বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন সঠিক তথ্য জানুন
বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করণীয়প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন না বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন। এ বিষয়ে আপনি অনেক জায়গায় তথ্য খুঁজেছেন কিন্তু সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে এখন আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমার এই আর্টিকেলটিতে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। যা আপনার সঠিক তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
আমি বেশ অনেকদিন ধরেই দেখতে পাচ্ছি গুগলে শুধু সার্চ হচ্ছে বায়না দলিলের মেয়াদ আসলে কত দিন। যারা মূলত এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন না তাদেরকে নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। আপনি মনোযোগ সহকারে দেখলে বুঝতে পারবেন।
বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন - মূলভাব
আপনারা অনেকেই আছেন যারা। বায়না দিয়ে জমি ক্রয় করে থাকেন। আপনার কাছে যথাসময়ে কাঙ্খিত পরিমাণ টাকা না থাকার কারণে মূলত আপনি এই কাজটি করে থাকেন। এবং আপনার জমিটি অনেক প্রয়োজন এই কারণে এই কাজটি করতে পারেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু বায়না নামা করে তুমি আদান প্রদান করা যায়।
সেহুতু আপনি যত টাকা আপনার ইচ্ছা তত টাকা বাইনা দিয়ে জমির দলিলটি নিতে পারেন। এবং যত তারিখে আপনি টাকাটা পরিশোধ করার অনুমতি নিয়েছেন কিংবা আবেদন করেছেন। সেই কাঙ্ক্ষিত দিনে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা করে আপনি আবার জমিটি নতুন ভাবে মালিকানা হতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ আপনার পুরনো জমির দলিল উত্তোলন করুন।
কিন্তু আপনি বায়না নামার জন্য যে সময়টি আবেদন করেছেন সেই সময়টি যদি পার হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করবেন। এবং বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী পাইনা দলিলের মেয়াদ মূলত কত দিনের হয়ে থাকে। আপনারা যদি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনার নিচের অংশটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে করতে হবে। তো আসুন আপনার অযথা সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন
আপনাদের মধ্যে অনেকেরই সংশয় রয়েছে যে এই বায়না নামা দলিলের মেয়াদ কতদিন দেবো। একমাস দিব না দুই মাস দেবো না তিন মাস দেবো না দশ মাস দুই বছর দেবো। এগুলো নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে।এমন কোন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া আছে কি বায়নামা দলিলের ক্ষেত্রে। তো চলুন এখন আমরা আগে দেখে নেই।
বায়নামা দলিলের সাথে কি কি আইনজরিত রয়েছে এগুলো। এই আইনগুলো যদি আপনাকে বোঝায় তাহলে আপনি একেবারে খুব সুন্দর ভাবে ইজিলি বুঝতে পারবেন। এখন প্রতিটি শব্দই কিন্তু আপনার কাছে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি শব্দ যদি আপনি মিস করেন তাহলে আপনি না বুঝতে পারতে পারেন।
এখন বায়না নামা দলিলের মেয়াদ কতদিন হতে পারে এখন আপনাদেরকে বলি এর সম্পর্কিত আইন কি কি রয়েছে সেগুলো। এখন আপনি যদি একটি বায়নামা দলিল সম্পূর্ণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এক নম্বর সম্পত্তি হস্তান্তর আইন তামাদি আইন স্ট্যাম্পাইন।
আরও পড়ুনঃ খতিয়ান থেকে জমির পরিমাণ বের করার নিয়ম।
এগুলোর দিকে আপনাকে আগে গুরুত্ব দিতে হবে ভালো করে। আপনি এখন যদি এই আইনগুলো বিস্তারিত ভালো হবে পড়েন তাহলে কিন্তু কোথাও দেওয়া নাই যে সর্বোচ্চ মেয়াদ কত দিন পর্যন্ত দেওয়া যাবে। শুধুমাত্র সম্পত্তি হস্তান্তর আইনে রিফাইন করা আছে। আর ৫৪ এ তে বালা রয়েছে আপনি যদি বাইনামা দলিলের মেয়াদ না দেন।
তাহলে আদালতের আইন কিন্তু মেনে নেবে যে আপনার বাইনামা দলিলের মেয়াদ হচ্ছে ছয় মাস। এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আপনি যদি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের নিয়ম অনুসারে আপনার বাইনামা দলিলের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস। কিন্তু আপনি যদি বাইনামা দলিলের রেজিস্ট্রেশন করেন।
তাহলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলে আপনারা যদি একদিন দেন অথবা দুই দিন দেন এক সপ্তাহ এক মাস আপনারা চাইলে এক বছর দুই বছর পাঁচ বছর দশ বছর এটা সর্বোচ্চ নির্ভর করবে আপনাদের উপর। কিন্তু আদালত এ সম্পর্কে কোন আইন নির্ধারণ করে দেয় নাই। যেই সময়টি নির্ধারণ করবে সেই সময়টি হবে বাইনামা দলিলের মেয়াদ।
আপনি এখন নিশ্চয় ই বুঝতে পেরেছেন যে বাইনামা দলিলের মেয়াদ আসলে কতদিন হবে। এখন বায়নানামা া হচ্ছে আপনি ভবিষ্যতে আপনার কোন সম্পত্তি বিক্রি করবেন এ সম্পর্কে একটি চুক্তিপত্র তৈরি করা। এটা করার ফলে আপনি জমিটি দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না ওই জমিতে যে ফসল বা যে ইন্টারেস্ট আসবে সেটা আপনি কোনটাই পাবেন না।
আরও পড়ুনঃ মৌজা ম্যাপ উত্তোলন করার নিয়ম জেনে নিন।
এবং ওই জমি সম্পর্কিত কোন ভ্যাট বা কর আপনাকে কিছুই দিতে হবে না। কিন্তু শুধুমাত্র কিছু টাকার বিনিময় আপনি যে জমিটি ক্রয় করবেন সেটি বিক্রেতা থেকে কথা দিয়ে নেওয়া যে পরবর্তীতে আপনি ওই জমিটি ক্রয় করতে পারবেন। এখনই এর জন্য আপনাকে একটি চুক্তিপত্র তৈরি করতে হবে এবং এটি রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।
আর একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে আর আপনি যদি সময় নির্ধারণ না করেন তাহলে আইন অনুযায়ী 54 ক নাম্বার অনুযায়ী ৬ মাস ধরে নেওয়া হবে। কিন্তু এখন রেজিস্ট্রেশন আইন যদি আমরা পরি তাহলে বুঝতে পারবো। এখানে ১৭ এর ক নাম্বারে লিখা আছে। জমি বায়না নামা করার এক মাসের মধ্যেই আপনাকে রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের তারিখ থেকে কিন্তু আপনার বায়না নামা দলিলের মেয়াদ শুরু হবে। এখন ধরে নেন যে আপনারা দুই পক্ষ মিলে আট মাস সময় নিয়েছেন বায়না নামার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য। এখন ৮ মাসের মধ্যে যদি আপনি জমিটি ক্রয় না করেন। এবং বিক্রেতা বিক্রয় করতে না চান তাহলে এই জমির উপর মামলা শুরু হয়ে যাবে।
এখন আপনি যদি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এটি যদি ভালোভাবে পড়তে পারেন তাহলে ওইখানে লেখা রয়েছে। এর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১২ থেকে ৩০ নাম্বার আইনের মধ্যে এ সম্পর্কে লিখা রয়েছে।এখন আপনি যদি ১২ নাম্বার ধারাটি পড়েন এবং ১৩-১৪ এগুলোর মধ্যে কিন্তু দু একটি বিষয় নাও থাকতে পারে।
এর জন্য আপনাকে ১২ থেকে ৩০ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়তে হবে এবং নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এখন আপনি যদি মামলা করতে চান এর জন্য আপনাকে তামাদি আইন পড়তে হবে এবং তামাদি আইনের ১১৩ নাম্বার অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে পড়তে হবে সেখানে বিস্তারিত বলে দেওয়া রয়েছে।
সেখানে বলা রয়েছে আপনি যখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করবেন তার এক বছরের মধ্যে এই মামলাটির জন্য আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি বায়না নামা করেন এবং এর মেয়াদ যদি ছয় মাস ধরেন এবং এর সাথে আপনাকে আরো বারো মাস অথবা এক বছর সময় ধরতে হবে।
এবং মামলা চলাকালীন সময়ে আপনি কিন্তু আপনার জমিটি বিক্রয় করতে পারবেন না। এর কারণ হচ্ছে সম্পত্তি হস্তান্তর আইনে মামলা চলাকালীন সময়ে জমি কোন ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না। এরপর আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আপনাদেরকে কাজ করতে হবে। আর আপনি যদি জমিটি বিক্রিও করে দেন।
তাহলে দলিল যদি তৈরি করেন তারপরেও কিন্তু আদালতের নিয়ম অনুযায়ী আপনার দলিলটি বাতিল হয়ে যাবে এবং অবৈধ জমি ক্রয় করার জন্য আপনার শাস্তিও হতে পারে। তো বন্ধুরা আশা করি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি আপনি জানতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত আপনি যদি কোন দলিলের বায়না নিয়ে থাকেন। এখন কতদিন পর্যন্ত আপনি এর মেয়াদ নিশ্চিত করতে পারবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনি যদি আমার এই পোস্টটি থেকে কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে। আপনি যদি এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। কারণ প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url