সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
মোবাইলে কাজ করে প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজার পর এখন পর্যন্ত কোন সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন সিটি ব্যাংকের কি ধরনের নিয়োগ সুবিধা রয়েছে সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে।
বর্তমান সময়ে যে সকল মানুষ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সেভিংস অ্যাকাউন্টটি বেশি ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এই ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে জানা উচিত।
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা - মূলভাব
প্রত্যেকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কিম ব্যবহার করে তারা তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে থাকে। এবং বেশ কয়েকটি একাউন্টের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একাউন্ট হচ্ছে সেভিংস একাউন্ট। আপনিও যদি এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক হন তাহলে কিন্তু সর্বপ্রথম আপনাকে এ সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে সকল যাবতীয় সঠিক তথ্যগুলো জানতে হবে.
এবং পরবর্তীতে ভেবেচিন্তে বিবেচনা করে দেখতে হবে এটি আপনার জন্য সঠিক হবে কি সঠিক হবে না। কোন ব্যাংকে আপনি যদি সে পেমেন্ট করেন তাহলে আপনার সবচেয়ে বেশি লাভ হবে। এ বিষয়গুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে কোন ব্যাংকের পাঁচটি একাউন্ট রয়েছে যেমন ধরুন=
আরও পড়ুনঃ সেভিংস একাউন্টে চার্জ কত জেনে নিন।
১। পার্সোনাল একাউন্ট ২। সেভিংস একাউন্ট ।৩। স্টুডেন্ট একাউন্ট ৪। বিজনেস একাউন্ট ৫। কারেন্ট একাউন্ট এই পাঁচ ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে সিটি ব্যাংক। এই পাঁচটি একাউন্টের মধ্যে আপনাদেরকে আজকের সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে এবং এর সুবিধা সম্পর্কে বলে দিব এবং এটি করতে হলে আপনাকে কি ধরনের কাজ করতে হবে.
সেও বলে দিব। বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমার মূল আলোচনায় ফিরে জাই।
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর জন্য আবেদন করার নিয়ম
- যে ব্যক্তিটি আবেদন করতে চাচ্ছেন তার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে এবং এনআইডি কার্ড যদি না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন লাগবে। অথবা আপনি চাইলে আপনার যদি একটি পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- আপনি যে জায়গা থেকে ইনকাম করেন সেই জায়গার উচ্চ কোথায় এবং আপনার মাসে কত টাকা ইনকাম হয় এ সকল তথ্য আপনাকে একটি ফাইলে করে ব্যাংকে দিতে হবে।
- যারা ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের জন্য টিআইএন অথবা ই টিআইএন এই সার্টিফিকেট গুলো লাগবে এবং এর ফটোকপি গুলো লাগবে।
- গ্রাহকের দুই কপি ছবির প্রয়োজন হবে এবং ছবিগুলো অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে। আপনি যদি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি দিতে চান তাহলে কিন্তু এটি ব্যাংক থেকে নিবে না।
- আপনি যে ব্যক্তিকে নমিনি দিতে চাচ্ছেন তার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন এবং যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি- (অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে)।
- আপনার কাঙ্খিত নমিনির ছবির প্রয়োজন হবে এক কপি ছবি লাগবে পাসপোর্ট সাইজের।
- আপনি যে ইউনিয়নে বসবাস করেন সেই ইউনিয়নের আপনি যে একজন সদস্য এর জন্য ইউনিয়নের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী একটি সনদপত্র প্রদান করতে হবে।(ব্যাংক থেকে এটি যদি যায় তাহলে এটি দিতে বাধ্য আর না চাইলে দেওয়ার দরকার নেই)
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
সিটি ব্যাংকে একাউন্ট করার জন্য তার ব্যাংকের নিজস্ব গ্রাহকদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং এই নিয়ে মনে চায় তাদেরকে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে হবে। সেগুলোই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেন আপনারা বুঝতে পারেন।
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। আপনি অন্য দেশে থেকে এই ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না।
- আপনি যদি ছোট আকারে এই সেভিংস একাউন্ট দিয়ে তৈরি করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর অর্থাৎ আপনার এনআইডি কার্ড থাকতে হবে। এবং 25 বছর পর্যন্ত আপনি অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে পারবেন।
