বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে?

মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা কবে চালু হয়েছে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ইন্টারনেট সেবা কবে চালু হয়েছে বাংলাদেশে। আর আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এখানে আমি আজকে আপনাদের বলব যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের উদ্ভাবন হয়ে্ছিল।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে
আমরা মূলত সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করি আর এই স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে তাহলে আমাদের স্মার্টফোন সচল হবে।তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ইন্টারনেট কতটা জরুরী। সেজন্য ইন্টারনেট কবে চালু হয়েছিল এ বাংলাদেশ এটাও কিন্তু অনেক জরুরী।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে - মূলভাব

বর্তমান সময়ে খেয়াল করলে দেখা যায় যে প্রত্যেকটি মানুষের হাতে কিন্তু স্মার্টফোন রয়েছে। তাছাড়া পাঁচ বছরের বাচ্চার থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। আবার এই স্মার্টফোনটি অনেক জরুরী আমাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে।আর আমি যদি এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে থাকি।

তাহলে সর্বপ্রথম আমার ফোনে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু থাকতে হবে। ইন্টারনেট বলতে কোন প্রোভাইডরের ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যাংকের ডাটাবেজ অথবা কোন সিম কোম্পানির ইন্টারনেট।তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন একটি স্মার্টফোন চালানোর জন্য ইন্টারনেট কতটা জরুরী। আমরা সকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।


কিন্তু আমরা একটা বিষয় খেয়াল করি না কিংবা ভাবি না। যে আসলে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল।তাহলে আমরা বলতেই পারি যে আমাদের বাংলাদেশে কবে থেকে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তো আজকের এই আর্টিকেলে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

তাহলে আসুন অযথা সময় নষ্ট না করে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করি। আশা করি আপনাদেরকে সঠিক তথ্য বলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সবকিছু করতে পারি। যত ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা কিংবা সংবাদপত্র পড়া এক কথায় এই ইন্টারনেটের সাহায্যে সবকিছু করা যায়।আপনি যে দৈনন্দিন কাজে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন আপনি কি জানেন যে কে এই ইন্টারনেটের আবিষ্কার করেছেন।

আমার মনে হয় দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে এই ইন্টারনেটের আবিষ্কারক কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন চিন্তার কোন কারণ নেই।কেননা এই আর্টিকেলে ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেছেন এ কথাটি তুলে ধরার চেষ্টা করব সময় নষ্ট না করে আলোচনা শুরু করা যাক। আপনি হয়তো মনে করেন।

যে একদিনেই হয়তো বা ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে।কিন্তু আসলে তা না ইন্টারনেট আবিষ্কার হতে বহুদিন সময় লেগেছে একটু একটু করে ইন্টারনেটকে এখনকার এই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন ব্রিটিশের এক বিজ্ঞানী টিম বার্নেস লী। আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের মূল কি।

আসলে ইন্টারনেটের মূল্য হচ্ছে''WWW'' এটি। এটি 21 শতকের শুরুর দিকে আবিষ্কার করেন। আশা করি আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে

এই ইন্টারনেট বিশ্বের মানুষকে একে অন্যের সাথে যুক্ত রাখার মাধ্যমে নামই হচ্ছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায়। আপনি যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এত কিছু করেন তা আপনি কি জানেন ইন্টারনেট কবে চালু হয়েছিল। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।

এখন বর্তমানে ২০২৩ সালে এসে অবাক করা বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১৭ কোটি এবং তার মধ্যে ৬২% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ইন্টারনেট একদিনে আবিষ্কার হয়েছে তাহলে আপনি একেবারে ভুল ভাবছেন আসলে একদিনে এই ইন্টারনেট কখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।


যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়ে যখন ইন্টারনেটের টাওয়ারে বিস্ফোরণ হয়েছিল তখন কিন্তু ইন্টারনেট সেবা একটু অধীর গতিতে চলছিল।তো এটি ঠিক করার জন্য ১৯ ৬৯ সালে পুনরায় ভাবে আধুনিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এতক্ষণ আপনাকে বললাম ইন্টারনেট সেবা কখন চালু হয়েছিল।

কিন্তু এখন আপনাকে বলব যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয়েছিল কত সালে।আমাদের দেশে কিন্তু হুট করে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়নি। মূলত ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমতিতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা দিনে দিনে অনেক উন্নত হচ্ছে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান

