ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে? ৭ দিনে পাবেন (শর্তাবলী)

প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সহজ উপায়আসসালামু আলাইকুম আপনি কি ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করতে চান। কিন্তু চিন্তার মধ্যে রয়েছেন যে কতদিনের মধ্যে আপনাকে এই ভিসাটি প্রদান করা হবে। আপনি হয়তোবা অনেক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনাকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই খেয়াল করে দেখছি মানুষ ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে এ সম্পর্কে গুগলে সার্চ করছে। এবং এই ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি শর্ত রয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করেই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি।

ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে - মূলভাব

ভিসা এই কথাটির সাথে আমরা সকলে কিন্তু পরিচিত। এই ভিসা দিয়ে মূলত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার যে কোন সমস্যার কারণে ভিসা করে অন্য দেশে যেতে পারেন সেটা হোক লেখাপড়ার জন্য অথবা চিকিৎসার জন্য অথবা ভ্রমণের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি যায় চাকরির জন্য।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ দেয় অন্যান্য দেশে এবং বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায়। ওইগুলো দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত এখানে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে মানুষ যাতায়াত করে তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য।


যারা এখনো পর্যন্ত ভারতে যান নাই এবং পরবর্তীতে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাদের যাওয়ার পূর্বে জেনে নেওয়া দরকার ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে সর্বমোট কতদিন লাগে। এবং এই ভিসা পাওয়ার কিছু কি নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে যদিও বা থাকে তাহলে সেগুলো কী।

এই বিষয়টি আপনাদেরকে আর চিন্তা করতে হবে না কেননা আপনি যদি আমার এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সুখবর, ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য লাগবে না আর পোর্ট

বাংলাদেশের এর আপডেট অনুযায়ী ভারতে ভ্রমণ করার জন্য আর কোন পোর্ট ব্যবহার করতে হবে না। আপনাদের অনেক সময় এবং টাকা নষ্ট করে জন্য পোর্ট আবেদন করতে হয় কিন্তু এখন থেকে আর এগুলোর কোন দরকার হবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন বর্ডার দিয়ে।

আপনার ইচ্ছামত স্থলভাগ অথবা জলভাগ ট্রেন বাস এগুলো করে আপনি ইন্ডিয়াতে যেতে পারবেন। এবং ইন্ডিয়া থেকে যারা আসতে চাইবে তাদেরও একই ব্যবস্থা করা হবে। তো কি সেই ঘটনা আসুন আমরা জেনে নেই। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এবং ভারতের যৌথ আলোচনার ফলে।

যাতায়াত করার জন্য পাসপোর্ট ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এর মাধ্যমে তারা এক দেশ থেকে কোন দেশে যাতায়াত করতে পারতো। এবং সেই আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কিছু শর্ত হয়েছিল সেগুলো তারা তৈরি করেছিল। এবং ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।


আরও একটি নতুন নিয়মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের জনগণ যাতায়াত করতো। এবং আপনারা এখন নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন যে -১৬ জানুয়ারি ২০২৪ আরও একটি নতুন নিয়ম তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ সরকার কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে ভারতীয় সরকারের সাথে এবং কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে তারা। তো আসুন বিস্তারিত শুরু করি।

বাংলাদেশ থেকে আমরা ভারতে কিভাবে যাতায়াত করতে পারি। হয়তোবা ট্রেনে করে যাতায়াত করি অথবা বাস অথবা লঞ্চ কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময় স্থল ভাগ দিয়ে যাতায়াত করি অর্থাৎ ট্রেন অথবা বিমান দিয়ে। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের উদ্যোগে জল ভাগ দিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ফ্রি ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সেটা কিন্তু দুই দেশের মধ্যে অনেকটাই উদ্ভিদজনক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী স্থলভাগের পাশাপাশি জল ভাগ দিয়েও যাতায়াত করব করতে পারবে বাংলাদেশ এবং ভারতের ভ্রমণকৃত মানুষ।

এর আগে আমরা যারা ভারতে যেতাম তারা কিন্তু ছয় মাসের বেশি ভারতে অবস্থান করলে তাদেরকে ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে পারমিশন নিতে হতো। এটা ধরুন যে অনেকের জন্য অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখন থেকে ভারতের ছয় মাসের বেশি অবস্থান করলে কোনরকম কোন পারমিশন নিতে হবে না।


কিন্তু ভারতে যাওয়ার ১৫ দিন পূর্বে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং সেখানে বলতে হবে আমি ভারতের ছয় মাসের বেশি অবস্থান করব। তবে সে ক্ষেত্রে একটি বিষয় হচ্ছে যাদের মাল্টিপের ভিসা রয়েছে সেই সাথে যারা হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ভারতে ভ্রমণ করে তাদের জন্য কিন্তু এই নিয়মটা কোনভাবে কার্যকর হবে না।

এতদিন যারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে যাতায়াত করতো। তারা ৪৫ দিন পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতে পারতো বিনা ভিসায়। এখন থেকে এই নিয়মটি পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত করা হচ্ছে।

ডাবল এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এম্বাসি ফেস করে। ডাবল এন্ট্রি কিংবা সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে তাদের ভিসার মেয়াদ এতদিন পর্যন্ত তিন মাস দেওয়া থাকতো। সেই নিয়মটা পরিবর্তন করে এখন থেকে ৬ মাস দেওয়া থাকবে।

এতদিন ধরে মেডিকেল ভিসার জন্য দেয়া হতো সিঙ্গেল এন্টি ভিসা কিন্তু মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হতো না। এর ফলে কিন্তু সেখানে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। সেই সাথে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যেই হসপিটালে গিয়ে আপনি চিকিৎসা করাতে চান তার নাম অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা করতে হতো।


