নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি হয়তোবা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা এ সম্পর্কে কিছু জানার জন্য তথ্য খুঁজতেছেন। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু এ বিষয় নিয়ে সঠিক কোন জ্ঞান আপনি জানতে পারেননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি এই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে এসে মহিলাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যাংক ক্ষুদ্র পরিসরে ঋণ প্রদান করে থাকে। কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন না যে কিভাবে এই ঋণ নারীদেরকে প্রদান করা হয়। জানতে হলে আপনাকে ভালোভাবে পড়তে হবে।
নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা - মূলভাব
আপনি জানলে অবাক হবেন যে বাংলাদেশে হাজার হাজার মহিলা রয়েছে যারা সঠিকভাবে খেতে পায় না এবং তাদের চাহিদাগুলো তারা পূরণ করতে পারে না। তাদের কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা নারীদেরকে সাহায্য করার জন্য অল্প পরিমাণে ঋণ প্রদান করে। এবং অনেক সময় পর এই ঋণ গুলো।
তাদের থেকে অল্প পরিমাণ সুদে নিয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাংক রয়েছে। এবং কোন ধরনের মহিলাদের এই ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। নারীর আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে এই ঋণটি কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ বিষয়গুলো আপনাদেরকে ভালোভাবে জানা দরকার। কারণ আপনারও যদি কোন এই ধরনের মহিলা থাকে।
তাহলে যেন আপনি তাকে এই ঋণটির আওতায় আনতে পারেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
কোন ধরনের নারীদের এ ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা এ ধরনের প্রশ্ন আমাকে প্রায় সময় করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে আমার এই প্যারাগ্রাফটি তৈরি করেছে। অনেকের মাথায় এ ধরনের প্রশ্ন ঘুরতে থাকে সবাইকে কি এই ঋণের আওতায় আসতে পারে। আসলে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল নারী।
কিন্তু এই সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসতে পারবে না। কেননা তারা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন এবং তাদের সন্তান ছেলে অথবা স্বামী এগুলো থাকে তাহলে কিন্তু এই সুযোগ-সুবিধা তাদের থেকে বঞ্চিত করা হবে। কারণ তাদের পরিবারে কিন্তু রোজগার করার মত কোনো না কোনো মানুষ রয়েছে এ কারণে এটি সম্ভব হবে না।
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের স্বামী নেই সন্তান নেই ছেলে নেই হয়তোবা দেখা যায় তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। তাদের পরিবারে কিন্তু কোন ধরনের মানুষ কাজ করার মতো ্নেই। যে তাদেরকে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করবে। ওই দুঃস্থ মহিলা গুলো যেন ভালোভাবে তাদের সংসার চালাতে পারে।
এবং ভালো ভাবে খাবার খেয়ে যেন বাঁচতে পারে এবং সঠিক পরিমাণে বস্ত্র যেন তারা পড়ে থাকতে পারে। কখনো যদি তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই ঔষধ কেনার টাকার যোগান যেন তারা খুব সহজেই করতে পারে। এ কারণেই এই ঋণটি প্রদান করা হয়। আমার উল্লেখিত কথার উপর ভিত্তি করে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কোন ধরনের নারীদের এই ঋণটি প্রদান করা হয়।
কত টাকা করে এই ঋণটি প্রদান করা হয়
যাদেরকে এই ঋণ প্রদান করা হয় তাদের কিন্তু অনেক বেশি টাকা দেওয়া হয় না। 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20000 টাকা পর্যন্ত এই ঋণটি দেওয়া হয়। এই কাজটি করার জন্য একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। ব্যাংক থেকে আপনাকে যখন 10000 টাকা দেবে ওই টাকা দিয়ে আপনি যেন একটি ছাগল এবং কয়েকটি হাঁস মুরগি কিনতে পারেন।
এবং আপনাকে যদি বিশ হাজার টাকা দেই তাহলে আপনি খুব সহজে যেন একটি গরুর বাছুর কিনতে পা্রেন। অথবা আপনি চাইলে আপনার যদি নিজস্ব কোন ছোট জমি থাকে সেখানে চাষ করতে পারেন। আপনি এভাবেই অল্প অল্প করে কাজ করতে যখন শুরু করবেন এক সময় এমন হবে যে আপনি অল্প টাকা থেকে শুরু করে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে।
এবং পরবর্তীতে আপনি একটি ভাল জায়গায় চলে গেছেন। এভাবেই সমাজের পিছিয়ে থাকা নারীদের কে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই অল্প টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়। তারা যেন তাদের চাহিদাগুলো ভালোভাবে পূরণ করতে পারে এবং কোন মানুষের কাছে যেন তাদের কোন টাকা পয়সা অথবা সাহায্যের জন্য না যেতে হয়।
