সোনালী ব্যাংক ট্রিপল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে জেনে নিন

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের বেতন কতপ্রিয় পাঠক আপনি কি সুনেলি ব্যাংক ট্রিপল বেনিফিটেড স্কিম সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজতেছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজার পরও সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে আপনি একদম এখন সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখন আমি আপনাদেরকে বলবো যে সোনালী ব্যাংক স্কিন সম্পর্কে বিস্তারিত। যা আপনার অনেক কাজে দেবে।

বর্তমান সময়ে এখন দেখছি বেশিরভাগ মানুষই শোনালে ব্যাংকের ট্রিপল স্কিম সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য কোন মাধ্যম তারা খুঁজে পান। তো তাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই আর্টিকেল লিখা হয়েছে। যা তাদেরকে অনেকটাই সাহায্য করবে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু এই ট্রিপল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কথা শুনে থাকেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই ট্রিপল বেনিফিট স্কিম কাকে বলে এবং কি কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি হচ্ছে আপনি যদি কোথাও টাকা ইনভেস্ট করেন। তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাকে ওই টাকার যে টাকা আপনি ইনভেস্ট করেছেন।

তার তিনগুণ টাকা আপনাকে লাভসহ ফেরত দিবে। যেমন ধরুন আপনি যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলে ধরুন এক বছর পর আপনাকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেবে। এখন আপনি এক বছর আগে ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছেন কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনাকে ওই টাকার তিন ডাবল ফেরত দিয়েছে।

আরু পড়ুনঃ গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ অফিসারের কাজ কি।

এই বিষয়টাকে মূলত ট্রিপল বেনিফিট স্কিম বলা হয়। আশা করি আপনাকে যদি এখন কেউ প্রশ্ন করে যে ট্রিপল স্কি্ম কি তাহলে আপনি সঠিক উত্তরটি দিতে পারবেন।

আমরা জানি বাংলাদেশ সরকারি এবং বেসরকারি অনেক ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রশ্ন হতে পারে যে কোন ব্যাংক আমাদের তিনগুণ লাভ দেবে আমাদের টাকাকে। আপনারা সচরা শুনে থাকেন টাকা কিছু টাকা লাভ দেয় আপনার ইনভেস্টের থেকে বেশি আবার ডাবল দেয় কিন্তু আমার মনে হয় না।

আপনি কখনো শুনেছেন তিন ডাবল টাকা লাভ প্রদান করে কোন ব্যাংক। এখন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি খাতের ব্যাংক যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের কথা চিন্তা করে মূলত একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাকে তার মূলধনের তিনগুণ টাকা ফেরত দেবে। এরকম একটি পরিকল্পনা করেছে ২০২৩ সালে।

এখন এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশের কোন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক মিলেও ট্রিপল বেনিফিট দেয় না। কিন্তু একটি বেসরকারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক এই সেবাটি চালু করেছে তাদের গ্রাহকদের জন্য।

আমরা উপরে প্যারাগ্রাফটিতে ট্রিপল বেনিফিট কি এবং এর সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা আপনাদেরকে দিয়েছি। যাতে আপনারা এই প্যারাগ্রাফটি পড়ার সময় ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এবং আপনারা যাতে কাজে লাগাতে পারেন। তো আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আলোচনা শুরু করি। আপনি যদি এই স্কিমের আওতায় আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ অফিসারের প্রশ্ন।

এটির জন্য ব্যাংকে গিয়ে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই একাউন্টটিতে তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনি আপনাকে প্রথমে বলে রাখি আপনি যদি এই ট্রিপল বেনিফিট স্কিমের আওতায় আসেন তাহলে আপনার একটি অ্যাকাউন্টের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে আপনাকে।

এই অ্যাকাউন্টটিটি তৈরি করার জন্য আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ড লাগবে। এবং আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে। এবং আপনি যার নামে নমিনি করতে চাচ্ছেন তার যাবতীয় তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে। এবং আপনি ব্যাংকের সাহায্যে এটি তৈরি করতে পারবেন। এখন এই ট্রিপল বেনিফিট স্কিম।

এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১০ বছর থেকে শুরু করে ১২ বছর পর্যন্ত এই দুইটির মধ্যে আপনি যে কোন সময় নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি কিন্তু এই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আপনার টাকা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন না। এখন আপনার যদি অনেকটাই প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট অফিসারের কাজ কি জেনে নিন।

কিন্তু আপনি ট্রিপল বেনিফিট এর আওতায় আসতে পারবেন না। এর পরিবর্তে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে কিছুটা মুনাফা প্রদান করবে। এখন আপনি যদি টাকা রাখতে চান তাহলে আপনাকে কত টাকা রাখতে হবে তাই না। আপনাকে টাকা রাখার জন্য সর্বনিম্ন টাকা হতে হবে আপনার ৫০ হাজার টাকা।