কিন্তু অনেক ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে আপনি অন্য হসপিটালে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য কিন্তু আবার নতুন করে আবেদন করতে হতো। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখন থেকে মাল্টিপল ভিসা নিয়ে আপনি ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন এর জন্য বারবার করে ভিসা পরিবর্তন করার আর কোনো প্রয়োজন পড়বে না।

যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ করতে যেতে চান। তাদের ভিসার পোর্ট উল্লেখ করতে হয়। যেমন ধরুন আপনি যে জায়গায় ভ্রমণ করতে চান তার আশেপাশে যে সকল পোর্ট রয়েছে সেগুলো কিন্তু আপনাকে উল্লেখ করতে হতো এবং আপনি যদি পোর্ট পরিবর্তন করতে চান। তাহলে কিন্তু আপনাকে আবার নতুন করে আবেদন করতে হতো।

এবং সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখন থেকে আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতের সব জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন।


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার ওপরে উল্লিখিত যে সকল বিষয়ে আলোচনা করলাম এগুলো কিন্তু প্রস্তাবনা পর্যায়ে রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশ সরকার এগুলো বিষয় নিয়ে ভারত সরকারকে আবেদন করেছেন তারা সবাই মিলে যদি এগুলোর পারমিশন দেই তাহলেই কিন্তু আপনি এই সুযোগ-সুবিধা গুলো পাবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিছু শর্তাবলী

আমরা যখনই কোন কাজ করি না কেন আমাদের ওই কাজের জন্য নির্দিষ্ট একটি নিয়ম এবং শর্ত রয়েছে এগুলো মেনেই কিন্তু কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। ঠিক তেমনি ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে এগুলো মেনেই আমাদেরকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • অ্যাপ্লিকেশন ফরম। যখন আপনি ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন এই ফর্মটি ডাউনলোড করে রাখবেন।
  • 2*2 সাইজের এক কপি ছবি লাগবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা কালারের হতে হবে। অবশ্যই ছবিটি ফরমের উপরে থাকা অংশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিবেন কোন প্রকার সেলাই করা যাবে না। এবং চশমা অথবা সানগ্লাস পরা ছবি গ্রহণযোগ্য নয়।
  • ছবির নিচের অংশে এবং এপ্লিকেশন ফর্ম এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার স্বাক্ষর করতে হবে।
  • এনআইডি কার্ড অথবা স্মার্ট কার্ড জন্ম নিবন্ধনের কার্ডের ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)। এই তিনটার মধ্যে আপনার কাছে যে একটাই থাকবে তার এক কপি করে ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • অনলাইন ফর্মে আপনার যেই ঠিকানাটা দিবেন সেই ঠিকানা অনুযায়ী ইউটিলিটি বিল গ্যাস বিল অথবা পানির বিল এগুলোর জরিপ নামা জমা দিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেই কোন দিবেন তিন মাসের বেশি যেন পুরাতন না হয়।
  • যাদের বাসাতে প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে। তারা প্রিপেড কার্ডের দুই অংশের ছবি তুলবেন এবং ফটোকপি করে নিবেন।
  • ব্যাংক ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ডলার এন্ডোসমেন্ট। যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে তিন মাস অথবা ছয় মাসের পূর্বের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিবেন। টাকা লেনদেনের সর্বশেষ স্টেটমেন্ট হতে হবে ১৫০ ডলার অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেই হবে। কিন্তু জনসাধারণের সুবিধার্থে টাকা বেশি থাকাই ভালো।
  • আপনার যদি ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় কিংবা পিতা-মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
  • আপনি যদি ডলার এন্ডোসমেন্ট করতে সমস্যা হয় তাহলে যে সকল ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ করে তাদের ব্যাংকে যাবেন তাহলে তারা খুব সহজেই আপনাদের কাজটি করে দিবে।
  • পেশাগত প্রমাণপত্র। আপনি সাধারণত যে কাজ করেন অর্থাৎ আপনি যদি কোন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে এনওসি কার্ড এর ফটোকপি আপনাকে দিতে হবে। এখন আপনি যদি একজন কৃষক হন তাহলে আপনার জমির দলিল এর ফটোকপি দিতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি। আপনার যে পাসপোর্টটি রয়েছে তার দুই নাম্বার পেজ এবং তিন নাম্বার পেজের ফটোকপি দিতে হবে।
  • পেমেন্ট ইনভয়েস। এটা সাধারণত লাগে না কিন্তু অনেক সময় দেখা গিয়েছে এগুলো আপনার কাছ থেকে দেখতে চাইবে তখন আপনি যদি দেখাতে পারেন তাহলে আপনার কাজ একটু সহজ হবে।

ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে

বেশ কিছুদিন আগেও কিন্তু আপনি যদি একটি ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতেন এর জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু অনেক সময় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন কারণে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার ভিসার ডেট আরো কমিয়ে দিতে পারে অর্থাৎ আপনাকে যদি তিন মাস সময় দেওয়া হয়।


তাহলে ওরা আপনাকে বলবে এক মাস আর সময় আছে এর মধ্যে আপনি ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করলে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেও আপনাকে ভিসা প্রদান করতে পারে কিন্তু অবশ্যই আপনার জরুরী তথ্যসমূহ সঠিক থাকতে হবে।

আমার ওপরে উল্লেখ করা বিষয়গুলো আপনি যদি ভালভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন একটি ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কি কি কাগজ লাগে।

লেখকের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি এই আর্টিকেল থেকেও কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিদিন পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url