সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন - বিস্তারিত জেনে নিন

প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই মূল্যবান আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনারই জন্য। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

অনেকেই বিভিন্ন ধরনের লোন নিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পার্সোনাল লোন যা অনেকেরই পছন্দ হয়। আপনি যদি এ লোনটি নিতে চান তাহলে এ সম্পর্কে প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলে আপনি এটি সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পাবেন।

বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে। ঠিক তেমনভাবে সিটি ব্যাংক এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তারাও তাদের গ্রাহকদের এক বিশেষ ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ বিষয়ে জানার পূর্বে আপনাদেরকে জানতে হবে পার্সোনাল লোন কাকে বলে। আপনার কোন নিজস্ব ধরুন।

যে আপনি বাড়ি করবেন অথবা কোন বাইক অথবা কোন গাড়ি এরকম কিনবেন অথবা আপনি মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন। তাহলে এই সকল কাজ করার জন্য আপনি যদি লোনের আবেদন করেন এবং লোন যদি আপনাকে প্রদান করা হয় এরই মূলত পার্সোনাল লোন বলা হয়। এক কথায় যদি আমরা বলি তাহলে আপনার নিজস্ব।

আরও পড়ুনঃ সিটি ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুবিধা।

কোন কাজের জন্য এই লোনটি নেওয়া হয়। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি এই লোনের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং কতদিনের মধ্যে এই লোনটি দিবেন এবং এর ইন্টারেস্ট রেট কত। কত দিনের মধ্যে এই লোনটি পরিশোধ করতে হবে। কত টাকা পর্যন্ত এলনের ক্ষেত্রে একজন গ্রাহকে দেওয়া যাবে। এ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে থাকছে।

আমাদের এই আজকের আর্টিকেল। সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে আপনার যাবতীয় তথ্য জানানো দরকার যেগুলো আপনার অবশ্যই কাজে লাগবে সেই সকল কিছু আজকে আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলব যেন আপনারা এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন এবং আপনি চাইলে এই লোনটি গ্রহণ করতে পারেন।

তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই।

আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের যে কাজ করেনি না কেন সে কাজের কিন্তু একটি নির্দিষ্ট শর্তাবলী রয়েছে সেগুলো মেনেই কিন্তু আপনাকে কাজ করতে হয়। ঠিক এমন ভাবেই সিটি ব্যাংকেরও এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা আপনাকে মেনে এই পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। তো আসুন আপনাদেরকে এখন শর্তাবলী গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দেই।

বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের ঋণ দেওয়ার নিয়ম কিন্তু প্রায় একই ধরনের এবং পরিমাণও তাই। কিন্তু অন্যদিকে সিটি ব্যাংকের একটু আলাদা ধরনের নিয়ম রয়েছে। সিটি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এই পার্সোনাল লোনটি নিতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে আপনাকে কি করতে হবে।

এটি নির্ভর করে শুধুমাত্র গ্রাহকের উপার্জনের উপর তার উপার্জন যদি বেশি হয় তাহলে তাকে বেশি ঋণ প্রদান করা হবে আর যদি তার ইনকাম কম টাকা। আবার অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রেও বিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তারা পার্সোনাল লোন হিসাবে দেয়।

এবং যাকেই লোনটি দিচ্ছে তার জন্য এই লোনটি পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকে সে ক্ষেত্রে তারা এই কাজটি করে থাকে।

অনেক দিক দিয়ে দেখতে গেলে সিটি ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের থেকে এগিয়ে রয়েছে এবং এদের সুদের হার অনেকটাই কম। আপনি যদি সর্বনিম্ন টাকা পার্সোনাল লোন নিয়ে থাকেন সেজন্য আপনাকে ৯ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে ১২% পর্যন্ত সুদ দিতেহতে পারে। আপনার লোনের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে কিন্তু আস্তে আস্তে সুদের হার কমে জায়।

ধরুন আপনি যদি এক লক্ষ টাকা লোন নেন তাহলে আপনাকে ১০% হারে সুদ দিতে হবে। ঠিক এমন ভাবেই আপনি যদি ২০ লক্ষ টাকা আনেন তাহলে আপনাকে ছয় অথবা সাত পারসেন্ট সুধ দিতে হবে। এই লোন পরিশোধ করার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে বারো মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করা।

আর একটি রয়েছে ৬০ মাস অর্থাৎ পাঁচ বছরে পরিশোধ করা আপনি চাইলে এগুলো অ্যাপ থেকে একটি বেছে নিতে পারেন আপনার যেটি সুবিধা মনে হয়। এটা নির্ভর করবে আপনার ওপর কেননা আপনি যা করবেন সেটাই কিন্তু হবে। সিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের তাদের থেকে সর্বোচ্চ সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করে।

এই লোন পাওয়ার জন্য আপনি যদি আবেদন করতে চান তাহলে আপনি অতি শীঘ্রই ব্যাংকের যোগাযোগ করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি অনলাইনে করতে চান তাহলে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট সিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এই ওয়েবসাইটে ঢুকবেন এবং ওখানে থেকে আপনার যাবতীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ প্রবাসী লোন পদ্ধতি জেনে রাখুন কাজে লাগবে।

এবং আপনি লোনের আবেদন করার জন্য এখানে অনেক কিছু অপশন রয়েছে সেখানে আপনার ইচ্ছামত আপনি পূরণ করে দিবেন আর আপনি যদি অনলাইনে ঝামেলা করতে না চান তাহলে আপনার নিকটস্থ সিটি ব্যাংকের শাখা গুলোতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে তারা এই লোনের জন্য কি কি তথ্যের প্রয়োজন আছে।

সেগুলো আপনার থেকে নিবে এবং আপনাকে আবেদন করার সুযোগ করে দিবে। আপনার আবেদন যদি তাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে তারা পরবর্তীতে সর্বোচ্চ সাত দিন থেকে শুরু করে ২১ দিনের মধ্যে আপনার লোনটি আপনাকে প্রদান করে দিবে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এটির জন্য কিন্তু আপনাকে বিশেষ কিছু কাগজ পাতি থাকতে হবে।

যেমন ধরুন আপনার এন আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনার চাকরির কার্ডের একটি ফটোকপি এবং অবশ্যই আপনার একটি ভিজিটিং কার্ড থাকতে হবে। এবং যারা চাকরি করেন তাদের চাকরির এক বছরের একটি অভিজ্ঞতার কাগজ দেখাতে হবে।

এবং আপনি যদি অন্য কোন পেশা র হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে হবে।

আজকে আপনাদেরকে সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিয়েছি আপনি যদি এখান থেকে কিছু শিখতে পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখবেন কারণ আমাদের এইখানে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়।

যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করবে। আপনার আত্ম কিংবা বন্ধুদের সুবিধার্থে আমার এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন।