চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি ভাবছেন যে চোখ লাল হলে কি করবেন। আপনি যদি এ বিষয়ে কোনো সমাধান এখনো পর্যন্ত না পেয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেল দের মাধ্যমে আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে আপনার চোখ লাল কমাবেন।
চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়
চোখ লাল হয় এটি একটি অনেক খারাপ বিষয় যা আমাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এবং স্বাভাবিকভাবেই এটি একজন মানুষের চোখকে খারাপ ভাবে দেখায়। যারা এই সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

চোখ লাল হওয়ার লক্ষণ সমূহ

আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে কি রকম লক্ষণ দেখা দিলে আমার চোখ লাল হয়ে যাবে এবং চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে প্রথমে কিন্তু একটি চোখ লাল হয় এবং পরবর্তীতে দুটি চোখে লাল হয়ে থাকে।

ঘন ঘন চোখ দিয়ে পানি পড়তেই থাকবে আপনার চোখে যদি একটু জোরে বাতাস লাগে তাহলে কিন্তু আপনার চোখ দিয়ে পানি পড়বে। চোখ সব সময় অস্বস্তি বোধ করবে এবং চুলকাতে থাকবে। ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন যে আপনার চোখের পাতা ফুলে গেছে।


চোখে অযথাই অনেকটাই ব্যথা করে। আপনি যদি অতিরিক্ত আলোতে কোথাও যান এবং আপনার চোখে যদি সূর্যের আলো বা ঘরের আলো লাগে তাহলে অসহ্যকর একটি ধারণা তৈরি হয়। আপনার চোখ একটু হালকা জ্বালা করবে।

প্রিয় বন্ধুরা, আপনার চোখে যদি এরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে নেবেন যে আপনার চোখ লাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং পরবর্তীতে আপনার চোখের অনেক সমস্যা হতে পারে।

চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানেন যে আমাদের চোখ কিন্তু একটি স্পর্শকাতর অঙ্গ। বিভিন্ন সময়ে আমাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যে এই চোখ লাল হওয়া। আপনি যদি কিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়ম মেনে চলতে পারেন।

তাহলে আপনার এই চোখ লাল হওয়া থেকে আপনি বিরত থাকতে পারবেন। তো আপনাদেরকে এখন এ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

অতিরিক্ত সময় ধরে না গোসল করা

আপনারা অনেকেই দেখে থাকবেন যে অনেক মানুষ আছে যারা এক ঘন্টা দুই ঘন্টা কিংবা তিন ঘন্টা এরকম সময় ধরে গোসল করে থাকে। এটি হচ্ছে একজন মানুষের অনেক বড় একটি খারাপ অভ্যাস। এর হ্যালো ওই ব্যক্তিটি মনে করে যে এর জন্য আমার শরীরে অনেক আরাম লাগতেছে।

তো মূলত এই ধারণাটি একদমই ভুল। কেননা আমরা যতক্ষণ পানিতে গোসল করব ততক্ষণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চোখ। আমরা যদি অনেকক্ষণ পানি আমাদের চোখে পড়ে তাহলে আমাদের চোখের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়ে থাকে।


যার ফলে আমাদের চোখের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নালিগুলো অসার হয়ে যেতে শুরু করে। তখন আমাদের চোখে রক্ত চলাচল করতে অনেকটাই সমস্যা হয়। এর ফলে প্রথমেই আমাদের চোখের লাল হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এটি বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

চোখে কসমেটিক্স প্রসাধনী ব্যবহার না করা

আমরা অনেকেই কিন্তু আমাদের চোখমুখে অনেকটাই কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করে থাকি। আসলে আমরা জানি না এটি আমাদের ত্বকের জন্য কতটা ভয়াবহ। এই কসমেটিক প্রসাধনীতে রয়েছে অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল।

যা আমাদের চোখ মুখের নরম ত্বককে নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। এবং আমরা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এই কেমিক্যাল সমৃদ্ধ কসমেটিক টি আমাদের চোখেও দেখতে পারে। আমাদের চোখ যেহেতু একটি সংবেদনশীল অঙ্গ তো সেখানে কোন কিছুর রাসায়নিক পদার্থ দেখলেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

যেমন চোখে জ্বালা করা কিংবা অল্পতেই চোখ লাল হয়ে যাওয়া। আপনি যদি এই কসমেটিকস পণ্য ব্যবহার করেও থাকেন তাহলে আপনাকে খুব সতর্কতার সাথে এটি ব্যবহার করতে হবে।

চোখে লেন্স ব্যবহার করা

এখনকার সময়ে চোখে লেন্স ব্যবহার করা এটি একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে মানুষ বিভিন্ন রং এর লেন্স ব্যবহার করে থাকে। কেউ হয়তোবা চোখের সমস্যার কারণে এটি ব্যবহার করে আবার কেউ হয়তো বা শ্বাস-সজ্জার জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে।

আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই এগুলো ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া দেখবেন যে প্রতিনিয়ত আপনার চোখ লাল হচ্ছে এবং চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আপনি যদি এই লেন্স টিপ ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করতে হবে।

আর আপনি যদি নিজের ইচ্ছামতন লেন্স ব্যবহার করেন তাহলে পরবর্তীতে আপনি অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পা্রেন। এটির জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার চোখের লেন্সটি পরিষ্কার রাখতে হবে। এভাবে আপনি আপনার চোখ লাল হওয়া থেকে বাঁচতে পারববেন।

