ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কম বাজেটে সেরা ল্যাপটপ (ধামাকা অফার)

ল্যাপটপে ভিডিও দেখে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে বুঝতে পারছেন না। এ বিষয় নিয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেনি। তাহলে আপনার আর চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কেননা আজকে আপনাদেরকে খুব কম বাজেটে কিছু ল্যাপটপের কথা বলব যেগুলো দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ কেনার জন্য অধিকাংশ মানুষই আগ্রহী হয়। হতে পারে কোন ব্যবসায় কিংবা ফ্রীলান্সার অথবা অনলাইনে কোন কাজ করে এরকম ব্যক্তি। সবারই একটাই কথা কম বাজেটের মধ্যে ভালো ল্যাপটপ দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো - সারাংশ

বাংলাদেশ থেকে যারা নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তা করছেন। তাদের সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে একটি ভালো ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপের। মোবাইল ফোন দিয়ে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে না। আমি অনেক বার খেয়াল করে দেখেছি যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে আসেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত পরিবারের।


এখান থেকে কিন্তু দুই লক্ষ তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কারো পক্ষে ল্যাপটপ কেনা সম্ভব না। তাই সবসময় তারা খুব অল্প বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ খুঁজে। আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়ার পর বুঝতে পারবেন কত কম বাজেটে আপনাদেরকে কিছু ল্যাপটপের সাথে পরিচয় করে দিব এবং অবশ্যই সেগুলো ব্র্যান্ডেড ল্যাপটপ হবে।

এর পাশাপাশি আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা নতুন ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য রয়েছে অন্যান্য দেশে ব্যবহারকৃত ল্যাপটপ যেগুলো বাংলাদেশে খুব অল্প দামে পাওয়া যায়। আপনাকে আগে বলে রাখি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপের সর্বনিম্ন রেম হতে হবে ৮ জিবি।

এর কম স্টোরেজের ল্যাপটপ যখন কিনবেন কাজের সময় হ্যাং করবে এবং তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মার্কেটে যে সকল ল্যাপটপ খুব ভালো চলে তাদের মধ্যে রয়েছে hp,dell ,lenovo . আরো কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে। আপনাদের সতর্ক হওয়ার জন্য আগে বলে রাখি বাংলাদেশের বাজারে যে সকল ল্যাপটপ পাওয়া যায়।


এগুলো কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য যথেষ্ট পরিমাণের ধারন ক্ষমতা রাখে না। সেক্ষেত্রে কাজ করার সময় অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।

কম বাজেটের মধ্যে সেরা ১০ টি ল্যাপটপ

  1. HP Pavilion 15-eg 1000 TU ( 50N49PA ) -এই ল্যাপটপটির রেম ৮ জিবি। এবং এর মেমোরি ৫১২ জিবি। ডিসপ্লের সাইজ ১৫.৬ Intel Core i5 । ল্যাপটপটি আপডেট দেওয়ার পর উইন্ডোজ 11 pro হয়েছে ।এই ল্যাপটপের বাংলাদেশী মূল্য ৮৬৯৮৮ টাকা। এই ল্যাপটপগুলোতে অনেক মূল্য ছাড় থাকে তাই ডিসকাউন্টে নিতে গেলে অনেক কম টাকায় পেয়ে যাবেন।
  2. HP 15s-FR2006TU Laptop - এই ল্যাপটপটির রেম ৮ জিবি এবং এর মেমোরি ৫১২ জিবি এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন ১৫.৬ ইঞ্চিরর একটি বিশাল ডিসপ্লে। Intel Core i3 1115G4. উইন্ডোজ 10 পরবর্তীতে আপডেট দেওয়ার পর উইন্ডোজ 11 করা যাবে। এই ল্যাপটপটির বাংলাদেশী মূল্য ৫৭৯৪৮ টাকা। এটি আপনার জন্য বাজেটের মধ্যে সেরা ল্যাপটপ।
  3. HP Pavilion 15-eg2009TU Laptop - এই ল্যাপটপটির রেম ৮ জিবি এবং মেমোরি ৫১২ জিব ।এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন উইন্ডোজ ১১ এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অনুযায়ী 64 বিটের একটি মাদারবোর্ড। এটি আপডেট দেওয়ার পর উইন্ডোজ 11 এর পারফরম্যান্স পাবেন। এর ডিসপ্লের সাইজ ১৫.৬ ইঞ্চি।Intel Core i5। এই ল্যাপটপের বাজার মূল্য ৮৪৪৬৬ টাকা।
  4. HP 15s-du3517TU Laptop - এই ল্যাপটপটির র‍্যাম ৮ জিবি এবং এর স্টোরেজ ৫১২ জিবি। এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন ৫.৬ ইঞ্চির একটি বিশাল ডিসপ্লে। এর ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা পর্যন্ত। এবং উইন্ডোজ ১১ এর ৬৪ বিট এর মাদারবোর্ড । Intel Core i5. এর বাংলাদেশী বাজার মূল্য ৬৭ হাজার ১৮৮ টাকা। কোন বাজেটের মধ্যে সেরা ল্যাপটপ বলাই চলে।
  5. Dell Inspiron 3511 Laptop - এই ল্যাপটপটির রেম ৮ জিবি DDR4 এবং এর স্টোরেজ ৫১২ জিবি।এর সাথে পেয়ে যাবেন ১৫.৬ ইঞ্চির একটি বিশাল ডিসপ্লে। এক চার্জে চলবে সাত ঘন্টা। উইন্ডোজ টেন এর ৬৪ বিটের দুর্দান্ত একটি মাদার বোর্ড। Intel Core i3. এর বর্তমান বাজার মূল্য ৫২ হাজার ৬৩৫ টাকা। এই ল্যাপটপটি কম বাজেটের মধ্যে ভালো বলায় চলে।
  6. Dell Latitude 3420 lapTop - এই ল্যাপটপটির সাথে পেয়ে যাচ্ছেন 8 জিবি র‍্যাম এর ddr4 এবং এর মেমোরি ৫১২ জিবি।এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন 14 ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে। Intel Core i5 এর পাশাপাশি উইন্ডোজের 10 প্রো ভার্সনের ৬৪ বিটের মাদারবোর্ড এই ল্যাপটপটির ডিসকাউন্টসহ বর্তমান বাংলাদেশি মূল্য ৮৬ হাজার ৯৮৮ টাকা।
  7. Dell Latitude 3420 Laptop - এটির রেম ৮ জিবি ddr4 এর সাথে পেয়ে যাবেন 256gb ssd. ১৪ ইঞ্চির ফুল রিফ্রেশমেন্ট ডিসপ্লে। Windows টেন এর আপডেট ভার্সন। Intel Core i5 বর্তমানে বাজার মূল্য ৫৯৩৮৬ টাকা. এটি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুব অল্প বাজেটের একটি দুর্দান্ত ল্যাপটপ।
  8. Dell Vastro 3510 Laptop - এই ল্যাপটপটির রেম ৮ জিবি ddr4 এর পাশাপাশি ৫১২ জিবি স্টোরিজ। উইন্ডোজ ১১ এর ৬৪ বিটের একটি শক্তিশালী মাদারবোর্ড ।এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন ১৫.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এক চার্জে চলবে দশ ঘন্টা Intel Core i5 বর্তমানে এটির বাজার মূল্য ৭০,৬২০ টাকা।
  9. Lenovo V15 82C500PFIH Laptop - এই ল্যাপটপের র‍্যাম ৮ ddr4 এবং স্টোরেজ256gb ।এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন ১৫.৬ ইঞ্চির একটি ফুল রিফ্রেশ ডিসপ্লে। উইন্ডোজ ১০ এর ৬৪ বিটের একটি মাদারবোর্ড। Intel Core i5 1035G1। এই ল্যাপটপের বাংলাদেশী মূল্য ৫৯৩৮৬ টাকা।
  10. Lenovo ThinkBook 15 G5 21 JFA00QIN Laptop - এই ল্যাপটপটির ram ৮ জিবিddr4 এর পাশাপাশি পেয়ে যাবেন 512 জিবির একটি বিশাল স্টোরেজ ১৫.৬ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে এবং একবার চার্জ দিলে দিয়ে চলবে ৮ ঘন্টা। বর্তমানে এর বাংলাদেশী মূল্য ৬১ হাজার ২৪৮ টাকা।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

