বাম চোখের উপরের পাতা লাফায় কেন ইসলামী
চোখ লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি বাম চোখের উপরে পাতা লাফায় কেন ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সঠিক তথ্য খুজতেছেন। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু আপনার মন মত তথ্য আপনি জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনারই জ্ন্য। কেননা আমি আজকে আপনাদেরকে এ সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য জানাকবো।
বর্তমান সময়ে google এ মানুষ বেশিরভাগ সার্চ করছে বাম চোখের উপরের পাতা লাফায় কেন ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি কি বলছে এ সম্পর্কে। তাদের কথা চিন্তা করে মূলত আজকের আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। তাদেরকে যেন সঠিক তথ্যটি জানাতে পারি।
বাম চোখের উপরের পাতা লাফায় কেন ইসলামী - মূলভাব
আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা বাম চোখ লাফালে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলে যে বাম চোখ লাফালে নাকি খারাপ কোন কিছু হয় এর একজন মানুষের ক্ষতি সাধন হয়। আপনাদের এই মন্তব্যগুলো কি আসলেই ঠিক না এগুলো শুধুমাত্র আপনাদের মনগড়া কিছু নিয়ম নীতি। আজকে আমি আপনাদেরকে বাম চোখের উপরে পাতা লাফায় কেন।
আরও পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়।
ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবো এবং পরবর্তীতে আপনাকে সাইন্স কি বলে এগুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিব। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন বাম চোখের উপর পাতা লাফায় কেন ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটি কি ধরনের প্রভাব প্রকাশ করে। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমার মূল আলোচনার দিকে ফিরে যায়।
বাম চোখের উপর পাতা লাফায় কেন ইসলাম কি বলে
অনেকেই বলে যে কথিত রয়েছে বাম চোখ লাফালে নাকি বিপদ আসে। এর উপরে আমাদের ইসলামের কোন কি ভিত্তি রয়েছে। তাহলে ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে আপনারা শুনে নিন। আপনাদের হয়তোবা অনেক সময় বাম চোখ লাফায় তাই না। আপনাদের হয়তোবা নাও লাগাতে পারে কিন্তু আমার প্রায় সময়ই বাম চোখ অথবা ডান চোখ লাফায়।
এ বিষয়ে আমি একজন প্রমাণ আমার অনেক সময় বাম চোখ লাফায় অথবা ডান চোখ এরপরে এখনো পর্যন্ত দেখিনি এগুলো হওয়ার পর আমার কোন বিপদ এসেছে। এখন মূল কথা হচ্ছে যদিও বা কারো বাম চোখ লাফানোর পর কোন ধরনের বিপদ রয়েছে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে এটি আমার ভাগ্যে লেখা ছিল।
এবং সেই জন্যই আমার বিপদটি হয়েছে। এমন কোন কথা না যে আপনার চোখ লাফায় সে জন্য বিপদ এসেছে এমনটা কিন্তু আসলেও না আপনার চোখ লাফালেও বিপদটি আসতো চোখ না লাগালেও বিপদ আসতো কেননা এটি আপনার ভাগ্যে লেখা ছিল। একজন খাঁটি মুসলমান কখনোই এ ধরনের আলতু ফালতু কথায় মনোযোগ দেবে না।
যেটার কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের কোরআন শরীফ অথবা হাদিসে এই ধরনের কোন কিছুর ভিত্তি তুলে ধরা হয়নি এবং সাইন্স এ বিষয়ে কোন কিছু বলা নেই। একজন প্রকৃত ঈমানদার কখনোই এ ধরনের কুসংস্কারের বিশ্বাস করবে না। আপনাদের অনেকের ই যখন বাম চোখ লাফায় তখন আপনারা হয়তো মনে মনে ভাবেন।
যে হয়তো বা কোন বিপদ আসছে আমার জীবনে। বিপদ তো আপনার জীবনে না আপনার বিপদ আছে আপনার ঈমানের। এর ফলে ঈমান দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার চোখ দুটি লাফায় তাহলে আপনি মনে মনে বলবেন আরো জোরে জোরে লাফা তাতে আমার কোন সমস্যা হবে না।
আপনাদের মধ্যে এক ধরনের লোক রয়েছে যারা বলে যে আমরা আসলে জানি যে চোখ লাফালে মূলত কিছু হয় নাকি কিন্তু কেন জানি চোখ লাফানোর পর একটু মনের ভেতরে ভয় কাজ করে। এগুলো হওয়ার কারণ হচ্ছে আপনার ঈমান দুর্বল রয়েছে। চোখ লাফালে যে বিপদ হয় এরকম কিছু কিন্তু আল্লাহ তা'আলা বলে নাই।
বাম চোখের এর পাতা লাফায় কেন ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে এর কোন ভিত্তি নেই ইসলাম কখনো এ ধরনের কুসংস্কার বেদাতে বিশ্বাস করে না তাই আপনি একেবারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন এগুলো যদি হয় আপনার কোন সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ।
