ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি
প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় মোবাইল দিয়েপ্রিয় পাঠক আপনি কি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লেখার নিয়ম খুজতেছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর এখনো পর্যন্ত সঠিক নিয়ম জানতে পারেন নাই। তাহলে আপনি এখন এখন সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে এসে অনেকেই তাদের বন্ধুদের কাছে তারা যদি কোথাও ঘুরতে যায় সেই বিষয়ে চিঠি লেখতে চাই। অনেকেই পারে আবার অনেকেই পারে না। তো যারা পারে না তাদেরকে টার্গেট করে আজকের এই আর্টিকেল তৈরি করা হয়েছে যেন তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।
ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি - মূলভাব
আপনাদের অনেকেই পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন পড়েই থাকে যে আপনি কোথাও ঘুরতে গেছেন সে বিষয়ে আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন চিঠির মাধ্যমে। প্রায় ৫০ পার্সেন্ট শিক্ষার্থী এ বিষয়গুলো নিয়ে বইয়ে দেখে দেখে কাজগুলো করতে পারে কিন্তু বাকি অর্ধেক কিন্তু এই কাজগুলো করতে পারে না।
তাদের সুবিধার্থে আমার এই আর্টিকেলটি তৈরি করা যেন তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং তারা যখন এই বিষয়ে কোনো চিঠি লিখবে তখন কিভাবে লিখব কয় ভাগে এটি ভাগ করতে হবে। এবং প্রথমে কি দিতে হবে তারপরে কি দিতে হবে মূল অংশ কিভাবে লিখবে এবং সর্বশেষ কিভাবে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়গুলো আপনাদেরকে একেবারে বুঝিয়ে দিব। আমি এখন আপনাদেরকে একটি চিঠি লিখে দেখিয়ে দিব যে কিভাবে চিঠি লিখতে হয়। তারপর আমি আপনাদেরকে বলে দেবো যে কয় ভাবে এটি বিভক্ত করা হয়। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে জাই।
ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি
হেমায়েতপুর ১১, ঢাকা
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩
প্রিয় অনিক,
তোমার প্রতি আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল, আশা করি ভালো আছো। তোমার আব্বু আম্মু তোমার বোন এবং ভাইয়াদের সাথে নিশ্চয়ই ভালই আছে। কালকে সন্ধ্যায় যখন তোমার পত্রটি পেলাম। তারপর তুমি কোথায় আছো এবং কি করছো এগুলো সম্পর্কে জানলাম। তোমার অবস্থা শুনে সত্যিই আমার অনেক খারাপ লাগছে।
কিছুদিন আগে আমি তোমাকে বলেছিলাম যে এই শীতে আমরা পাহাড়পুরে ঘুরতে যাব আব্বু আম্মুর সাথে। গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ এ আমরা ঘুরতে গেছিলাম পাহাড়পুর। সেখানে গিয়ে কি কি করলাম এবং কি কি জনপ্রিয় জায়গা রয়েছিল সে বিষয়গুলো তোমার কাছে আজকে শেয়ার করব। ১৫ ডিসেম্বর সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আমি আব্বু আম্মু ছোট ভাই সবাই মিলে রেডি হলাম এবং সকাল নয়টার সময় রওনা দিলাম পাহাড়পুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে প্রায় ১০:৩০ মিনিটে পৌছালাম। সেখানে অনেক জনপ্রিয় এবং অনেক পুরনো রাজপ্রাসাদ এবং বিভিন্ন ধরনের কারো কার্য করা দেওয়াল ছিল।
এবং সেগুলো ছিল প্রায় ৫০০ বছর পুরনো তাই এটি প্রত্নতান্ত্রিক নিদর্শন হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। সেখানে প্রবেশের জন্য আমাদেরকে প্রতি জনের থেকে ২০০ টাকা করে টিকিট নিয়েছিল তারপর তারা আমাদেরকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল এবং সবকিছু দেখতে দিয়েছিল। ওইখানে ছিল অনেক পূর্ব সভ্যতার নিদর্শন। আমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এইখানে বলা রয়েছে পাহাড়ের কথা একেবারে হুবুহু সব মিলে গেছে। এবং সেগুলো দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি এবং তুমি যদি থাকতে তাহলে আরো অনেক বেশি ভালো হতো। সেখানকার পরিবেশ অনেক ভালো ছিল এবং চারিদিকের পরিবেশ অনেক মনোরম ছিল। আমরা ওখানে শুধুমাত্র ঘুরতে গেছি তা কিন্তু না হাজার হাজার মানুষ ওইখানে ঘুরতে গেছে এবং সকলে মজা করেছে। আমরা প্রায় তিন ঘন্টা ঘোরাঘুরি করার পর এবং আব্বুর সাথে ক্যামেরা ছিল ক্যামেরা দিয়ে অনেক ধরনের ছবি তুলেছি। সেগুলোর এক কপি করে তোমার কাছে পাঠালাম তুমি দেখলে বুঝতে পারবে কতটা ভালো ছিল সেই পরিবেশ।
