বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি কি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত হবে এটি নিয়ে চিন্তায় আছেন। তো আপনাকে এখন থেকে আর বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত হবে এটি নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এখানে আজকে আপনাদেরকে এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সুবিধা এবং অসুবিধা এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যারা এ বিষয়টি নিয়ে বেশি তথ্য জানেনা তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ঃ ভূমিকা ?
বিকাশ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে তাদের গ্রাহকদের কাছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। এটি মূলত ব্যবসায়ীদের কাজের সুবিধার্থে এটি চালু করা হয়েছে। এবং অনেক লেনদেন করে তারা মোবাইলের মাধ্যমে সব সময় তো তারা আর যেখানে সেখানে যেতে পারে না এবং টাকা লেনদেন করতে পারে না।
আর আপনি যদি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে এ সকল বিষয়ে তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। এখন অনেকেই জানেন না যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত। বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছি যে গুগলে এই বিষয় নিয়ে বেশি সার্চ হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিকাশ থেকে নগরের টাকা ট্রান্সফার।
তাই তাদের কথা চিন্তা করে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। তো যারা জানেন না তারা আমার এই ব্লগটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পড়বেন। তাহলে আসুন অযথা সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনার দিকে যায়।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রথমে আপনাকে বলে রাখি যে এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টটি শুধুমাত্র যারা ব্যবসা করে তাদের জন্য। বিকাশ যেমন বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের সেট করে ভাগ করে নিয়ে তাদের সেবাগুলো প্রদান করে থাকে। তাদের একটি সেবা হচ্ছে এই বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট।
আপনি যদি এই একাউন্টে খুলতে চান তাহলে বিকাশের পারসোনাল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেখানে আপনি একটি ফর্ম পেয়ে যাবেন সেখানে আপনাকে আপনার নাম, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম কোথায় আপনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি চালু করবেন, এবং আপনি কত টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন।
এবং কত টাকা প্রতিনিয়ত লেনদেন করতে চাচ্ছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র যদি আপনি জমা দেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার একাউন্টটি খুলে নিতে পারবেন। আপনি যদি বিকাশের পার্সোনাল ওয়েবসাইটে মেসেজ করেন তাহলে তারা আপনাকে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে দিবে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত এটি না জেনে থাকেন। তাহলে আমি আপনাদেরকে এখন এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেছি। আপনি জানেন কিনা জানিনা এ বিকাশের যতগুলো সেবা প্রদান করে থাকে তাদের নিজস্ব নিজস্ব টাকা লেনদেন করার চার্জ ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছে।
যাতে গ্রাহকেরা যেন কোন বিরাম্পনার মধ্যে না পড়ে। বিকাশ mercent একাউন্ট এর প্রতি হাজারে টাকা উত্তোলন করার চার্জ হচ্ছে। ১. ৭০% অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ১০০ টাকায় ১ টাকা ৭০ পয়সা। এবং এটি যদি আমরা হাজার হিসাব করি তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি হাজারে ১৭ টাকা।
এবং আপনি অন্য দিকে খেয়াল করে দেখবেন বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টে শতকরায় 1.85% টাকা উত্তোলনের চার্জ। এবং প্রতি হাজারে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। এখন দেখা যাচ্ছে যে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের এক টাকা ক্যাশআউট চার্জ কম।
এবং আপনি যদি প্রতিনিয়ত বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে বেশি টাকা লেনদেন করেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার খরচ অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হবে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন কোন কিছু যেমন সুবিধা হয়েছে ঠিক তেমনি আবার অসুবিধা রয়েছে। ঠিক তেমনি এই বিকাশ mercent account এর সুবিধা ও যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস সব থেকে ভালো যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সুবিধা রয়েছে অনেকগুলো কিন্তু অসুবিধা বেশি না অল্প কিছু।