আমার উপরে উল্লেখিত যে দশটি ল্যাপটপের কথা বললাম এগুলো আপনি খুব সহজে ১ লক্ষ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এবং 7000 টাকার মধ্যেও এই ল্যাপটপগুলো পাওয়া যায়। এখন যদি আপনার এর দাম গুলো অনেক বেশি মনে হয় তাহলে আপনি এই ল্যাপটপের এক থেকে দুই মাস ব্যবহারকৃত গুলো কিনতে পারেন শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যেই।

আসলে এই ল্যাপটপ গুলো বাংলাদেশ কমই ব্যবহার হয় যেগুলো পুরাতন বিক্রি করা হয় অন্যান্য দেশে একটি ল্যাপটপ সর্বোচ্চ 1 থেকে 2 মাস ব্যবহার করে তারা খুব অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। এরপর বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ট্রান্সপোর্ট করে সেগুলো বাংলাদেশে এনে বিক্রি করে। এখন আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান।


তাহলে এটি কিনার পর আপনি খুব সহজেই পাঁচ থেকে ছয় বছর চালাতে পারবেন এতে আপনার ল্যাপটপে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। আবার কোন কোন ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলো কিনা দুই থেকে তিন দিন পর খুব গরম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে ল্যাপটপগুলোতে এক থেকে দুই মাস গ্যারান্টি দেওয়া হবে।

এর মধ্যে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে ল্যাপটপটি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন তারপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে আপনি শুধুমাত্র ব্যাটারি এবং ল্যাপটপে থাকা ফ্যানটি চেঞ্জ করে নেবেন তাহলে আপনার ল্যাপটপ অনেক দিন চলবে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। কিন্তু বাংলাদেশী লোকেরা কম দামে ল্যাপটপ কিনতে চায়।

এজন্য তাদের উচিত পুরাতন ল্যাপটপ কিনা এবং ল্যাপটপে কিছু পরিবর্তন করা। প্রথম অবস্থায় যখন ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তখন এত টাকা খরচ করে ল্যাপটপ কেনার কোনই দরকার নেই শুধুমাত্র কাজ শেখার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এই ল্যাপটপগুলোই পুরাতন পাওয়া যায় এগুলো কিনবেন।


তাহলে আপনার কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন। কারণ পুরাতন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আমি নিজেই প্রমাণ কেননা মাত্র ২৫ হাজার টাকা ল্যাপটপ দিয়ে আমার এই কাজগুলো করা যায়।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সারের সবচেয়ে কম খরচে কিভাবে একটি কাজের ল্যাপটপ কিনবেন এবং ল্যাপটপ গুলোর ধারনা আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এখানে কিন্তু দাম কম এবং বেশি হতে পারে।
অন্যান্য পোস্ট সমূহঃ

এখান থেকে যদি কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url