পাহাড়পুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সৈয়দ নজরুল ইসলামের মূর্তি। প্রায় ২০০ বছর আগেকার এই মুক্তি এখনো নতুনের মত রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় শিল্পচর্চা জয়নুল আবেদীনের তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের নকশা রয়ে্ছে। ওইখানে রয়েছে একটি তালপুকুর টি প্রায় ৫ ০০ ফুট এর মত জায়গা নিয়ে অবস্থিত এবং পুকুরের পানি একেবারে কালো। পুকুরের পাড়ে বসে থাকার মত অনেক জায়গা রয়েছে এবং গাছপালায় চারিদিকে পরিপূর্ণ ছিল এবং ফুরফুরে হাওয়া বইছিলো। আমরা সকাল ১০ঃ৩০ থেকে দুপুর 1 টা পর্যন্ত দীর্ঘ ঘোরাঘুরি করার পর দুপুরের খাবারটা খেলাম এবং আমাদের সাথে করে কিছু নাস্তা নিয়ে আসলাম। পরবর্তীতে আমরা দুইটা থেকে শুরু করে বৈকাল চারটা পর্যন্ত সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। এবং ঐতিহাসিক একটি জায়গা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি্লাম।
যুগের পরিবর্তনের কারণে সেই প্রাসাদ টি একটু ভেঙে ভেঙে গিয়েছে তাই সেখানে আর কর্মচারী একটু করে সেগুলো ঠিকঠাক করছে যেন মানুষ পরবর্তীতে এগুলো দেখতে আসতে পারে। এবং পাহাড়পুরের সুনাম বজায় থাকে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানে প্রতিদিন যাতে মানুষ যাতায়াত করে তার ফলে হয়তো বা একদিন না একদিন আমাদের এই ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বিলীন হয়ে যাবে। এত ছোট চিঠিতে তোমাকে যাবতীয় তথ্য বলে শেষ করা যাবে না তাই তোমাকে যেই ছবিগুলো দিয়েছিলাম সেগুলো দেখে তুমি একটু আন্দাজ করে নিও। আজকে আর নয় আশা করি পরবর্তীতে আরো কিছু জানাবো।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তোমার এখন বর্তমান অবস্থা কেমন হয়েছে পরবর্তী চিঠিতে এটি আমাকে জানাবে। আঙ্কেল আন্টিকে আমার পক্ষ থেকে একটি সালাম জানাবে।
ইতি____
তোমার প্রিয় বন্ধু
সাজ্জাদ আহমেদ
আমি এটা আপনাদেরকে শুধুমাত্র একটি উদাহরণ দিয়ে দেখালাম আপনাদের মত করে আপনারা লিখবেন এবং আপনার চিঠি এত বড় লেখার দরকার নেই আপনি চাইলে ছোট করেও লিখতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না।
চিঠিপত্র লেখার নিয়ম
প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য কিন্তু আপনাকে একটি নিয়ম মেনে চলতে হয় ঠিক তেমনভাবে চিঠি লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি আমার উপরের চিঠি দেখে বুঝতে না পারেন তাহলে আপনাদেরকে আমি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
- আপনি কোথায় বসবাস করেন সেটি লিখবেন
- তারিখ এবং বছর লিখবেন
- প্রিয় লিখে আপনার বন্ধুর নাম লিখবেন।
- ছোট আকারে কিছু লিখবেন যেমন ধরুন শুভেচ্ছা এমন কিছু।
- বিস্তারিত ভালোভাবে আলোচনা করবেন।
- আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে সালাম দিবেন এবং অন্য ধর্মের হলে সেই ধর্ম অনুযায়ী কাজ করবেন।
- ইতি লিখবেন, তারপর আপনার নাম লিখবেন।
আমি উপরে আপনাদেরকে একটি চিঠি লিখে দেখালাম এবং নিচে চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত কিভাবে লিখতে হয় সেগুলো দেখালাম আশা করি আপনি পরবর্তীতে চিঠি লিখতে গেলে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না আপনি খুব সহজে ঠিক করতে পারবেন।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন কিছু পোস্ট
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনার বন্ধুর কাছে চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানালাম। আপনি যদি এখান থেকে কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন বা শিখতে পারেন তাহলে আপনার শিক্ষার্থী বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন। তারাও যেন কারোর কাছে চিঠিপত্র ভালোভাবে লিখতে পারে।
আপনি যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতি দিন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। আমাদের এইখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার করা হয় যা আপনার নিত্যদিনের অজানা তথ্য জানতে অনেকটা সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url