বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করনীয়

পুরনো জমির দলিল ডাউনলোড করার নিয়মপ্রিয় পাঠক আপনি কি বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি করবেন এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজতেছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজার পরেও সঠিক তথ্যটি জানতে পারেননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমার এই আর্টিকেলটিতে বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি করনীয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য দেওয়া রয়েছে।
বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করনীয়
আমি বেশ কয়েকদিন ধরে খেয়াল করে দেখছি যে google মানুষ খুঁজতেছে যে বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে কি করনীয়। এখন মনের কথা চিন্তা করেই মূলত এই পোস্টটি লিখা হয়েছে। যারা এ সম্পর্কে জানেন না তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।

বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করনীয় - ভাব সম্প্রসারণ

এখন প্রথমেই আপনাকে বোঝাই যে বায়না দলিলটি আসলে কি। ধরুন ভবিষ্যতে আপনি একটি মানুষের কাছ থেকে জমি কিনবেন। ওই মানুষটি স্বীকার করছে জমি বিক্রি করার জন্য কিন্তু ওই ব্যক্তিটির জন্য বিক্রি করবে ধরুন জারো দুই বছর পর। কিন্তু এখন আপনার চিন্তা হচ্ছে যে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিটি যেন।

অন্য মানুষের কাছে জমিটি বিক্রি করতে না পারে। আপনি পরবর্তীতে ওজনটি ক্রয় করার জন্য জমির মালিক কে কিছু টাকা দিতে পারেন। এবং জমিটি যে আপনার কাছে বিক্রি করবে এর জন্য দায়বদ্ধতা করে নিতে পারেন। এটাকেই মূলত বায়না দলিল বলা হয়। এখন মূলত আপনাকে একদম সঠিক ভাষায় বোঝাচ্ছি।


একজন ক্রেতা জমি ক্রয় করবে এবং আরেকজন বিক্রেতা জমি বিক্রয় করবে। তো ক্রেতা টাকার বিনিময়ে ওই জমিটি ক্রয় করবে। এবং বিক্রেতা জমির বিনিময়ে টাকা নেবে। এখন জমি ক্রয় করার সময় ক্রেতা বিক্রেতা একসাথেই তো জমির দলিল এবং টাকা হস্তান্তর করবে তাই না। কিন্তু টাকার অংক যদি বিশাল পরিমাণে হয়।

তাহলে কিন্তু কিছু টাকা জমা দিয়ে এবং কিছু টাকা বাকি রেখে জমির দলিল কিন্তু গ্রহণ করা জায়। এখন মূল কথা হচ্ছে বাকি টাকা দেওয়ার কিন্তু একটি তারিখ নেওয়া হয় । এখন যদি টাকা দেওয়ার তারিখ শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনার করণীয় কি।

হ্যাঁ এখন আপনাকে এ সকল বিষয়ে নিম্নের বিস্তারিত বলব। তো অযথা সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করনীয়

মূল আলোচনা করার আগে আপনাকে বলে রাখি। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে বায়না নেওয়া কি আসলে রেজিস্ট্রি করা প্রয়োজন। বর্তমান আইন অনুযায়ী আপনি যদি বানে নামা করেন অবশ্যই আপনাকে সেটি রেজিস্টার করতে হবে। কেননা কোর্টে অরিত্রিক বায়না নামার মূল্য একেবারে খুবই কম।

তাই অবশ্যই আপনাকে মূল বাইনানামাটি এখন রেজিস্ট্রি নিতে হবে। আপনি যদি রেজিস্ট্রি না করে নেন তাহলে কিন্তু আপনাকে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই আগে থেকেই আপনার সুরক্ষার দিকটা চিন্তা করা দরকার।আসা যাক বায়না নামার মামলা কত সময়ের মধ্যে করতে হবে ।

এক্ষেত্রে তামাদি আইনের ১১৩ তম বিষয়টি উল্লেখিত হবে। অর্থাৎ অবশ্যই আপনাকে তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। কিন্তু এখানে দামাদিয়ানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে সেটি আপনাদেরকে আমি বলতেছি। চুক্তি পালনের নির্ধারিত তারিখ এবং অনুরূপ কোন তারিখ যদি নির্দিষ্ট না থাকে তখন চুক্তি পালনের বিষয়ে বাদি যখন অবগতি হয়।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার চুক্তির মেয়াদটা মানে যেদিন যেদিন শেষ হবে যদি আপনি ছয় মাসের জন্যই চুক্তি করে থাকেন তাহলে ৬ মাস পর যখন শেষ হবে। অথবা এই তারিখের মধ্যে টাকা দিয়ে পুনরায় রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে। এখন এই তারিখ থেকে তিন বছর। আবার আরেকটি বলা রয়েছে চুক্তি চলাকালীন সময়ে।


