পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে নতুন নিয়ম
প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করা সহজ উপায়আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য খুজতেছেন। এ বিষয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পারেন নি। তাহলে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন।
আমি বেশি দিন ধরেই খেয়াল করে দেখছি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাকে বলে এ সম্পর্কে মানুষ তথ্য খুজতেছে। তাদের কথা চিন্তা করেই এই ব্লগটি তৈরি করেছি। তারা যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে - মূলভাব
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এটি একজন সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বড় কাজের বিষয়। এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি আপনার বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে। এমনও কিছু মানুষ আছে যারা আসলে জানেই না যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাকে বলে। তাদের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণই নেই।
আপনাদেরকে এখন এমনভাবে বুঝিয়ে দেবো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে এবং এটির জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে আর সমস্যা মধ্যে পড়বেন না আপনি। আমরা সবাই যেহেতু বাংলাদেশের বসবাস করি তাই বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী।
একজন মানুষকে আইনগত দিক দিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য এবং বিভিন্ন পেশার কাজের জন্য এবং বিদেশে যাওয়ার জন্য এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাকে বলে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হলো কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা আদালতে আছে কি না। আর যদিও বা একটি মামলা থাকে তাহলে সেই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে কিনা। তার প্রমান স্বরূপ একটি সনদপত্র। যা আপনার এক্তিয়ারের দিন পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। আপনার যদি কখনো কোথাও কোনো প্রকারের মামলা থাকে।
আরও পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।
সকল কিছু কিন্তু এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মাধ্যমে বোঝা যাবে। এর প্রভাব স্বরূপ আপনি যখন কোন কাজ করতে যাবেন ওই কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠান আপনাকে কাজ নাও দিতে পারে। এজন্য সর্বদা আমাদের উচিত হবে কোন প্রকার আইনত দণ্ডনীয় কাজ না করা।
যদিও বা এই কাজটি করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যতে এটি অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। এজন্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আমাদের অনেক জরুরী একটি সনদপত্র।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কখন প্রয়োজন হয়
যখন আপনি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যাবেন। তখন নিয়োগকর্তা আপনার থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি চাইতে পারে। যখন আপনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য দেশের বাইরে অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাবেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। তখন উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেখাতে হবে।
বাংলাদেশের আইনের বিরোধী যদি কোন কাজ করেন তাহলে অন্য দেশে কিন্তু আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে পারবেন না। প্রবাসী হিসেবে যখন বিদেশে যাবেন ঠিক তখনই আপনার একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হবে। প্রবাসে যাওয়ার সময় অবশ্যই কিন্তু আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভাতার টাকা মোবাইলে দেখার সহজ নিয়ম।
আর পাসপোর্ট তৈরি করার সময় আপনার কাছ থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চাইবে। কেননা বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা দেশের বিভিন্ন প্রকার খারাপ কাজ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সকল সমস্যার সমাধানের জন্য একটি বড় দিক হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
একজন সাধারণ মানুষ ছাড়া কিন্তু সরকার আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিবে না। তাই আপনি যদি প্রবাসে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে কখনোই আইনের অবমাননা করবেন না এবং নিজের বিরুদ্ধে কোন মামলা রাখবেন না। এর ফলে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না এবং বিদেশেও যেতে পারবেন না।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে
আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাকে বলে এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কখন প্রয়োজন হয়। এ সকল কিছু জানার পর আপনাদের অবশ্যই জানা দরকার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন পড়বে। তো আসুন আমরা নিচে এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করি।
আমরা নিচে যে কাগজপত্রের কথা বলব এগুলো অবশ্যই পুলিশ কিয়ারেন্স এর জন্য প্রয়োজন পড়বে। আপনার যদি এই কাগজগুলো সঠিকভাবে না করা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ কাজ করার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করা আপনার পক্ষে ভালো হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ বাংলাদেশ এর নাগরিক প্রমাণ করার জন্য একটি সনদপত্র দেওয়া হয় তা হচ্ছে এন আই ডি কার্ড। এই কার্ডটি আপনার প্রয়োজন পড়বে।
- জন্ম সনদ, এই কাজের জন্য জন্ম সনদ একটি অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করে। কেননা জন্ম সনদ ছাড়া আপনার বয়স যাবে না। আর যদি বয়স সঠিকভাবে নির্ণয় না করা যায় তাহলে কিন্তু পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে এটি অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি করবে। অবশ্যই জন্ম সনদটি ডিজিটাল হতে হবে।
- কমপক্ষে তিন মাস মেয়াদ আছে এমন একটি পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি। এখন প্রশ্ন হতে পারে তিন মাস এর পুরনো কেন লাগবে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই জাল পাসপোর্ট করে এগুলো কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবহার করতে হয় তাছাড়া সরকারের জানতে পারলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই একটু পুরনো তিন মাস বয়স হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।
- ওয়ার্ড কাউন্সিল কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র। আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন বসবাসরত ওই এলাকার সনদপত্র নেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আপনি যে ওই এলাকার নাগরিক এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য।
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার সময় বিভিন্ন সময় আপনার প্রয়োজন পড়বে। এর জন্য আপনাকে কল কিংবা মেসেজ করা হতে পারে। আপনার সাথে যোগাযোগ করার পর যেন উক্ত প্রশ্নের উত্তরটি জানা যায় এজন্য অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন।
- আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার বর্ণনা। অবশ্যই দুটি ঠিকানা ভেরিফাইড হতে হবে। কারণ সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সকল কিছু আইনত দিক দিয়ে বিবেচনা করার পর এবং সত্যতা যাচাই করার পর কাজটি করা হয়।
- নতুন ভাবে তোলা একটি রঙিন ছবি। পাসপোর্ট সাইজের ছবি হতে হবে অবশ্যই। ছবিটি দেখার পর যেন বোঝা যায় এটি আপনার আসল ছবি। ছবিতে কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার নিয়ম
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য যথাযথভাবে পুলিশ বিভাগের নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনাকে প্রথমে সেখানে প্রবেশ করে তারপর আবেদন করতে হবে। এটি করার জন্য অবশ্যই আমার উপরে আলোচনা করা কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সহজ উপায়।
এবার আসুন বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে অথবা অনলাইন পেমেন্ট বিকাশ ,নগদ ও রকেট এর মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। তারপর আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদনটি গৃহীত হলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন। এবং আপনার দেওয়া কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করবেন।
সকল ধাপ সম্পূর্ণ হওয়ার পর কিছু দাপ্তরিক কাজ হওয়ার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি আপনার থানা এবং জেলা পর্যায়ের পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি লাগে - লেখকের মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজের প্রয়োজন হবে এবং কাকে বলা হয় এ সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি নিশ্চয়ই আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন।
অন্যকে যদি সাহায্য করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন। আর এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url