ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো
বিজ্ঞাপন দেখে মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করুনপ্রিয় পাঠক আপনি কি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজতেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। কিন্তু এখন আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে বলবো ছাত্রজীবন মোবাইল ফোনের কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং এর প্রভাব কি হতে পারে।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমি খেয়াল করছি যে গুগলে বেশি বেশি সার্চ হচ্ছে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা আসলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা সঠিক তথ্য জানেন না তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো - সারাংশ
মোবাইল ফোন এমন একটি যন্ত্র যেটি দ্বারা একটি মানুষের অনেক উপকার হবে ঠিক তেমনি একটি মানুষের অনেকটা ক্ষতি ও সাধন করতে পারে। যে যেমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে তার তেমন ক্ষতি বা উপকার হবে। এখন কথা হচ্ছে স্টুডেন্ট এর জন্য মোবাইল অনেকটাই জরুরী।
এবং উপকারী যদি সে তার লেখাপড়ার কাজে ব্যবহার করে। ঠিক অন্যরকম সে যদি সারাদিন ফোন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে ইউটিউব ফেসবুক এগুলোতে যদি অযথা সময় কাটাই তাহলে তার লেখা পড়া কিন্তু কখনোই করানো সম্ভব নয়। মোবাইল আসক্তি এমন একটি জিনিস যা থেকে বেরিয়ে আসা অনেক কষ্টসাধ্য।
আরও পড়ুনঃ জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কি।
এখন আপনার যদি ফোন অনেকটাই প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ঠিক আছে কিন্তু মাত্রা দিক যদি ব্যবহার করেন এটি কিন্তু পরবর্তীতে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন করবে আপনাকে। আর আপনি যদি এখন চারিপাশে খেয়াল করে দেখেন ক্লাস সিক্সের স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে।
সবার হাতে কিন্তু একটি করে স্মার্টফোন দিয়েছে। এবং সবার ফোনে কিন্তু ফেসবুক ইউটিউব রয়েছে। এখন সে যদি লেখাপড়া বাদ দিয়ে ওইগুলোই করে তাহলে তার পড়ার উপর কি রকম প্রভাব পড়বে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনি এটি প্রতিকার করার জন্য কেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তাই না।
তো মূলত আজকের এই ব্লগ এটিতে এ সম্পর্কে সকল তথ্য আপনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যাতে আপনি সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে আপনার সন্তানের হাত থেকে ফোনটি নিতে পারেন এবং লেখাপড়ার দিকে ঝুকে দিতে পারেন। তাহলে আসুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
একজন শিক্ষার্থীর জন্য মোবাইল ফোন কতটা কার্যকরী
লেখাপড়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন অনেকটা জরুরী এই কথাটা ঠিক। ধরুন আপনাকে আপনার শিক্ষক স্কুলে ক্লাসরুমে একটি অংক বুঝিয়ে দিয়েছে সেটি আপনি সেখানে বুঝতে পেরেছেন কিন্তু বাড়িতে এসে যখন সেটা প্র্যাকটিস করবেন তখন সেটা ভুলে গেছেন। তাহলে আপনি অনেক বড় সমস্যার মধ্যে পড়লেন তাই না।
কিন্তু এখন আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে যে অংকটি নিয়ম আপনি ভুলে গেছেন আপনি কিন্তু ইউটিউবে সার্চ দিয়ে সেই অংক বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং অজানা তথ্যগুলো আপনি জানতে পারবেন। তাই বলতে পারি লেখাপড়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেকটাই কার্যকর।
তাই এখন বলাই যাই যে একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্মার্টফোন তার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই উপকারী। আবার অন্যদিকে খেয়াল করে দেখবেন যাদের একটু আর্থিক সমস্যা লেখাপড়া করতে পারছে না। তো সে ক্ষেত্রে সে ইউটিউব দেখে বিভিন্ন ক্লাস করতে পারবে আবার সে যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে।
তার টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে কিন্তু সে অনলাইন থেকে হালকা কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবে। তাই এক্ষেত্রে বলা যায় স্মার্টফোন একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অনেকটাই জরুরী। একজন শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন আবার বই পড়তে পারবে। আবার সে যেটা সম্পর্কে জানে না।
সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নিতে পারবে। অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। তাই আমি এখন বলব একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে ফোন ততটাই ব্যবহার করা উচিত যতটা সে সময় লেখাপড়া করবে এবং তার অজানা তথ্যগুলো জানবে।
পরিমাণ মতো ফোন ব্যবহার করবে এবং যদি বেশি সময় ফোন ব্যবহার করে তাহলে বুঝবেন এটি তার পরবর্তী সময়ে অনেকটাই ক্ষতি সাধন করবে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
