অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় _ ট্রেনের টিকিট ক্রয়

 প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো ভাবতেছেন যে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এগুলো খুঁজে বের করবেন তাই না। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় খুজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি আজকে আপনাদের কে বলব কিভাবে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেন টিকিট বুকিং দিবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

অনলাইনের_মাধ্যমে_ট্রেনের_টিকিট_কাটার_সহজ_উপায়
আপনি হয়তো জানেন না যে কিভাবে অনলাইনে মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা যায় বা আসলে কি নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে টিকিট কাটা সম্ভব। আর যদিও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব হয় তাহলে আমরা কিভাবে এটি করব। তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

ভূমিকা

আপনি হয়তো জানেন না যে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় জানবেন তাই না। বর্তমান সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা অনেক কষ্টকর এবং অনেক সময়ের ব্যাপার।

আপনি যদি সাধারণত ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন তিন থেকে চার ঘন্টা দেরি করে বসে থাকতে হবে। তবুও আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না যে আপনার ট্রেনের টিকিট কি সত্ত্যি পাবেন।


বর্তমান সময় সরকার মানুষের এই ভোগান্তি কমানোর জন্য অনলাইনে টিকিট কাটার মাধ্যমে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবে যাত্রীরা। শুধুমাত্র নিজের হাতে থাকা ফোনটির মাধ্যমে। আমরা দেশের বিভিন্ন খবরে দেখতে পাই যে ট্রেনে টিকিট কাটার জন্য হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি শুধুমাত্র একটি টিকিট কাটার জন্য।

 তারা শুধুমাত্র কষ্ট করছে যে একটি টিকিট যেন তারা পায় এই কারণে তাছাড়া তাদের এই জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য এই অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আর আমার এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে রয়েছে কিভাবে আপনি অনলাইন মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবেন খুব সহজেই।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে কাটার নিয়ম

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের আঘাত করার জন্য প্রত্যেকটি যাত্রীর এনআইডি কার্ড থাকতে হবে কেননা এন আইডি কার্ড ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায় না। আমি আজকে আপনাদেরকে বলবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এবংট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে কাটার নিয়ম।

এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে অ্যাপসটি হচ্ছে Raill Sheba এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে। এই অ্যাপসটি যদি আপনি ডাউনলোড না করেন তাহলে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন না।
ট্রেনের_অগ্রিম_টিকিট_অনলাইনে_কাটার_নিয়ম
তাই এই অ্যাপসটি আপনার ফোনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। কিংবা আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট এই ওয়েবসাইট থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে প্রথমে আপনার এন আইডি নাম্বার দিতে হবে এবং তার সাথে জন্ম নিবন্ধন ও দিতে হবে তারপর এই দুটি ভেরিফাই করতে হবে।

তারপর আপনাকে শুধুমাত্র রেজিস্টার এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে এটি একটি ইংলিশ ভার্সন ওয়েবসাইট তাই আপনাকে শুধুমাত্র ইংরেজিতেই কাজ করতে হবে। কিন্তু এই ওয়েবসাইটটির বাংলা ভার্সন এখনো পর্যন্ত আসেনি।

মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেন টিকিট বুকিং দিবেন

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো জানেন না যে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এবং মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেন টিকিট বুকিং দিবেন। আপনি যদি সত্যিই এগুলো বিষয়ে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।

যে কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ট্রেন টিকিট বুকিং দিবেন। বর্তমান সময়ে ৮০% ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় অনলাইনের মাধ্যমে এবং বাকি ২০% টিকিট বিক্রি হয় অফলাইনের মাধ্যমে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে একজন মানুষের নামে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।


মূলত দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে ব্যক্তির নামে টিকিট কাটা হবে ওই ব্যক্তি যদি ট্রেনে না যে থাকে তাহলে আর বাকি তিনটি টিকিট কোন কাজে আসবে না। তা ছাড়া আপনাদেরকে আগে বলে রাখি যে আপনি যদি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে যেভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে যান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার এন আই ডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির এনআইডি কার্ড থাকবে না ওই ব্যক্তির টিকিট ক্রয় করতে পারবে না। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে রেল সেবা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে এবং বিকাশের মাধ্যমে টিকিট করতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায়

বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রাপথকে বলা হয় রেল যাত্রা। আপনি যদি এই ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকেন তাহলে আপনার যাতায়াত খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এ রেল যাত্রা হচ্ছে অনেক আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্জাতায়া নিরিবিলি ভাবে যাতায়াতকে বলা হয় রেল যাতায়াতকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ট্রেনের টিকিট পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়।

এই ট্রেনে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে অনেক লম্বা লাইনে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা কিংবা একটি টিকিটের জন্য আপনাকে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যাত্রীদের এই ভোগান্তির কথা চিন্তা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অনলাইনের মাধ্যমে রেলের টিকিট কাটার সেবা চালু করেছে।

কিন্তু আপনি যদি জানেন না যে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় সম্পর্কে কিছু যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন অনলাইনে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য একজন মানুষের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে .১২ বছর কিংবা তার থেকে কিছুটা বেশি বয়স। এর জন্য আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে। আপনি যদি ট্রেনের টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে কাউন্টারে ক্রিকেটে টিকিট কাটতে হবে।

অথবা অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি টিকিট করতে পারবেন।এভাবেই আপনি রেলের টিকিট নিবন্ধন করতে পারবেন খুব সহজে।

ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ কিছু ধাপসমূহ

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ কে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী পরিবহন ধরা হয়। আপনি খুব সহজে হয়তো বা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি জানেন না যে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এগুলো সম্পর্কে।

তাহলে আপনার সুবিধার্থে আমি এখন ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ কিছু ধাপসমূহ এগুলো নিয়ে আলোচনা করব যাতে আপনি বুঝতে পারেন কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে অ্যাপটি হচ্ছে রেল সেবা এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনি আপনার হাতে থাকা ফোন নিয়ে খুব সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন।

এখানে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ড বিকাশ নম্বর এবং জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার এগুলো দিতে হবে দিয়ে আপনি কোন জায়গার টিকিট কাটবেন। ওই জায়গার ইচ্ছামত আপনি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন খুব সহজে। 

তাছাড়া আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন কিভাবে অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে তাহলে প্রথমে আপনার সামনে যে ওয়েব সাইটে আসে ওই ওয়েবসাইটে ক্লিক করে ঢুকে যাবেন তারপর যা যা তথ্য চাইবে তথ্যগুলো দিয়ে দিবেন তাহলে খুব সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা কতটা কার্যকর

আপনি হয়তো ভাবতেছেন যে ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটবেন না অফলাইনে কাটবেন। আপনি নিশ্চয়ই এই কথাগুলো ভাবছেন যে কোনটা সব থেকে ভালো হবে। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

যা আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে লেখা রয়েছে। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা কতটা কার্যকর এই বিষয়টি নিয়ে। আপনি যদি অফলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘক্ষণ সময় অপেক্ষা করতে হবে।


লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আপনি টিকিট পাবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। বর্তমান সময়ে অফলাইনে টিকিট কাটার চেয়ে অনলাইনে টিকিট কাটতেছে মানুষ অনেক বেশি যেমন অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয় ৮০% কিন্তু অফলাইনে টিকিট বিক্রি হয় মাত্র ২০%।

তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কোথায় আপনি টিকিট কাটলে আপনার পক্ষে ভালো হবে। আপনি যদি অনলাইন টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনি ট্রেন যে সময় ছাড়বে ওই সময়ের এক সপ্তহ আগে এই টিকিট টি সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন যাতে পরবর্তীতে আপনাকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আমি আমার সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ উপায় এই কথাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আমার আর্টিকেল থেকে কিছু শিখতে পারেন বা কিছু বুঝতে পারেন তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url