সম্ভবত যে ক্রেতা হয়ে গেছে সে সে এখন বিক্রেত আগে বলছে যে ভাই আপনার টাকাটা আপনি নিয়ে নেন আর আপনার জমিটা আমার নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। কিন্তু এখন বিক্রেতা বলল আমি তোমাকে আর জমি দিবো না। এক কথায় বলতে গেলে বিক্রেতা যখন থেকে অস্বীকার করা শুরু করবে তখন থেকে তিন বছর।

সেম জিনিসটাই আবার এপ্লাই হবে। এখন বিক্রেতা যদি ক্রেতার কাছে বলে ভাই আমার অনেকটাই টাকার প্রয়োজন তো আপনি জমিটা নিয়ে নেন আর টাকাটা আমাকে দিয়ে দেন। এখন ক্রেতা যদি আবার অসীকৃতি জানায় তখন থেকে তিন বছর। কিন্তু বর্তমানে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী এই বায়না নাম্বার কেসটি সর্বোচ্চ বর্তমানে।

এক বছরের মধ্যে মামলা করতে। আগে এটা ছিল তিন বছর কিন্তু এখন সেটা এক বছরে কমিয়ে এনেছে। তো আপনি স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছেন। এখন আসা যাক মূল কথা হচ্ছে যে কে কার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এই বায়নামার সাধারণত দুই পক্ষ থাকে একপক্ষ ক্রেতা হয় আরেক পক্ষে বিক্রেতা হয়।

এখন আপনি যদি ক্রেতা হন তাহলে বায়না নামা অনুযায়ী যদি আপনি টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন ও। তারপরেও যদি বিক্রেতা আপনার জমিটি না দিতে চায়। তাহলে আপনি এক বছর টাইম লিমিটের মধ্যে মামলাটা করতে পারবেন। এখন বিক্রেতা যদি বলে যে ভাই বায়না নামার মেয়ে তো শেষ হয়ে যাচ্ছে আপনি টাকাটা দিয়ে জমিটি নিয়ে নেন।

আর এখন ক্রেতা যদি এটি নিতে না চায় তাহলে বিক্রেতা ও এক বছর সময়ের মধ্যে মামলাটি করতে পারবে। এখন ক্রেতা যদি তার প্রাপ্য জমিটি ফিরে পাওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে মামলা করেন। এখন বিক্রেতা ওই মামলাটি চলাকালীন সময়ে জমির অধিক লাভের আশায় জমিটি বিক্রি করে দিলেন।

তখন কি আপনার জমিতে আপনি ফেরত পাবেন। এখন মামলার রায়ের উপর নির্ভর হবে যে আপনি জমিটি ফেরত পাবেন কিনা। আপনি যদি এখন মামলায় জিতে যান তাহলে অবশ্যই আপনার জমিতে আপনি ফেরত পাবেন। আবার অন্যদিকে আপনি যদি মামলায় হেরে যান তাহলে জমিটি আর আপনি পাবেন না।


বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনি অবশ্যই আইনের আওতায় আসবেন। এবং আদালতে মামলা করবেন আপনার কাঙ্খিত টাকা যদি আপনি ফেরত না পান তাহলে। অথবা আপনি যদি ক্রেতা অথবা বিক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে এর কাছে আপনারা মানবিক দিক দিয়ে বিবেচিত হয়ে। একটা নির্দিষ্ট টাইম।

আবার নির্ধারণ করবেন এবং জমি এবং টাকা দুইটাই লেনদেন। করে তাহলে আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনার বায়নামা নিয়ে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে এখন থেকে আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন। কি করলে আপনার পক্ষে ভালো হবে এবং কি কাজ করলে।

আপনার পক্ষে খারাপ হবে। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এবং আপনাকে আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর আশা করি আমি দিতে পেরেছি।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বায়না দলিলের ম্যাচ শেষ হয়ে গেলে কি করবেন এসব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কিছু শিখতে পারেন অথবা জানতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন কেননা তারাও যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

এবং কাজে লাগাতে পারে। আপনি যদি এমন নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। কারণ প্রতিনিয়তই এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url