জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী

জীবনে উন্নতি করার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দিকপ্রিয় পাঠক আপনি কি খুব সহজেই জীবনে সফল হতে চান। এ বিষয়ে অনেক জায়গার খোঁজার পরেও সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আমাদের এই ব্লগ দিতে কিভাবে আপনি খুব সহজেই জীবনে সফল হতে পারবেন এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী
বেশ কয়েকদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি যে গুগলের বেশি বেশি সার্চ হচ্ছে কিভাবে সফল হওয়া যাবে জীবনে। তো যারা এই বিষয়ে সঠিক তথ্যটি জানেন না তাদেরকে টার্গেট করেই আজকের এই পোস্টটি লিখা হয়েছে।

জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এর ভাব সম্প্রসারণ

আপনাকে সব সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি জীবনে সফল হতে না পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জীবনের কোন মূল্যই নেই। কারণ বর্তমান যুগ কিন্তু টাকার গোলাম। আপনার যদি পকেট ভর্তি টাকা থাকে তাহলে কিন্তু আপনার পেছনে ঘোরার মত মানুষের অভাব হবে না।

ঠিক তেমনি ভাবেই আপনার যদি টাকা কম থাকে তাহলে কিন্তু তাদের কাছে আপনাকে দিবে ্না। এটা আমি বলছি না আপনি এটি খেয়াল করে দেখবেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন। আর আপনি যদি খুব সহজেই জীবনে সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমি যেটি বলবো সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।


আপনি যদি আমার দেখানো পথ অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এক কথায় বলতে গেলে যেখানে আপনার টাকা আছে সেখানে আপনার মূল্য আছে আর যেখানে আপনার টাকা নেই সেখানে আপনার কোনো দামই নেই। এ সমাজে আমি এরকম ঘটনা অনেক দেখেছি।

এখন সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আজকের এই পোস্টটি তৈরি করেছি। বাস্তব জীবনের কিছু ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এবং বলব আপনাদের এই সম্পর্কে কি করা উচিত। কাজগুলো করবেন এবং কোন কাজগুলো বর্জন করবেন। তো আপনাদের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।

জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী

শুরুতেই তোমাকে আমি বলি সফলতার কোন শর্টকাট হয় না। অথবা এক লাফ দিয়ে কিন্তু একেবারে সফলতা জুড়ায় ওঠা যায় না। এই পৃথিবীতে কখনোই কিন্তু একদিনে কারো সফলতা আসে না। কোন সফলতা এক সপ্তাহে আসে না আবার কোন সফলতা এক মাসেও আসে না। এর পেছনে তোমাকে বছরের পর বছর মেহনত করতে হবে।

নিজের সফলতার ক্ষেত্রে মেহনতের কোন বিকল্প হয় না। সেটা তুমি নিজেই ভাবে নিও না কেন। তুমি যদি ছাত্র জীবনে থাকো তাহলে আর পড়াশোনা প্রতি ভাল হয় প্রকাশ দাও। তুমি যদি চাকরি করো তাহলে তোমার নিজের কাজের ওপর ফোকাস কর। তুমি এখন ভাবতে পারো যে অনেকেই তো রয়েছে যাদের সফলতা খুব তাড়াতাড়ি চলে এসেছে।


তাহলে বন্ধু শোনো তুমি একটি কথা ভালো করে মাথায় রাখবে। যেই সফলতা যে ব্যক্তির খুব তাড়াতাড়ি আসে তার ওই সফলতা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কখনোই হয় না। ওই ব্যক্তিটি সফলতা অর্জন করেছে হয়তোবা অন্যায় করে অথবা দুর্নীতি করে। তুমি যদি সৎ পথে থাকো এবং অনেক পরিশ্রম করো তাহলেই কিন্তু তোমার সফলতা আসবে।

