আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় - সুযোগ-সুবিধা
মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিদিন এক হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি আমেরিকায় স্কলার্শিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুজতেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও এখনো পর্যন্ত কোন সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। তাহলে এখন আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমি খেয়াল করে দেখছি যে গুগলে মানুষ সার্চ করছে আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাদের কথা চিন্তা করে আজকের আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে যেন তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় - মূলভাব
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বাংলাদেশের লেখাপড়া করেন এবং পরবর্তীতে আপনারা আমেরিকায় স্কলারশিপের সাহায্যে লেখাপড়া করতে যেতে চান। কিন্তু আপনাকে আমেরিকায় যেতে হলে কি ধরনের কাজ করতে হবে এবং কতটুকু লেখাপড়া করতে হবে। এবং আমেরিকায় স্কলারশিপ এর মাধ্যমে।
আপনি যদি লেখাপড়া করতে যান তাহলে আপনার কি ধরনের উপকার হবে এবং পরবর্তীতে এটি কেমন কাজে লাগবে। এ বিষয়গুলো আজকে আপনাদেরকে তুলে ধরব কেননা আপনি যেন জানতে পারেন যে আমেরিকায় লেখাপড়া করতে গেলে কি কি যোগ্যতা লাগবে এবং কি কাজ করলে আপনি খুব সহজে যেতে পারবেন।
এবং এর সুযোগ-সুবিধা কি ধরনের পাবেন। আপনি যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের শর্ত রয়েছে সেগুলো মেনে কাজ করতে হবে এবং তাদের কথা মতো যদি আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন এবং সঠিক নিয়মে এবং সবকিছু যদি মেনে নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনি যেতে পারবেন।
এর জন্য বিশেষ এক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে আপনি চাইলেই যেতে পার্বেন। আপনার রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তাহলে কি আপনি যেতে পারবেন এবং যেতে হলে আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট কত পয়েন্ট থাকতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে স্কলারশিপের যাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি তথ্য লাগবে।
এবং কি কি প্রয়োজন সে বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তো বন্ধুরা আসুন আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য যে ধরনের নিয়ম নীতি রয়েছে সে ধরনের কিন্তু এই কাজের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের নিয়ম রয়েছে। কাজটি করার আগে আপনি নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন তারপর সেই কাজের দিকে এগিয়ে যান। ঠিক এমন ভাবেই আপনাদেরকে এই আমেরিকা যাওয়ার স্কলারশিপ সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিতে হবে।
এবং সকল কিছু মাথায় রাখতে হবে। এর জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে আসুন আমরা জেনে নেই। আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিন্তু স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। যে সকল শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না যারা একটু গরিব রয়েছে।
তারাও কিন্তু এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আমেরিকায় গিয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন। আপনাকে তারা ফ্রি নিয়ে যাবে কিন্তু এর জন্য আপনাকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তো সেগুলো হচ্ছে -
- আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ অরগণে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি করায় সেগুলো আপনার ভিতরে অবশ্যই থাকতে হবে।
- আপনি যদি আমেরিকায় থাকেন তাহলে কিন্তু এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আপনি লেখাপড়া করার জন্য যেতে পারবেন না সেজন্য অবশ্যই আপনাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব ছাড়া থাকতে হবে এবং বাংলাদেশ অথবা অন্য দেশের হয়ে এটার জন্য আবেদন করতে হবে।
- সরকার আপনাকে আমেরিকাতে লেখাপড়ার জন্য পাঠাবে কিন্তু সেখানকার থাকার খরচ খাওয়ার খরচ এগুলো কিন্তু আপনাকে বহন করতে হবে তাই জন্য আপনাকে সেই আর্থিক স্বাচ্ছলতা রয়েছে কিনা সেদিকে বিবেচনা করতে হবে এবং সরকারি অফিসে সে সম্পর্কে তথ্য জমা দিতে হবে।
- আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে লেখাপড়ার জন্য যেতে চাইলে সর্বনিম্ন কত পয়েন্ট থাকতে হবে। এদিক দিয়ে দেখতে গেলে আপনাদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে এর জন্য আপনার সর্বনিম্ন পয়েন্ট থাকতে হবে 3 পয়েন্ট। সে ক্ষেত্রে কিন্তু প্রায় সকলে এটার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ যেটি হচ্ছে লেখাপড়ার এক বছর এর মধ্যে যে সকল সাংস্কৃতিক কাজ রয়েছে সেগুলোতে আপনার সর্বনিম্ন ৮০ ঘন্টা সময় দেওয়ার কিন্তু মন মানসিকতা অবশ্যই দরকার রয়েছে। এর জন্য কিন্তু আপনাকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
- লেখাপড়ার খরচ বাবদ আপনাকে বাংলাদেশের টাকা অনুযায়ী ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত থাকতে হবে। এগুলো কিন্তু লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যত ধরনের কোচিং রয়েছে আর যাবতীয় খরচ সেগুলো দিয়ে।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এবং আপনি যে শিক্ষিত এর সার্টিফিকেট এবং কাগজগুলো আপনাকে অবশ্যই দেখাতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা যখন আপনি করাবেন তখন।
- আপনি যদি উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার পরিবারের অথবা আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাংকের কাগজ লাগবে এবং ব্যাংকে সর্বনিম্ন ৩৫ লক্ষ থেকে শুরু করে ৪০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে। তাহলে কিন্তু আপনি একটি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তাও আবার স্কলারশিপে।
- আপনাকে কিন্তু একেবারে 100% স্কলারশিপ প্রদান করবে না। যখন আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য টাকা জমা দেবেন বা আবেদন করবেন তখন কিন্তু সেখানকার কোচিং ফি এবং যাবতীয় খরচের কিছু পারসেন্টেজ ওরা কেটে নিবে। এক্ষেত্রে আবেদন করার সময় আপনার সকল খরচ তারা নিবে না।
আমি উপরে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম এ সকল বিষয় যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি একটি স্টুডেন্ট ভিসা করে স্কলারশিপ মাধ্যমে আমেরিকায় লেখাপড়া করতে যেতে পারেন। আপনাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে আমেরিকায় কিন্তু বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে কাজ করানো হয়।
আপনার যদি খরচ চালাতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু আপনি প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা করে পার্ট টাইম জব করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো কিছু পোস্ট
আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ সুবিধা
যে সকল দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক অসচ্ছলতায় থাকেন এবং আমেরিকা গিয়ে লেখাপড়া খরচ চালানোর মতো তাদের সামর্থ্য থাকে না তাদের কথা চিন্তা করে আমেরিকা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং যেই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নেওয়া হবে সে দেশের সরকার এবং আমেরিকার সরকার মিলে।
কিন্তু এক ধরনের সেবা চালু করেছে সেখানে খুব সহজেই আপনি লেখাপড়া করতে পারবেন এবং বেশি টাকা খরচ হবে না। আপনার লেখাপড়া বাবদ ইউনিভার্সিটি ফ্রি এবং যাতায়াত খরচ এই সকল সবকিছু মিলে যে সকল খরচ আসবে সেগুলো কিন্তু দেশের সরকার এরা বহন করবে শুধুমাত্র আপনার চলাফেরার জন্য যে টাকাগুলোর প্রয়োজন হবে।
সেগুলো আপনাকে বাইর করতে হবে। আমি এর আগে যে সকল কথা বললাম যে আমেরিকায় গিয়ে লেখাপড়া করতে হলে সাত লক্ষ থেকে বাইশ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে আর আপনি যদি এরকম ভাবে যান তাহলে কিন্তু আপনার ৫-৬ লক্ষ টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। আপনি চাইলে এভাবে আবেদন করতে পারেন।
যদি আপনার আবেদনটি মনজুর করে নেই তাহলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকাকে লেখাপড়া করতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় এবং এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা জানতে পেরেছেন আর আপনি যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটির চোখ রাখুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয় যা আপনার প্রতিদিনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবে ইনশাআল্লাহ।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url