এ সকল কথা চিন্তা করেই মূলত আমাদের দেশের সরকার নারীদের জন্য এই সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে। এই ঋণটি পরিশোধ করার জন্য আপনাকে কিন্তু বেশ অনেক সময় দেওয়া হবে। আপনি অনেক জায়গায় খেয়াল করে দেখবেন যে যেগুলো বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে তারা কিন্তু প্রতি সপ্তাহে অথবা প্রতিমাসে তারা টাকা তুলতে আসে।
সবচেয়ে বড় খুশির কথা হচ্ছে আপনি যদি এই ঋণটি নিতে পারেন তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ ছয় মাস থেকে শুরু করে এক বছর দুই বছর তিন বছর পর্যন্ত এটি পরিশোধ করার সময় দেওয়া হবে। আমার মনে হয় আপনি এই তথ্যটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা
আমি উপরের অংশগুলোতে নারীর সমাজে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের কিছু বেসিক তথ্যগুলো আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। একজন মহিলার ক্ষেত্রে তাদের নিজের পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পর্যন্ত কিন্তু এই ঋণের আওতাভুক্ত হওয়ার কারণে এগিয়ে যেতে পারে। আপনি এখন ভাবতেই পারেন।
যে পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত এটি কিভাবে সম্ভব। ধরুন আপনি একজন গৃহিনী আপনি সারাদিন শুধুমাত্র বাড়ির কাজ করেন এবং সংসারের যাবতীয় কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার পরিবার থেকে আপনি কিছু একটি ব্যবসা অথবা বাড়ি থেকে কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনার পরিবার থেকে সেটি মেনে নেবে না।
এবং আপনি যেই কাজটি করতে যাচ্ছেন তার জন্য তারা কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা আপনাকে করবে না। আপনি যদি এখন চান তাহলে ব্যাংক থেকে অল্প পরিমাণে লোন নিতে পারবেন। লোন নেওয়ার পর আপনার সংসারের যাবতীয় কাজ করার পরবর্তীতে আপনি চাইলে একটি সেলাই মেশিন কিনতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন দেখুন আর টাকা ইনকাম করুন।
অথবা মহিলাদের যে ধরনের কাজ রয়েছে সেগুলো কিন্তু বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবেন এবং অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে আপনার পণ্য অথবা আপনি যে কাজটি করেন সেগুলো বিক্রি করে দিতে পা্রেন। আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন ওইখানে অনেক মানুষ তাদের হাতের তৈরি।
পাখা, কাঁথা কেক এবং এ যাবতীয় কিছু পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকে। এভাবেই তারা ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকে শুরু করে পরবর্তীতে কিন্তু অনেক বড় একটা ব্যবসায়ী হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই আপনিও চাইলে এই লোনটি নিতে পারবেন এবং এভাবে কাজ করার পর আপনার লাভের যে টাকা রয়েছে তার থেকে কিন্তু সরকারের কিছু ট্যাক্স দিতে হয়।
সে ক্ষেত্রে সরকারেরও কিছু লাভ হবে। আপনি এখন বিবেচনা করে দেখুন একজন পিছিয়ে পড়া নারী কিভাবে এই ক্ষুদ্র লোনের মাধ্যমে সমাজের আগের দিকে এগিয়ে চলতে পারে।
নারীদেরকে এই লোনটি দেওয়ার মূল লক্ষ্য কি
ক্ষুদ্র ঋণ বাংলাদেশের দরিদ্র নিপীড়িত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই কর্মসূচির কারণে যে ঋণ টি প্রদান করা হচ্ছে তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সূচক উত্তরণের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ ও দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন করেছে।
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শহর অঞ্চলের বইটি এলাকা এবং গ্রামাঞ্চলের বিপুল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দরিদ্র বিমোচনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। যেটা আমাদের দেশের দরিদ্র সূচক নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য একটি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা করা।
আরও পড়ুনঃ ইউটিউব ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার উ্পায়।
এই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ব্যাংক এবং যেকোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্রতা হ্রাস করা এবং নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার উন্নয়ন করাই হচ্ছে এই লোন দেওয়ার মূল লক্ষ্য।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আমার এই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা সম্পর্কে সঠিক বার্তা জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চোখ রাখবেন। কারণ আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়।
যা আপনার প্রতিদিনের অজানা তথ্য জানতে অনেকটা সাহায্য করবে। আপনি যদি অন্য কারোর সাহায্য করতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url