প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব ?
এক ঘন্টা কাজ করে ১০ ডলার ইনকাম করার সহজ উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন এ সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আঁটিকাটিকেই শুধুমাত্র আপনারই জন্য এখানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার উপায় আপনাদেরকে আজকে জানাবো।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আমি খেয়াল করে দেখছি যে গুগলের মানুষ সার্চ করছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায়। তাদের সুবিধার্থে আজকে আপনাদের সামনে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে এসেছি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব
আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা প্রবাসে যেতে চান টাকা ইনকাম করার জন্য। কিন্তু সবার কাছে বিদেশ যাওয়ার মত পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে না। এজন্য ওই ধরনের মানুষের সুবিধার জন্য প্রবাসী কল্যাণী ব্যাংক একটি বিশাল সুযোগ নিয়ে এসেছে। আপনি আবেদন করার মাত্র তিনদিন পরেই এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন পেয়ে যাবেন।
তাই এখন জমি বিক্রি করে প্রবাসে যাওয়ার দিন শেষ। এখন আমি এই লোনের জন্য কি কি শর্ত রয়েছে এবং কি কি নিয়ম রয়েছে এগুলো আপনাদেরকে বেসিক থেকে শুরু করে বিস্তারিত বলবো। কেননা আপনারা যেন খুব সহজেই বুঝতে পারেন। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমার মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
অভিবাসন ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতা
- আপনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকরির জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন। আবেদনকারীকে নিয়োগকারী / ব্যক্তিগতভাবে সংগৃহীত ভিসার দুই কপি ফটোকপি ও মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা তিন কর্ম দিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
- আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠজন ব্যাংকের পাওনা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। কেননা আপনি যদি কোন কারণবশত নির্দিষ্ট ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধু যেন রিংটি পরিশোধ করতে পারে।
- অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচলতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন অসচ্ছল ব্যক্তি যদি জামিনদার হতে চায় তাহলে কিন্তু কখনোই ব্যাংক তাকে অনুমতি দিবে না।
- ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্নে বর্ণিত কাগজপত্র সহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যোগাযোগ করতে হবে। এরপর আপনার ঋণ দেওয়ার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তীতে করণীয়
- অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন ফরম পাওয়ার আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা ব্যবস্থাপকের বরাবর আবেদন করতে হবে। কেননা পরবর্তীতে এটি যেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে পারে।
- নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পর অভিবাসন ঋণের আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। পূরণ করার পূর্বে উপরের থেকে নিজে পর্যন্ত সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন এবং বুঝতে যদি না পারেন তাহলে ব্যাংকের কোন কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করলেই তারা আপনাকে উত্তর দিবে।
- আবেদনকারীর সবেমাত্র তোলা তিন কপি সত্যায়িত ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি এবং পাসওয়ার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি বর্তমান ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে। আপনি সত্যিই কি একজন ওই দেশের নাগরিক এবং তোতা যাচাই করার জন্য এ সকল কাগজপত্র অত্যন্ত জরুরী।
- আবেদনকারীর জামিনদার এর প্রত্যেকের সদ্য তোলা দুই কপি করে সত্যায়িত ছবি ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে এবং বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- অভিবাসন ঋণ গ্রহণ কালে কর্মীকে সঞ্চয় হিসাব খুলতে হবে। কেননা ঋণ পরিশোধ করার পাশাপাশি তার যেন কিছু টাকা জমা থাকে এবং পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধ করা শেষ হওয়ার পর এটি অনেক বড় পরিমাণে হয়ে দাঁড়ায়।
- প্রবাসী লোন এর কর্তৃক আয়কৃত সকল টাকার রেমিটেন্স উত্তর সঞ্চয় হিসেবে মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে। কেউ যদি অবৈধভাবে এটি পাচার করতে চায় তাহলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- প্রবাসী লোন গ্রহণ কালেকর্মীকে বীমা সুবিধানি হবে। কেননা প্রবাসে চাকরি করা অবস্থায় যদি কর্মীটি কোন উপায়ে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে ব্যাংক থেকে যেন কিছু পরিমাণ টাকা তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিবারের লোক নিতে পারে।
- যে ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে থাকবেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেক এর তিনটি পাতা প্রদান করতে হবে। কারণ ব্যাংকের লোকেরা যেন বুঝতে পারে জামিনদার এর একটি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে এবং ব্যাংকে অনেক পরিমাণে টাকা রয়েছে।
- আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্টাক্ট অর্থাৎ যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ আছে। এর ফটোকপি দুই কপি এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি ( প্রয়োজন সাপেক্ষ ) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি অর্থাৎ এর প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে জালিয়াতি হিসেবে যেন না ধরা পড়ে এইজন্য।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে। যদি অনেক পুরনো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ হয়ে থাকে এবং কারণবশত হারিয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে এর বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু ব্যাংকে নিতে পারে।
- শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে। কেননা নির্দিষ্ট বয়সসীমা অনুযায়ী যদি না হয় তাহলে কিন্তু একজন মানুষ শারীরিক অক্ষমতার ভোগে। এক্ষেত্রে সে প্রবাসে গিয়ে কাজ করতে সমস্যা হতে পারে তার।
- অভিবাসন ভাইয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত দিতে হবে। পরবর্তীতে যেন এর প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে আর কোন সমস্যা যেন না হয়।
- আবেদনকারীর বিদেশের কর্মসংস্থানের ঠিকানা এবং টেলিফোন ইমেইল ঠিকানা ইত্যাদি এর সাথে জড়িত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে। বি এম ই টি কর্তৃক বিষুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় ই পৃষ্ঠের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন সে এজেন্সি কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখসহ প্রত্যায়ন পত্র এবং এ সম্পর্কে জড়িত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
- আপনি যেই বিমানে করে প্রবাসী যেতে চাচ্ছেন এবং যেখান থেকে টিকিট ক্রয় করবেন তার একটি ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে এটি কোন বাধ্যতামূলক না।
- ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা প্রদান করতে হবে ( বাধ্যতামূলক )
বিঃদ্রঃ এখানে যে সকল তথ্য দেখালাম এগুলো একদম সঠিক তথ্য। তারপরও ব্যাংকে নিজস্ব ওয়েবসাইট অথবা আপনি নিজে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যাবেন এবং তাদের কর্মীদের সাথে কথা বলবেন তারপর আবার ভালোভাবে তথ্যগুলো জেনে নিবেন এবং এগুলো করার পর আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায় আপনাদেরকে আজকে বললাম। এখান থেকে কোন সঠিক তথ্য যদি শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আর কেউ কিংবা নিকটস্থ বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা তারাও যদি প্রবাসে যেতে চায় তাহলে তাদের সুবিধার জন্য তাদেরকে জানাবেন। এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url