মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় - অনলাইন এবং অফলাইন
এক ক্লিক করে পাঁচ ডলার ইনকাম করার উপায়আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনি কি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুজতেছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য জানতে পারেন নাই। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা সহজ উপায় অবলম্বন করে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে চাই। তাদের এই কথা চিন্তা করে আমি অনেকের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় - মূলভাব
অনেক জায়গায় বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন ইনকামের কথা শুনেছেন। কিন্তু আপনি যখন ওই কাজটি করতে গিয়েছেন তখন সফল হতে পারেননি। আমি অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি এবং চিন্তা করার পর আপনাদের জন্য এমন 15 টি অনলাইন এবং অফলাইন ইনকামের উপায় নিয়ে এসেছি।
এই কাজগুলো মনোযোগ সহকারে এক বছর যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনার মাসিক ইনকাম হয়ে দাঁড়াবে ৫০ হাজার টাকা অথবা তার বেশি হতে পারে। তাই আজকের এই আর্টিকালি অনেক ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। ২০২৪ সালে এসে অনেকেই চিন্তা করে যে মাসে কি ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার কোন উপায় রয়েছে।
তাহলে আমি বলি শুনুন এখন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন বড় বিষয় না। এর জন্য প্রথমত থাকতে হবে আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং মনোবল। সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে কাজগুলো যদি সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই সফল হতে পারবেন। কাজ করার সময় অনেক বাধা সৃষ্টি হবে।
কিন্তু কোথাও কান দিলে চলবে না শুধু আপনার কাজের উপর ফোকাস করতে হবে। আশা করি আমার 15 টি উপায় এর মধ্যে আপনার কাছে অবশ্যই একটি কার্যকর বলে মনে হবে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
সঠিক নিয়মে ওয়াইফাই ব্যবসা দাঁড় করানো
বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এই ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য তাদের সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় ওয়াইফাই এবং ডাটা। আর এখন সিম কোম্পানিগুলো এমনভাবে তাদের ডাটা এর দাম বাড়াতে শুরু করেছে। সেজন্য কোন সাধারণ মানুষ ডাটা ক্রয় করে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। এর বিকল্প পদ্ধতি হচ্ছে ওয়াইফাই। এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি এলাকা নির্বাচন করতে হবে যেখানে ওয়াইফাই এর কোন ব্যবস্থা নেই। ওইখানকার উচ্চবিত্ত মানুষদের সাথে আলোচনা করবেন যে তারা তাদের এলাকায় ওয়াইফাই নিতে চাচ্ছে কিনা এবং তাদের মাধ্যমে।
এলাকায় ওয়াইফাই এর এই বিষয়টি যেন ছড়িয়ে পড়ে।এ সকল বিষয় নিয়ে আরো কিছুদিন চিন্তাভাবনা করবেন এবং ভালোভাবে পরামর্শ নেওয়ার পর আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এর জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন আছে আপনি চাইলে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এবং আপনার যদি নগদ টাকা ব্যবহার করে।
ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই কাজটি করতে পারেন। ব্যবসা শুরু করার কিছুদিন পর থেকে আপনার ব্যবসা বেশি লাভ দেখা দেবে না কিন্তু ভালোভাবে এবং সৎ উপায় আপনার গ্রাহকদের যদি সুন্দরভাবে সেবা প্রদান করতে পারেন তাহলে এক বছরের মধ্যে আপনার মাসিক ইনকাম প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়ে যাবে।
পশু প্রাণীদের খামার তৈরি করে ইনকাম
এখন সবাই লেখাপড়ার পিছনে সময় দেয় এবং সবাই চাকরি করতে চাই। ভালো একটা চাকরি করলে প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ২০ থেকে ২২ বছর পড়াশোনা করতে হবে। এখন আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করবেন কিভাবে যদি আপনি গ্রামে থাকেন।
এর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে যেকোন পশু প্রাণীদের খামার তৈরি করা প্রথমত যেখানে খামার তৈরি করবেন কাঙ্ক্ষিত স্থানটি নির্বাচন করুন এবং আপনার হাতে যদি মাত্র ২০ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে আপনি এই কাজটি শুরু করতে পারেন এবং টাকা না থাকলে ব্যাংকে যোগাযোগ করলে তারা খুব অল্প সুদের ভিত্তিতে।
