প্রযুক্তির অপব্যবহার ও সামাজিক অবক্ষয় - সম্পর্কে জেনে রাখুন
প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহার করে ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি প্রযুক্তির অপব্যবহার ও সামাজিক অবক্ষয় সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও এখনো পর্যন্ত সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং সামাজিক অবক্ষয় এ বিষয়ে আলোচনা করব।
আপনি দেশের নাগরিক হিসেবে এই বিষয়টি আপনার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাড়ির সদস্যদের এবং দেশের নাগরিকদের সেবা করার ক্ষেত্রে। এ বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। যারা জানতে চান তারা আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
প্রযুক্তির অপব্যবহার ও সামাজিক অবক্ষয় - মূলভাব
বর্তমান সময়ে আমাদের এই দেশটি এমনভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে এবং সামাজিক বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ লিপ্ত হয়েছে আমাদের এই যুবসমাজ। এগুলো হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রযুক্তির অপব্যবহার করা। এখন আপনার প্রশ্ন হতেই পারে যে প্রযুক্তি তো আমাদের সাহায্য করে তাই না তাহলে কিভাবে এটি আমাদের কে সমস্যার মধ্যে ফেলতেছ
এবং কিভাবে এটি আমাদের অতি সাধন করছে। এ বিষয়গুলো আপনি নিশ্চয়ই প্রথমে জানতে চাইবেন। আমি যদি এখন আপনাদেরকে বলি যে প্রযুক্তির অপব্যবহার অধিকারী হচ্ছে তাহলে কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা কিন্তু এই কথাটি বিশ্বাস করবেন না। এর জন্য আপনাদেরকে আজকে কিছু প্রমাণ সহকারে এ বিষয়ে বলব।
তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই সে কথা বুঝবেন। এ কথাগুলো যদি আপনি ভালোভাবে বুঝতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি এড়িয়ে চললে কিন্তু হবে না। তো আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে জাই।
অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি
আমাদের সমাজকে নষ্ট করার মূল হচ্ছে এই মোবাইল ফোন। আপনার বাড়ির আশেপাশে কিংবা আপনি যেখানে দেখবেন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তারা মোবাইল ফোনে সারাদিন কি করে জানেন তারা সারাদিন ফেসবুকে রিলিজ থেকে ইউটিউবে রিলিজ থেকে এবং টিক টক দেখেন।
এবং এগুলো থেকে যে ধরনের শিক্ষা নেই সে ধরনের শিক্ষা দিয়েই আমাদের সমাজ অবক্ষয় হচ্ছে। যে সকল বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন থাকে তাদের ৯০% বাচ্চারা শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের অ্যাটিটিউড ভিডিও দেখে এবং এমন কিছু কিছু ভিডিও রয়েছে যা বলার মত ভাষা প্রকাশ করা যায় না। এ সকল ভিডিও দেখার পর।
তাদের মধ্যে এমন একটি আসক্তি কাজ করে যার ফলে ওই ভিডিওর মতন করার চেষ্টা করে। এর সঠিক উদাহরণ হচ্ছে টিক টক। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন আপনার সন্তানকে আপনার কথা শুনে। এর মূল কারণ হচ্ছে এই স্মার্টফোন অর্থাৎ প্রযুক্তির অপব্যবহার। তাই আমি এক কথা বারবার বলি।
যে আপনার সন্তানকে মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করতে দিবেন না ব্যবহার করতে দিবেন কিন্তু অল্প সময় এবং তার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সেটি দেওয়া যেতেই পারে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিন্তু অনেক খারাপ খারাপ কাজ করা যায় সেটা আপনি নিশ্চয়ই ভালো করে জানেন। আপনার সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন দেখছেন।
যে শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করছে কিন্তু আপনি এর আসল রহস্য কিছুই জানেন না। তাই দয়া করে আপনার সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে বিরত রাখুন।
অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত
