ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে এ টু জেড?

সোনালী ব্যাংক ট্রিপল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে জেনে নিনপ্রিয় পাঠক আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্টের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুঁজতেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় খোঁজার পরও সঠিক তথ্যটি জানতে পারেন নাই। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনারই জন্য। কেননা আজকে আমরা ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে সকল সঠিক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেলারি একাউন্ট কি এটাই আসলে জানিনা। আর আপনারা যারা এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন তাদের আমার এই আর্টিকেলটি না দেখলেও চলবে। যারা এ বিষয়ে জানেন না তারা শুধুমাত্র আর্টিকেলটি কন্টিনিউ করুন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট - সারাংশ

আপনাদেরকে সবার আগে এটি জানতে হবে যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্যালারি একাউন্ট আসলে কি। এখানে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন তাছাড়া জন্য আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট তৈরি করবেন এবং এর বেনিফিট বা আপনি কি পাবেন। এই বিষয়গুলো সর্বপ্রথম আপনাকে আনতে হবে।

আর মূল বিষয় যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো হচ্ছে বেসিক বিষয় আপনি যদি বেশি বিষয়গুলো সঠিকভাবে না জানতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক সেলারি একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বুঝতে পারবেন না। তো এ জন্য আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে এটি কি এবং কাকে বলে এবং কিভাবে এটি কাজ করে।


এটি আমাদের বিভিন্ন কাজের সাহায্যে যুক্ত রয়েছে এবং বিভিন্ন একটি শ্রেণীর মানুষের জন্য এই সেলারি একাউন্টটি তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদের জন্য। যাতে তারা বিশেষভাবে খুব কম খরচেই ব্যাংক থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারে। এই বিষয়গুলোর বেসিক থেকে শুরু করে।

একেবারে শেষ পর্যন্ত আমরা নিচ থেকে আলোচনা শুরু করব তো আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা বিস্তারিত আলোচনা ফিরে জায়।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট কাকে বলে

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন হচ্ছে শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব কর্মীদের জন্য। এখানে একটি বিশেষ কারণে তাদের কর্মীদেরকে এই নন তারা প্রদান করে থাকে। যেমন ধরুন যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো কর্মী মাসিক কিংবা বাৎসরিক ইনকামের ওপর এবং তার আয়ের উপর তার নিজস্ব কর্মীদের একটি বিশেষ মুনাফার।

জন্য তাদেরকে ঋণ প্রদান করা হয়। এবং এই লোনটি তাদের কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের মাসিক কিংবা বাৎসরিক অথবা সপ্তার কোন কাজের কিংবা খরচ করার মাধ্যমে এটি তারা প্রদান করে থাকে তাদের কর্মচারী দের কে। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি কর্মচারী হন তাহলে কিন্তু বিশেষ এক ধরনের আবেদন।

করার মাধ্যমে এই লোনটির জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং ব্যাংকক এর পক্ষ থেকে আপনাকে যদি অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে আপনি এটি ঋণ উত্তোলন করতে পারবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন আসলে কি

এটি হচ্ছে ওই ব্যাংকের এক ধরনের বিশেষ ঋণ প্রদানের সুবিধা। যেটার মাধ্যমে ডিবিবিএল এর কর্মীদের বিভিন্ন উপায়ে প্রদান করা হয়। এটি খুব সহজেই তাদের কর্মীদের লোন নিতে সক্ষম হয়। এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র এবং ঝামেলা ছাড়া প্রক্রিয়া খুবই সোজা এজন্য তাদের যে ঢাকা সুদ দিতে হয় এটি কম হয়ে থাকে।


এই লোনের সাহায্যে তাদের কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের নিজস্ব কোন ব্যবসা করতে পারে এবং বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এটির মাধ্যমে তারা ব্যাংকে চাকরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায় এবং অনেক কিছু কাজ করার জন্য এই লোনটি গ্রহণ করে এবং ধীরে ধীরে তাদের আর্থিক স্বাবলম্বী হতে পারে।

তাই এই সুবিধাটি বের করেছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। আমার জানামতে এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র ডাচ বাংলা ব্যাংক এই লোন সুবিধা তাদের কর্মীদের দিয়ে থাকে। অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠান।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন কত টাকা দেওয়া হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকের মনেই কিন্তু এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে স্যালারি লোন কত টাকা থেকে শুরু করে কত টাকা পর্যন্ত তাদের নিজস্ব কর্মীদের প্রদান করা হয় তাই না। আপনি যদি একজন ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিয়মিত এবং অনেক দিন ধরে ব্যাংকে চাকরি করছেন এমন যদি একটি কর্মচারী হন তার জন্য কিন্তু আপনার।