তুমি যদি সফল হতে চাও তাহলে একজন তুমি রোল মডেল বানাও তো তুমি ভালো করে খেয়াল করে দেখবে তারা কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে কেউই সফল হতে পারেনি। তাদের সফল হওয়ার পিছনে একটি বড় ইতিহাস রয়েছে। সফলতার যাত্রাটা কিন্তু অনেকটাই কঠিন। এখন তুমি কিভাবে মনে কর যে তুমি খুব সহজেই জীবনে সফল হতে পারবে।

এখন তুমি অবশ্যই একটি কথা মনে রাখবে তোমার সফলতার পথ যত কঠিন হবে। ঠিক ততটাই দীর্ঘস্থায়ী হবে তোমার এই সফলতা। জীবনে সফল হওয়াটা যতটাই না তাড়াতাড়ি আসে। কিন্তু তোমার এই সফলতা টা ধরে রাখাই হচ্ছে বড় বিষয়। তুমি যে কাজটাই করো না কেন সেই কাজের উপর ভালোভাবে মনোযোগ দিবে।

কখনো নিজের কাজকে অবহেলা করবে না। নিজের কাজের উপর পরিশ্রম করো কারো কথায় কান দিও না নিজে যা করতেছ তাই করবা। একটা কথা তুমি অবশ্যই মনে রাখবে তুমি যদি এখনকার সময় যদি সহজ করে চলতে চাও। তাহলে কিন্তু তোমাকে পরবর্তীতে অনেকটাই কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। তাই বন্ধু কখনো তুমি নিরাশ হইয়ো না।


নিজের উপর বিশ্বাস হারায় না। আরে তুমি কি জানো তুমি যদি তোমার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলো তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাকে কিভাবে কি দেবে বলো। জানো তুমি যদি সফল হতে চাও তাহলে তোমাকে সবসময় তিনটি কথা মনে রাখতে হবে। তুমি যদি এই তিনটি কথা ভালোভাবে মানতে পারো তাহলে তোমাকে সফল হওয়া থেকে আটকাবে না।

নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা

তুমি যদি একটি কাজ করতে চাও তাহলে এর জন্য সর্বপ্রথম তোমার নিজের উপর নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে। কেননা তুমি যদি আমি এই কাজটি করবই এই কাজটি আমাকে করতেই হবে। এবং যদি দৃঢ় মনো বল হিসেবে তুমি কাজটি কর এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারো। তাহলে তুমি ওই কাজটি কিন্তু শেষ করতে পারবে।

এখন তুমি একটি কাজ করতে শুরু করেছ কিন্তু তুমি কাজটি করতে গিয়ে অনেকবার ভুল হচ্ছে এবং কাজটি সম্পূর্ণভাবে করতে পারছ না। এখন তোমার প্রতি নিজের যদি বিশ্বাস থাকে। তাহলে তুমি এক সময় দেখতে পাবে ওইটাতে তোমার সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তুমি যদি কিছু করতে চাও তাহলে নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস স্থাপন করার কোন বিকল্প হয় না।

সব সময় ধৈর্য ধারণ করা

জীবনে ধৈর্য ধরাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রেখো সফলতার পথে কিন্তু অনেক বিফলতা আসবে। আর এই বিফলতাকে হারানোর জন্য সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে তোমার ধৈর্য। তাই ধৈর্য ধরাটা ধৈর্য ধারণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি কথা জীবনে যতই তোমার খারাপ দিন আসুক না।

কেন তোমার কাজে সব সময় বাধা আসতেই থাকুক কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তোমাকে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যতই সমস্যা আসুক না কেন তোমাকে ধৈর্য ধারণ করে থাকতে হবে। তুমি যদি ধৈর্য ধারণ করতে না পারো তাহলে কিন্তু তুমি সফলতা যুদ্ধে হেরে যাবে। তুমি যাদের দেখছ না তোমাদের চারপাশে ঘুরছে।


