চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম - জেনে নিন

মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিদিন ১০ ডলার ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম খুজতেছেন। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছেন এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য জানতে পারেন নাই। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেকটাই কাজে লাগবে। কারণ আছে আমার এই আর্টিকেলটিতে চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়েছে।

যারা নতুন নতুন চাকরি করতে চাচ্ছেন তাদের কিন্তু এই অঙ্গীকারনামা লেখা অবশ্যই শিখতে হবে। এটা তাদের চাকরি শুরু করার আগে কাজে লাগবে। যারা এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তারা শুধুমাত্র আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন।

আপনি যদি কোথাও কোন চাকরি করতে যান তাহলে অবশ্যই সেই কোম্পানির বিষয়ে আপনি ভালোভাবে দেখে নিবেন ওই কোম্পানিটি ভালো কিনা। ঠিক তেমনভাবে কোন কোম্পানি যদি আপনাকে চাকরির জন্য বলে তাহলে অবশ্যই চাকরিতে জয়েন করার আগে চাকরির অঙ্গীকারনামা আপনাকে তৈরি করতে হবে।

এবং সেটি ভালোভাবে সম্পূর্ণ করে কোম্পানিতে জমা দিতে হবে। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যে অঙ্গীকারনামা লিখতে চাচ্ছেন এটি কিভাবে লিখবেন। এই বিষয়টি নিয়েই আপনাকে সাহায্য করার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি। আপনাকে মূল বিষয়টি বোঝানোর আগে সর্বপ্রথম বলেনি চাকরির অঙ্গীকারনামা কাকে বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ স্কুলের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম জেনে নিন।

চাকরিতে ঢোকার পর কোম্পানি থেকে অথবা আপনি যদি কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন তার নির্দিষ্ট কোন শর্ত রয়েছে এবং নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম গুলো নিয়ে একটি তৈরি করা হয় ওই ফর্মে যাবতীয় তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে এবং আপনি তাদের কথা মত যে চলতে চাচ্ছেন এজন্য আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে।

এবং অঙ্গীকারনামাটি তৈরি করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। আপনি তাদের কথার সাথে একমত প্রকাশ করছেন সেজন্য এই অঙ্গীকারনামাটি তৈরি করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে এটাই হচ্ছে চাকরির অঙ্গীকারনামা। তো প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচান দিকে জাই।

প্রত্যেকটি কাজের যেমন কিছু ধাপ রয়েছে ঠিক তেমনি আপনি যদি চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা লিখতে চান তাহলেও কিন্তু আপনাকে কিছু ধাপ মেনে চলতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

এর আগে আমি আপনাদেরকে বলেছি বিভিন্ন ভাবে অঙ্গীকারনামা লেখার ধাপসমূহ এখন আপনাদেরকে বলবো চাকের অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখবেন। অন্যান্য গুলো থেকে কিন্তু এটা অনেকটাই ভিন্ন ধরনের তাই আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আমি ওপরে যে সকল কথা বললাম এগুলো কিন্তু আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য ধাপসমূহ বললাম এখন আমি আপনাদেরকে প্র্যাকটিক্যাল দেখিয়ে দিব কিভাবে আপনি এটি লিখতে পারবেন।

আমি মোঃ সিফাত হোসেন শান্ত, পিতাঃ রফিকুল ইসলাম, মাতাঃ বিলকিস হোসেন, ঠিকানাঃ বরপুকুরা রাজবাড়ী, স্থায়ী ঠিকানাঃ ঢাকা মিরপুর, ডাকঘরঃ টাঙ্গাইল উপজেলাঃ৩০০ ফিট জেলা ঢাকা জাতীয়তা বাংলাদেশী।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী আমি ঢাকা বিভাগ থেকে রোজ সমবার ১৫/১২/২০২৩ তারিখে আমার মোবাইল নাম্বার ০১৭************** উক্ত অফিসের নিয়ম অনুযায়ী অফিসে জমা দিলাম। আমি ২০২৩ এর বেতন স্কেল অনুযায়ী ১২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের দাবি করছি। এবং আমি পূর্বে ইস্টার্ন ব্যাংকের ম্যানেজার পদে নিয়োগ প্রাপ্তি ছিলাম। আমার এনআইডি কার্ড হচ্ছে্‌......................।

আমি উপরে যাবতীয় শর্তাবলী এবং নিয়ম মেনে আমার এই অঙ্গীকারনামাটি আমি অফিসে জমা দিচ্ছি এবং চাকরি থাকাকালীন অবস্থায় আমি যদি কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হয় অথবা আপনাদের শর্তগুলো না মেনে চলি তাহলে আপনারা যদি আমাকে চাকরি থেকে বাহির করে দেন এতে আমার কোন সমস্যা থাকবে না। এবং আমার কর্মের ফলে যদি আমাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় তবুও আমি কোন সমস্যা সৃষ্টি করব না। আমি সদিচ্ছায় শাস্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকবো।

আমি যেই কথাগুলো এতক্ষণ বললাম এগুলো আমি সুস্থ মস্তিষ্কে ভালোভাবে চিন্তা করে বলেছি। এতে আমাকে কেউ কোন ধরনের জোরপূর্বক কাজ করে নেয় নাই। এবং আমি আমার ইচ্ছা মতে আমি স্বাক্ষর করলাম।

সাক্ষীদের স্বাক্ষর এবং ঠিকানা

১। মোঃ ইকরামুল ইসলাম (সাভার ঢাকা )

২। মোঃ এনায়েতুল ইসলাম বাবু ( ইজতেমা মাঠ টঙ্গী )

৩। মোঃ কাসেম ইসলাম ( ধানমন্ডি )

আমি আপনাদেরকে যে সকল তথ্য বললাম এগুলো কিন্তু আপনি শুধুমাত্র আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য বলেছি আপনাদের নিয়ম অনুযায়ী এবং আপনাদের তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনারা অঙ্গীকারনামাটি প্রস্তুত করবেন।

বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ করানোর জন্য এই অঙ্গীকার নামা গুলোতে সই করিয়ে নেই। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে সকল কাজ করে না তারা শুধুমাত্র তাদের যেগুলো দরকার হয় সেগুলো জেনে চাকরি দিয়ে দেয়। আপনি যদি কোন বড় সরকারি চাকরি করতে চান।

আরও পড়ুনঃ টাকা লেনদেনের চুক্তি পত্র লেখার নিয়ম।

এবং যে কোন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এটি কিন্তু অনেক বড় ভূমিকা পালন করে এবং তারা এটি করে নেই। আপনি যদি বেসরকারি চাকরি করতে যান তাহলে কিন্তু এত আপনাকে ঝামেলা করতে হবে না সেখানে আপনি খুব সহজেই চাকরিটি করতে পারবেন। কিন্তু অনেক জায়গা দেখা যায় যেগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও।

তাদের এই অঙ্গীকারনামাটি লিখতে হয়। আমি উপরে আপনাদের বোঝানোর জন্য শুধুমাত্র দেখিয়ে দিয়েছি এগুলো কিন্তু আপনারা একে বারে সঠিক মনে করবেন না আপনাদের মত করে আপনাদের মত করে আপনারা লিখে নিবেন। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা জানতে পেরে ছেন।

আজকে আমি আপনাদেরকে চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য জানালাম। আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন। আর আপনি যদি এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান।

তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখুন। আমাদের ওয়েব সাইটে এমন গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার করা হয়। যেটা আপনার প্রতিদিনের অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করবে।