- এর জন্য আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ দিতে হবে এবং আপনি যে ওই এলাকার বাসিন্দা সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানাতে হবে।
- একটি পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে যেটা আমাদের দেশের সরকার আপনাকে নাগরিকত্বের প্রদান করেছে সেই সম্পর্কে।
- একবার যদি একাউন্ট তৈরির জন্য আপনার যাবতীয় সকল কিছু অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয় এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখতে হবে। এবং পরবর্তীতে আপনি চাইলে এটি থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
অন্যান্য অ্যাকাউন্ট এর থেকে সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে ভালো একটি মাধ্যম। এখানে এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিয়ে থাকে সেটা কিন্তু অন্য কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আপনাকে কখনোই দিবে না। আপনি এই ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের যদি সুদের হার শুনেন আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন।
এখানে যদি আপনি লোন নেন তাহলে আপনাকে ৯ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে ১৪ পার্সেন্ট পর্যন্ত সুদ দিতে হবে। আপনি যদি কম টাকা ব্যাংক থেকে নেন তাহলে কিন্তু আপনাকে একটু বেশি করে ঋণ নেন তাহলে আপনার সুদের হার অনেকটাই কমে যাবে এবং শতকরায় তিন পারসেন্ট আপনাকে কম ইন্টারেস্ট দিতে হবে ব্যাংক কে।
এই অ্যাকাউন্টের সার্ভিস চার্জ অনেকটাই কম যা দিতে আপনার কোন সমস্যা হবে না। অন্যান্য একাউন্টের ক্ষেত্রে যদি সার্ভিস চার্জ শতকরায় দশ টাকা করে হয় কিন্তু এই সেভিংস একাউন্টে মাত্র ৬ টাকা করে সার্ভিস চার্জ কাটবে। লোনের জন্য এপ্লাই করার পর আপনাকে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি এই লোনটি পেয়ে যাবেন। আপনার কাছে যদি মাত্র ৫০০০ টাকা থাকে তাহলে কিন্তু এই অ্যাকাউন্টটি আপনি খুব সহজেই খুলে নিতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকে যেখানে এক বছর পর আপনাকে মুনাফা প্রদান করে কিন্তু এই সিটি ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট আপনাকে মাত্র ছয় মাস পর পর।
আপনার মুনাফা আপনাকে বুঝিয়ে দিবে। আপনি যদি মুনাফা নিতে চান তাহলে আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আপনার যত টাকা ইচ্ছা শত টাকা আপনি রাখতে পারবেন সে অনুযায়ী আপনি মুনাফা পাবেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে আপনার যদি একটি ডেবিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে।
যে কোন জায়গা থেকে টাকা ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা কিন্তু যে কোন ব্যাংক আপনাকে দিবে না। আপনি চাইলে ঘরে বসে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এর জন্য একটি অ্যাপস রয়েছে অ্যাপসটি হচ্ছে সিটি টাচ যা ব্যবহার করে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম জানুন।
আপনি ঘরে বসেই আপনার একাউন্টে যাবত লেনদেন করতে পারবেন এবং আপনাকে কষ্ট করার ব্যাংকে দিয়ে যেতে হবে। আশা করি আপনারা এখন নিশ্চয় জানতে পেরেছেন যে সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি রয়েছে।
সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের মুনাফার হার
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে সিটি ব্যাংক ব্যবহারকারীরা তাদের সেভিংস একাউন্ট থেকে কত টাকা মুনাফা পায়। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সিটি ব্যাংক কিন্তু অনেক ভালোভাবেই তাদের গ্রাফদের মুনাফা প্রদান করে থাকে। সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর একদম সঠিক মুনাফার হার হচ্ছে ১.৬৪% ।
যা বছর শেষে কিন্তু আপনাকে অনেক টাকা মুনাফা এনে দিবে। এখন আপনি চাইলে কিন্তু সিটি ব্যাংকে একটি সেভিংস তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে আপনি এই সুযোগ সুবিধা গুলো পেয়ে যাবেন।
যে পোস্টগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটি তে আমরা আপনাদেরকে সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানালাম আপনারা যদি এখান থেকে কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রতিদিন শেয়ার করা হয়। এবং অন্যের সুবিধার্থে আমার এই আর্টিকেলটি আপনি শেয়ার করে দিন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url