অনেক বড় একটি সুবিধা পেতে চলেছেন এই স্যালারি লোন থেকে। তাহলে শুনুন যারা একদম নতুন ভাবে ঋণ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৭.৫০% হারে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন তার ব্যাংকের কর্মীরা। এখন আপনি বলতে পারেন যে তাহলে পুরাতন কর্মীদের জন্য কি কোন ছাড় নেই হ্যাঁ অবশ্যই স্যার আছে।

যারা পুরাতন কর্মী এবং অনেকদিন আগে লোন নিয়েছেন তাদের জন্য রেট হচ্ছে ৭.০০ পার্সেন্ট। এখন সর্বনিম্ন আপনি লোন নিতে পারবেন 2 লক্ষ টাকা এবং এর পরবর্তীতে আপনি দুই কোটি টাকা পর্যন্ত এটি গ্রহণ করতে পারবেন আপনি দুই লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটির মধ্যে যেকোনো একটি সংখ্যা আপনি বেছে নিতে পারেন।


এই ণ ঋণ শোধ করার অনেক সময় দিয়েছে ব্যাংক করতে পক্ষ যেমন আপনি এক বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত এটি আপনি সময় বাড়াতে পারবেন এবং 25 বছরের মধ্যে আপনাকে টাকা শোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মূল কথা হচ্ছে আপনি যত তাড়াতাড়ি লোন এর সুদ এবং আসলসহ টাকা ফেরত দিতে পারবেন।

তত তাড়াতাড়ি কিন্তু আপনার সুদের হারও কমে যাবে। যেমন ধরুন আপনি যদি এক বছরে জায়গা থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঋণটি পরিষদ করে দিলেন তাহলে আপনার সুদের হার আসবে ৬%। তাহলে আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি আপনার জন্য কতটা লাভজনক হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট

আপনারা নিশ্চয়ই উপরে বুঝতে পেরেছেন যে ডাচ বাংলা ব্যাংক আসলে কি এবং কাকে বলা হয় এবং কত টাকা পর্যন্ত এ লোন টি দেওয়া হয়। এখন সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কারা এই লোনের আলতাভুক্ত হতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের চাকরি পেশার মানুষ ডাচ বাংলা ব্যাংকে আবেদন করতে পারবে এই লোনটি গ্রহণ করার জন্য।

এখন কথা হচ্ছে এই লনের আমার জন্য আবেদন করার জন্য সর্ব োচ্চ কত বছর বয়স হতে হবে। ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স হবে তারা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পা্রবেন। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যেই লোন গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।


কোন মানুষের যদি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরি থাকে সেই কিন্তু এই ব্যাংকে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। এবং আবেদন করার পর যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সকল কিছু সঠিক আছে এটি দেখে এবং ভাবে যে এই ব্যক্তিটি কে লোন দেওয়া যাবে তাহলে কিন্তু আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য হবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে

অনেকে রয়েছে যারা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন না। এর জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে কাজটি করতে হবে তাহলে আপনি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন
আপনার পাসপোর্ট সাইজ হিসাবে কালারিং অর্থাৎ রঙ্গিন ছবি লাগবে।

  • এই লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভোটার হতে হবে। এবং আপনার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
  • আপনি যে ধরনের কাজ করে থাকেন সে ধরনের কাজের রিপোর্ট একটি কাগজের মাধ্যমে জমা দিতে হবে এবং আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করেন এর ওপর উপলব্ধি করে কিন্তু আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে।
  • আপনি যদি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরি করেন এর জন্য কিন্তু আপনার অফিসের চাকরির স্লিপ দেখাতে হবে যেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে আপনি সত্যিই একজন চাকরিজীবী।
  • এর জন্য কিন্তু সর্বপ্রথম আপনাকে অন্য আরেকটি ব্যাংকে অথবা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে এবং ছয় মাসের বেশি বয়স হতে হবে। তারপর ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্যালারি একাউন্টের ওইখানে আপনাকে ছয় মাসের কি কি করেছেন এর হিস্ট্রি জমা দিতে হবে।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো সঠিকভাবে যদি আপনি ব্যাংকে জমা দিতে পারেন তাহলে আপনার লোনটি গ্রহণ করা হবে। তো প্রিয় বন্ধুরা ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট সম্পর্কে আপনাদেরকে বললাম আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর আপনারা সঠিকভাবে জানতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত ডাচ বাংলা ব্যাংক সেলারি একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় হয়েছে আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেন বা শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন কেননা তারা যেন পরবর্তীতে এই ব্যাংকে একাউন্ট করতে গেলে।


এই তথ্যগুলো তার কাজে লাগে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয় যা আপনার প্রতিদিনে অজানা তথ্য জানতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url