সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক বিস্তারিত দেখুন
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি লাগে জেনে নিনপ্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি বিনা জামানত ছাড়া যে ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান করে থাকে তাদেরকে খুজতেছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও সঠিক তথ্যটি খুঁজে পাননি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে থাকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আমি খেয়াল করছি যে গুগলের বেশি সার্চ হচ্ছে বিনা জামানতে কোন ব্যাংকগুলোর রিং প্রদান করে থাকে। যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা তাদেরকে টার্গেট করে আজকের ব্লগ ওকে তৈরি করা হয়েছে।
জামানত এবং জামানতবিহীন ঋণ বলতে কী বোঝায়
আমরা অনেকেই আছি যারা জামানত বিহীন ঋণের কথা শুনলে আমাদের মুখে লাড্ডু ফুটে ওঠে। জামানতবিহীন ঋণ এর সঠিক অর্থ জানিনা বিধায় এটি আমাদের মধ্যে দ্বিধা কিংবা সংশয় তৈরি করে থাকে। জামানত যুক্ত ঋণ কিংবা জামানতবিহীন ঋণ। এর মধ্যে কিছু কমপ্লেক্স ভাব রয়েছে।
তো আজকে মূলত এই বিষয়টাকে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার করে দেয়ার চেষ্টা করব। এবং যেটি একদম বেসিক বিষয় রয়েছে সেটি জানানোর চেষ্টা করব। এটি বাংলাদেশের যতগুলো ব্যাংক রয়েছে সকল ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হয়ে থাকবে। জামানোযুক্ত ঋণ কি আগে এটি আমরা বুঝে নিই তারপর জামানত বিহীন ঋণ কি সেটি আমরা দেখবো।
জামানত যুক্ত ঋণ শব্দের অর্থ হচ্ছে এটাই ব্যাংকে আপনার কিছু সম্পত্তি কিংবা স্বর্ণালংকার এগুলো রয়েছে। এগুলো জমা রেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে টাকা দিবে। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাড়ি ও বন্ধক রাখতে পারবেন। তো এখানে একটি বিষয় চলে আসে সেটি কিন্তু অনেকেই জানেন না।
ব্যাংক কিন্তু সেই সকল জিনিসই বন্ধক রাখে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিন্তু অবশ্যই আপনি যেটি বন্ধক রাখবেন সেটি যদি ভ্যালু আছে এটি মনে করে তাহলে কিন্তু আপনার সেই সম্পত্তি বন্ধক রেখে টাকা দিবে। ভ্যালু ছাড়া কোন সম্পদ যদি আপনি বন্ধক রাখতে চান তাহলে কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এটি মেনে নিবে না।
শুধু আপনার কাছেই ভ্যালু আছে এটি মনে হলে হবে না। এক কথায় ব্যাংক যদি মনে করে এটি র কোন ভ্যালু আছে তাহলেই শুধু তারা এটি বন্ধক রাখবে। এখন চলে আসা যাক জামানত বিহীন ঋণ শব্দের অর্থ কি। জামানত বিহীন ঋণের কথা শুনলে কিন্তু আমাদের সকলের মুখেই হাসি ফুটে ওঠে।
আপনি যদি মনে করেন সেটি হয়তো যে আমার কোন সম্পত্তি বন্ধক না রাখলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে ঋণ দেবে। আসলে এই বিষয়টা ৯৯ পার্সেন্ট মানুষ বিশ্বাস করে। মূলত এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেনা বলেই এমনটা মনে করে। এখন আপনি যদি জামানতবিহীন ঋণ কিভাবে দেয় এটি বুঝতে চান।
তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিন্তু আপনার কোন কিছু বন্ধক রাখছে না। কিন্তু এর পরিবর্তে একটি জামিনদার রাখছে। আরে জামিনদার মানে আপনি যদি ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে ওই জামিনদারকে আপনার ঋণ পরিশোধ করে দিতে হবে। এখন এই জামিনদার কি হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এমন কাউকে খুজবে যে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী এবং আপনার অনুপস্থিত্বে তিনি যেন আপনার ঋণটি পরিশোধ করে দিতে পারে। এবং অবশ্যই ওই জামানতদার ব্যক্তি আপনার নিকটস্থ আত্মীয় স্বজন হতে হবে। আপনি যদি পার্সোনাল লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এভাবে লোন নিতে পারবেন।