এবং এর পরবর্তীতে আপনি এক লক্ষ দশ লক্ষ ২০ লক্ষ ১ কোটি ৫ কোটি ২০ কোটি ৫০ কোটি। এরকম টাকা আপনি ব্যাংকে জমা রাখতে পারবেন। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনার যে টাকা কাজে লাগবে না সেটা আপনি ব্যাংকে রাখবেন কেননা এটির জন্য আপনাকে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আপনি যে ট্রিপল বেনিফিট স্কিমের আওতায় আসেন।

তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে কত টাকা ইন্টারেস্ট দেবে এবং কিভাবে ইন্টারেস্ট দিবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে ৯.৬০% আরে আপনাকে চক্রবৃদ্ধি অনুসারে নির্দিষ্ট সময় পর আপনাকে টাকা দেবে। এই সোনালী ব্যাংকের ছাড়া অন্য ব্যাংকে কিন্তু টাকা ওইভাবে প্রদান করে না তাদের গ্রাহকদের আপনি ধরুন।

যে মান্থলি টাকা ইনভেস্ট করেন ধরুন যে প্রতি মাসে আপনি 5000 টাকা করে ব্যাংকের জমা রাখেন। এখন এটি আপনি এক বছর পর কিংবা ছয় মাস পর অথবা আপনার যত ইচ্ছা ততদিন পর আপনি এভাবে টাকা রাখতে পারবেন। এবং সব মিলিয়ে যত টাকা হবে তত টাকা আপনাকে দিয়ে দিবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এবং তার সাথে কিছু পার্সেন্ট মুনাফা আপনাকে দেবে। এখন আপনি যদি আপনার সময় কাল কমান তাহলে কিন্তু আপনি টাকা মুনাফা কম পাবেন যেমন ধরুন আপনি যদি ছয় মাসের জন্য টাকা রাখেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে ৩ পার্সেন্ট মুনাফা দেবে। এবং এক বছর এর জন্য যদি রাখেন তাহলে চার পার্সেন্ট দেবে।

আরও পড়ুনঃ সবচেয়ে কম সুদে লোন প্রদান করে কোন ব্যাংক।

এভাবে আপনি যদি যত বেশি দিন রাখবেন আপনাকে মুনাফা তত বেশি দেবে আবার আপনি যদি পাঁচ বছরের জন্য রাখেন তাহলে ৬.৫০% আপনাকে মুনাফা দেবে। ঠিক তেমনি আপনি যদি ১০ বছর পূর্তিতে টাকা জমা রাখেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে৯.০০ পার্সেন্ট মুনাফা প্রদান করবে। এবং সর্বোচ্চ আপনি যদি ১২ বছর পূর্তিতে রাখেন।

তাহলে ব্যাংক আপনাকে ৯.৬০% মুনাফা প্রদান করবে। আপনি যদি সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত ঢাকা রাখতে পারেন তাহলে আপনার টাকা ট্রিপল বেনিফিট এর আওতায় আসবে।এখন আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের এই স্কিমের সাথে যুক্ত থাকতে চান তাহলে আপনাকে অনেক সময় দেরি করতে হবে এবং আপনি যদি এই অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে চান।

এবং টাকা রাখতে চান তাহলে আপনি ব্যাংককে যোগাযোগ করতে পারেন। তো এখন আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর আপনারা জানতে পেরেছেন।

অনেকের মনে কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন আসে যে সত্যিই কি সোনালী ব্যাংকে ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। তো যারা এ ধরনের চিন্তাভাবনা করেছেন তাদেরকে বলব এই কথাটি একদম সত্য কারণ সোনালী ব্যাংক তার গ্রাহকদের তিনগুণ টাকা ফেরত দেয়।

কিন্তু এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে আপনি যে বলছেন সত্য কিনা কিভাবে বুঝব। এখন আমি আপনাদেরকে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তথ্য আপনাদেরকে দেখাই।

আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন।

দেখুন এখানে কিন্তু বলা রয়েছে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছে সোনালী। ব্যাংক এখন আপনি বলতে পারেন এই ওয়েবসাইট টা তো ভুল তথ্য থাকতে পারে। এখন কথা হচ্ছে এ সকল বড় বড় ওয়েবসাইট কখনো তাদের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য শেয়ার করে না ।

কারণ একটি ভুলের কারণে তাদের ওয়েবসাইটের মান তারা কখনোই কমাবে না। আর আপনি চাইলে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেও এই বিষয়ে সঠিক তথ্যটি জানতে পারেন।

আজকের এই আর্টিকেলটিতে শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংক ত্রিপল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি থেকে কিছু সঠিক তথ্য জানতে পারেন বা শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

এবং কাজে লাগাতে পারে। আপনি যদি এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে চোখ রাখুন। কেননা প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার হয়।