যে খাবারে এলার্জি আছে সেটা বর্জন করা

এলার্জি কিন্তু প্রায়ই সকল মানুষেরই রয়েছে। এবং এই এলার্জির ফলে একটি মানুষের হাত চুলকাতে পারে পা চুলকাতে পারে কিংবা শরীরের চামড়া চুলকাতে পারে এবং চোখে চুলকাতে পারে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই এলার্জি জাতীয় খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

কেননা আপনি যদি এটি পরিহার না করেন তাহলে আপনার চোখ লাল হতে থাকবে এবং চুলকাতে থাকবে। এটাই হচ্ছে চোখ লাল কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার বৃদ্ধি করা

আপনার চোখ যদি অতিরিক্ত লাল হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঠান্ডা পানি। কোন নরম কাপড়ে ভিজিয়ে নিয়ে তার চোখের উপর সেক দিতে হবে এবং কাব্যটি অবশ্যই পরিষ্কার এবং নরম হতে হবে। কিংবা আপনি চাইলে কোন স্টিলের বাটিও আপনার চোখে ধরতে পারেন। এই প্রক্রিয়ায় আপনার চোখের লাল ভাব এবং হালকা জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।

গোলাপ জলের ব্যবহার করা

আপনার চোখের জন্য গোলাপজল কিন্তু অনেক উপকারী একটি পদার্থ। গোলাপ জলে থাকা জলীয় দ্রবণ আপনার চোখের সাথে খুব ভালোভাবে বিক্রিয়া করতে সক্ষম হয়। তাই আপনি যদি একটি পরিষ্কার পানিতে একটু গোলাপ জল মিশিয়ে আপনার চোখটি ধৌত করতে পারেন তাহলে আপনার চোখকে অনেকটাই ঠান্ডা করে রাখবে।

চোখের উপর শসা ব্যবহার করা

আমাদের চোখের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায় কিন্তু অনেকটা ভালো কাজ করে। আপনি যদি এক টুকরা শসা আপনার চোখের উপর রেখে দেন তাহলে সেটি আপনার চোখের উপরে থাকা ময়লা এবং চোখের নিচের কালো দাগ এগুলো দূর করে দিবে এবং নিমিষেই আপনার চোখকে শীতল করে দিবে। তাই আপনার চোখ লাল কমাতে নিয়মিত শসা ব্যবহার করুন।

ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধৌত করা

আমরা যখন বাইরে থাকি তখন আমাদের চোখে অনেক ধুলোবালি ময়লা এগুলো জমে থাকে। এবং আমাদের চোখ মুখ অনেকটাই ডাল এবং অপরিষ্কার দেখা যায়। এগুলো ফলেও কিন্তু আমাদের চোখ লাল হয়ে থাকে।

এর জন্য আপনি যখন বাইরে কোথাও থেকে বাড়িতে আসবেন তখন অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আপনার চোখ টি ভালো করে পরিষ্কার করে নিবেন। তাতে আপনার চোখ মুখের ময়লা গুলো দূর হয়ে যায় এবং চোখ মুখ শীতল হয়ে যায়।

শিশুর চোখ লাল হওয়ার কারণ

শিশুদের চোখ অনেক সংবেদনশীল হয়। তাছাড়া শিশুদের শরীরে একটুও জোরে হাত দিলেও তাদের শরীর লাল হয়ে যায়। শিশুরা কিন্তু বারবার তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এবং বেশিরভাগ হাত দিয়ে থাকে চোখে এর জন্য চোখ লাল হয়ে থাকে এবং চুল কাতে থাকে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়।
চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়
কিন্তু আপনার বাচ্চা যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলেও চোখ লাল হবে এবং চোখ চুলকাতে থাকবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে আপনার শিশু যদি বাহিরে ধুলোবালিতে খেলাধুলা করে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না হয়ে থাকে এর ফলে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা লেগে থাকে।

এই ময়লাগুলোর সাহায্যে তাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রবেশ করে এবং তাদের চোখেও। এর ফলে একটু যখন তারা তাদের চোখে হাত দেয় তখন তাদের চোখ লাল হয়ে যায় এবং জ্বালা করতে শুরু করে।

ভূমিকা

আপনারা যখন বাইরে কোথাও যাবেন তখন চেষ্টা করবেন যে চোখের চশমা পরা এবং সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করা। এরফলে বাইরে ধুলাবালি আপনার চোখে এবং তোকে প্রবেশ করতে অনেকটাই কষ্ট হয়। এবং কোথা থেকে আসলে প্রথমেই ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ মুখ পরিষ্কার করে নেবেন।

এবং যে সকল খাবার খেলে আপনার শরীর চুলকায় সেই সকল খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন রাসায়নিক যুক্ত কোন কিছু নিজের ত্বকে ব্যবহার করবেন ্না। সবচেয়ে মূল কথা আপনার চোখে এবং ফেঁসে সব সময় হালকা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন।


এর ফলে আপনার চোখমুখে লেগে থাকা ময়লা গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনি যদি এই কথাগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার চোখ আর লাল হবে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে চোখ লাল বাঁচার উপায় বলেছি।, আপনি যদি এখান থেকে কিছু শিখতে পারেন বা জানতে পারেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন কেননা তারা যেন সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।

আর প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে এমন তথ্য শেয়ার করা হয়। আপনি যদি প্রতিনিয়ত এমন তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এইচ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url