এবং পরবর্তীতে চোখ রাখানোর পর যদি আপনার কোন সমস্যা হয় তাহলে বুঝে নিবেন এটি আপনার কপালে লেখা ছিলো।
বাম চোখের উপর পাতা লাফায় কেন বিজ্ঞান কি বলে
এখানে এসে বিজ্ঞান কেন্দ্র আমাদের অন্য ধরনের তথ্য দিয়েছে। কেননা বাম চোখের উপরে পাতা লাফানোর কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো যদি আপনি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ভেবে নিবেন আপনার চোখের উপর পাতা লাফাবে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই এ সম্পর্কে বিজ্ঞান আমাদেরকে কি তথ্য জানাচ্ছে।
- অতিরিক্ত কড়া কোন পানীয় যদি খান তাহলে কিন্তু আপনার এই চোখ এখনো সমস্যাটি দেখা যেতে পারে। যেমন ধরুন চা অথবা কফি আমরা বেশিরভাগ সময়ে প্রতিদিন অনেকগুলো করে চা খাই কফি খাই।
- এগুলো খাওয়ার ফলে কিন্তু আমাদের চোখ লাফাতে পারে। আপনাকে এটি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই যাও অথবা কফি খাওয়া কমিয়ে দিবেন আশা করি আপনার সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে এবং বেশি সমস্যা মনে হলে তারপর বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।
- নিয়মিত ঘুম না হলে আপনি যদি প্রতিদিন সর্বনিম্ন 8 থেকে 9 ঘণ্টা না ঘুমান তাহলে কিন্তু আপনার এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটার আমি একেবারে নিজেই প্রমাণ রয়েছে কেননা কাল রাতে আমি বেশি ঘুমাইনি ওই জন্য আমার খাচ্ছে লাফাচ্ছে। এই সমস্যাটি থেকে বাঁচতে হলে নিয়ম মত ঘুমাতে হবে।
- তরল পদার্থ বেশি করে খেতে হবে যেমন ধরুন পানি শরবত জুস এ ধরনের তো আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং আমরা যদি তরল পদার্থ পান না করি তাহলে কিন্তু আমাদের মুখমন্ডল শুকিয়ে যায় এজন্য চোখের নিচে দেখবি না এক ধরনের কালো দাগ সৃষ্টি হয়। এখন আপনি যদি তরল পদার্থ খান তাহলে সেগুলো আমার ঠিক হয়ে যাবে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করল আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা অধিক পরিমাণে চিন্তা করে ভালো করে ঘুমায় না খাওয়া দাওয়া করে না এমন আরো বিভিন্ন কারণে তারা চিন্তা করে থাকে এগুলো চিন্তার ফল কিন্তু আমাদের মুখমণ্ডলের উপর দিয়ে প্রকাশ পায়। ঠিক তেমনভাবে এই চোখ লাফানো।
- আপনার যদি আগে কোন এলার্জিজনিত সমস্যা থাকতো। তাহলে কিন্তু আপনার তেও হয়তো বা মাঝে মাঝেই কুলকায় এবং অনেক জ্বালা করে। এই কারণেও মূলত আপনার চোখের উপরের পাতা লাফাতে পারে।
- যে সকল মানুষেরা সব সময় মোবাইল চালায় তাদের কিন্তু এ ধরনের সমস্যা হতে পারে কেননা মোবাইলের আলোতে এক ধরনের ক্ষতিকর রশ্মি রয়েছে যা আমাদের চোখের ক্ষতি করে এবং চোখ লাফানোর জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
করো আমি আপনাদের এতক্ষণ যে ধরনের কথা বললাম এগুলো কিন্তু আমার বানানো কথা না এগুলো হচ্ছে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষিত নিয়ম। সে ক্ষেত্রে আপনি এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলবেন।
চোখের উপরে পাতা লাফানো কমানোর উপায়
এটির জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবেনা আপনাকে পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে এবং সঠিক নিয়মে খাবার খেতে হবে এবং মোবাইল থেকে বিরত থাকবেন এবং দুশ্চিন্তা করবেন না এবং।
আমিও উপরে যে ধরনের তথ্য আপনাদেরকে বললাম সেগুলো আপনারা যদি ভালোভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আশা করি আপনাদের এই সমস্যা থেকে আপনারা সমাধান পাবেন ইনশাল্লাহ।
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে বোঝালাম ইসলামিক দৃষ্টি অনুযায়ী এবং আমাদের বিজ্ঞান অনুযায়ী বাম চোখের উপরে পাতা লাফায় কেন এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করলাম। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কোন সঠিক তথ্য বা সঠিক কিছু জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি।
আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন কারণ তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতি নিয়ত পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখতে হবে। কেননা আমাদের এইখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url