এই লোন টি প্রদান করবে। টাকাগুলো সংগ্রহ করার পর একটি খামার তৈরি করা শুরু করে দিন। যেখানে থাকবে ১৫ টি গরু এবং ২০ টি ছাগল অথবা পোল্ট্রি ফার্ম আপনি চাইলে পুকুরের উপরে খামার তৈরি করতে পারেন এবং নিচে মাছ চাষ করতে পারেন। এভাবে ভালোভাবে পরিশ্রম করতে পারেন। তাহলে এমন একটি সময় আসবে।
যেখানে আপনার খামার থেকে অন্যান্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে পাশাপাশি আপনার অনেক টাকা ইনকাম হচ্ছে। একেবারে মাসিক ইনকাম ০ থেকে মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম এটা কিন্তু অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। এই উপায় যদি আপনি অবলম্বন করেন তাহলে মাসে ৫০০০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
প্রফেশনাল ট্রেডার হিসেবে কাজ করা
অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করার মাধ্যম হচ্ছে ট্রেডিং করা। মাত্র এক মাস থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত সঠিক নিয়মে এবং সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে যদি ট্রেডিং এ ভালোভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার অনেক টাকা ইনকাম হওয়া সম্ভব। প্রথমত যখন কাজ করতে যাবেন মার্কেটপ্লেসে।
যখন টাকা ইনভেস্ট করবেন এবং অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার কিন্তু একেবারে ভেঙে পড়লে কখনোই হবে না এইভাবে হারাতে হারাতে একদিন প্রফেশনাল ট্রেডার হিসেবে পরিচিত পাবেন। যারা সফল ট্রেডার তারা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছে। এবং অনেক কঠোর পরিশ্রম করার পর।
তারা একজন প্রফেশনাল ট্রেডার হতে পেরেছে।প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা করে ট্রেডিং করবেন এবং অল্প কিছু টাকা প্রতিদিন ইনভেস্ট করার চেষ্টা করবেন এবং যার কাছ থেকে এই কাজটি শিখতেছেন তার সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন এবং এক বছর পর দেখা যাবে আপনার স্কিল ডেভেলপ হবে এবং অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন।
এভাবেই শুরু থেকে অনেক কষ্ট করার পর আপনার প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ইনকাম হতে পারে ১ লক্ষ টাকা।আর আপনাকে বলে রাখি ট্রেডিং অনেক রিস্কি। ক্ষতির কথা মাথায় রেখে কাজটি করতে পারেন তাহলে এই কাজটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। সঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং প্রফেশনাল ট্রেডার হিসেবে পরিচিত লাভ করুন।
ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে কনটেন্ট লিখে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগার ওয়েবসাইট। এখানে প্রতিদিন অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হয়।কাজটি শুরুর প্রথমে আপনাকে সঠিক গাইডলাইন এর মাধ্যমে শিখতে হবে। এই কাজের জন্য আপনার ভিতরে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমন আপনাকে প্রতিদিন 8 থেকে 9 ঘন্টা কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষমতা রাখতে হবে।
কখনোই ধৈর্য হারালে চলবে না। কাজ শুরু করার দুই তিন মাস পর থেকে টাকা ইনকাম করার চিন্তা কখনই করা যাবে না। প্রতিদিন নতুন নতুন উপায় আপনার আর্টিকেলের ডেভলপ করতে হবে। দৈনিক দুই ঘণ্টা করে বিভিন্ন ইউটিউবারের ভিডিও দেখবেন এই ব্লগার ওয়েবসাইটের নিয়ে। এইভাবে দুই থেকে তিন মাস।
ভালোভাবে সঠিক নিয়মে কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করতে পা্রেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ৬ মাস পর এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন।শুরুর দিকে প্রতিদিন যদি ১ হাজার করে ক্লিক থাকে তাহলে প্রতি মাসে আপনার ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে। আপনি নিয়মিত যদি কাজ করেন।
তাহলে এক বছর পর আপনার ইনকাম ৫০ হাজার টাকা হয়ে দাঁড়াবে। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হবে না শুধুমাত্র একটি ডোমেইন কিনবেন যার বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
