব আলী ইকরামুল
২। মকবুল আলম
৩। জামাল মৃধা
তবে এখানে একটি কথা হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যবসায়ের কাজের জন্য অঙ্গীকারনামা লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তিন পৃষ্ঠার মধ্যে লিখতে হবে। তাই এই অংশগুলো ছোট ছোট আকারে ভাগ করে তিন পৃষ্ঠায় চুক্তিপত্রটি সম্পন্ন করবেন।
আগে এক পৃষ্ঠায় লিখার নিয়ম থাকলেও এখন ৩ পৃষ্ঠায় করা হয়েছে। তবে কোন প্রকার সমস্যা না থাকলে আপনারা এক পৃষ্ঠায় লিখতে পারেন।
নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
এ মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমি অনিক হাসান,পিতাঃ আজিজুল ইসলাম,মাতাঃআছিয়া বেগম, গ্রাম/মহল্লাঃ ঘাটকোর, পোস্টঃ মান্দা, উপজেলাঃ মান্দা, জেলাঃ নওগাঁ। আমি আপনাদেরকে যে ঠিকানার কথা বললাম এই ঠিকানার আমি একজন স্থায়ী নাগরিক। আমার অসুস্থতার কারণে আমি বিগত এক বছর ধরে বাইরে ছিলাম।
এই কারণে আমার ভোটার হওয়ার বয়স হয়ে গিয়েছিল কিন্তু যখন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে দিচ্ছিল তখন আমি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। এ কারণে আমি ভোটার হতে পারি্নি। আমি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন জায়গায় ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করিনি। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী।
বাংলাদেশে অবস্থানরত একজন নাগরিক শুধুমাত্র একবারই ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবে। যদি একাধিকবার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে তাহলে তাকে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কারণেই মূলত আমি ভোটার হতে পারিনি এবং নাগরিক হিসেবে ভোট দিতে আমি এখনও পারি না। তবে আমার এখন একটি ভোটার আইডি কার্ডের খুব প্রয়োজন।
তাই আমার কথাগুলো ভালোভাবে চিন্তা করে দেখবেন এবং আমার সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন তারপর আমাকে নতুন ভোটার হিসেবে তৈরি করার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ রইলো।
তারিখঃ ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর
নামঃ অনিক হাসান
পিতাঃ আজিজুল ইসলাম
মাতাঃ আছিয়া বেগম
গ্রামঃ ঘাটকোর
পোস্টঃ মান্দা
উপজেলাঃ মান্দা
জেলাঃ নওগাঁ
উক্ত অঙ্গীকারনামাটি আপনি একটি সাদা কাগজে লিখবেন এবং কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্ট করে নিবেন। এবং আপনার এলাকার যেই সরকারি কার্যালয় রয়েছে সেখানে জমা দিবেন।
টাকা লেনদেনের অঙ্গিকারনাম লেখার নিয়ম
টাকা লেনদেনের অঙ্গীকার নাম লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কথা মেনে নিতে হবে। এর জন্য সর্বপ্রথম একশ টাকার করে সর্বমোট তিনটি স্ট্যাম্প পেপার নিতে হবে। এবং এই স্ট্যাম্প পেপারগুলোতে তিন পৃষ্ঠাতেই অল্প অল্প করে লিখে তৈরি করতে হবে।
অনেকেই রয়েছে যারা শুধুমাত্র এক পৃষ্ঠায় একটি সম্পূর্ণ অঙ্গীকারনামা তৈরি করে। তবে এই অঙ্গীকার নামাডিতে আপনি সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তাই আপনার উচিত হবে ৩ পৃষ্ঠার একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করা।
টাকা ধার দেওয়ার অঙ্গীকারনামা
_______( দাতা )_____
নামঃ সাইদুর রহমান,পিতাঃ হামিদুর রহমান,মাতাঃ সাবিনা আক্তার, এন আই ডি কার্ডের নংঃ৫৬৯৭১৬৮৬৫, মোবাইলঃ০১২৮৪৬৭৮৯১২, বর্তমান ঠিকানাঃ গোদাগাড়ী কুসুম্বা, স্থায়ী ঠিকানাঃ কেরানীগঞ্জ ঢাকা, গ্রামঃ কুসুম দোলা, পৌরসভাঃ কুসুম্বআ, থানাঃ মান্দা, জেলাঃ বরিশাল, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ ব্যবসায়ী।
