নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় কি ?
প্রতিদিন অনলাইনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেছেন। এই নিয়ে কি আপনি দুশ্চিন্তা করছেন। আসলে এরকম ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। কেননা আমার কাছে এমন একটি তথ্য রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নগদ একাউন্ট ভুলে গেলে আবার নতুন করে পিন বসাতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে নগদ একাউন্টের পিন নাম্বার ভুলে গেলে এটি আপনার কাছে অনেকটাই দুশ্চিন্তার কাজ করবে। কারন আপনার একাউন্টে অনেক টাকা থাকতে পারে। আপনার এই সমস্যার সমাধান কি আমরা নিজে করে দিয়েছি।
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় কি - ভূমিকা
আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানেন যে বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর সময়। এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেই আপনি কিন্তু অনেক টাকা লেনদেন করতে পারবেন। আপনাকে কষ্ট করে আর ব্যাংকে যেতে হবে না।তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে মোবাইল ব্যাংকিং কতটা কার্যকরী একজন সাধারন মানুষের জীবনে।
যেমন ধরুন আপনি ৫০০ টাকা ব্যাংকে রাখবেন আপনি যদি ব্যাংকে যান তাহলে কিন্তু আপনাকে 500 টাকা রাখতে দিবে না।কিন্তু আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে নগদে টাকা রাখেন তাহলে ৫০০ কেন আপনাকে ২০০ টাকাও রাখতে দিবে। বর্তমান সময়ে নগদে একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান।
তাই আপনাকে আপনার একাউন্টটি সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।কিন্তু আপনি আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন একটি পিন কোড দেওয়ার মাধ্যমে। আপনি পিন কোড দিয়েছেন কিন্তু আপনার পিনটি মনে নেই তাহলে আপনি কি করবেন। সাধারণত আপনার অনেক দুশ্চিন্তা হবে তাই না। তো এখানে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নাই।
এখন কোন একাউন্টের পিন নাম্বার ভুলে আবার নতুন করে একাউন্টে পিন লাগানো যায়। কিন্তু কিভাবে এটি হয় এটি জানতে হলে আপনাকে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। তো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় কি
আপনি যদি আপনার নগদের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে আপনার একাউন্টের পিন নাম্বারটি ফিরে আনতে পারবেন। কিংবা আপনি বলতে পারেন যে আবার নতুন করে পাসওয়ার্ড বসাতে পারবেন।নগদ একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বিভিন্ন উপায়ে পাসওয়ার্ড ফিরিয়ে আনা যায়।
কিন্তু সেটি কীভাবে তাহলে তো আসুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য আপনাকে জানানোর চেষ্টা করি।নগদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে পিন কোড ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি আপনি নগদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে তাদের থেকে আপনার পিন নাম্বারটি চেঞ্জ করে নেবেন। আপনি এই কাজটি করতে পারবেন কিন্তু একটি কথা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
এর জন্য আপনার হাতে বেশি কিছু সময় থাকতে হবে। কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে যদি আপনার একাউন্টের পিন রিসেট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একদিন থেকে দুইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কিন্তু আপনার হাতে তত সময় নেই তাহলে আপনি কি করবেন নিশ্চয় এটি ভাবতেছেন তাই না।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম।
এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই। আপনি আপনার নিজেরই একাউন্ট থেকে পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে পারবেন মাত্র দুই থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আপনার একাউন্টে নতুন পাসওয়ার্ড বসাতে পারবেন। আপনি হয়তো এটাও জানেন যে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে।সাধারণত ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে বারবার লগইন করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু নগদ এটির অনুমতি দেয় না আপনি সর্বোচ্চ তিন বার চেষ্টা করতে পারবে নিজের একাউন্টটি খোলার জন্য। আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড যদি ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে লগইন করার সময়।আপনার যখন পাসওয়ার্ডটি দিবেন যদি ভুল হয় তাহলে তার নিচে লেখা থাকবে ফরগেট পাসওয়ার্ড।
আপনি যদি ফরগেট পাসওয়ার্ডে আপনি যদি ফরগেট পাসওয়ার্ড এ ক্লিক করেন তাহলে ওখানে বলে দেওয়া আছে কিভাবে আপনি পাসওয়ার্ড আবার নতুন করে বসবেন। আপনি এভাবে খুব সহজেই আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিতে পারবেন।নগদের কাস্টমার কেয়ারে ইমেইল ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে।
বর্তমান সময়ে একটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড ভুলে যাবে এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তো এটি নিয়ে কোন চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি যদি নগদ এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেন। তাহলে আপনার ইমেল চাইবে নগদের অফিস থেকে।আপনি জিমেইল দেওয়ার পর তারা আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য জিজ্ঞাসা করবে আপনি যদি তাদেরকে সেই তথ্যগুলো দিয়ে সাহায্য করেন তাহলে খুব শীঘ্রই আপনার অ্যাকাউন্ট আবার তারা সচল করে দেবে। কিভাবে আপনি আপনার একাউন্টটি সচল করতে পারবেন।
নগদ একাউন্টের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করার উপায়
আপনি যদি একজন নিয়মিত নগদ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই এটির পাসওয়ার্ড অনেক সুরক্ষিত রাখতে হবে। কিন্তু আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কিভাবে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করবেন। আপনার এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই তো এখন আমি আপনাদেরকে এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলবেন জেনে রাখুন।
