মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় বিস্তারিত জানুন?

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় জানেন না যে মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় তাই না। আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এই পোস্টে মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এর সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মেঘ_থেকে-কিভাবে_বজ্রপাত_এবং_শিলা_বৃষ্টি_হয়
আমরা অনেকেই জানিনা যে কেন ঘনঘন বজ্রপাত হয়। কিংবা ঘনঘন শিলা বৃষ্টি হয় আবার জানিনা যে মেঘের গর্জন কিভাবে সংঘটিত হয়। এ সকল বিষয়ে আমরা কিন্তু সঠিক তথ্য কেউই প্রায় জানিনা। তো চিন্তার কোন কারণ নাই আজকে এই আর্টিকেল জুড়ে এই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হবে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন।

ভূমিকা

আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে যখন বজ্রপাত হয় তখন আমাদের কোন খোলা জায়গা কিংবা কোন বড় গাছের নিচে অবস্থান করা একদমই ঠিক না। কেননা বজ্রপাত পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে এই জায়গাগুলোতে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কেন খোলা জায়গা কিংবা বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া ঠিক না।

তাছাড়া আমরা মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এ সম্পর্কেও আলোচনা করব। আমরা অনেকেই ছোট থেকেই এই কথাটি শুনে আসছি সবাই আমাদের এ কথাগুলো বলে কিন্তু আমরা কি আসলেই সঠিক তথ্যটি জানি না না জেনে আমরা শুধু কথা বলি।


এই বিষয়টি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত বলবো। কিন্তু বজ্রপাত কোথায় সৃষ্টি হয় এটা কি আমরা কেউ জানি না আসলে আমরা কেউ জানিনা। যখন চারপাশে বজ্রপাত হয় তখন কিন্তু আমাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে কেননা এই বজ্রপাত টি অনেক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে তাই আমরা মূলত সবাই বজ্রপাতের সময় একটু সাবধানে থাকি।

আমরা মূলত এই বজ্রপাত কি দেখেছি কিন্তু আপনারা জানেন না যে এই বজ্রপাতটি আসলে কোথা থেকে আসে আর একে কেনই বা বজ্রপাত বলা হয়। তো আসুন সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এ সম্পর্কে আলোচনা কর করব।

শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণ সমূহ বিস্তারিত দেখুন

তো আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো যে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণ এবং মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা সবাই জানি যে যখন আবহাওয়া খারাপ হয় তখন কিন্তু অনেক জোরে শক্তিশালী বায়ু চলাচল করে কিংবা নিচ থেকে উর্ধ্বমুখীভাবে উড়তে থাকে।

 যখন এই বায়ু খুব জোরে উপরের দিকে উঠে তাকে তখন উপরে তাপমাত্রার সাথে তাপমাত্রা মিল না খাওয়ার কারণে একটু ঠান্ডা বাতাসে পরিণত হয় এভাবে আস্তে আস্তে উপরে ওঠার সময় আস্তে আস্তে ঠান্ডা বাতাস খাওয়ার কারণে একটু বরফে পরিণত হতে শুরু করে ।


আসলে যখন একেবারে উপরে উঠে যায় বায়ুরগুলো তখন বড় বড় বরফের টুকরো হিসেবে দেখতে পাওয়া যায় মূলত এইভাবেই শিলাবৃষ্টি তৈরি হয়। আমরা জানি যে যখন আমাদের চারদিকের আবহাওয়া অনেক গরম থাকে এবং পৃথিবীতে অনেক গরম পড়ে তখন একটু বৃষ্টি হতে গেলেই আকাশের উপরের 

মেঘগুলো একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় এবং মেঘের ভেতরে থাকা বিশাল বড় বড় বরফের টুকরোগুলো মাটির দিকে পড়তে থাকে তখন বলবে টুকরোগুলো বাতাসের সাথে ঘর্ষণ বলের ফলে মাটিতে নামা পর্যন্ত ছোট ছোট পরিণত হয়। এভাবে আসলে শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে।

মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয়

আপনারা অনেক সময় খেয়াল করে দেখবেন যে যখন অনেক বেশি বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টির সাথে ছোট ছোট বরফ পড়ে থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভাবেন যে এই বরফ কোথা থেকে আসে তাই না। তো আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো যে মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয়।

তাহলে আসুন সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাই। আপনি যদি বজ্রপাত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই স্ট্রেটিক ইলেকট্রিসিটি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে হবে। এটি হচ্ছে কোন দুটি বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে যে ফ্রিকশন।

 কিংবা ইলেকট্রিসিটি উৎপন্ন হয় তাকে বলা হয়েছে ট্রেটিক ইলেকট্রিসিটি তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এটি প্র্যাকটিক্যালি পরীক্ষা করে দেখতে চান তাহলে আপনাকে বেলুন ব্যবহার করতে হবে। মনে করুন আপনি একটি বেলুন নিয়েছেন বেলুন টি কোন বস্তু দ্বারা ঘষা দিচ্ছেন । 

তারপর মনে করুন আপনি একটি পড়ার টেবিলে কিছু টুকরো টুকরো কাগজ রেখেছেন। বেলুনটি ঘষা শেষ হয়ে গেলে ওই কাগজগুলোর সাথে একটু লাগিয়ে দেখবেন তাহলে দেখবেন বেলুনের গায়ে কাগজগুলো একেবারে লেগে গেছে। এটিই হচ্ছে স্টেটিক ইলেকট্রিসি্টি।