______( গ্রহীতা )____
প্রথম পক্ষের কাছে থেকে আমি দ্বিতীয় পক্ষ আমার জরুরী প্রয়োজনের কারণে দুই লক্ষ টাকা হাওলাত নিতে বাধ্য হয়েছি। টাকাটি আমি গ্রহীতা হিসেবে ৫ ই এপ্রিল ২০২৪ রোজ সমবার থেকে ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার এর মধ্যে পরিশোধ করে দিব।
আমি যদি উক্ত তারিখের মধ্যে টাকাটি পরিশোধ না করি তাহলে দাদা আমার ওপর আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে এতে আমার কোন দ্বিধা থাকবে না।
এই কথাটি ভালোভাবে চিন্তা করার পর আমি দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ গ্রহীতা দাতার কাছ থেকে উক্ত পরিমাণে টাকা গ্রহণ করিলাম। এবং এগুলো উক্ত সাক্ষীদের মতামত অনুযায়ী আমি মতামত গ্রহণ করলাম।
দাতার স্বাক্ষরঃ
সাইদুর রহমান
গ্রহীতাঃ
আনিসুর রহমান
সাক্ষী গণের স্বাক্ষর
১। ইলিয়াস মোল্লা
২। আরমান শেখ
৩। মিজান উদ্দিন
মাস্টার্স প্রাইভেট অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
অঙ্গীকারনামা
আমি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স প্রাইভেট প্রোগ্রাম এর আওতায় মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমি এখন অঙ্গীকার করছি যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমের ভিত্তিতে বর্তমানে আমি কোথাও ভর্তি হই নাই। নিম্নে আমার যাবতীয় তথ্য দেওয়া রয়েছে।
- নামঃ আরিফ হোসেন
- পিতার নামঃ আলমগির হোসেন
- মাতার নামঃ নাজমা বেগম
- জন্ম তারিখঃ১০/০৫/১৯৯৭
- জাতীয় পরিচয় পত্র নংঃ৫৪১৯৬৬৯৮৬৯৫৮
- স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার নামঃ স্নাতক পাশ
- পাশের সালঃ২০১৯
- রোল নাম্বারঃ১৬৫৮৯৭
- রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ২০১২৬৯৮৯০৫
- প্রতিষ্ঠানের নামঃ বরিশাল ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এন্ড পাইলট স্কুল
- প্রাপ্ত নম্বরঃ ৩.৯৮
- সর্বমোট নাম্বারঃ৪.৯৪
তো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য সকল নিয়ম কারণ এবং আইন গুলো মেনে নিয়ে আমি এই আবেদন পত্রটি দাখিল করলাম।বিশ্ববিদ্যালয় সকল সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়ে চলতে বাধ্য থাকব।
আবেদনকারীর নামঃ আরিফ হোসেন
তারিখঃ ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজমিস্ত্রি ও মালিকের বাড়ি তৈরীর অঙ্গীকারনামা
অনেক সময় দেখা যায় যে আমার যখন কোন বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই তখন রাজমিস্ত্রির কাছে আমাদেরকে যেতে হয়। এবং একটি অর্থের পরিমাণে তারা এই কাজ করার জন্য রাজি হয়। ধরুন আপনি কাজ করাবেন এক স্কয়ার ফিট কাজ করার জন্য রাজনীতি থেকে ২০০ টাকা নিবে।
যখন আপনার কাজটি অর্ধেক হয়ে যাবে তখন মিস্ত্রি হয়তোবা আপনার থেকে আরও ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করবে। আপনাকে প্রথমে অল্প টাকার কথা বলে কাজটি আপনার থেকে নিবে কিন্তু তখন অর্ধেক কাজ শেষ হবে তখন তার কাজের মূল্য আরো বেশি করে চাইবে।
এ সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি অন্য কারন আমার তৈরি করে নিতে হবে। আমরা এখন দেখি রাজমিস্ত্রি ও মালিকের বাড়ি তৈরির অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখতে হয়।
ভবন নির্মাণ চুক্তিপত্র
প্রথম পক্ষ ( মালিক পক্ষ )
নামঃ............
পিতাঃ..................
গ্রামঃ.....................