যার কাছ থেকে আপনি এই কাজটি শিখবেন সেখানকার শিক্ষকেরা আপনাদেরকে সকল কিছু জানিয়ে দিবে। তাই দেরি না করে এখন থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর এই সেক্টরের কাজ শুরু করুন ইনশাল্লাহ আপনিও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন।
Youtube চ্যানেল মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম
একজন সফল ইউটিউবারের প্রতি মাসে ইনকাম হয় সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা। এরকম একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনার ভিতরে যে ধরনের প্রতিভা রয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিমাসের লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি একজন গৃহিণী হন তাহলে বিভিন্ন রান্নার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। যেই ধরনের কাজই করুন না কেন ওই বিষয়ের উপর একটি করে ভিডিও তৈরি করবেন এবং মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন সম্পূর্ণ বিষয়।আপনার কনটেন্ট গুলো যদি ইউটিউবে মানুষ ভালোভাবে দেখে এবং মজা পায়।
তাহলে কিন্তু আপনার চ্যানেলটি মানুষ ফলো করতে শুরু করবে। ইউটিউব এর নিয়ম অনুযায়ী ইনকাম শুরুর জন্য আপনার এক হাজার ফলোয়ার লাগবে এবং সর্বোচ্চ ওয়াচ টাইম লাগবে ৪০০০ ঘন্টা। এই কাজগুলো করার নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে এক বছর। তাই শুরু থেকে আপনি ভালোভাবে youtube এর পিছনে যদি কাজ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ একটি বিজ্ঞাপন দেখে ১০০ টাকা ইনকাম।
তাহলে এক বছর পর আপনার ইনকাম প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থাকবে। এখন মানুষ ইউটিউবে ভ্রমণের ভিডিও বেশি দেখে।আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হন তাহলে যেখানে ভ্রমণ করবেন ওইখানকার ভিডিও করবেন এবং কিছু কপিরাইট ফ্রি সাউন্ড ব্যবহার করবেন।
তার সাথে আপনি কিছু কথা বলবেন তাহলে এভাবেই আপনার কনটেন্টগুলো মানুষ পছন্দ করবে। এমন করেপ্রতি মাসে ইনকাম প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়ে দাঁড়াবে।
ফেসবুক পেজ থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার পর ভিডিওতে যদিভিউ আসে এবং লাইক কমেন্ট আসে তাহলেও ফেসবুক কোম্পানি আপনাকে বেশি টাকা ইনকাম দেবে না। এর জন্য আপনাকে কিছু ট্রিক্স মেনে চলতে হবে। আপনি ভালো ভিডিও যদি ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ টা।
এবং প্রতিটি ভিডিওর জন্য ফেসবুক কোম্পানি যদি আপনাকে দশ ডলার করেও দেয় তাহলে কিন্তু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই পরিমাণ টাকা কিন্তু টার্গেট অনুযায়ী হচ্ছে না। এর পাশাপাশি আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। একটি পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য।
আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করতে পারেন। এবং সেই লিংকটি আপনার পেজের মাধ্যমে শেয়ার করলেন এবং আপনার অডিয়েন্স যারা রয়েছে তারা সেই লিংকের মাধ্যমে ঢুকে প্রোডাক্টটি দেখল এবং তাদের যদি পছন্দ হয় তারা এগুলো কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করল এবং অর্ডার করলো। আপনার পেজের পারফারমেন্স অনুযায়ী।
যে প্রোডাক্ট যেমন পার্সেন্টেজ আপনাকে দিবে সেই পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন তাই ভালো কোন এফিলিয়েট সাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
তাছাড়া একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক পেজ থেকে ইউটিউব ভিডিওর লিংক শেয়ার করা। এর জন্য অবশ্যই আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
অনলাইন ব্যবসা করে মাসের লক্ষাধিক টাকা আয়
ব্যবসা করার জন্য অনলাইন হচ্ছে অনেক জনপ্রিয় একটা মাধ্যম। মনে করুন শহরে আপনার ভালো একটি দোকান থেকেও যে এত টাকা ইনকাম হবে না শুধুমাত্র অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে তার চেয়েও বেশি টাকা ইনকাম হবে। আপনি কোন সেলিব্রেটি অর্থাৎ যাদের ফেসবুক অথবা ইউটিউব চ্যানেলে অনেক অডিয়েন্স রয়েছে।
তাদের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে আপনি যে পণ্যটি বিক্রি করবেন তাদের বিজ্ঞাপন ভিডিও মাঝখানে যদি দেখাতে পারেন তাহলে এই পণ্যগুলো দেখার পর কেনার জন্য অনেক মানুষ আগ্রহী হবে। এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করবে ঠিক এমন ভাবেই আপনার ইনকাম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে।
