শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয় ?

মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয় এ সম্পর্কে সঠিক কিছু তথ্য খুজতেছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্যটি জানতে পারেন নাই। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে এ বিষয়ে সকল সঠিক তথ্য বলে দিব।
শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয়
একজন শিক্ষার্থীর কাছে এগুলো বিষয়ে অনেক জরুরি বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় এবং পড়ার সময় এই বিষয়গুলো তাদেরকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। অনেকেই হঠাৎ করে এই প্রশ্নগুলো একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণত করে থাকে।

শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয় - মূলভাব

আমরা প্রথমেই জেনে নেব যে মৌল মানবিক চাহিদা কাকে বলা হয়। একজন সাধারন জীবন যাপন করার জন্য যে সকল সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন হয় তাকেই মূলত মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয়। মৌল মানবিক চাহিদাকে মূলত পাঁচ ভাগ বিরক্ত করা হয়। ১। খাদ্য ২। বস্ত্র ৩। বাসস্থান ৪।শিক্ষা ৫। চিকিৎসা।

এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে একজন সাধারণ মানুষের মুলো মানবিক চাহিদা পরিপূর্ণ হয়। কোন মানুষ যদি এই পাঁচটি চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় এবং এদের মধ্যে কোন একটি যদি না পাই তাহলে ভেবে নিবেন ওই মানুষের মূল্যমানিক চাহিদা সঠিকভাবে পরিপূর্ণ হয়নি। আমাদের দেশের সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষকে।


এই পাঁচটি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দেশের সরকার বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে এবং যারা দুষ্ট গরিব রয়েছে তাদের জন্য এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন এবং তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা শিক্ষা অথবা যাদের বাসস্থানের অভাব তাদের বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া এ সকল চিন্তাভাবনা আমাদেরকে সরকার করে থাকে।

তাহলে আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে একজন মানুষের জন্য এই পাঁচটি উপাদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরুন একজন মানুষের খাবার পাওয়া এটি একটি অধি্কার। আর যদি খাবার না খায় তাহলে তো মানুষটি বেঁচে থাকতে পারবে না তাই না। আবার ধরুন যে মানুষের পোশাক।

এটা কিন্তু মানুষের একটি বড় অধিকার তাছাড়া তো মানুষের উলঙ্গ হয়ে থাকতে পারবে না। প্রত্যেকটি মানুষের একটি করে বসবাস করা স্থান দরকার অথবা বাড়ি দরকার। শিক্ষা দেশের জাতিকে উন্নত করার জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কোন মানুষ যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে সুস্থ করে অর্থাৎ চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করায় হচ্ছে একটি মৌল মানবিক চাহিদা।

শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয়

আপনাকে প্রথমেই ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে যে মৌল মানবিক চাহিদা তো সর্বমোট পাঁচটি । তাহলে পাঁচটি চাহিদার মধ্যে এই শিক্ষার নাম কেন তুলে ধরা হলো। এর পেছনে কিন্তু অনেক বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন তাহলে এই বিষয়টি আপনার এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

বিভিন্ন পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন পড়ে এবং আপনি যদি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে চান তাহলেও কিন্তু এ বিষয়গুলো আপনাকে অফিস থেকে ধরা হতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এই ছোট্ট বিষয়টি হলো কত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে আপনার জীবনে। শিক্ষা এমন একটা বস্তু যেটা কিনা প্রত্যেকটা দেশের নাগরিকের অধিকার।


দেশকে উন্নত করার লক্ষ্যে শিক্ষার কোন বিকল্প পদ্ধতি জানা নেই। তাইতো বড় বড় মনীষীরা বলেছেন তুমি যদি দেশের জন্য কিছু করতে চাও তাহলে বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন কর এবং বই পড়ো এখানে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। যে সকল এলাকায় ছোট বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারে না তাদের কথা চিন্তা করেই আমাদের দেশের সরকার।