আমি এখন আপনাকে একটি উদাহরণ দিই ধরুন যে আপনি একটি ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নিলেন। এখন আপনার যেই জামিনদার কিংবা গ্যারান্টর থাকবে তার কিন্তু অবশ্যই বাৎসরিক ইনকাম অনেক বেশি হতে হবে। এবং ব্যাংকের সাথে লেনদেন করার জন্য তাকে ভালোভাবে জানতে হবে।
আপনি যদি এক লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন তাহলে আপনার জামিনদারকে অবশ্যই বাৎসরিক দুই লক্ষ পঞ্চাশ আর হাজার টাকা আই থাকতে হবে। আপনি হয়তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে জামানত এবং জামানত বিহীন ঋণ বলতে কি বুঝায়।
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
আপনি যদি খুব অল্প সুদে ব্যাংক লোন নিতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনার কাঙ্খিত তথ্য যা আপনি জানতে পারবেন। বাংলাদেশের যেসব বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে তাদের থেকে আপনি যদি ঋণ গ্রহণ করতে চান।
তাহলে আপনাকে কিন্তু বেশ মোটা অংকের মুনাফা দিতে হবে তাদেরকে। তারা আপনার ঋণের শতকরা ১১% মুনাফা নিয়ে থকে। এখন আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিই আপনি যদি এক লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন একটি ব্যাংক থেকে। যদি 11 পার্সেন্ট হারে আপনি যদি তাদের থেকে ঋণটি নেন।
তাহলে আপনাকে এক বছর পর দশ হাজার টাকা বেশি তাদের লাভ দিতে হবে। মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি এক লক্ষ টাকা ঋণ নেন তাহলে আপনাকে এক বছর পর এক লক্ষ দশ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এটি কিন্তু একটি সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
তো তাহলে আপনি এখন কি করবেন তাই না এর জন্য আপনি যেসব সরকারি ব্যাংক রয়েছে সেগুলো থেকে ঋণ নিতে পারেন। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বেসরকারি ব্যাংকগুলো 9 থেকে শুরু করে ১৩% পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে। এবং সেখানে সরকারি ব্যাংক ৪% থেকে শুরু করে ৭% পর্যন্ত সুধ গ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ টি এম এস এস সুপার ভাইজারের কাজ কি।
আর সরকারি ব্যাংকগুলোর অনেকটাই সুযোগ সুবিধা রয়েছে আপনি যদি কোন লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে তিন কর্ম দিবস পর আপনার কাঙ্খিত লোন আপনার কাছে পৌঁছে দিবে। তাহলে আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনি বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনার বেশি ভালো হবে না।
সরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিলে বেশি ভালো হবে। আর সরকারি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পর আপনি পরিশোধ করার সময় মেয়াদ একটু বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এর জন্য কিন্তু আপনার ইচ্ছামত আপনি লোনটি পরিশোধ করতে পারবেন। প্রিয় বন্ধুরা আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনি কোন ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনাকে কম সুদ দিতে হবে।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিক্যালটি তে আলোচনা করেছি বাংলাদেশের কোন ব্যাংক আপনাকে কম সুদে লোন দিবে। আপনি যদি আমার আর্টিকেল থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা তারাও যেন এই তথ্যটি জেনে কাজে লাগাতে পারে। আর আপনি যদি এমন নিত্য নতুন তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখুন। কেননা প্রতিনিয়ত এমন তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url