পাঠক আপনি কি জানেন যে বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান নাম কি।
ICCE COMMUNICATIONS
বাংলাদেশের বাজারে এটি অনেক বহুল পরিচিত একটি ইন্টারনেট সীমা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুর দিকে। এটি বাংলাদেশের বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
এটির ইন্টারনেট ব্যবস্থা অনেক ভালো এবং ব্রাউজিং স্পিডো অনেক বেশি এটি মূলত বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে
LINK3 TECHONOLOGY
এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত কার্যকরী এবং জনপ্রিয় তা অর্জন করার একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে সচল করে রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দিনে দিনে তাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছে।এটি মূলত ঢাকা শহরে সার্ভিস দিয়ে থাকে। আর এই প্রতিষ্ঠানটিও বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

ইন্টারনেট আসক্তির কুফল কি কি

বর্তমান সময়ে আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা দিন দিন কিন্তু বেড়েই চলেছে। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন বাচ্চারাও কিন্তু বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু তারা যদি বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের মূলত সর্বপ্রথম চোখের সমস্যা হবে।
এই ইন্টারনেট কে আমরা বলতে পারি।

জাদুর ঘটির মত কেননা যেমন জাদুর ঘটি কাছে যা চাওয়া হয় সেটি পাওয়া জায়। ঠিক তেমনি আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি ইন্টারনেটের সাহায্যে আমরা ফেসবুক ইউটিউব হোয়াটসঅ্যাপ ইমো ফ্রি ফায়ার পাবজি আরো অনেক কিছু করে থাকি।আপনি যদি কোন কিছু জানতে চান তাহলে গুগল কিংবা ইউটিউবে শুধুমাত্র সার্চ দিবেন।


তাইলে কিন্তু ওই বিষয়ে লক্ষ লক্ষ তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। আপনি যদি ভালো কিছু জানার জন্য সার্চ দেন তাহলে তো ভালো কিন্তু ওইটা যদি আপনি খারাপ দিকে ব্যবহার করেন তাহলে কি হবে।আপনি যদি এই ইন্টারনেটের অপব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনার প্রথমত শরীরের ক্ষতি হবে তারপর চোখের ক্ষতি হবে।

মাথার ক্ষতি হবে লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনি যদি জীবনে কিছু করতে চান তাহলে।এই ইন্টারনেট আপনাকে বেশি ব্যবহার করা যাবে না আপনি চাইলে অল্প সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।

কিন্তু মাত্রাধিক ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আপনি লেখাপড়াতে মনোযোগ দিতে পারবেন না। আশা করি এই বিষয়ে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে পেরেছি।

ইসলামের পরিভাষায় ইন্টারনেট হালাল নাকি হারাম

আমাদের মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে যে আমাদের ইসলাম ইন্টারনেটকে কতটুকু গুরুত্ব দেয় আসলে এটি হালাল হবে না হারাম হবে তাই না। একটা জিনিস আপনি খেয়াল করে দেখেন আগেকার দিনে কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছিল না তারপরও কোন মানুষের জীবনের চলার পথে কোন বাধা ঘটেনি।কিন্তু প্রযুক্তির বিবর্তনের ফলে।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের ইসলাম এই ইন্টারনেটকে হালাল বলে যদি আপনি ভালো কাজে ব্যবহার করেন। ধরুন আপনি যেকোন হাদিস সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু আপনার কাছে বই নেই তাহলে আপনি কি করবেন এই ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি হাদীসটি খুঁজে বের করে পড়তে পারবেন।


ঠিক তেমনি আপনি হয়তো কোথাও ভ্রমন করছেন আপনার একলা একলা লাগতেছে যে কুরআন শরীফ পড়বেন কিন্তু আপনার কাছে তো কোরআন শরীফ নেই তাহলে আপনি এই ইন্টারনেটের সাহায্য করতে পারবেন এই বিষয়গুলো যদি আপনি দেখেন তাহলে ইন্টারনেট ইসলাম বলে হালাল।

ঠিক একইভাবে আপনি যদি কোন হারাম কাজের দিকে এই ইন্টারনেট সেবা কে ব্যবহার করেন তাহলে আমাদের ইসলামের দিকে হারাম বলে। তো প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের ইসলাম ইন্টারনেট সেবা কে হালাল বলে না হারাম বলে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এই ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে আপনাদেরকে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেল থেকে কিছু সঠিক তথ্য জানতে পারেন কিংবা শিখতে পারেন। তাহলে আপনার আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন যাতে তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

আর নিয়মিত আমার এই ওয়েবসাইটে এরকম তথ্য প্রদান করা হয়। আপনি যদি এরকম তথ্য নিয়মিত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url