জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে - বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি কি জমি খারিজ করতে চাচ্ছেন কিন্তু কি কি কাগজ লাগবে এটি খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজার পরও সঠিক তথ্য পাননি। এখন আপনি যদি এর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে জমি খারিজ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং জমি মাপার সূত্র কি এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
বেশ কয়েকদিন ধরে গুগলে দেখতেছি যে জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে এবং কিভাবে জমি খারিজ করতে হয়। তাদের কথা মূলত চিন্তা করে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। যারা সঠিক তথ্য জানেন না তারা মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন।

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে - জমি মাপার সূত্র - ভূমিকা

যাদের যাদের জমি রয়েছে এবং যারা নতুন জমি কিনতে চাচ্ছেন তাদের কিন্তু অবশ্যই নিজের জমি খারিজ করে নিতে হবে। এবং এটি হচ্ছে আমাদের সরকারের আদেশ। কিংবা আমাদের জমিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যেন কোন মানুষ পরবর্তীতে এটি র অংশীদারিত্ব দাবি করতে না পারে।

মূলত এই জন্যেই জমি খারিজ করা হয়। কিন্তু অনেক মানুষ হয়েছে যারা কিন্তু জানে না যে এই জমি খারিজ করলে কি হয়। এবং এ কথা তাদের যদি বলা হয় তাইলে তারা বলে যে অযথা টাকা নষ্ট করার কি দরকার তাই না। তো মূলত যারা এই সকল কথা বলে থাকে কিন্তু তারা সঠিক তথ্য জানেন না।


জমি জমি খারিজ করা আমাদের জন্য কতটা উপকারী এবং আপনি যদি জমি খারিজ করতে চান তাহলে আপনাকে কি কি কাগজ রাখতে পারে এবং অনেকে জানেন না যে কিভাবে জমি মাপে এবং এর সূত্রই বা কি। যারা মূলত এ সকল কথা জানেনা তাদেরকে নিয়ে আজকের এই ব্লগটি তৈরি করা হয়েছে।

তারা যেন খুব সহজেই সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে। তাহলে আসুন অযথা সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় চলে যায়।

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে

প্রিয় বন্ধুরা ২০২৪ সাল থেকে আপনি ফুপি সহজেই নামজারি করে নিতে পারবেন আপনার জমির। আপনি যে কোন ভাবেই জমির মালিক হয়ে থাকেন না কেন যেমন ওয়ারিশ সূত্রে ক্রয় সূত্রে এরকম বিষয়। ২০২৪ সালের নিয়ম অনুযায়ী আপনি খুব সহজেই এখন নাম জারি করে নিতে পারবেন।

আপনার সম্পত্তির। তা আপনি যদি নামজারি করতে চান অবশ্যই কিন্তু আপনাকে একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বসতে হবে তাই না কিন্তু এগুলো কাজ জাগে তাকে দিয়ে হবে না এগুলো কাজ করার জন্য অনেক প্রফেশনাল একটি লোক লাগবে যে এগুলো ভালো বুঝতে পারবে।


এগুলো করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার সঠিক যে নাম রয়েছে সেটি দিতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে। কেননা আপনার ঠিকানা এবং নামে বিভিন্ন ধরনের নোটিশ আসতে পারে তারা তদন্ত করতে আসতে পারে। দ্বিতীয়ত আপনার যে দলিল আছে তার নাম্বার এবং সাল অবশ্যই সঠিক থাকতে হবে।

কেননা আপনার দলিলের ওপর অনেক তদন্ত হবে ঠিক তেমনভাবে যারা আপনার বিপরীতমুখী ব্যক্তি তারা কিন্তু কখনোই চাইবে না যে আপনার নামে নাম জারি করা হোক। তারা কিন্তু সব সময় ওই উকিলকে বলবে যে ওইটা উনার জমি না ওইটা আমার জমি ওটা ভুল আছে এরকম কথা সচরাচর তো সবাই বলে থাকে।

এখন আমি আপনাকে সঠিক দলিল নাম্বার এবং সালের কথা বললাম কেননা সেটি আপনার তো নকল হতে পারে তাই না। আপনি বিভিন্ন ধরনের কার্য করার মাধ্যমে জমিটি আপনার নামে করেও নিতে পারেন। আদালতের নিয়ম অনুযায়ী আপনার নামে যখন কোন জমি নাম জারি করা হবে।

অবশ্যই সেগুলো বেশ অনেকবার ধরে সত্যতা যাচাই করা হবে। সেজন্যই আপনাকে বললাম যে সব সময় সঠিক তথ্য দিতে হবে। তারপরে আপনাকে কিন্তু আপনার যে জমিটির নাম জারি হবে ওই জমিটির আগের কাগজের ফটোকপি দিতে হবে। এবং অনেকেই আছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে।

চুপ করে বসে থাকে কিন্তু এটি আসলে সঠিক নিয়ম না। আপনাকে অবশ্যই দুদিন পর যেই অফিসে আপনি কাগজটি জমা দিয়েছেন সেখানে আপনাকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি কিন্তু এই নামজারীর বিষয়টি কখনোই একলাখ করতে পারবেন না কেননা আপনার মাথায় এগুলো কিছুই ঢুকবে না।