প্রথমত আপনার নগদ একাউন্টের পাসওয়ার্ড কাউকে ভুলেও বলবেন না।আপনাকে অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি মনে করে রাখতে হবে।কিন্তু আপনি যদি পাসওয়ার্ডটি ভুলে যান তাহলে। আপনাকে কোন সুরক্ষিত জায়গায় পাসওয়ার্ডটি রাখতে হবে। কেননা ভুলে গেলে আপনি যেন পুনরায় এটি দেখে একাউন্টে সচল রাখতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যদি আপনি আপনার একাউন্টে লগইন করে টাকা উত্তোলন করেন। তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার একাউন্টটি লগ আউট করবেন।আর আপনার পাসওয়ার্ডটি কখনোই আপনার অ্যাকাউন্টে সেভ করে রাখবেন না।তাহলে পরবর্তীতে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
নগদ ছাড়াও আরো বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখার জন্য উপরের নিয়ম গুলি ভালোভাবে মনে রাখুন। তাহলে আপনার যেকোনোঅ্যাকাউন্ট আপনি সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
নগদ না বিকাশ কোনটি ব্যবহার করবেন
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে রয়েছে নগদ এবং বিকাশ। তা আপনি নিশ্চয়ই চিন্তা করেন যে আসলে নগদ ব্যবহার করলে ভালো হবে না বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করলে ভালো হবে। আপনি হয়তো জানেন যে বিকাশ অনেক আগের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।বহু বছর আগে থেকেই এই বিকাশ সাধারণ।
মানুষের খুব ভালোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ বিকাশকে আমরা অনেক বিশ্বস্ত বলতে পা্রি। কিন্তু কিছু কিছু দালাল চক্র এই বিকাশের টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছে কিন্তু এটি হচ্ছে শুধুমাত্র গ্রাহকের ভুলের কারনে।অন্যদিকে নগদ এটি যে কোন সরকারি কাজের ক্ষেত্রে এ নগদ ব্যাংকিং সেবাটি অনেক জরুরী।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংকের স্যালারি একাউন্টে সুবিধা।
কেননা আপনি যদি কোন সরকারি ভাতা পেয়ে থাকেন। তাহলে ওই ভাতার টাকাটি নগদের মাধ্যমেই বেশিরভাগ উত্তোলন করা হয়। নগদ প্রতিষ্ঠানটি শুরু হয়েছে বেশিদিন হয়নি কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই এটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ ্করেছে।কিন্তু আসল কথা হচ্ছে আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে নগদের ক্যাশ আউট করতে খরচ হয় মাত্র হাজা্রে ৯ টাকা।
কিন্তু অন্যদিকে বিকাশের খরচ হয় হাজারে ২০ টাকা। এদিকে দুটির দিকে তুলনা করলে দেখা যায় বিকাশের থেকে নগদ একটু এগিয়ে রয়েছে।আবার আপনি যদি সেন্ড মানি করতে চান তাহলে নগদ এবং বিকাশের সেন্ড মানি করার জন্য আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না সেন্ড মানি একেবারে ফ্রি।
আপনি যদি খুব কম খরচেই টাকা ক্যাশ আউট করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নগদ ব্যবহার করতে হবে।তো পাঠক আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আপনি নগদ ব্যবহার করবেন না বিকাশ ব্যবহার করবেন।
নগদে সর্বোচ্চ কত টাকা উত্তোলন করা যায়
প্রিয় পাঠক আপনি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেন কিন্তু জানেন না যে একদিনে সর্বোচ্চ কত টাকা উত্তোলন করা যায়। আপনি যদি এ বিষয়ে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব যে সর্বোচ্চ কত টাকা উত্তোলন করা যায় নগদের মাধ্যমে।আপনি জানেন কিনা জানিনা।
যে নগদে কিন্তু লিমিট অনুযায়ী টাকা লেনদেন করা যায়। আগে আপনাদেরকে বলি যে প্রতিদিন মোবাইল ব্যাংকিং এ কত টাকা ডিপোজিট করা যায়। আসলে দিনে আপনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট করতে পারবেন একবারে।
আপনি চাইলে একেবারে 2 লক্ষ 50 হাজার টাকা জমা রাখতে পারবেন এবং একই সাথে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ভাই তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নগদের মাধ্যমে কত টাকা পর্যন্ত উত্তোলন না জমা রাখা যায়।
মোবাইল ব্যাংকিং এর জন্য সেরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান
বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে দেশের প্রায় বেশি মানুষের যুক্ত রয়েছে। কেননা এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট কিংবা জমা রাখা যায়।তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এই মোবাইল ব্যাংকিং এর গুরুত্ব কতটুকু বেশি।
তো আপনাদের সুবিধার্থে আজকে বলব যে মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয়।বিকাশ এটি একটি এমন প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষ সর্বপ্রথম ব্যবহার করা শুরু করে বিকাশের উপর আস্থা রয়েছে অনেক বেশি। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই বিকাশ।
নগদ এটি হচ্ছে এমন একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান যার বয়স অল্প হলেও অল্প সময়ের মধ্যে অত্যাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই নগদের ক্যাশ আউট করার খরচ সবচেয়ে কম।উপায় বর্তমান সময়ে বেশ কিছুটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি এটারও লেনদেনের খরচ অনেকটাই কম।
রকেট এটি হচ্ছে বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। এখানেও মানুষ অনেক টাকা লেনদেন করে।শিওর ক্যাশ এটি হচ্ছে রূপালী ব্যাংকের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এখানেও আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন। আর এর ক্যাশ আউট খরচ খুবই কম।
আপনি চাইলে উপরের উল্লেখিত মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বিশ্বাসী। তাই আপনি নিঃসন্দেহে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আপনাদেরকে নগদ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবার কথা জানিয়েছি। তো আপনি যদি আমার এই আর্টিকেল থেকে কিছু শিখতে পারেন বা কিছু জানতে পারেন তাহলে আপনার নিকটস্থ আত্মিক স্বজন কিংবা বন্ধুদের মাঝে আমার এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।
আর আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এমন তথ্য শেয়ার করা হয়। আমার পোস্টটি ভালো লাগলে আমার ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url