পর্নোগ্রাফি কি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমার বলার হয়তো বা বাকি থাকে না এটি। বর্তমান সময়ে যদি আপনি জরিপ করে দেখেন তাহলে প্রায় ৮০ পার্সেন্ট যুবক-যুবতী এই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে রয়েছে। একটি মানুষ যত পর্নোগ্রাফি দেখবে তার মন মানসিকা তত পরিবর্তন হবে। এই পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য কিন্তু দিনে দিনে।
আমাদের সমাজে ধর্ষণ বেড়ে চলেছে। একটি ছেলে যখন নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তার মাথা এমন ভাবে পরিবর্তন হয়ে যায় তখন কিন্তু সে যে মেয়েকেই দেখে তাকে লালসার চোখে দেখতে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে আপনি যেই স্মার্টফোনটি আপনার সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন এর জন্য।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র ছেলেরাই কিন্তু পর্নোগ্রাফি দেখে না মেয়েরাও পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে শতকরা ১০০ জন ছেলেমেয়ে উভয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০% মেয়েরা কিন্তু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে থাকে। আর বাকি 20% হচ্ছে ছেলেরা পর্নোগ্রাফি দেখে।
এগুলো নিয়মিত দেখার পর যদি একটা যুবক যুবতী বাহিরে বের হয় তখন কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যেমন ধরুন ইভটিজিং ধর্ষণ ব্ল্যাকমেইলিং। কিডন্যাপ এরকম আরো বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিনে দিনে আমাদের সমাজ এর মূল কারণ হচ্ছে প্রযুক্তির অপব্যবহার। আপনি খেয়াল করে দেখবেন।
যে এখন বাচ্চারা কিন্তু বেশিভাগ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। বিষয়টা অনেক দুঃখজনক হলেও এটাই কিন্তু সত্য। এ সকল বিষয়ের জন্য মূল কারণ কি জানেন আপনি আপনার সন্তানদের ভালোমতো শিক্ষা দিতে পারেন না ভালো ভাবে পারিবারিক শিক্ষার অভাবে দিনে দিনে কিছু কিছু মানুষ পশুতে রূপান্তর হয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত পরিমাণে অনলাইন গেমে আসক্তি
আপনার ছেলে অথবা মেয়েকে যে আপনি স্মার্ট ফোনে কিনে দিয়েছেন। সেই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে সে সারাদিন মোবাইলে ফ্রি ফায়ার খেলে পাবজি খেলে এ ধরনের বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে। আচ্ছা আপনি একটা সত্যি কথা বলুন তো মোবাইল কিনে দেওয়ার পর থেকে আপনার সন্তানকে ভালোভাবে লেখা পড়ে মন দেয় না।
কোন কাজে মন দেই এটা আপনি আগে চিন্তা করে দেখুন তো। ১২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে একজন গেম শক্তি ছেলের অথবা মেয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত গেম খেলে এই ফ্রি ফায়ার এবং pubg। এই দুইটি গেমের কারণে আমাদের সমাজ দিনে দিনে একেবারে নিম্নের দিকে চলে যাচ্ছে। না আসে কোন খেলাধুলার দিকে নজর না আছে।
কোন লেখাপড়া না আছে কোন ধর্মীয় কাজে সাহায্য করা। শুধুমাত্র সারাদিন স্মার্টফোন ব্যবহার করে এবং গেম খেলে। এ সকল কিছুর মূলে আপনি বাবা-মা অবশ্যই দায়ী কেন আপনার ছেলেকে বাড়িতে ওয়াইফাই কিনে দিতে হবে। কেনই বা আপনার ছেলে বা মেয়েকে ইন্টারনেট কিনে দিতে হবে।
নষ্ট করছেন আপনার ছেলেদেরকে আপনি নিজেই আর আমাদের সমাজের হচ্ছে ক্ষতি। এ সকল কিছু বাদ দেন এবং সুস্থ সুন্দরভাবে সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসুন এবং ছেলে মেয়েদের হাত থেকে স্মার্টফোনটি কেড়ে নিন।
প্রযুক্তির অপব্যবহারে সমাজের বর্তমান অবস্থা
একটি বিষয় রয়েছে যা প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে দেখা যায় প্রায় ১০০% ঘরের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি ছেলে এবং মেয়ে প্রেম করে। আপনি হয়তো ভাবছেন যে আপনার মেয়ে অনেক ভদ্র অথবা আপনার ছেলে অনেক ভদ্র তাহলে এই কথাটি আপনার একেবারে ভুল ধারণা।
