সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম

এক ঘন্টায় ১০ ডলার ইনকাম করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক আপনি কি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন। কিভাবে খুলবেন এই বিষয় নিয়ে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি খুব মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে এসে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। অনেক চেষ্টা করার পরও তারা নিজে নিজে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে না। তাদের সুবিধার্থে আমি তাদেরকে একেবারে বেসিক নিয়ম থেকে বিস্তারিত শিখিয়ে দিব।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও অনেক মানুষ রয়েছে যারা সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করে। উক্ত ব্যাংক থেকে খুব ভালো একটি সার্ভিস পাই এই জন্য তারা এখানে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা নতুনভাবে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান।

এখন যারা অনলাইনে কাজ করে এবং বিদেশের ডলার বাংলাদেশের ব্যাংকিং এর সাহায্যে টাকা উত্তোলন করতে চান তাদের জন্য একটি ভালো প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। আপনি অনেক নিয়মে কিন্তু সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে।

আরও পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক ত্রিপল স্ক্রিন বেনিফিট সম্পর্কে জানুন।

খুব সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। ঠিক তেমনভাবে আপনার যদি অনেকটা সময় থাকে তাহলে ব্যাংকে গিয়ে প্র্যাকটিক্যালি তাদের সাথে কথা বলবেন এবং তারা আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম শিখিয়ে দিবে সে অনুযায়ী আপনি কাজ করলে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।

অনলাইনের মাধ্যমে একাউন্ট করার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল অ্যাপ্স রয়েছে সেই এপ্সে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। অথবা আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েব সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। আর আমার জানামতে অ্যাপস ব্যবহার করে একাউন্ট তৈরি করা সবচেয়ে ভালো হবে।

প্রথমেই আপনার মোবাইল থেকে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তাহলে প্লে স্টোরে যাবেন এবং আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করেন তাহলে যাবেন। তারপর সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করবেন সোনালী ব্যাংক। তারপর আপনার সামনে এমন একটি অপশন চলে আসবে।

ইন্সটল করুন দেখাবে ওইখানে আপনি সর্বপ্রথম অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিবেন। আপনি যখন আপনি ওপেন করবেন তখন আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলবে আপনি প্রথমত আপনার সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।

আরও পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক সিনিয়র অফিস থেকে বেতন কত জেনে রাখুন।

এখন আপনার সামনে সর্বমোট ছয়টি অপশন চলে আসবে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন প্রথমেই লেখা আছে ব্যাংক একাউন্ট খুলুন। তারপর আছে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি এবং বুয়েট ফ্রি অথবা ভ্রমণ কর এবং আয়কর এবং সর্বশেষ ই পাসপোর্ট ফ্রি। এগুলো বাদ দিয়ে আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন ওইখানে ক্লিক করতে হবে।

এখন অন্যরকম একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে চলে আসবে ওইখানে চারটি অপশন থাকবে। প্রথমত থাকবে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে আপনার ছবি তুলুন। ছবি তুলতে হবে আপনাকে। তারপর লেখা থাকবে।

আপনার জন্ম তারিখ অথবা এন আই ডি কার্ড এনআইডি কার্ডের যে নাম্বার হয়েছে নাম্বারটি দিবেন অথবা আপনার জন্য তারিখ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখুন ( যদি এনআইডি কার্ড না থাকে )।

কাজগুলো সম্পন্ন হলে অটোমেটিকলি আপনাকে অন্য আরেকটি অপশনে নিয়ে চলে আসবে। সর্বপ্রথম উপরে লেখা থাকবে আপনার তথ্য প্রথমে লেখা থাকবে আপনার নাম তারপর এনআইডি কার্ড অথবা জন্ম তারিখ।

আরেকটু নিচে আসলে দেখতে পাবেন বর্তমান ঠিকানা বাড়ি/গ্রাম/রাস্তা এখানে যে কোন একটি ঠিকানা আপনাকে দিতে হবে। আপনার পোস্ট অফিস কোথায় লিখতে হবে। তারপরে আপনার নিজস্ব জেলা লিখবেন। সর্বশেষ উপজেলা লিখবেন।

ধাপ নম্বর ৫ এনআইডির সামনের ছবি গ্রহণ। আপনার এনআইডি কার্ডের ছবি ঐখানে দেখা যাবে। এবং নিচে লেখা থাকবে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে এনআইডি এর সামনের ছবি তুলুন। ছবিটি যখন আপনি তুলবেন তারপর অটোমেটিকলি অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে চলে যাবে।

এখন আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজ মোটামুটি শেষ এবং ব্যাংকের কিছু তথ্য থাকবে সেগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে। প্রথমে রয়েছে ব্যাংকের তথ্য আপনি যেই ব্রাঞ্চ থেকে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করেছেন।

