বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম - জেনে নিন
প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়আপনি কি বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না যে কিভাবে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করবেন। আপনি যদি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে কিভাবে বাটন মোবাইল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছি যে গুগলে সার্চ হচ্ছে কিভাবে বাটন মোবাইল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন এবং বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম কি। যারা এ বিষয়ে জানে না তাদের জন্য আজকের এই ব্লগটি তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন।
বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনি বাটন ফোন দিয়ে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। তাহলে আসুন অযথা সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাওয়া যাক। আপনি যদি একাউন্টটি তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বাটন ফোন।
থেকে *২৪৭# নাম্বারে একটি কল দিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যে নাম্বারটির থেকে বিকাশ একাউন্টে তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই অ্যাকাউন্ট থেকে এই কলটি আপনাকে দিতে হবে। তারপর আপনার সামনে একটি লেখা আসবে যেখানে লেখা থাকবে।একাউন্ট ইজ নট রিসিভ এবং কয়েকটি নাম্বারের একটি কোড আসবে।
এখন দুঃখের কথা হচ্ছে যে আসলে মূলত কোন বাটন ফোন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় না। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি আপনার নিকটস্থ কোনো বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যান।সেখানে সে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেবে এবং আপনার বাটন ফোনে.
এটি ট্রান্সফার করে দিতে পারে। এভাবে আপনি মূলত বাটন ফোন থেকে একটি বিকাশ একাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন কিন্তু বাটন ফোন থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন না।
অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনারা তো অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট খোলেন কোন এজেন্ট এর কাছে গিয়ে। কিন্তু আপনি চাইলেই অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসে থেকে আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই। তো এটি কিভাবে খুলবেন সে সম্পর্কেই একটু আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
এর জন্য প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটি হচ্ছে বিকাশ DOWNLODE আপনি এই লিংকে ক্লিক করে খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এরপর আপনার বিকাশ অ্যাপসটি ওপেন করে নিতে হবে। তারপর সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাইবে আপনি যদি দিয়ে দেন।
তারপর আপনার যার এন আইডি কার্ড দিয়ে একাউন্টে তৈরি করতে চাচ্ছেন তার পেজটি আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে। তারপর আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিবেন এবং আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিবেন। তারপর আপনার অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়ে যাবে।
আপনারা যদি আমার এই কথা মত যদি কাজ করতে পারেন তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনি একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। তাহলে আপনাকে আর কষ্ট করে কোন এজেন্ট এর কাছে গিয়ে একাউন্টে তৈরি করে নিতে হবে না।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রথমে আপনি প্লে স্টোরে চলে যাবেন এবং বিকাশের যে অ্যাপ রয়েছে সেটি ইন্সটল করে নিবেন তারপর আপনি ওপেন বাটনে ক্লিক করবেন। এটা ওপেন করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে তিনটি অপশন রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম অপশন লগইন বা রেজিস্ট্রেশন এখানে টেপ দিবেন।
এরপর আপনার সামনে একটি নাম্বার দেওয়ার অপশন চলে আসবে সেখানে আপনি আপনার যে নাম্বারটিতে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই নাম্বারটি অবশ্যই আপনার ফোনে ব্যবহৃত হতে হবে তারপর নাম্বার দেওয়া শেষ হলে। তারপর দেখতে পাবেন একটি পরবর্তী বাটন রয়েছে তার ডান সাইডে একটি নেক্সট অপশন রয়েছে।
সেখানে একটি ক্লিক করবেন। তারপর একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সিম কোম্পানির কথা বলবে সেখান থেকে আপনি যে নাম্বারটিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই নাম্বার অনুযায়ী কোম্পানিটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর বিকাশ থেকে আপনার নাম্বার একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে।
প্রতিটি আসার পর কিন্তু আপনাকে কোড বসাতে হবে না অটোমেটিকলি আপনার কোড বসে যাবে। আপনি যদি নিচে থাকা অ্যালাও বাটনে ক্লিক করেন তাহলে অটোমেটিকলি আপনার কোড বসে যাবে। যখন কোটি বসানো হয়ে যাবে তারপর দেখবেন নিচে লেখা আছে নিশ্চিত করুন তার ডান সাইডে একটি টির বাটন রয়েছে।