প্রথমত আপনি এমন কিছু প্রোডাক্ট কে টার্গেট করবেন যেগুলো মানুষ কম ব্যবহার করে সেজন্য বড় বড় যারা ব্যবসায়ী রয়েছে তারা এই বিষয়গুলোকে কতটা গুরুত্ব দিবে না। তাই ছোট বিষয়গুলোকে টার্গেট করবেন এবং ফেসবুক অথবা ইউটিউবে এর মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন। এই মার্কেটিং এর মধ্যে থাকতে পারে।
যেকোনো ধরনের গার্মেন্টস শার্ট, প্যান্ট ,জুতা অথবা ঘড়ি মোবাইল,মোবাইলের ব্যাক কভার। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য টিভি, ফ্রিজ কম্পিউটার,ল্যাপটপ এবং খাদ্য সামগ্রী হতে পারে যেমন ধরুন পিজা। একজন মানুষের নিত্যদিনের যে সকল পণ্য কাজে লাগে সেগুলোকে টার্গেট করে আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন।
এবং বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে সেগুলোর বিজ্ঞাপন দেখাবেন। প্রথম অবস্থায় আপনার বেশি ইনকাম না হলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনার টাকা ইনকাম হতে শুরু হবে। তাই প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করার বড় একটি মাধ্যম অনলাইন ব্যবসা।
অন্যের ভিডিও এডিট করে টাকা ইনকাম
আপনি প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং ফেসবুক অথবা ইউটিউবে কিংবা tiktok এ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখেন তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি ক্যাটাগরির ভিডিও বেশি পছন্দ করেন।অন্যের ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে নিজের ইনকাম করা যায়। এ বিষয় নিয়ে ইউটিউবে এবং ফেসবুকে কিছুদিন ধরে গবেষণা করে দেখবেন।
মানুষ কি ধরনের ভিডিও বেশি পছন্দ করে থাকে।যখন দেখা শেষ হবে তারপর কিছু ইউটিউবার অথবা ফেসবুকের মালিকদেরকে টার্গেট করবেন তারা কি ধরনের ভিডিও আপলোড করে। প্রথম অবস্থায় ১৫ থেকে ২০টি ভিডিও সংগ্রহ করে নিবেন। এরপর দেখবেন ভিডিওর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছে।
ওই কথাগুলোর ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত নিবেন একটি ভিডিও থেকে। ঠিক এমন ভাবে ২০টি ভিডিও থেকে যদি পাঁচ সেকেন্ড করে নেন তাহলেও কিন্তু ১০০ সেকেন্ড হয়ে যাবে। ভিডিওর আগে অথবা পরে কিছু যুক্ত করার পর একটি সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হবেন। পরবর্তীতে নিজের ইচ্ছামত এডিট করবেন।
এবং কিছু ফানি সাউন্ড লাগিয়ে দিবেন। এভাবে করলে আপনার ভিডিওতে কোন কপিটারাইট আসবে ্না। এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল এবং facebook পেজ তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে ওয়াজ জনপ্রিয় একটি ভিডিও।কোনো বক্তার ভিডিওতে টার্গেট করে তার ভিডিও গুলো সংগ্রহ করবেন।
তারপর এমনভাবে এডিট করবেন যেন কেউ ধরতে পারে না।সাউন্ড কপিরাইট আসতে পারে আপনার ভিডিওতে এর জন্য যেটা থেকে ডাউনলোড করেছেন তার নিচে খেয়াল করে দেখবেন একটি ক্রেডিট অপশন রয়েছে। সেটাকে কপি করার পর আপনার কপিকৃত ভিডিওর নিচে ক্রেডিট হিসেবে ওই চ্যানেলের নাম।
এবং ভিডিওর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিবেন। এভাবে যদি অন্য কারোর ভিডিও কপি করতে পারেন তাহলে কোন কপিরাইট আসবে না। এ উপায় কি কাজে লাগিয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং তার বেশিও ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমানে দেশের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার কারণে। প্রত্যেকটি পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য ঘরে বসে লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে ভর্তি করিয়ে থাকেন। করোনা ভাইরাস হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স করে এবং লেখাপড়া অনলাইনে করে। আপনি এখন এই বিষয়গুলোকে টার্গেট করে কাজ করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে লেখাপড়া জানতে হবে।সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এটা হতে পারে ফেসবুক অথবা ইউটিউব অথবা instagram।এর জন্য কিন্তু প্রথমেই আপনাকে একটি বিজ্ঞাপন দিতে হবে। এরপর আপনার কাছে কোর্স করতে ইচ্ছা প্রকাশ করবে।