প্রতিনিয়ত অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে হাই স্কুল এবং কলেজ ইউনিভার্সিটি এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিচ্ছে কেননা দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন শিক্ষিত হতে পারে এবং দেশের কাজে লাগতে পারে। একটি সাধারণ জীবনে চলাফেরা করার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প হয় না যেমন ধরুন।

আপনি একটি দোকানে গিয়েছেন। একটি আইসক্রিম খাওয়ার জন্য আপনি দোকানদারকে গিয়ে বললেন যে আঙ্কেল আমাকে একটা আইসক্রিম দেন চকলেট আইসক্রিম। এখন আপনি ভাবছেন যে চকলেট আইসক্রিম তো কালো কালার হয়। কিন্তু আপনি এটাও জানেন না যে কালো কালারের বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যায়।

দোকানদার যদি কম দামি কোন অন্য আইসক্রিম আপনাকে চকলেট আইসক্রিম বলে চালাতে চাই তাহলে যদি আপনি লেখাপড়া জানেন তাহলে কিন্তু আপনি প্যাকেটের গায়ে দেখে সব কিছু বুঝতে পারবেন। বিষয়টা কিন্তু এমন হচ্ছে তাই না। এখন আপনার যদি পড়াশোনা না জানা থাকে এবং দোকানদার আপনাকে আইস ক্রিমটি দেয়।

এবং বাসায় এসে আপনি যদি দেখেন যে আপনার কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি এটি নয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে বলুন ্তো। আপনি এখন আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আপনি আইসক্রিমে কথা কেন বললেন। আরে ভাই আমি আপনাদেরকে সাধারন একটি বোঝানোর জন্য বললাম যে শিক্ষা আমাদের জীবনে কত বড় ভূমিকা পালন।


যান আমার কথা না হয় বাদই দেন কিন্তু আপনার তো ইচ্ছা করে আপনার সন্তানদের আপনি ভালো জায়গায় চাকরি করাবেন। আপনি যদি চাকরি করাতে চান তাহলে সর্বপ্রথম কি লাগতে পারে আপনার তো নিশ্চয়ই জানা আছে। আপনি যেই দেশে যান না কেন চাকরি অথবা যে কোন কাজের জন্য সেই দেশের সেই প্রতিষ্ঠানের।

একটি নির্দিষ্ট আকারের শিক্ষার মান রয়েছে সে অনুযায়ী যদি আপনি শিক্ষা অর্জন করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে ওই চাকরিটি দিতেও পা্রে। আমাকে একটি কথার উত্তর দেন পৃথিবীর কোন জায়গায় কোন কাজ কি শিক্ষা ছাড়া কোন ব্যক্তি করতে পারে। আর কোন দেশের সরকার ও এমন কোন আদেশ করেনি।

যেখানে কাঙ্খিত পরিমাণে শিক্ষা অর্জন না করলে কোথাও চাকরি অথবা কাজ আপনাকে দেবে। সেজন্যই বাকি চারটি অধিকার ছাড়া আপনি যেমন চলাফেরা করতে পারবেন না ঠিক তেমনি এই শিক্ষা ছাড়াও আপনার বর্তমান সময়ে চলাফেরা করা অসম্ভব। এখন বলি শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয়েছে।

আপনাকে কোন ব্যক্তি যদি খাবার না দেই তাহলে কি আপনি বেঁচে থাকতে পারবেন না চলাফেরা করতে পারবেন। শিক্ষাও কিন্তু এর বিকল্প নয়। আমি আপনাকে এতক্ষন যাবত যতগুলো কথা বললাম আমার কথা শুনে আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে শিক্ষা ছাড়া আমাদের জীবনে কি কোন কাজ আপনি করতে পারবেন।


এবং কেনই বা শিক্ষাকে মৌলিক মানবিক চাহিদা বলা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন এবং আমি হয়তো আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি। এতক্ষণ আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

লেখকের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত শিক্ষাকে কেন মৌল মানবিক চাহিদা বলা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন বা শিখতে পারেন। তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে প্রতিদিন চোখ রাখতে পারেন।


কেননা প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েব সাইটে শেয়ার করা হয়। আপনার শিক্ষার্থীর বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন তাদের সুবিধার ক্ষেত্রে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url