এটা কিন্তু আমি আপনাকে স্ট্যাম্পে লিখে দিতে পারব আপনার ছেলে মেয়ের হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে সে কখনো ভদ্র এবং নম্র হতে পারেনা। শতকরায় 90 ভাগই খারাপ হয়ে থাকে। আপনার ছেলে অথবা মেয়ের হাতে যে স্মার্টফোন আছে সে স্মার্টফোনের সারাদিন কি করে জানেন।
সারাদিন মেয়েদের পিছনে ঘুরবে মেয়েদেরকে মেসেজ দিবে ঠিক তেমনি মেয়েরাও কিন্তু কম যায় না তারাও বিভিন্ন ছেলেকে মেসেজ দিবে এবং কথা বলার চেষ্টা করবে। আর আপনি হয়তো ভাবেন যে আমার ছেলে মেয়ে ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে কাজ করে আপনার এটি আসলেই একদম ভুল ধারণা।
আমার কথা যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনার ছেলে অথবা মেয়ের ঘরে রাত বারোটা একটা এরকম সময় যাবেন এবং দেখবেন সে কি করে। আপনি যদি বেশ কিছুদিন এভাবেই দেখতে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন আমি এই কথাটি কেন বললাম।
এ সকলের কারণেই কিন্তু আমাদের সমাজ দিনে দিনে অবক্ষয় হয়ে চলে এসেছে এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার জেনে তিনি বেড়েই চলেছে।
এগুলো থেকে বাঁচতে হলে কি করতে হবে
এই সমস্যাগুলো থেকে সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনার আত্মীয়-স্বজন সন্তানদের থেকে স্মার্টফোনটি কেড়ে নিবেন। প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা ফোন দিবেন এবং বাদবাকি সময় এগুলো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। ধর্মীয় কাজে তাদেরকে অনুপ্রেরণা দিবে। লেখাপড়া করার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিবেন।
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার উপায়।
আর সে যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন কাজ করে এবং ইনকাম করতে চায় তাহলে তাকে সেই সুযোগটি করে দি্বেন। এবং আপনার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে আপনার ছেলেকে প্রতিদিন বইকালে বলবেন তুমি একটু বাহিরে গিয়ে খেলা করো এবং ব্যায়াম করবা। আপনাকে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
এগুলো সমাজ নষ্ট করার পিছনে কিন্তু সর্বমূল আপনারই হাত রয়েছে কারণ আপনি একজন পিতা অথবা মা্তা। কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে ছেলেকে প্রযুক্তির মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন এবং সে দিনে দিনে খারাপ হয়ে চলেছে। আগেকার দিনে দেখা যেত কোন বড় বৃদ্ধ অথবা সম্মানজনক মানুষ যদি আশেপাশে দিয়ে যেত।
তাহলে কিন্তু সালাম দেওয়া হতো তাদেরকে এবং সম্মান জানানো হতো। এখন কিন্তু সবদিক থেকেই এগুলোর উল্টো চলছে এখন বয়জ্জীষ্ঠ কোন ব্যক্তি যদি কাউকে কোন ভালো কথা বলতে যাই তাহলে ওই ব্যক্তিটিকেই উল্টে এসে মারার চেষ্টা করা হবে এবং খারাপ আচরণ করা হবে। তাহলে একবার ভাবুন তো আমাদের সমাজ দিনে দিনে কোন পথে চলেছে।
এই জাতিকে নিয়ে আপনি কোনদিন ভালো রাষ্ট্র গঠন করতে পারবেন অথবা ভালো সমাজ তৈরি করতে পারবেন আপনি নিজেই একবার চিন্তা করে দেখুন তো। এর প্রতিকার হিসেবে যেগুলো নবজাতক শিশু রয়েছে তাদেরকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এবং প্রত্যেকটি পিতা-মাতার কাছে আমার আকুল নিবেদন হচ্ছে আপনার সন্তানদের সকল দিকে নজর রাখুন এবং সচেতন থাকুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকে আপনাদেরকে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং সামাজিক অবক্ষয় সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এখান থেকে কোন কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন। তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত চোখ রাখবেন আমাদের এখানে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়।
যা আপনার প্রতিদিনের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করবে। এবং দয়া করে অন্যের স্বার্থে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url