তাদেরকে নিয়ে আপনি একটি ফেসবুক অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে লাইভ ক্লাস শুরু করবেন।তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন দিবে।যে ক্লাসগুলো আপনি করবেন সেগুলো ভিডিওর মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখবেন যেন শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে তাদের সুবিধার জন্য এটি ডাউনলোড করে নিতে পারে।
এখন আপনার যদি ৫০ জন শিক্ষার্থী হয় এবং ৫০ জনের কাছ থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে নিতে পারেন তাহলে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম হবে। এর পশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও কিছু ইনকাম আসবে। শুধু লেখাপড়ায় নয় বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ হিসেবে এই কোর্সটি চালু করতে পারেন। এগুলো শুধুমাত্র নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর।
অনলাইনে ডাক্তারি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করুন
ডাক্তারি করে মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করা কোন বড় বিষয় না। একজন প্রফেশনাল ডাক্তার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথম মেডিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রী নিতে হবে এরপর আপনি কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে ডাক্তারি সেবা দিতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে আপনি কিছু ওয়েবসাইটকে কাজে লাগিয়ে ডাক্তারি সেবা দিতে পারেন। এর জন্য কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ডক্টর আলো, ডক্টর আই এবং ডক্টর কু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখানে আপনার সমস্যার কথা বলেন তাহলে সরাসরি ডাক্তারের কাছে ফোন দিয়ে দিবে
এবং আপনার সাথে কথা বলার পর ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করে দিবে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু নিতে পারেন।সর্বপ্রথম আপনার একটি ডাক্তারি সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং আপনি একজন দক্ষ ডক্টর এ হিসাবে প্রমাণ দেওয়ার জন্য কিছু জরুরী কাগজ এবং লাইসেন্স থাকতে হবে।
এগুলো নিয়ে আপনি যদি ওয়েবসাইটের মালিক দের কাছে জমা দেন তাহলে তারা আপনাকে ডক্টর হিসেবে নিয়োগ দিবে। এভাবে আপনি ঘরে বসে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লাইব্রেরী স্থাপন করা এবং ব্যবসা করা
আপনি জানলে অবাক হবেন যে একটি বইয়ের লাইব্রেরী থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু জরুরী নিয়ম মানতে হবে এগুলো মানতে পারলে অনেক টাকা ইনকাম হবে। প্রথমত এমন একটি জায়গা সিলেক্ট করতে হবে যেখানে স্কুল শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসা বেশি।
যেমন কলেজের সামনে কোন একটি বড় মার্কেটে এক কথায় বলতে গেলে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা সব সময় বেশি থাকে। এবং অনলাইনে এই ব্যবসাটি বৃদ্ধি করতে চাইলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বই সম্পর্কে।
যেখানে শিক্ষার্থী আসবে এবং তাদের কাঙ্খিত বইগুলো পড়বে এবং জ্ঞান অর্জন করবে। এর ফলে তারা আপনাকে কিছু টাকা দেবে এবং গুগল এডের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আর একটি লাইব্রেরীতে শুধু বই থাকে না বইয়ের সাথে খাতা কলম এবং লেখাপড়ার যত ধরনের সামগ্রী রয়েছে সবগুলো থাকে।
একটি কিনতে এসে অনেককেই রয়েছে যারা অনেক কিছু কিনে থাকে। প্রথমে দোকানে লোকজন কম আসবে এবং তাতে কখনোই ভেঙে পড়লে চলবে না এর জন্য একটি সময় পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার পাঠকদের কে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।
যেন তারা একবার আসার পর আবার আসতে চাই। এইভাবেই দিনে দিনে আপনার দোকানের প্রণাম যখন বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার ইনকাম অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
ইনভেস্ট করে লক্ষ্যাদিক টাকা ইনকাম
ইনভেস্টের মাধ্যমেমাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করতে চান সেজন্য আপনার উচিত হবে ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবসা করা। আপনার কাছে ১০ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যদি মূলধন থাকে। তাহলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করার কোন কিছু ব্যাপার না। কেননা একটি ট্রান্সপোর্টের ট্রাক থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