ঠিক এমনই ভাবেই এই বেলুনের ন্যায় মেঘ আর মেঘ ঘর্ষণ হয়ে তারপর এই ট্রেটিক ইলেকট্রিসিটি উৎপন্ন করে তারপর ওগুলো আমরা বড় আকারে বজ্রপাত হিসেবে দেখতে পাই।

আকাশ ডাকলে এত জোরে জোরে শব্দ হয় কেন

প্রিয় পাঠক আপনি অনেক সময় দেখেছেন যে যখন অনেক জোরে বৃষ্টি হয় তখন আকাশ কিন্তু গর্জন করে। তাই আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আকাশ ডাকলে এত জোরে জোরে শব্দ হয় কেন কিংবা মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এটি কেন হয় তাই না।

 যখন আকাশ জোরে জোরে ডাকে তখন হয়তো বা আপনি মনে করেন যে মনে হয় কিছু বড় বস্তু একে অপরের সঙ্গে মারামারি করেছি। আসলে আপনার এই চিন্তা ভাবনাটি একেবারে ভুল। এর পেছনে সাইন্স কি বলে আপনি সেটা জানেন না তো এখন আমি আপনাদেরকে বলতেছি।


আমি নিশ্চয়ই আগের অংশগুলোতে বলেছি যে মেঘের মধ্যে কিন্তু অনেক বড় বড় বরফের খন্ড থাকে। যখন জোরে জোরে ঝড় হয় কিংবা বাতাস হয় তখন উপরের বাতাসের পরিমাণ আরো অনেক বেশি থাকে তাই মেঘগুলো একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগে এবং একটি ফিক্সন তৈরি হয়।

যখন এই বরফের টুকরোগুলো একবর সাথে ধাক্কা লাগে তখন এই বিকট আওয়াজ হয়। আকাশের উপরে বরফের টুকরো গুলো ধাক্কা লাগার কারণে আমরা পৃথিবী থেকে অনেক জোরে জোরে বিকট আওয়াজ পায়। তো প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আকাশ এত জোরে জোরে কেন শব্দ হয়।

বজ্রপাতের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

অনেক সময় আমরা দেখি যে আকাশ ডাকে এবং বজ্রপাত হয় কিন্তু আমরা সঠিক জানিনা যে কেন এবং এর প্রতিকার কি হতে পারে। তো আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বলব যে বজ্রপাতের কারণ ও প্রতিকার এবংমেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয়।

 এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বিজ্ঞানীরা অনেক বিশ্লেষণ করার পর বুঝতে পেরেছে যে বদ হওয়ার কারণ কি কি। বর্তমান বিশ্বে লম্বা লম্বা গাছ কাটা ফলে বজ্রপাত দেখা যায় আবার আমাদের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত হয়ে থাকে।

কিংবা আমাদের আশেপাশের গাছপালা প্রাকৃতিক পরিবেশ সবকিছু নষ্ট করার ফলে বেশি বেশি বজ্রপাত হয়। আমরা যে অতিরিক্ত ময়লা আবর্জনা ফেলি এবং পরিবেশ দূষণ করি এর প্রভাব আমাদের আবহাওয়ার উপর পরে আস্তে আস্তে আবার ওপর পড়ার কারণে পরবর্তীতে জল বারো পর্বত পড়ে।

এসব কারণে মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই বজ্রপাতের বেড়ে গেছে। আপনি যদি এই বজ্রপাত কমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। সব সময় আমাদের পরিবেশের উপর খেয়াল রাখতে হবে 

যে পরিবেশটি আমাদের দূষণ হচ্ছে কিনা যদি পরিবেশ দূষণ হয় তাহলে আমার ওপর পড়বে এবং আমাদের উপর প্রভাব পড়বে। যদি বজ্রপাত হয় আপনি তাহলে কোথায় অবস্থান করবেন আপনি হয়তো এটা নিয়ে ভালো জানেন না তো আপনি বজ্রপাতের সময় মূলত খোলা মাঠ কিংবা কোন বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না।

বজ্রপাতের সময় কোথায় অবস্থান করা উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো জানেন না যে বজ্রপাতের সময় কোথায় অবস্থান করা উচিত তাই না কিংবা মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয়। তো আজকে আপনাদেরকে এই সম্পর্কে আলোচনা করব। বজ্রপাতের সময় অবশ্যই অবশ্যই কোন খোলা মাঠে অবস্থান করা যাবে না কিংবা বড় কোন গাছের নিচে অবস্থান করা যাবে না।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোকালয়ে কাছাকাছি থাকতে হবে। আপনি যদি খোলা মাঠে অবস্থান করেন তাহলে আপনার কোন ম্যাগনেটিক ফিল্ড বেশি কাজ করবে তাই আপনার উপর গজব হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

 তাই আমাদের উচিত খোলা মাঠ থেকে দূরে থাকা বজ্রপাতের সময় আর বড় বড় গাছের নিচে না আশ্রয় নেওয়া। প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো নিশ্চয়ই বুঝতে চাইছেন যে আপনাকে বজ্রপাতের সময় কোথায় অবস্থান করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

কে পাঠক আমার এই সম্পর্ক আর্টিকেল জুড়ে মেঘ থেকে কিভাবে বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি হয় এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমার এই পোস্টটি থেকে আপনি যদি কিছু শিখতে পারেন বা সঠিক তথ্য জানতে পারেন বা আপনার উপকার হয়।

তাহলে আপনি আপনার আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url