তো এখন এর উপায় হচ্ছে আপনাকে একটি আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এই বিষয়গুলো অনেক জটিল হয়ে যায়। এখন আপনি যে জমিটি নাম জারি করতে চাচ্ছেন সে জমিটির খতিয়ান কিন্তু আপনাকে জমা দিতে হবে। এরপর অবশ্যই আপনাকে ভূমি অফিসে এই খাজনাটি দিয়েছেন।

তার রশিদ আপনার কাছে থাকতে হবে এবং এর এক কপি ফটোকপি আপনাকে জানাতে হবে। আপনি এখন আমার বলে দেওয়া কথা অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার নামজারি করতে পারবেন আপনার নামে কিন্তু এই নিয়ম ছাড়া অন্য নিয়মে যদি কাজ করতে যান।

তাহলে আপনার নাম জারি করার আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে। তো যে কাজটি করবেন একটু চিন্তা করে করবেন।

অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতি

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার থাকতে হবে এবং চাইলে আপনি কোন কম্পিউটারের দোকানে কেউ এটি করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই আপনার কম্পিউটার থেকে ক্রোম ব্রাউজারটি ওপেন করে নিতে হবে। তারপর আপনাকে সার্চ বক্সে টাইপ করতে হবে। (www.mutation land gov bd.com )
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
প্রথমে যেই ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটিতে আপনি প্রবেশ করবেন। এরপর আপনাকে কিন্তু এই ওয়েবসাইটের ভেতর ঢুকেই কিন্তু যাবতীয় সকল কাজ করতে হবে। তো ওয়েবসাইটের ভিতরে কেমন হবে আপনাদেরকে দেখায় তাহলে আপনারা ভাল বুঝতে পারবেন।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
এখান থেকে আপনি আপনার ইচ্ছা মত যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় আপনি ইচ্ছা করলে টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতে পারবেন তাহলে ভালো করে বুঝতে পারবেন। ওইখানে লেখা আছে দেখবেন একটি হচ্ছে নামজারির আবেদন আরেকটি হচ্ছে জমি খরসা করার আবেদন।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
আপনি তো নিশ্চয়ই জমি নামজারি অর্থাৎ খারিজ করতে চাচ্ছেন । এজন্য আপনাকে নামজারি আবেদন ওই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে প্রথমে। তারপর আপনাকে ওইখানে ক্লিক করার পর আরেকটি ইন্টারফেস এ নিয়ে চলে যাবে। ওই পেজটি কেমন হবে আসুন আপনাদেরকে দেখায়।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
এখন এই ফর্মটি আপনি কিভাবে পূরণ করবেন তাই না। তো প্রথমে লেখা আছে আপনি কিভাবে জমিটির মালিক হতে চান এখানে বেশ কিছু অপশন রয়েছে যেকোনো একটি আপনি বেছে নিবেন। তারপরে লেখা আছে দেখুন ক্রেতা বাতি গ্রহীতার তথ্য এখানে যেকোনো একটি সিলেক্ট করবেন।

তারপর আপনার মৌজা কি এটা ভালোভাবে পূরণ করবেন। নিজে দেখবেন কিছু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মত প্রশ্ন রয়েছে সেখানে সঠিক তথ্যটি দিয়ে দিবেন। তারপর আপনাকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার যেগুলো তথ্য চাইবে আপনি দিয়ে দিবেন তাহলে ওইখানে দেখাবে যে আপনার আবেদন সফল হয়েছে।

আপনি এই উপায়ে মাত্র 10 মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে জমির খারিজ করার আবেদন করতে পারবেন। তারপর যদি আপনার ওইখানে দেখায় যে আবেদন করা সফল হয়েছে তাহলে ভাববেন এটি সত্যি কাজ করেছে।

জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে

আমাদের অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে জমি খারিজ করার আবেদন করার কতদিন অপেক্ষা করতে হয়। এটির কাজ শুরু হতে মূলত কত দিন সময় লাগে আর কিভাবে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি আবেদন করা যাবে তাই না। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে।

যে যেইদিন আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন তার তিনদিন পর যেই অফিসে আবেদন করেছেন সেখানে আপনার সরাসরি হাজির হতে হবে। আপনি যদি না যান তাহলে আপনার কাজ কিন্তু তারা করবে না আর যখন আপনি যাবেন তখন আপনার বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভালো করে সত্যতা যাচাই করবে।

এবং বিভিন্ন ফর্মালিটিক্স আপনার দ্বারা তথ্যগুলো জেনে নিবে এবং খুব সহজে কাজ করবে।আর এখন মূল কথা হচ্ছে আবেদন করলে কতদিন সময় লাগবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৮ দিন সময় লাগবে একটি আবেদন করার পর কাজ হতে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি জানতে পেরেছেন আশা করি।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে এবং কত দিন সময় লাগে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আমার এই আলোচনা থেকে কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।

কেননা তারা যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে। আর আপনি যদি প্রতিনিয়ত এমন তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখুন কেননা প্রতিদিনই আমাদের ওয়েবসাইটে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url