তো আসুন এই অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক। দুঃখের বিষয় এটা যে আপনি কিন্তু বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে কোন পেমেন্ট নিতে পারবেন না। এটি বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এবং আপনি যদি পেমেন্ট নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
তাহলে আপনি মূলত পেমেন্ট নিতে পারবেন। আপনি কিন্তু ইচ্ছে করলে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে যখন তখন টাকা উত্তোলন করতে পারেন আপনি ১০০ টাকা থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন।
কিন্তু বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে আপনি কখনোই যখন তখন টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। বিকাশ মার্জেন্ট একাউন্টের টাকা উত্তোলন করার দুটি মাত্র উপায় রয়েছে। এক নম্বর আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে আপনার তো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এবং দ্বিতীয়তঃ আপনার কোন এজেন্টের সাথে পরিচয় থাকতে হবে এবং এই এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা
বিকাশের অনেক কিছু সুযোগ সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। বর্তমান সময়ে সকল ব্যবসায়ী এ মার্চেন্ট একাউন্টটি ব্যবহার করে থাকে। তো এখন আমি আপনাদেরকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
আপনি একটি এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একাধিক মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এর কোন লিমিট নেই। বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টে যেমন টাকা লেনদেন করার লিমিট করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু এই মার্চেন্ট একাউন্টে আপনি সর্বনিম্ন ধরুন যে এক টাকা থেকে শুরু করে আপনি যত টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারেন সর্বোচ্চ।
এখানে লেনদেন করার কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নাই। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এখান থেকে আপনি আপনার ইচ্ছামত অনেক ধরনের অফার সেল করতে পারবেন। এবং আপনার ক্রয় বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য বিকাশ এই সুযোগটি দিয়ে থাকে তার মার্চেন্ট একাউন্ট এর গ্রাহকদের।
বিকাশ থেকে আপনি আসলে আপনার মার্চেন্ট একাউন্ট হয়ে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে বাড়তি কিছু চার্জ দিতে হবে। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপস থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
বিকাশে পার্সোনাল একাউন্ট ভালো না মার্চেন্ট একাউন্ট ভালো
অনেকের মধ্যে আছেন যে যারা জানেন না যে বিকাশে পার্সোনাল একাউন্ট ভালো না মার্চেন্ট একাউন্ট ভালো এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। তো আজকে আপনাদেরকে এ সকল বিষয় এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ব্যবহার করতে চান।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কোন ব্যবসা বাণিজ্যের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি যদি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট আপনার জন্য অনেক নির্ভরযোগ্য হবে। বিকাশের পারসোনাল একাউন্টের খরচ হাজার ে ২০ টাকা করে।
আবার অন্যদিকে দেখা যায় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে ক্যাশ আউট খরচ মাত্র ১৭ টাকা। আপনি যদি আপনার একাউন্টের মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে আপনার জন্য বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টটি উপযুক্ত হবে।
কেননা এই একাউন্টে আপনি যত টাকা লেনদেন করতে পারবেন আপনার ইচ্ছা মতো। বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে এখানে কোন লিমিট করে দেওয়া নাই। আবার অন্যদিকে আপনার একাউন্টে আপনি কত টাকা থেকে শুরু করে কত টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন সেটার লিমিট করে দেয়া হয়েছে।
আপনি যদি ব্যবসার জন্য লেনদেন করতে চান তাহলে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আপনার জন্য উপযুক্ত। আবার অন্যদিকে আপনি যদি হালকা পাতলা কিছু টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট আপনার জন্য যথেষ্ট। আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে যে আপনি কোন একাউন্টে ব্যবহার করলে আপনার পক্ষে বেশি ভালো হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই ব্লগটিতে বিকাশ মার্কেন্ট একাউন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি যদি কিছু শিখতে পারেন বা কিছু জানতে পারেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে আর আপনি যদি প্রতিনিয়ত এমন তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন কেননা প্রতিদিন আমাদের এই ওয়েবসাইটে এমন তথ্য শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url