অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম
প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহার করে ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি অগ্রণী ব্যাংকের চেক কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অনেক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানতে পারেন নাই। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিব কিভাবে অগ্রণী ব্যাংকের চেক লিখতে হয় এবং এর একটি ছবিও দিয়ে দিব।
বর্তমান সময়ে এসেও অনেকে কিন্তু ব্যাংকের চেক লেখা জানে না। এবং তার মধ্যে হচ্ছে অন্যতম অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখা। যারা এখনো পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেক লিখা জানেনা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আজকের আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম - সারাংশ
এখনকার ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে এসে আমরা অনেকেই কিন্তু ব্যাংকে টাকা জমা রাখি। এবং প্রয়োজন মত টাকা উত্তোলন করি এবং খরচ করি। কেউবা আমরা টাকা ব্যাংকে গিয়ে এমনিতে উত্তোলন করি আবার কেউ বা চেক লেখার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে থাকি। আমাদের কোন ব্যাংকে যদি টাকা থাকে।
আর আপনি যদি অন্য কাউকে একটি চেক লিখে দেন তাহলে ওই ব্যক্তিটি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিন্তু আপনার ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণে টাকা আপনি জমা করে রাখেন। এখন যখন টাকা উত্তোলন করবেন তখন কিন্তু একটি চেক এর প্রয়োজন হবে।
এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি কিন্তু ব্যাংকের চেক কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে কোন আপনার ধারণাই নেই। এখন আপনাদেরকে বোঝাবো যে ব্যাংকের চেক আসলে কাকে বলে এবং অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম কিভাবে আপনি এটি করবেন কোথাও কোন ভুল গেলে আপনার কি কোন সমস্যা হবে যদিও বা ভুল যায়।
তাহলে পরবর্তীতে আপনি কিভাবে পরিবর্তন করে নিবেন। আপনার যদি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে এবং ব্যাংকে টাকা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়গুলো জানা জরুরী। কারণ পরবর্তীতে আপনার যদি কোন সমস্যা হয় আপনি যেন খুব সহজে সমাধানটি করে ফেলতে পারেন।
তো আসুন আমরা এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব। আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
ব্যাংকের চেক কাকে বলে ?
আপনাকে অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম এটি বলার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে যান তবে ব্যাংকের চেক কাকে বলে। ধরুন যে আপনার একটি যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। এবং আপনার একাউন্টের সর্বনিম্ন 10 লক্ষ টাকা থাকতে হবে এবং সর্বোচ্চ আপনি যত টাকা রাখতে পারবেন তত টাকা হবে।
এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি কাউকে কোন টাকা দিতে চান তাহলে ওই ব্যক্তিকে আপনার ব্যাংকের চেক বই থেকে একটি চেক লিখে দিতে হবে। আপনি যত টাকা তাকে দিবেন তত টাকা ওইখানে লিখবেন তাহলে ওই ব্যক্তিটি উত্তোলন করে নিতে পারবে। ঠিক তেমনি আপনিও কিন্তু নিজেই চেক লিখে নিজের টাকা নিজেই উত্তোলন করতে পারবেন।
এক কথায় বলতে গেলে টাকা উত্তোলন করার একটি মাধ্যম হচ্ছে চেক। যেখান থেকে মানুষের ইচ্ছামত ব্যাংকের যতগুলো টাকা আছে ঠিক ততগুলো টাকাই উত্তোলন করতে পারবে। আশা করি আপনি ব্যাংকের চেক কাকে বলে এবং এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম
অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে এগুলো মানতে হবে। তাহলে আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে চেক বই পাবেন এবং চেক লিখতে পারবেন এবং টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া মূল কথা হচ্ছে চেক বই লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে নির্দিষ্ট অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।
আমি যদি আপনাদেরকে শুধু মুখে বলি আপনারা বুঝতে নাও পেতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি একটি অগ্রণী ব্যাংকের চেকের ছবি আপনাদেরকে দিব আপনাদের বোঝার ক্ষেত্রে।
শর্তা বলি
- আপনি যখন চেকটি লিখবেন তখন অবশ্যই আপনাকে একটি সেফ জায়গায় যেতে হবে। যেন কোন ব্যক্তি আপনার পার্সোনাল তথ্য জানতে না পারে এজন্য আপনাকে একটি নিরিবিলি জায়গায় এবং একলা এই কাজটি করতে হবে।
- আপনি যখন চেকটি লিখবেন তখন অবশ্যই আপনি যদি ইংরেজিতে একটি লেখেন তাহলে পুরো চেক ইংরেজিতে লিখবেন। আর আপনি যদি বাংলাতে লেখেন তাহলে সবকিছু বাংলাতে সম্পূর্ণ করবেন। কেননা চেক লেখার ক্ষেত্রে আপনি যেই ভাষা দিয়ে লিখবেন সেই ভাষায় ব্যবহার করতে হবে। যে কোন একটি।