যারা সফল হতে পেরেছে। তাদের কাছে একবার যাবে এবং শুনবে তারা কি একেবারে সফল হতে পেরেছে। না তাদের পিছনে অনেকটাই কঠোর পরিশ্রম এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়ে তারা এই সফলতার মুখ দেখেছেন। তাহলে তোমার কাজের ক্ষেত্রে কখনোই তুমি হাল ছেড়ে দিবা না এবং নিজের প্রতি ধৈর্য হারাবে না।

কঠোর পরিশ্রম করতে হবে

জীবনে কিছু যদি তুমি করতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে কঠোর পরিশ্রম। তুমি এখন যেই পজিশনে থাকো না কেন সেখান থেকেই শুরু করো। এখন ভাবছো যে আমার তো কিছুই নাই আমি কি করবো তাহলে। আরে ভাই তোমার তো কিছুই নেই তাহলে কোন সমস্যা নেই। তুমি দেখো বড় বড় ব্যক্তিরা তারা কিন্তু প্রথমে অনেকটাই কষ্ট করেছিল।

তুমি যদি কোন কাজের পিছনে ভালোভাবে লাগতে পারো তাহলে কিন্তু তুমি একদিন না একদিন এই কাজটি সম্পন্ন করবেই। আর এভাবেই তুমি একটি কাজ করার পর দিনে দিনে তোমার সবকিছুই বৃদ্ধি পাবে এবং এমন এক সময় চলে আসবে সেখানে শুধু তোমার সফলতার কোন গান চলবে। তুমি যদি একবার সফল হতে পারেন।

তাহলে তোমার পূর্বের যত খারাপ সময় আছে সেগুলো এক একটি ইতিহাস হিসেবে পরিচিত পাবে। তাই এখন আমি বলছি তুমি যদি জীবনে সফল হতে চাও তাহলে তোমার যেই পজিশনে থাকুক না কেন সেখান থেকে কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করো।

ছাত্র জীবনে সফল হতে কি করবেন

তুমি যদি একজন ছাত্র হও। তাহলে সব সময় তোমার পড়ালেখার দিকে ফোকাস দিবে। কঠোর পরিশ্রম করে লেখাপড়া করবে। এবং সব সময় নিজের বন্ধুদের চেয়ে ভালো পড়াশোনা করার চেষ্টা করবে কখনোই ভেঙে পড়বে না। তুমি যদি এই পড়া শুনা করার সময় যদি অন্য দিকে মনোযোগ দাও।


তাহলে কিন্তু তোমার পড়ালেখার উপর অনেক বড় চাপ পড়বে। তুমি যদি এখন থেকে তোমার পড়ালেখা ভালোভাবে করতে না পারো তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে পড়ালেখা কিন্তু অনেকটাই কষ্ট থাকতে হবে অনেক কঠিন মনে হবে তোমার কাছে।

সর্বশেষ তোমার কাছে একটাই কথা বলি তোমাকে যদি ভালো কিছু করতেই হয় তাহলে তোমার লেখাপড়া থেকে ভালোভাবে মনোযোগ ্দাও।

যে কথাগুলো তোমার সব সময় মনে রাখা দরকার

তোমার প্রতিদিনের কাজ কি তুমি রুটিন হিসাবে বানিয়ে নাও। সময়ের কাজ সময় করতে শিখো। আজকের কাজ আসবেই করতে হবে কোন কালকে হবে না।

মানুষ কি বলল তার দিকে কখনোই কান দিবেনা। একটা কথা মনে রাখবা তোমার ভালো কিন্তু এই পৃথিবীর কেউই দেখতে পারবে না।

নিজের কাজের উপর ফোকাস দিবা। অযথা সময় নষ্ট করবে না। এখন তোমাকে মানুষের পেছনে সমান দিতে হবে। এখন তুমি মনে করো না যে আমি অন্য মানুষের কথা বলতেছি আরে না আমি বলতেছি তোমার নিজের উপর নিজে ফোকাস দাও।

নিজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করবা। সব সময় কাজ করতে হবে এমন তো কোন কথা না। তোমার মস্তিষ্ক যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে। এর জন্য তোমাকে সবসময় একটি নির্দিষ্ট সময়ে বের করতে হবে এবং ওই সময়টা নিজের সাথে হবে।

সময়ের মূল্য তোমাকে ভালোভাবে দিতে হবে। তুমি যদি সময়ের মূল্য না দাও তাহলে কিন্তু সময়ও তোমার মূল্য দিবে না। তুমি সময়ের সাথে যেমন ব্যবহার করবে ঠিক তেমনি সময় তোমার সাথে পরবর্তীতে ব্যবহার করবে।

আর ছাত্র জীবনে কখনো প্রেম করো না। তুমি এই সময় লেখাপড়া করবে এটাই তোমার জন্য সবচেয়ে ভালো। তুমি যদি অন্যের কথা চিন্তা করো তাহলে কিন্তু তোমার কোন কাজই সম্ভব হবে না। একটা সময় এমন আসবে যার জন্য তোমার মূল্যবান সময়গুলো তুমি নষ্ট করছো। সে তোমাকে একদিন বলবে তুমি জীবনে কি করেছ।


খারাপ বন্ধু সবসময় এড়িয়ে চলবে। তুমি যদি খারাপ বন্ধুদের সাথে সবসময় চলো। তুমি যতই ভালো হও না কেন এমন এক সময় আসবে তখন কিন্তু তাদের সাথে তুমিও অনেকটা খারাপ হয়ে যাবে। এখন আমি তোমাকে একটি উদাহরণ দিই। লোহা যদি পানিতে ছেড়ে দাও তাহলে কিন্তু সেটি ডুবে যাবে।

ঠিক তেমনি তুমি যদি লোহা দিয়ে একটি নৌকা বানাও এবং সেটি যদি পানিতে নামাও তাহলে দেখে কখনোই সেটি ডুবে না। তাহলে অবশ্যই তোমাকে খারাপ সংঘ সংঘ করতে হবে।

কোন কাজকে কখনো ছোট মনে করবে না। একটি কথা সবসময় মনে রাখবে তুমি যদি কোন কাজকে ছোট মনে কর তাহলে কিন্তু তুমি পরবর্তীতে কিছুই করতে পারবে না। তুমি যদি ওই ছোট কাজটি থেকেই শুরু করো তাহলে একসময় এমন আসবে বড় বড় কাজ করার সময় তোমার কাছে কোন কিছুই মনে হবে না।

কিছু মানুষ তোমাকে বলবে তুমি তো কিছুই করতে পারবে না। এতদিন ধরে যে কাজ করছো তবুও তো কিছুই করতে পারলে না তুমি। হ্যাঁ বন্ধু এই সকল কথাই তুমি একেবারে কান দিবেনা। তুমি যদি এরকম ফালতু কথা থেকে কান দাও তাহলে কিন্তু তোমার গন্তব্য কখনোই তুমি পৌঁছাতে পারবে না।

এখন তুমি যদি জীবনে সফল হতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই আমার এই কথাগুলো ভালোভাবে তোমার জীবনের সাথে। মেনে চলতে হবে। তাহলেই তুমি একমাত্র জীবনে সফল হতে পারবে। আর একটি কথা সবসময় মনে রাখবে।


তুমি যদি পরিশ্রম করো তাহলে আল্লাহ কিন্তু তোমাকে অবশ্যই সফলতার চূড়ায় নিয়ে যাবে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে বোঝালাম কি করলে আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন। তাহলে অবশ্যই কিন্তু আপনার আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।

কেননা তারাও যেন এই কথাগুলো শুনে তাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে। আর আপনি যদি এমন মোটিভেশনাল তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। কারণ প্রতিনিয়তই এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট শেয়ার করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url