একইভাবে একাধিক থাকে তাহলে কিন্তু আপনার অনেক টাকা মাসিক ইনকাম হবে। একটি ট্রাক কেনার জন্য আপনাকে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখতে হবে। আপনারক এত বাজেট না থাকে তাহলে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে একটি ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যে সকল মালিকের গাড়ি দেখাশোনা।
করার কোন মানুষ নেই তাদের থেকে মাসিক চুক্তিতে গাড়িগুলো আনতে পারেন এবং তাদেরকে কিছু টাকা দেওয়ার পর বাদবাকি টাকা আপনার কাছে থাকে তাহলে মাস শেষে অনেক টাকা হয়ে দাঁড়ায়। ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যবসার দিকে দেখতে গেলে এই ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবসা এবং পরিবহনের ব্যবসার সবচেয়ে লাভজনক।
সঠিক নিয়মে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা
বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা কিন্তু অনেক ভালো চলছে। একটি বড় রেস্টুরেন্টে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয় প্রতি মাসে। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক বুদ্ধিমত্তা এবং কিছু টাকা ইনভেস্টমেন্ট। আপনি শহরের বাসিন্দা হন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
এখন একটি খাবারে যে দাম রাখা হয় এগুলো মূল দামের থেকে দ্বিগুণ।যদি অর্ধেক টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলে ডাবল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সব সময় একটু খাবার প্রিয় হয়। এমন কিছু করতে হবে যেন।
আরও পড়ুনঃ মানসিক শান্তি পাওয়ার সেরা উপায়।
কোথাও এগুলো করা হয়নি তাহলে মানুষ আপনার কাছে ওই অজানা খাবারটি খাওয়ার জন্য আসবে। আর এভাবেই আপনি তাদের বিশ্বাস জয় করবেন এবং আস্তে আস্তে ব্যবসাটি বৃদ্ধি করবেন।
রাস্তার পাশে ফাস্টফুডের দোকান
ফেসবুকে প্রতিদিন দেখা যায় রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করা হয় যেমন খিচুড়ি, হালিম অথবা লেবুর শরবত এ ধরনের অনেক খাবার। সাথে রয়েছে দুধ চা। অবাক করা বিষয় হচ্ছে একজন রাস্তার পাশের দোকানে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ২০০০ কাপ পর্যন্ত চা বিক্রি হয়। এক কাপ থেকে এক টাকা করেও লাভ হয়।
তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ইনকাম হবে। তারা শুধুমাত্র চা বিক্রি করে না এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করে তাই রাস্তার পাশের ফাস্ট ফুডের দোকান হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা এবং কম খরচের মধ্যে একটি ব্যবসা।
ইলেকট্রনিক পণ্য সামগ্রীর দোকান
সর্বপ্রথম আপনাকে বড় একটি দোকান ক্রয় করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকবে যেমন কারেন্টের তার কারেন্টের সুইচ। এ ধরনের আরো অনেক কিছু থাকবে। ইলেকট্রনিক কাজ করতে যে ধরনের পণ্য প্রয়োজন হয় সকল কিছু থাকবে। এভাবে অল্প পরিসর থেকে শুরু করে পরবর্তীতে যদি ভালোভাবে গ্রাহকদের অল্প মূল্যে পণ্য দিতে পারেন।
তারা আপনার প্রতি অনেক বিশ্বস্ত হবে। পরবর্তীতে যে কোন জিনিস লাগলে আপনার কাছে আসবে। এভাবেই তাদের বিশ্বাস অর্জন করবেন এবং ধীরে ধীরে ব্যবসা বৃদ্ধি করবেন। এক সময় এমন হবে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম হবে এই শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক পণ্যর দোকান থেকে।উল্লেখিত উপায় গুলো থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদেরকে এতক্ষণ যে সকল বিষয়ে কথা বললাম আশা করি যে কোন একটি পছন্দ হয়েছে।এবং পরবর্তী দিন থেকেই এই বিষয়ে কাজ করা শুরু করবেন। এক বছর কঠোর পরিশ্রম করার পর এ কাজগুলোর মধ্যে একটি করলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং তার অধিক ইনকাম হতে শুরু করবে।
আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ভালো চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি তাদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন। এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট চোখ রাখবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url