- আপনার চেকটি লেখা শুরু করার আগে একেবারে উপর থেকে শুরু করে নিজ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে খুব ভালোভাবে দেখে শুনে যদি কথাও ভুল থাকে তাহলে সেটি ভালোভাবে দেখবেন তারপর লেখা শুরু করবেন।
- যেকথাটি আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে লেখার সময় এক লেখা বারবার লিখবেন না এবং যেন লেখার উপর কোন দাগ না পড়ে সব সময় যেন স্বচ্ছ পরিষ্কার দেখা যায়। যদি দাগ পড়ে তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে এটি নিয়ে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে।
- আর আপনার ভুলবশত যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন এবং কোন লেখা যদি আপনি কেটে দেন তাহলে 1 টানে লেখাটি কেটে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি একটানে না কাটেন তাহলে লেখা অনেক ঘিচিমিচি হয়ে যাবে এবং দেখতে খারাপ লাগবে এবং সমস্যা হতে পারে পরবর্তীতে।
- লেখার মধ্যে প্রয়োজনীয় ধরুন যে দাড়ি কমা ফুলস্টপ এগুলো ব্যবহার করতে হবে এবং যেগুলো আপনার প্রয়োজন হবে লিখতে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।
এগুলো হচ্ছে একটি ব্যাংকের চেক লেখার গুরুত্বপূর্ণশর্তাবলী। এগুলো আপনাকে পালন করতেই হবে তাছাড়া আপনি ব্যাংকের চেক লিখতে কখনোই পারবেন না।
বিস্তারিত নিয়ম
চেক লেখা শুরু করার আগে আপনাকে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ব্যাংকের চেক কিন্তু তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি হচ্ছে গ্রাহকের অংশ অর্থাৎ যে ব্যক্তিটির টাকা উত্তোলন করবে সে ব্যক্তির একটি অংশ পাবে মূল চেক থেকে। আরেকটি অংশ হচ্ছে ব্যাংকের অংশ যেটা অর্ধেক পাবে মূল চেক থেকে।
এবং বাকি অর্ধেক পাবে টোকেন থেকে। এবং তৃতীয়ত হচ্ছে টোকেন যা ব্যাংক কি আপনাকে প্রদান করবে। যখন চেক লিখবেন মূল চেক কিন্তু লিখে ব্যাংকে জমা দিতে হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিন্তু আপনাকে ফেরত দিবে না।
- প্রথমত অগ্রণী ব্যাংকের সিলমোহর সহ যাবতীয় তথ্য যেগুলো চেক বইয়ে লিখা রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দরভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। যদি সেখানে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি সংশোধন করার জন্য ব্যাংকের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং আর আপনি যদি সেটি সংশোধন করতে পারেন তাহলে সংশোধন করতে পারেন।
- ব্যাংকের লোগোর নিচে লেখা আছে শাখা সেখানে লিখতে হবে আপনি যেই ব্যাংকের যেখানকার শাখার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন সেখানকার শাখার নাম সম্পূর্ণটা লিখতে হবে।
- এরপর আপনি যাকে টাকা প্রদান করবেন কিংবা আপনি যদি নিজে উত্তোলন করতে চান তাহলে ওইখানে ওই ব্যক্তিটির নাম লিখবেন এবং আর আপনি যদি টাকা উত্তোলন করেন তাহলে ওইখানে লিখবেন যে নিজ।
- এখন লিখতে হবে টাকার পরিমান প্রথমে লিখা আছে বাংলায় লিখুন তখন আপনি লিখবেন যে ধরুন আপনি ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে চাচ্ছেন। তাহলে ওইখানে লিখবেন ৫০০০০ টাকা মাত্র। এটি কিন্তু আপনাকে বাংলায় লিখতে হবে।
- এবার টাকার পরিমাণ আপনাকে সংখ্যায় লিখতে হবে যেমন লিখবেন যে ৫০০০০। এইভাবে আপনাকে লিখে সম্পূর্ণ করতে হবে।
- এরপর চেকের উপরে ডান সাইটে লেখা থাকবে তারিখ সেখানে আপনি যেই তারিখে টাকা উত্তোলন করবেন সেখানে ওই তারিখটি বসিয়ে দিবেন।
- এখন দেখবেন নিচে লেখা রয়েছে হিসাব কারীর স্বাক্ষর সেখানে যে ব্যক্তিটি হিসাব করবে সেখানে তার স্বাক্ষর আপনি নিয়ে নিবেন।
আপনি এভাবেই একটি অগ্রণী ব্যাংকের চেক লিখতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। এবং চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি কাগজ দিবে সেখানে আপনার টাকা উত্তোলনের রিসিভ রয়েছে। সেটা আপনার পরবর্তীতে কাজে লাগবে। বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম।
সম্পর্কে এখন যদি আপনাদেরকে যে কোন ব্যাংকে চেক লিখতে দেয়া হয় আশা করি আপনারা প্রত্যেকটি ব্যাংকের চেক লিখতে পারবেন। আমার এখন মনে হয় যে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর আপনারা খুব ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন এইখান থেকে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত অগ্রণী ব্যাংকের চেক কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কিছু সঠিক তথ্য জানতে পারেন এবং শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারে। আপনি যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখুন। কারণ প্রতিদিনই এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়। যা আপনার প্রতিদিনের অজানা তথ্য জানতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url