সেখানে একটি ক্লিক করে দিবেন। এরপর আপনার সামনে বিকাশের বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী আসবে আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন বা নিজে দেখবেন যে নিশ্চিত করুন তার ডান সাইটে একটি তীর বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে দি্বেন। এরপর তিনটি অপশন চলে আসবে আপনার সামনে, প্রথমে আসবে।
এখানে আপনার এনআইডি কার্ডের একটি ছবি তুলে দিতে হবে। তা আপনি ছবি কিভাবে তুলবেন তাহলে নিচে আসলে একটু দেখতে পাবেন এন আইডি কার্ডের ছবি তুলুন সেখানে ক্লিক করে দিবেন। তারপর আপনাকে প্রথমে এনআইডি কার্ড এর এক সাইডের ছবি তুলতে হবে পরবর্তীতে আরেক সাইডের ছবি তুলতে হবে।
যখন আপনি এক সাইডে ছবি তুলবেন তখন ছবি তুলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন তাহলে এটি আপনার আইডি কার্ডের ছবি বিকাশ কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিবে। ঠিক একইভাবে পরবর্তী ছবি তুলবেন এবং সাবমিট দিয়ে দিবেন। এরপর আপনার সকল ধরনের এনআইডি কার্ডের তথ্য সেখানে চলে আসবে।
তারপর নিচে দেখবেন একটি পরবর্তী বাটন রয়েছে সেখানে একটি ক্লিক করে দিবেন। এরপর আপনি যখন পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন তারপর আপনার বিভিন্ন ধরনের তথ্য চাইবে আপনি সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে দি্বেন। তারপর যে ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড সেই ব্যক্তির একটি ছবি তুলে নিতে হবে।এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
এরপর আপনার মেসেজ অপশনে একটি মেসেজ আসবে সেখান থেকে আপনি কোড নিয়ে আপনার বিকাশে বসিয়ে দিবেন তাহলে আপনার একাউন্টের যেই পিন নাম্বারটি দিবেন সেটি আপনার সামনে চলে আসবে সেখান থেকে আপনি পিন নাম্বারটি দিয়ে দিবেন।তারপর আপনার কিছু তথ্য চাইবে সেখান থেকে আপনি বিকাশে জয়েন করতে পারবেন।
আপনি চাইলে আমার এই কথা মত কাজ করে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আপনি একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে চান। আসলে আপনার মাথায় এমন চিন্তা আসতে পারে যে কি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কি আসলে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা যাবে। এগুলো নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করে থাকে কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না এর সঠিক তথ্যটি কি।
এখন আমি আপনাদেরকে বলবো আসলেই কি একটি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা যাবে। কথাটা দুঃখজনক হলেও এটি সত্য যে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের মালিক হতে হবে।বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে এনআইডি কার্ড ছাড়া কোন একাউন্ট তৈরি করতে দেয় না।
এখন আপনি যদি একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে চান আপনার যদি অনেকটাই জরুরি হয় তাহলে আপনি আপনার কোন আত্মীয় স্বজন কিংবা পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে।এনআইডি কার্ড ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় না.
সেজন্য আপনার চেনা পরিচিত যাদের বয়স ১৮-র বেশি তাদের আইডি কার্ড ব্যবহার করে এটি করতে পারবেন। আর আপনি কিভাবে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করবেন এর জন্য আমার এই প্যারাগ্রাফটির উপরের অংশ পড়ুন তাহলে সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন।
বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম-ভূমিকা
একজন সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বিকাশ একটি অনেক অনেক কার্যকরী একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। আপনি খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটি স্মার্ট ফোনে কিন্তু একটি করে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা রয়েছে। যে আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লেনদেন থেকে একেবারে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন পর্যন্ত অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।
আর আপনি যদি এখন একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করে না থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা জরুরী। কেননা এটি থেকে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায় বিপদের সময়ে। এখন আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমার উপরের অংশগুলো ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারেন কিভাবে আপনি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত বিকাশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। এখন আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।
আর এমন তথ্য যদি আপনি প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয় যা আপনার দৈনন্দিন কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url