আপনি হয়তো হেডিং দেখেই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে কি নিয়ে আলোচনা করব। হ্যাঁ আজকে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং এর প্রভাব কি হতে পারে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। একজন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ক্ষতির জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে এই স্মার্টফোন। এর জন্য কিন্তু হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে।
এবং ইন্টারনেটের দিকে ঢুকে পড়ছে। এই মোবাইলের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে ফেসবুক। আপনি ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন যে একজন শিক্ষার্থী যদি স্কুলে যায় স্কুলে যাওয়ার আগে কিন্তু কমপক্ষে এক ঘন্টা ফেসবুক চালাবে। আবার যখন সে স্কুল থেকে আসবে তার দশ মিনিট পরে কিন্তু ফোন নিয়ে বসবে।
এবং অনেক সময় কাটিয়ে দিবে। তারা বইয়ের মধ্যে মোবাইল রেখে মোবাইল দেখে এবং একটু একটু পরে। তাহলে এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোন একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটা মারাত্মক হতে পারে। আপনি কি একবারও দেখেছেন সে ফেসবুকে কি করে। রিলিজ দেখে তো ফেসবুকের AI এমনভাবে সাজানো হয়েছে।
আপনি যদি কোন এক ধরনের ভিডিও দেখতে চান তারপর কিন্তু আপনার সামনে তার চেয়েও বেশি অ্যাট্রাক্টিভ বা আকর্ষণীয় ভিডিও আপনার সামনে নিয়ে চলে আসবে ফেসবুকের এ আই। এবং পরবর্তীতে মনে হবে আরেকটা দেখি আরেকটা দেখি এরকম। একজন শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পাশাপাশি।
কিন্তু আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে এই মোবাইল। আগেকার সময় কিন্তু ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতো কিন্তু এখন আপনি কি দেখছেন তারা শুধু ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এর ফলে কিন্তু তার চোখের উপর অনেকটাই প্রভাব পড়বে সব সময়ই ফোনের ওই ক্ষতিকর।
আবার আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে দিতে পারি শুধুমাত্র সবসময় ফোন নিয়ে বসে থাকার জন্য। একজন ছাত্র-ছাত্রীর শুধুমাত্র লেখাপড়া নয় তার মধ্যে মানসিক এবং শারীরিক এই দুই ধরনের ক্ষতি সাধন করে এই মোবাইল। এবং পরবর্তীতে কিন্তু মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার কমানোর উপায়
এখন আপনি চিন্তা করতে পারেন যে। আপনি অনেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন কিন্তু কিভাবে মুক্তি পাবেন এই মোবাইল ফোনের হাত থেকে। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে সব সময়। আপনি যদি জীবনে কিছু করতে চান তাহলে এই মোবাইল ফোনকে ত্যাগ করুন।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন কিন্তু পরিমান মত লেখাপড়ার সময় লেখাপড়া করবেন এবং আপনি যদি কিছুটা সময় পান তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত খেলাধুলা করবেন ঘোরাফেরা করবেন। এবং সব সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন।
এবং আপনি যদি অন্য ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে সে অনুযায়ী কাজ করবেন আর লেখাপড়া করবেন তাহলে আশা করা যায় আপনি এই মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচতে পারেন। আপনি যদি একটি অভিভাবক হন তাহলে আপনার সন্তান থেকে এই মোবাইল ফোনটি নিয়ে নিবেন।
এবং তার লেখাপড়া ছাড়া অন্য কোন বিষয়ের জন্য এই মোবাইল ফোনটি তাকে ধরতে দিবেন না। আর এখন মোবাইল ফোন আসক্তি সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গেম খেলা। এটি একটি শিক্ষার্থীকে মরণবাধির মত ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের এই ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে। তাই আপনাকে বলব।
আপনি অবশ্যই আপনার সন্তানকে একটি মোবাইল ফোন কখনোই কিনে দিবেন না। আপনি যদি আপনার সন্তানকে মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমার এ কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে। এবং আমার কথা মত কাজ করলে আপনার সন্তানকে আপনি মোবাইলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আপনি কিভাবে আপনার ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের মোবাইলের হাত থেকে বাঁচাবেন এবং এর উপকারিতা এবং কি কি উপকার হয় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যদি এগুলো পড়ে কিছু লাভ হয় বা কিছু জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
কেননা পরবর্তীতে ও তারা যেন তাদের জীবনে এই কাজটি করে যেতে পারে। আর আপনি যদি নিত্যনতুন এমন তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট দিয়ে নজরে রাখুন। কেননা প্রতিদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়।
এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url