দ্বিতীয় পক্ষ ( রাজমিস্ত্রি )
নামঃ
পিতাঃ
গ্রামঃ
চদ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং সাদ এর কাজ এর ফিনিশিং কাজ করার জন্য উল্লেখিত চুক্তিপত্রের প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষ মিলে সাক্ষী গনের উপস্থিতিতে নিজের শর্ত সমূহ মেনে নিম্নে স্বাক্ষর করা হলো।
শর্ত সমূহ
ছাদ হিসাবে করে বাসার ঢালাই করার পর ছাদ মেপে প্রতি বর্গফুট গ্রাউন্ড ফ্লোর ২০০ টাকা এবং প্রথম ফ্লোর ১৫০ টাকা হারিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
নির্মাণ সামগ্রী চলমান সাইটের ন্যূনতম ১৫০ ফুটের মধ্যে থাকতে হবে এর বেশি হলে বাড়তি কেরিং খরচ মালিক বহন করবেন।
ফাউন্ডেশন এর মাটি কাটার খরচ দ্বিতীয় পক্ষ বহন করবেন এবং ব্যাক ফিলিং পি এল পর্যন্ত খরচ প্রথম পক্ষ বহন করবেন।
নির্মাণ সামগ্রী যথা সময় সাইটে পৌঁছাতে হবে এবং প্রথম পক্ষ কাজের জন্য পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহ করতে হবে।
প্রথম পক্ষ যে যে সামগ্রী সরবরাহ করবেন যথাঃ রড, সিমেন্ট, বালি, ইট , খোয়া , পলিথিন 24 নং পিআইজি এর ঢালাই কেমিক্যাল ইত্যাদি।
দ্বিতীয় পক্ষ যে যে সামগ্রী বা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবেন যথা ঢালাই মেশিন ,ভাইব্রেটর মেশিন , স্টিয়ারিং , জনবল, পিনকাটা ইত্যাদি।
নির্মাণ কাজের চুক্তি কৃত টাকা প্রথম পক্ষ কোন ভাবে দ্বিতীয় পক্ষের সাথে কোন প্রকার আনঅফিসিয়াল লেনদেন করবেন না। যদি প্রথম পক্ষ কোন প্রকার আনঅফিসিয়াল লেনদেন করেন তা কখনো অফিশিয়াল হিসেবে আসবে না।
নির্মাণ কাজ চলমান কালীন কোন প্রকার রাজনৈতিক বা স্থানীয় কোন জটিলতা প্রথম পক্ষ বহন করবেন।
যদি প্রথম পক্ষ নির্মাণ সামগ্রী যথাসময়ে সরবরাহ করতে পারেন তাহলে দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত কাজ আনুমানিক ছয় মাসের মধ্যে হ্যান্ড ওভার করতে বাধ্য থাকবেন।
উপরে উল্লেখিত যত ধরনের শর্ত রয়েছে এগুলো সুস্থ মস্তিষ্কে এবং নিজের ইচ্ছায় সকল কিছু মেনে নিচে স্বাক্ষর করলাম।
১ম পক্ষে স্বাক্ষর
............
২য় পক্ষের স্বাক্ষর
.........
সাক্ষী গনের স্বাক্ষর
১............।।
২............।।
৩...............।।
অঙ্গীকারনামার গুরুত্ব এবং কিছু কথা
একটি অঙ্গীকারনামা আপনার কাজের ক্ষেত্রে কতটা বড় ভূমিকা পালন করে এটা হয়তো বা আপনি জানেন না। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাদের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষরা দুর্নীতির শিকার হয়। এর মূল কারণ হচ্ছে কাজ শুরু করার আগে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করেন না।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ
আপনি যদি সরকারি নিয়মে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করেন।তাহলে আপনার কোন সমস্যা হলে সরকার সেটা দেখাশোনা করবে। তাই আশা করি পরবর্তী সময় থেকে কোন কাজ করার পূর্বে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করবেন।
আপনাদেরকে এতক্ষণ যে সকল অঙ্গীকার নামার কথা জানালাম সেগুলো শুধুমাত্র আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য। তবে আপনারা যখন লিখবেন তখন আপনাদের নিজস্ব তথ্যগুলো দিয়ে ভালোভাবে লিখার চেষ্টা করবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গীকার নামা লিখে আপনাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাজে লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন। উক্ত ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url