সেখানকার ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করুন। আপনি যে ধরনের কাজ করেন পেশা দিবেন এবং নিচে কিছু তথ্য চাইবে তথ্যগুলো দিয়ে দিবেন তাহলে আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

সোনালী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এই ব্যাংকে আপনি সাধারণত দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

১। সেভিংস অ্যাকাউন্টঃ আপনি নির্দিষ্ট সময় কালের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি যদি ব্যাংকে জমা রাখেন এবং এ অনুযায়ী মাসে মাসে লাভ নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা জমা রাখতে হবে এবং যেই লাভটি আপনি পাবেন ওই লাভটি হচ্ছে সেভিংস একাউন্ট করার মূল উদ্দেশ্য।

২। কারেন্ট একাউন্টঃ এই একাউন্টে আপনি সাধারনত টাকা সব সময় লেনদেন করতে পারেন আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার জন্য সোনালী ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্ট একদম পারফেক্ট। এখান থেকে আপনি খুব সহজে ব্যবসার কাজের টাকা যখন ইচ্ছা তুলতে পারবেন আবার যখন ইচ্ছা রাখতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ প্রবাসী লোন পদ্ধতি জেনে ্নিন।

আপনি যদি একজন প্রবাসী হন অথবা অনলাইনে কাজ করেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য কারেন্ট একাউন্ট কেননা এখানে বিভিন্ন দেশের টাকা এসে যুক্ত হয় এবং আপনাকে তারা বুঝিয়ে দেয়।

আপনার যদি অনেক টাকা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেভিংস একাউন্ট চালাতে পারবেন। বিভিন্ন কাজের জন্য যদি একটা অ্যাকাউন্ট চান তাহলে আপনার জন্য কারেন্ট একাউন্ট।

বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় আপনি যদি কোন ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলতে হবে এবং কিছু জরুরী কাগজ জমা দিয়ে একাউন্টটি তৈরি করতে হবে। ঠিক তেমনভাবে সোনালী ব্যাংক এর ব্যতিক্রম কিছু না।

অফলাইন অথবা অনলাইন দুই ভাবেই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করতে হবে অথবা সরাসরি সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা আপনার নিকটস্থ ব্রাঞ্চ এগিয়ে আবেদন সংগ্রহ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট টাকা চার্জ করে না সোনালী ব্যাংক। আপনি যদি কোন স্বাস্থ্যই অথবা সেভিংস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে অবশ্যই এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আপনি যত টাকা রাখতে পারবেন সেই অংকের টাকা জমা রাখতে হয়।

আরও পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিং একাউন্ট চার্জ।

এটা করা হয় শুধুমাত্র আপনার সুবিধার জন্য।কেননা আপনি একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে অ্যাকাউন্ট রাখার জন্য আপনাকে কিছু টাকা অবশ্যই রাখতে হবে। কারেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে কোন টাকা প্রদান করতে হয় না আপনি শুধুমাত্র একাউন্ট তৈরি করে যদি টাকা লেনদেন করেন তাহলে লেনদেন করতে পারবেন।

আর আপনি যদি না করতে চান তাহলে বন্ধ রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না।

আপনার হারে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে আপনার একাউন্টের পিন নাম্বার এবং কিছু তথ্য আসবে সেগুলো দিবেন তাহলে আপনার একাউন্টে কত টাকা রয়েছে এবং কত তারিখে টাকা লেনদেন করা হয়েছে এর যাবতীয় তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে।

এটিএম কার্ড ব্যবহারকারী হলে আপনাকে অবশ্যই এটিএম বুথে যেতে হবে এবং কার্ডটি সেখানে দিয়ে পিন নাম্বার এবং তথ্যগুলো দিয়ে একাউন্ট চেক করে নিতে হবে। আপনার হাতে থাকা বাটন ফোন ব্যবহার করে আপনি কিন্তু একাউন্ট চেক করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে এ টু জেড জেনে রাখুন।

জন্য ব্যাংকে গিয়ে আপনাকে কথা বলতে হবে তাহলে তারা কিছু কোড আপনাকে বলে দিবে ওই কোডটি টাইপ করবেন তাহলে সকল কিছু জানতে পারবেন।

আপনাদেরকে আজকে কিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয়। 2024 সালের নতুন নিয়ম বলে দিলাম একেবারে বেসিক থেকে শুরু করে বিস্তারিত। আর্টিকেলটি যদি সম্পূর্ণ তাহলে আপনি ঘরে বসেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। আপনার কাছে যদি আমার ব্লগটি কাজের মনে হয়।

তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। তারাও যেন কোন ঝামেলা ছাড়াই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পা্রে। এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটির চোখ রাখতে হবে প্রতিদিন।